মতামত

ইউক্রেন যুদ্ধ স্পষ্ট করছে স্বৈরশাসকদের শিবির কোনটি

ইউক্রেন থেকে যদি একটা উল্লেখযোগ্য বিজয় নিয়ে পুতিন ফিরে যেতে পারেন, তাহলে সেটা বিশ্বের স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোর শাসকদের নিশ্চিতভাবে বার্তা দেবে কাদের সঙ্গে থাকতে হবে
ছবি : রয়টার্স

একজন মানুষ যদি কমেডিয়ান হন, আমি জানি না, একটি রাষ্ট্র পরিচালনায় তাঁর ঠিক কোন অযোগ্যতাটি তৈরি হয়। রাষ্ট্র পরিচালনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকাই যদি সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার প্রধান যোগ্যতা হয়, তাহলে সাবেক আমলা ছাড়া কারও তো সেটা হওয়া উচিত নয়। কথাটি মনে পড়ল ইউক্রেন সংকট নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে কমেডিয়ান বলে খোঁচা দেওয়া দেখে। এটা চলছে ফেসবুক থেকে শুরু করে কলামে পর্যন্ত।

সম্প্রতি জেলেনস্কিকে এই খোঁচা দিয়েছেন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের ট্রাম্প। আসল ট্রাম্প ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত হলেও আরেকজন ট্রাম্প, যাকে অনেকেই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের ট্রাম্প (ট্রাম্প অব দ্য ট্রপিক্স) খেতাবে অভিহিত করেন, তিনি ক্ষমতায় আছেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর কথা বলছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ইউক্রেনের জনগণ তাদের আশা-ভরসা একজন কমেডিয়ানের হাতে সঁপে দিয়েছিল।’

এটা বলেই ক্ষান্ত হননি তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো নিষেধাজ্ঞায় তিনি থাকছেন না। কারণ হিসেবে নিজের দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকির কথা বলেছেন। কথাটা আপাতদৃষ্টিতে যৌক্তিকও। কিন্তু তিনি বলেছেন আরও কিছু অবিশ্বাস্য কথা, যেমন রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতির কথা নাকি চরমভাবে অতিরঞ্জিত। এ ছাড়া তিনি ইউক্রেনের দনবাসে দুই অঞ্চলকে রাশিয়া কর্তৃক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়াকে জোর গলায় সমর্থন করেছেন। যদিও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইউক্রেনে রুশ হামলা বন্ধে পাস হওয়া একটি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ব্রাজিল।

অবিলম্বে হামলা বন্ধ করে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে রুশ সেনাদের সরিয়ে নিতে সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবটিতে ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৪১টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ভারত, চীন, বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ ৩৫টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। সোজা বাংলায় বলতে গেলে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতি বাংলাদেশের সরব সমর্থন যেমন নেই তেমনি বিরোধীতাও নেই। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয় রাশিয়াসহ পাঁচটি দেশ।

আমাদের কাছে এটা নিশ্চয়ই স্পষ্ট যে কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া পূর্ণ স্বৈরতান্ত্রিক এবং স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের দিকে এগিয়ে যাওয়া হাইব্রিড রেজিমরাই রাশিয়ার পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। এই কলামে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ নেই, কিন্তু সব দেশের এমন ভোটের ক্ষেত্রে সেই দেশগুলোর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর (জনগণের নয়) স্বার্থের সঙ্গে রাশিয়ার সরাসরি কিংবা চীনের সম্পর্ক আছে, যা ভোটের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে।

কারা আলোচিত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কারা বিপক্ষে, আর কারা ভোটদানে বিরত ছিল, তার মধ্যে একটা ধরন আছে। যে দেশগুলো প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি তাদের সরকার পদ্ধতির ধরন একটু দেখে নেওয়া যাক। এখানে আমি বিবেচনায় নিচ্ছি আমাদের দেশে অতি পরিচিত ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের গণতন্ত্র সূচক। এই সূচকে গণতন্ত্রের বিচারে সবচেয়ে ভালো থেকে খারাপ চারটি ধরন ক্রমান্বয়ে এ রকম—পূর্ণ গণতন্ত্র, ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, হাইব্রিড রেজিম ও স্বৈরতন্ত্র।

জাতিসংঘের আলোচিত প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেওয়া পাঁচটি দেশ রাশিয়া, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া ও সিরিয়া—সব রাষ্ট্রই স্বৈরাচারী। প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকা দেশের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র আছে পাঁচটি—ভারত, মঙ্গোলিয়া, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। হাইব্রিড রেজিম নয়টি—আর্মেনিয়া, বাংলাদেশ, বলিভিয়া, এল সালভেদর, মাদাগাস্কার, পাকিস্তান, সেনেগাল, উগান্ডা ও জিম্বাবুয়ে। আর স্বৈরাচারী দেশ আছে ২০ টি—চীন, আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, কঙ্গো, কিউবা, ইকুয়েটরিয়াল গিনি, ইরান, ইরাক, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, লাওস, মালি, সুদান, মোজাম্বিক, নিকারাগুয়া, দক্ষিণ সুদান, তাজিকিস্তান ও ভিয়েতনাম।

আমাদের কাছে এটা নিশ্চয়ই স্পষ্ট যে কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া পূর্ণ স্বৈরতান্ত্রিক এবং স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের দিকে এগিয়ে যাওয়া হাইব্রিড রেজিমরাই রাশিয়ার পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। এই কলামে বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ নেই, কিন্তু সব দেশের এমন ভোটের ক্ষেত্রে সেই দেশগুলোর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর (জনগণের নয়) স্বার্থের সঙ্গে রাশিয়ার সরাসরি কিংবা চীনের সম্পর্ক আছে, যা ভোটের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে।

এ তো গেল স্বীকৃত ক্ষয়িষ্ণু গণতন্ত্রের কথা, দেখা যাক উন্নত গণতান্ত্রিক দেশের খুব আলোচিত কয়েক রাজনৈতিক নেতার অবস্থান। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নবিরোধী ব্রিটেনের উগ্র ডানপন্থী নেতা, ইউকে ইনডিপেনডেন্ট পার্টির প্রধান নাইজেল ফারাজ সম্প্রতি ইউক্রেন নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বার্লিন দেয়ালের পতনের পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ন্যাটোর ক্রমাগত সম্প্রসারণ একটি ভূরাজনৈতিক ভুল। আমি বিশ্বাস করি, রাশিয়ান ভালুককে একটি কাঠি দিয়ে খুঁচিয়েছি আমরা। পুতিনকে একটি জাতীয়তাবাদ উসকে দেওয়ার মতো কারণ দিয়েছি যে আমরা তাঁকে ঘিরে ফেলতে যাচ্ছি।’

ব্রিটেনে ফারাজ যে ঘরানার রাজনীতিবিদ, ফ্রান্সে সেই ঘরানার রাজনীতিবিদ মেরি লা পেন। ২০১৭ সালে ফ্রান্সের আগের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণার সময় মেরি লা পেন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছিলেন, ক্রিমিয়াকে নিজের সঙ্গে যুক্ত করা রাশিয়ার জন্য যৌক্তিক। এর জেরে ইউক্রেন তাকে কালোতালিকাভুক্ত করেছিল।

এবার রাশিয়ার সর্বাত্মক ইউক্রেন আগ্রাসনকে নিন্দা করলেও তিনি এক বক্তব্যে বলেন, ‘মাখোঁ রাশিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নন, বরং ন্যাটোর দূত হিসেবে কাজ করেছেন। অন্যদের সংকটের মধ্যে ফ্রান্সের কোনোভাবেই ঢোকা উচিত হবে না।’ এপ্রিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণার একটি লিফলেটে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি ছবি ব্যবহারকে কেন্দ্র করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। এটাও এখানে যুক্ত করে রাখি, ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় লা পেন ক্রেমলিনে গিয়ে পুতিনের ‘আশীর্বাদ’ নিয়ে এসেছিলেন।

শুরু করেছিলাম গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ট্রাম্পের বক্তব্য দিয়ে। আসল ট্রাম্পও কিন্তু এই সংকটে নীরব নেই। যেহেতু তিনি এখন আর প্রেসিডেন্ট নন, তাই মনোযোগ পাচ্ছেন বেশ খানিকটা কম। তবুও তিনি শিরোনাম হয়েছেন। ইউক্রেন নীতির ক্ষেত্রে বাইডেনকে তীব্র সমালোচনা করেছেন আর পুতিনকে জিনিয়াস সার্টিফিকেট দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনা আমাদের আবারও মনে করিয়ে দিল, হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনের সময় ট্রাম্পকে জেতানোর জন্য রাশিয়ান হ্যাকারদের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অভিযোগ।

আমাদের কাছে নিশ্চয়ই প্রমাণিত হয়েছে, শুধু স্বৈরশাসকরাই নন, পৃথিবীর উদার গণতন্ত্রের সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত দেশগুলোরও ডানপন্থী স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার মানুষ পুতিনের পক্ষে আছেন। ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকাকে আমি একইভাবে বিশ্লেষণ করতে চাই। এই ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদে ভারতের ভোটদানে বিরত থাকা নিয়ে ভারত ও সারা পৃথিবীতে নানা আলোচনা হচ্ছে। দুই পক্ষের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করা ভারতের জন্য চরম বিপর্যয় তৈরি করবে, এমন আলোচনা খোদ ভারতের মাটিতেই হচ্ছে জোরেশোরে।

বেশ কয়েকটি বিশ্লেষণে ভারতের এমন সিদ্ধান্তের কারণ খুঁজতে গিয়ে রাশিয়ার ওপর ভারতের সামরিক নির্ভরতাকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ করে ভারত যে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এস-৪০০ পেতে মরিয়া, সেটা বলা হচ্ছে। একই সঙ্গে আলোচনায় আছে সীমান্তে চীনের সঙ্গে সংঘাতের ক্ষেত্রে রাশিয়ার মধ্যস্থতার প্রত্যাশার কথা। কিন্তু আমার অনুমান, আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ আরেকটা দিক বিবেচনায় আনছি না।

গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক কাজ করেছিলেন, যা অনেক বিশ্লেষকের কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকেছিল। যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের সমাবেশে সরাসরি ট্রাম্পের পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন তিনি। হতবাক অনেক বিশ্লেষক প্রশ্ন তুলেছিলেন, একটি দেশের সরকারপ্রধান হয়ে অপর দেশের নির্বাচনের একজন প্রার্থীর পক্ষে নরেন্দ্র মোদি কীভাবে ভোট চান?

জো বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারে স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, তিনি সারা পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি শক্তিশালী করতে কাজ করবেন। তিনি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি—এসবের বিরুদ্ধে শক্তভাবে দাঁড়াবেন। এসব পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের চ্যারিটি নয় নিশ্চয়ই, চীন ও রাশিয়ার পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোকে নিজেদের পক্ষে আনার জন্য চাপ হিসেবেই এটা করার সিদ্ধান্ত ছিল তাঁদের। এই কারণেই আমরা দেখব, সম্প্রতি সৌদি আরবের ডি ফ্যাক্টো শাসক মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বাইডেনের সম্পর্ক খুব খারাপ পর্যায়ে যাচ্ছে, যদিও তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল অসাধারণ উষ্ণ।

খুব সাধারণ অবস্থা থেকে রাজনীতি করে ভারতের মতো এত বড় এবং প্রভাবশালী একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নরেন্দ্র মোদি আর যা–ই হোক, বোকা নন। মোদি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন, জো বাইডেন যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তাহলে তাঁর দল বিজেপি সাম্প্রদায়িক ও বিভাজন সৃষ্টিকারী যে রাজনীতি করে, সেটা করা তার পক্ষে কঠিন হবে। তাঁর রাজনীতির কৌশল আর বাইডেনের আন্তর্জাতিক নীতি সরাসরি সাংঘর্ষিক।

এই অঞ্চলে চীনকে ঠেকাতে ভারতের অংশীদারত্ব অতি জরুরি বলে সম্পর্ক একেবারে খারাপ হয়ে না পড়লেও নরেন্দ্র মোদির দল আগের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এত সহজে পথ চলতে পারবে না। আমি বিশ্বাস করি, ইউক্রেন প্রশ্নে পশ্চিমাদের সঙ্গে পুরোপুরি সুর না মেলানোতে এটাও একটা বড় কারণ ছিল নরেন্দ্র মোদির জন্য।

ইউক্রেন যুদ্ধকে শুধু রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সংঘাত হিসেবে আমি দেখি না। আমি বিশ্বাস করি, এই যুদ্ধ ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক ব্যবস্থা (ওয়ার্ল্ড অর্ডার) কেমন হবে সেটার ওপরেও একটা বড় প্রভাব ফেলবে। ইউক্রেন থেকে যদি একটা উল্লেখযোগ্য বিজয় নিয়ে পুতিন ফিরে যেতে পারেন, তাহলে সেটা বিশ্বের স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোর শাসকদের নিশ্চিতভাবে বার্তা দেবে কাদের সঙ্গে থাকতে হবে। স্বৈরশাসকেরা আরও নিশ্চিত হবেন কাদের সঙ্গে থাকলে দেশ, দেশের মানুষ গোল্লায় গেলেও তাঁদের নিজেদের ক্ষমতা আরও পোক্ত করতে পারবেন।

ন্যাটো যদি রাশিয়ার কাছে পরাজিত হয়, তাহলে ন্যাটোর প্রধান অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে কর্তৃত্ববাদী দেশগুলোকে তাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে চাপ দেওয়ার অস্ত্র আদৌ কতটা কার্যকর হবে, সেই সংশয় খুব জোরালোভাবে তৈরি হবেই। স্বৈরশাসকেরা আগেও জানতেন এবার আরও দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে জানবেন তাদের ‘কিবলা’ কোন দিকে।

জাহেদ উর রহমান, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক