ইকোনমিক কাউন্সিল অব কানাডার (ইসিসি) মতে, বিশ্ব আর্থিক বাজার ও প্রতিষ্ঠানগুলোয় এযাবৎকালে যত উদ্ভাবন হয়েছে, সেগুলো তিন ভাগে ভাগ করা যায়। বাজার প্রশস্তকরণের উপকরণ, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উপকরণ ও আর্বিট্রেজ উপকরণ। বহুমুখী হিসাব, ব্যাংকের শাখা বিস্তার, সেবার বৈচিত্র্য, নানা ধরনের কার্ড, যেমন: ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি বাণিজ্যিক ব্যাংকের বাজার প্রশস্তকরণের উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উপকরণ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের অপশন, ফিউচার, হেজিং, অ্যাসেট ব্যাকড সিকিউরিটিজ ইত্যাদি বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সমধিক প্রচলিত। অন্যদিকে, আর্বিট্রেজ উপকরণ হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বাজারে সেবা-পণ্যের দামের ভিন্নতা থাকলে যে বাজারে মূল্য কম, সেখান থেকে ক্রয় করে এবং যে বাজারে মূল্য বেশি, সেখানে বিক্রয় করে মুনাফা অর্জন করে।
একটি মুনাফামুখী আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবার পাশাপাশি বিশ্ববাজারে উদ্ভাবিত নানা ধরনের সেবা প্রদান করে। সেদিক থেকে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ব্যাংক খুব যে পিছিয়ে আছে তা নয়। এই যেমন ক্রেডিট কার্ডের কথাই ধরা যাক। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২১ সালের জুলাই নাগাদ বাংলাদেশে ইস্যুকৃত ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা ১৭ লাখ ৭৭ হাজার ৬৭৭ এবং লেনদেনের পরিমাণ ২২৬ কোটি টাকার বেশি। প্রবৃদ্ধির হিসাবে ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ডের বাজার বেড়েছে প্রায় ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত বাজার ব্যয় হয়েছে ২৩ শতাংশেরও বেশি।
১৯৫০ সালে দ্য ডাইনার্স ক্লাবের হাত ধরে বিশ্বে প্রথম ক্রেডিট কার্ড প্রচলিত হয়। বাংলাদেশে ১৯৯৭ সালের জানুয়ারিতে তৎকালীন এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক, যা এখনকার স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে একীভূত, প্রথম পূর্ণ মাত্রার ক্রেডিট কার্ড প্রচলন করে। দেশীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড প্রথম ক্রেডিট কার্ড নিয়ে আসে। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডের বাজার খুব দ্রুতই বিকশিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও বিকশিত হবে।
বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ড প্রচলনকারী ব্যাংক এবং অপরাপর আর্থিক প্রতিষ্ঠান যে সুদ ও অন্যান্য চার্জ আরোপ করে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন অনেক দিনের। নিকট অতীতেই কোনো কোনো ব্যাংক তাদের ক্রেডিট কার্ডে এমনকি ৩০ শতাংশ বা তারও বেশি হারে সুদ আদায় করত। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক খাতের রেগুলেটর হিসেবে ব্যাংকঋণের সুদে ফ্লোর ও ক্যাপ নির্ধারণ করে দিয়েছে, যা বহুল প্রচলিত ৯-৬ সুদহার হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। ৯-৬ সুদ হারের বৈশিষ্ট্য ছিল যে বাণিজ্যিক ব্যাংকঋণের ক্ষেত্রে লেন্ডিং রেট হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ এবং আমানতের ওপর সুদ দেবে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ। বাণিজ্যিক ব্যাংক এরূপ সুদের হার বাস্তবায়নে গড়িমসি করে এবং অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংক মেয়াদি আমানতে এমনকি সর্বনিম্ন ২ শতাংশ সুদ প্রদান করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক ভালো উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম একটি হলো হালে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিপত্র জারি করে বলে দিয়েছে যে আমানতের সুদের হার কোনোভাবেই প্রচলিত মূল্যস্ফীতির নিচে হতে পারবে না।
যা-ই হোক, করোনা মহামারি চলাকালে বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের বিলম্ব মাশুল আদায় ও সুদ নিরূপণে ক্রেডিট কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংককে কিছু দিকনির্দেশনা দেয়, যা কাস্টমারদের অনুকূলে ছিল। অন্যদিকে, করোনা মহামারি চলাকালে বাংলাদেশে ই-কমার্স ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে প্রভূত জনপ্রিয়তা দেখা যায়। একদিকে করোনা সংক্রমণের ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছিল না, অন্যদিকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর হোম ডেলিভারি সার্ভিসে জনজীবনে বেশ স্বস্তি লক্ষণীয় ছিল। করোনাকালে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস কতটা জনপ্রিয়তা পায়, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে স্পষ্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান মতে, ২০১৯ সালের জুলাই মাসের তুলনায় ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে অন্তর্ভুক্তি বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান তো বটেই, আমাদের চারপাশে খেয়াল করলেও দেখা যায়, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, তথা ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত বিকাশ, নগদ ইত্যাদি জনপ্রিয় মাধ্যমে কেনাকাটা, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, স্কুল–কলেজের ছাত্রছাত্রীদের বেতন–ফি পরিশোধ, অর্থ স্থানান্তর ইত্যাদি কাজে ব্যবহারের ব্যাপকতা বেড়েছে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ব্যাংকের সঙ্গে যৌথ বা ইন্টিগ্রেটেড সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চুক্তি করে জনসেবা বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। এরূপ একটি সেবা যেমন ক্রেডিট কার্ড থেকে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ওয়ালেটে অর্থ স্থানান্তর। এ কাজে অনেক ব্যাংক সংশ্লিষ্ট হলেও তাদের সেবার মান, সুদ বা অন্যান্য খরচ আদায়ের ভিন্নতা জনমনে সন্দেহ, সংশয় ও শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। এরূপ কিছু বাস্তবিক উদাহরণ নিচে তুলে ধরা যাক।
দেখি, তাদের প্রতিটি লেনদেনে আলাদা করে চার্জ কাটা হয়। কৌতূহলের বশে আগের বিল চেক করে আমার চোখ ছানাবড়া। মোবাইল রিচার্জে একবার ১০৯ টাকা ওয়ালেটে নিয়েছিলাম, সে জন্য চার্জ ১৫০ টাকা এবং ভ্যাট ২২ দশমিক ৫০ টাকা। একবার ১০০ টাকার একটা লেনদেনেও পৃথক চার্জ ১৭২ দশমিক ৫০ টাকা ধার্য করেছে। এভাবে হিসাব করে দেখি, প্রায় ১৫টি লেনদেনে আমার থেকে ব্যাংক মোটের ওপর প্রায় ৬০ শতাংশ চার্জ কেটে নিয়েছে এবং তা পরিশোধও করে দিয়েছি!
ব্যক্তিগতভাবে আমি একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ভিসা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করি এবং তা বেশ কয়েক বছর ধরেই। আর্থিক সীমাবদ্ধতা এবং কিছু হিসাব–নিকাশ করে চলি বলেই ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা করলেও কখনোই বিলম্ব মাশুল বা সুদ দিতে হয়নি। বছরে নির্ধারিতসংখ্যক লেনদেন করায় কখনো বার্ষিক চার্জও দেওয়া লাগেনি; বরং ওই ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বেশ কিছু বোনাস পয়েন্ট পেয়েছি। নিয়মিত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী হিসেবে তা কৃতিত্বেরই বটে। আমাদের যে সাধারণ জীবনযাত্রা, তাতে একাধিক ক্রেডিট কার্ডের কথা কখনোই ভাবা হয়নি। কিন্তু ২০১৯ সালে একটি নিমন্ত্রণপত্র পাই। স্বনামধন্য দুটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের প্রতিষ্ঠানে এসে কিছু ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তি দেবেন। খুবই ভালো কাজ। এমন একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিতির নিমন্ত্রণপত্র পেয়ে তাই উপস্থিত হই। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাঁদের আলোচনায় আমাদের জন্য বিশেষ ক্রেডিট কার্ডের প্রস্তাব দেন। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে কার্ডে বার্ষিক কোনো ফি থাকবে না বলে ঘোষণা দেন যত দূর মনে পড়ে। উপস্থিত অনেকের মতো আমিও ফরম পূরণ করে দিয়ে আসি। কিছুদিন পর আমাদের প্রতিষ্ঠানের লোগো–সংবলিত বিশেষ সেই ক্রেডিট কার্ড হাতে পাই।
শুরুর দিকে তাদের কোনো এক ব্যাংকের কার্ড দিয়ে কিছু কেনাকাটা করি এবং প্রথম বছর কোনো বার্ষিক ফি দিতে হয়নি। কিন্তু এ বছর জুলাই মাসে বার্ষিক ফি হিসেবে ১১ হাজার ৫০০ টাকা বিল আসে। ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা বলে, এ ফি বাধ্যতামূলক এবং আমিও কথা না বাড়িয়ে তা পরিশোধ করেই নিজেকে ঝামেলামুক্ত ভাবি। বন্ধুমহলে অনেককেই সতর্ক করি, নির্দিষ্টসংখ্যক কেনাকাটা করার জন্য যাতে বার্ষিক ফি থেকে বাঁচা যায়। নানা দিক বিবেচনায় অন্য একটি ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত অপর একটি কার্ড ফেরত দিতে যাই ব্যাংকে এই ভেবে যে এই কার্ডেও হয়তো আবার বার্ষিক ফি দিতে হবে। কিন্তু ব্যাংকের সদাশয় কর্মকর্তা আমার কার্ড চেক করে বলেন, এই কার্ডে বার্ষিক ফি নেই এবং কার্ডটি রেখে দিতে অনুরোধ করেন। যেহেতু কোনো চার্জ নেই, তাই কার্ডটি এখনো সংরক্ষণ করছি।
২০২০ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২১ সালের জানুয়ারিতে অন্য একটি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে একটি ‘প্রি-অ্যাপ্রুভড’ ক্রেডিট কার্ড আসে আমার নামে। এক ডেলিভারিম্যান এসে হঠাৎ একটি খাম দিয়ে চলে যান। পরে ওই ব্যাংকের এক কর্মকর্তা এসে কার্ড পেয়েছি কি না জানতে চান। আমি জানতে চাই, আমার আবেদন ছাড়াই কীভাবে কার্ড ইস্যু হলো? ব্যাংক কর্মকর্তা একজন পদস্থ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে বলেন, তিনি ইস্যু করতে বলেছেন। পদস্থ কর্মকর্তার সম্মানে কার্ডটি রেখে দিই, কিন্তু অ্যাকটিভেট করিনি অনেক দিন। ব্যাংকের কল সেন্টার থেকে কল করে কার্ডটি অ্যাকটিভেট করতে অনুরোধ করা হয়। অ্যাকটিভেট করার পরে যেহেতু বার্ষিক চার্জ আসতে পারে, সেই ভয়ে অনলাইনে কিছু লেনদেন করে ফেলি। কিন্তু যখন মাসিক বিল পাই, তখনো খেয়াল করিনি তাদের চার্জ ধার্য করার নিয়ম অদ্ভুত। খুব ছোট কিছু লেনদেন করেছি, তাই সব মিলিয়ে বেশি বিল ছিল না।
সময়মতো পরিশোধ করে দিয়েছি। কিন্তু পরের মাসের বিলটি ভালো করে লক্ষ করি এবং দেখি, আমি যা কেনাকাটা করেছি, বিল তার চেয়ে ঢের বেশি। দেখি, তাদের প্রতিটি লেনদেনে আলাদা করে চার্জ কাটা হয়। কৌতূহলের বশে আগের বিল চেক করে আমার চোখ ছানাবড়া। মোবাইল রিচার্জে একবার ১০৯ টাকা ওয়ালেটে নিয়েছিলাম, সে জন্য চার্জ ১৫০ টাকা এবং ভ্যাট ২২ দশমিক ৫০ টাকা। একবার ১০০ টাকার একটা লেনদেনেও পৃথক চার্জ ১৭২ দশমিক ৫০ টাকা ধার্য করেছে। এভাবে হিসাব করে দেখি, প্রায় ১৫টি লেনদেনে আমার থেকে ব্যাংক মোটের ওপর প্রায় ৬০ শতাংশ চার্জ কেটে নিয়েছে এবং তা পরিশোধও করে দিয়েছি!
সব ব্যাংক যে এ ধরনের চার্জ করে তাও নয়; চার্জের ক্ষেত্রে একটা ব্যাংকে আরেকটা থেকে ভিন্নতা থাকতেই পারে। কিন্তু তা কতটা? কার্ড থেকে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে টাকা নেওয়া বা উত্তোলন ও স্থানান্তরে চার্জ থাকতেই পারে। কিন্তু তা যৌক্তিক হওয়া বাঞ্ছনীয় নয় কি? এই যেমন শতকরা হারে চার্জ। সে ক্ষেত্রে ধরা যাক, কার্ড থেকে ওয়ালেটে ব্যালেন্স স্থানান্তর চার্জ ২ দশমিক ৫ বা ১০ শতাংশও হতে পারে। তেমন ক্ষেত্রে চার্জ করা হলে সমতা ও নিরপেক্ষতার মানদণ্ডও বজায় থাকে। আবার ব্যাংক বা অপরাপর আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেভাবে বেশি লাভের আশায় ক্রেডিট কার্ডের বাজারে বিভিন্ন লুক্কায়িত ব্যয় এবং বাছবিচার না করে কার্ড ইস্যু করছে, তাতে ভবিষ্যতে বাজার বিস্তারকারী এরূপ উদ্ভাবনী খাতে ঝুঁকির সৃষ্টি করবে।
নিশ্চিত করেই বলা যায়, ক্রেডিট কার্ড নিয়ে ভুক্তভোগীর সংখ্যা নেহাতই কম নয়। ছাত্রছাত্রী, শুভানুধ্যায়ী অনেকেই এ বিষয়ে লিখতে অনুরোধ করেন। নিতান্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হলেও অন্য অনেক কার্ড ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাও অনেকটাই অনুরূপ। ক্রেডিট কার্ডের লেনদেন সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকসমূহের ক্রেডিট কার্ড অপারেশন নির্দেশাবলি’–এর ১১ (৬) ধারায় স্পষ্টত উল্লেখ আছে, ক্রেডিট কার্ডের প্রতিটি সফল লেনদেন সম্পন্ন হওয়ামাত্র এর ব্যবহারকারীকে প্রতিটি লেনদেন এবং সামষ্টিক লেনদেন উপযুক্ত মাধ্যমে জানাতে হবে। সব ব্যাংক কি এরূপ লুক্কায়িত চার্জ ব্যবহারকারীকে জানায়? নিশ্চয়ই না। প্রতিটি ব্যাংক তাদের ক্রেডিট কার্ড সেবায় জনস্বার্থ যাতে বিঘ্নিত না হয়, তা দেখবে, সে প্রত্যাশা রইল।
ড. শহীদুল জাহীদ, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগ