আজ ১৯ এপ্রিল শুরু হচ্ছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। এ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সহজ জয় পাবে বলে অনেকেই বলছেন। তবে বিজেপির এবারের টার্গেট ৪০০–এর বেশি আসন পাওয়া। সেটা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে লিখেছেন সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়।
এত নিরুত্তাপ লোকসভা ভোট ভারতে আগে হয়নি। এমনও হয়নি, ভোট শুরুর আগেই সংসদে প্রধানমন্ত্রী আগাম জয় ঘোষণা করছেন। শুধু কি তাই? ৪০০–র বেশি আসনে জিতে এনডিএ জোট ক্ষমতায় আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিদিন তা মনেও করিয়ে দিচ্ছেন। বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে এমন নিশ্চিন্তে এত কঠিন ও বৈচিত্র্যপূর্ণ ভোটের মোকাবিলা আগে কাউকে করতে দেখা যায়নি। ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও নরেন্দ্র মোদি এত নিরুদ্বিগ্ন।
মোদি নিজেকে এই অবস্থানে নিয়ে যেতে পেরেছেন অনেকগুলো কারণে। এমন প্রশ্নহীন আনুগত্য বিজেপির কেউ কখনো অর্জন করেননি। জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তিতেও তাঁর কাছাকাছি নেই কেউ। এটা মুদ্রার এক পিঠ হলে অন্য পিঠে রয়েছে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো নেতার অনুপস্থিতি। ক্ষমতার ব্যাপ্তি ঘটানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রযন্ত্রকে মুঠোবন্দী করার দক্ষতাতেও তিনি অদ্বিতীয়। গণতন্ত্রের ‘ফোর্থ পিলার’ গণমাধ্যমকেও এভাবে কেউ নিয়ন্ত্রণ করেননি।
সাংবিধানিক স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো মোদির মুখাপেক্ষী। এই অদৃশ্যপূর্ব প্রশাসনিক দক্ষতার সঙ্গে হিন্দুত্ববাদ মিশিয়ে তিনি যে ‘ধর্মীয় রাজনৈতিক ন্যারেটিভ’ তৈরি করেছেন, বিরোধীকুল তার সামনে অসহায়। এবারের নির্বাচন এতটাই একপেশে যে খোদ প্রধানমন্ত্রীই বলেছেন, ‘বিদেশিরাও বলাবলি করছে আয়েগা তো মোদি হি। না হলে তারা এভাবে আমার সফরসূচি তৈরির জন্য পীড়াপীড়ি করত না।’
ক্ষমতার ব্যাপ্তি ঘটানোর পাশাপাশি রাষ্ট্রযন্ত্রকে মুঠোবন্দী করার দক্ষতাতেও মোদি অদ্বিতীয়।
জোট বেঁধে (এনডিএ) ক্ষমতায় এলেও ধীরে ধীরে জোটসঙ্গীদের কোণঠাসা করেছেন মোদি।
হিন্দুত্ববাদের রমরমা হিন্দি বলয়ে বাড়তি দু-চারটি আসন পেলেও মোদির পক্ষে ৪০০ পেরোনো কঠিন।
নরেন্দ্র মোদি দুটি কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন। প্রথমত, নিজেকে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছেন। দলের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জারদের একে একে নিষ্ক্রিয় করেছেন। গোষ্ঠীতন্ত্রকে মাথাচাড়া দিতে দেননি। দ্বিতীয়ত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘকে বশীভূত করে নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন করেছেন। বিজেপি ও সংঘের ইতিহাসে এটা বিরল। তৃতীয়ত, বিরোধীদের জোটবদ্ধ হতে দেননি।
এই কাজটা করেছেন রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপুণ ব্যবহারের মধ্য দিয়ে। ইডি, সিবিআই, এনআইএর মতো তদন্তকারী সংস্থার পাশাপাশি ভিজিল্যান্স কমিশন ও আয়কর বিভাগকে তিনি ব্যবহার করেছেন বিরোধীদের ছাড়া ছাড়া রাখতে; সন্ত্রস্ত রাখতে। ফলে এই প্রথম উত্তর প্রদেশের ভোটে বহুজন সমাজ পার্টি এলেবেলে। মায়াবতী রাজনৈতিক অস্তাচলে। অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন হম্বিতম্বিহীন। তেলেঙ্গানায় বিআরএসের মুখে কুলুপ।
পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক হয়েও নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। শীর্ষ নেতাদের জেলযাত্রা ঠেকানোর চিন্তায় মশগুল। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ও এনসিপি ছত্রাখান। আম আদমি পার্টি ও ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার মূল চিন্তা ভোট নয়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও হেমন্ত সোরেনের জামিন। কংগ্রেসের অবস্থা নাবিকহীন জাহাজের মতো। অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও সামাজিক গরিমা হারানো একান্নবর্তী পরিবারের হাল যেমন হয়, ঠিক তেমনই। ফলে বিজেপির সামনে এক ধু ধু ফাঁকা মাঠ। ভোটের চালচিত্রও তাই এত অনুজ্জ্বল।
তা হলে কি ভোট শুরুর আগেই চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়, মোদি–সৃষ্ট স্লোগান সত্যি হয়ে বিজেপি ৩৭০ ও জোট ৪০০ আসন জিতবে? ১৯৮৪ সালে ইন্দিরার মৃত্যুর পর যে সম্মান জুটেছিল রাজীব গান্ধীর!
খটকাটা এখানেই। ভোট আঙিনার এমন অসমান হাল, গণমাধ্যমের এত অবিরাম স্তুতি ও এমন গগনচুম্বী প্রচার সত্ত্বেও বুক ঠুকে বলা যাচ্ছে না মোদি হ্যাটট্রিক করে নেহরুকে ছুঁলেও ৪০০–র গণ্ডি পেরোতে পারবেন কি না।
সংশয় জিইয়ে থাকছে কারণ, ২০১৯ সালে গণরায়ের ইলাস্টিক এতটাই টান টান যে বাড়ানোর উপায়ই আর নেই। উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম ভারতে বিজেপির প্রাপ্তির ঘর প্রায় কানায় কানায় ভরা। হিন্দুত্ববাদের রমরমা এই হিন্দি বলয়ে বাড়তি দু-চারটি আসন দিলেও মোদির পক্ষে ৪০০ পেরোনো কঠিন। সেই অসম্ভব সম্ভব হয় কি না, সেটাই সম্ভবত এবারের ভোটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। ভোটের আবহে সেই ছবিটা তুলে ধরা জরুরি।
আর্যাবর্তে গুজরাট (২৬), রাজস্থান (২৫), দিল্লি (৭), হিমাচল প্রদেশ (৪), উত্তরাখন্ড (৫) ও হরিয়ানার (১০)—মোট ৭৭ আসনের প্রতিটিই গতবার বিজেপি জিতেছিল। অতএব এই ছয় রাজ্যের নির্বাচনী ইলাস্টিক টানার অযোগ্য।
এর বাইরে মধ্যপ্রদেশের ২৯ আসনের মধ্যে ২৮, ছত্তিশগড়ে ১১টির মধ্যে ৯, ঝাড়খন্ডের ১৪টির মধ্যে ১২, বিহারের ৪০–এর মধ্যে ৩৯ এবং উত্তর প্রদেশের ৮০টির মধ্যে ৬৪ আসন বিজেপি ও তার জোটসঙ্গীরা আদায় করেছিল। অর্থাৎ গো–বলয়ের এই পাঁচ বড় রাজ্যের মোট ১৭৪ আসনের মধ্যে তারা জিতেছিল ১৫২টি। তা হলে পাটিগণিত দেখাচ্ছে, ১১ রাজ্যের মোট ২৫১ আসনের মধ্যে বিজেপির প্রাপ্তি ছিল ২২৯। এর মানে, গো–বলয়ে এক শয় এক শ পেতে গেলে বাড়ার জায়গা রয়েছে মাত্র ২২টি।
অন্যান্য রাজ্যেও বিজেপির ছবিটা ছিল যথেষ্টই উজ্জ্বল। যেমন মহারাষ্ট্র। সেখানে ৪৮ আসনের মধ্যে বিজেপি ও শিবসেনা পেয়েছিল ৪১। কর্ণাটকের ২৮ আসনের মধ্যে জিতেছিল ২৫টি। এবারের চালচিত্র এই দুই রাজ্যে ফিকে। প্রচারের তীব্রতায় উজ্জ্বল পশ্চিমবঙ্গ। গতবার বিজেপি জিতেছিল ১৮টি, এবার আরও ৪–৫ আসন বাড়তি পাবে বলে তাদের আশা।
ভালো ফল করা ১১ রাজ্যের সঙ্গে মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও পশ্চিমবঙ্গকে ধরলে মোট আসন ৩৬৭টি। এর মধ্যে সহযোগীদের নিয়ে বিজেপি জিতেছিল ৩১৩ আসন। ৪০০ পার করতে হলে বাড়তি প্রয়োজন আরও ৮৭টি। আসামসহ উত্তর–পূর্বাঞ্চলের মোট ২৫ আসনও যদি সঙ্গ দেয়, তা হলেও ৪০০ পার করতে দরকার আরও ৬০-৬২ আসন। আসবে কোত্থেকে?
বিজেপির ‘ইলেকশন মেশিনারি’ বারো মাস চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করে। অন্যরা জেগে ওঠার আগেই তাদের ভোর হয়। আগেরবার ভোটের ফল দেখেই মোদি অ্যান্ড কোং বুঝেছিল, ২০২৪ সালে হ্যাটট্রিক করতে গেলে বিন্ধ্য পর্বতের দক্ষিণে তাকাতে হবে। সংঘ-বিজেপির পরিকল্পনায় তাই শুধুই দাক্ষিণাত্য। সেই কারণেই অনেক ভেবেচিন্তে নতুন সংসদ ভবনে স্থাপিত হয়েছে তামিলনাড়ুর ‘সেঙ্গল’। অযোধ্যায় রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে দাক্ষিণাত্যের মন্দিরে মন্দিরে মোদি মাথা ঠেকিয়েছেন।
তামিলনাড়ুর প্রাচীন চোল সাম্রাজ্যে সেঙ্গল ছিল ক্ষমতা হস্তান্তর ও সুশাসনের প্রতীক। রুপায় তৈরি সোনায় মোড়া এই সেঙ্গল এক রাজদণ্ড, যা চোল সাম্রাজ্যের নতুন রাজার হাতে তুলে দেওয়া হতো। তামিলনাড়ুর শৈব মঠের সন্ন্যাসীরা ১৯৪৭ সালে দিল্লি এসে সেই সেঙ্গল তুলে দিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরুর হাতে।
বিজেপির দাবি, ওটাই নাকি ছিল ব্রিটিশদের ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক। সেই সেঙ্গল নতুন সংসদ ভবনের লোকসভায় স্থাপন করেছেন মোদি। জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে তামিল ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে একাকার করে তিনি তামিল জনতার মন জিততে চেয়েছেন। উপলব্ধি, তামিলনাড়ুর ৩৯ আসনের সিংহভাগ না জিতলে স্বপ্ন অধরা থাকতে পারে।
তামিলনাড়ু ছাড়া দক্ষিণি রাজ্য কেরালায় রয়েছে ২০টি আসন। কংগ্রেস ও বাম জোটের মধ্যেই তা ঘোরাফেরা করে। বিজেপির ভাগে জোটে না। কর্ণাটক বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর বাঁচার তাগিদে বিজেপি ও জেডিএস হাত মিলিয়েছে। একই রকম জোট বিজেপি বেঁধেছে অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির সঙ্গেও।
তেলেঙ্গানার ১১ আসনের মধ্যে গেলবার বিজেপি ৪টি জিতেছিল। এবার বিআরএসকে ধূলিসাৎ করে কংগ্রেস সেখানে জাঁকিয়ে বসেছে। তামিলনাড়ু, পদুচেরি, কেরালা, কর্ণাটক, অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানার মোট ১৩০ আসন এবারও মুখ ফিরিয়ে থাকলে ‘আব কি বার, ৪০০ পার’ স্লোগানের কী হাল হবে?
জোট বেঁধে (এনডিএ) ক্ষমতায় এলেও ধীরে ধীরে জোটসঙ্গীদের কোণঠাসা করে দিয়েছিলেন মোদি। একে একে পুরোনো জোটসঙ্গীরা তাঁকে ছেড়ে গেছে। শিবসেনা ও শিরোমণি অকালি দলের মতো পুরোনো শরিকেরা বুঝেছিল, বিজেপির সঙ্গ মানে সম্মান হারিয়ে কোনোক্রমে টিকে থাকা।
সেই বিজেপি হঠাৎ বিরোধীদের জোটবদ্ধতায় তৎপর হতে দেখে নতুন করে হাতে হাত মেলাতে উদ্যোগী হয়। নীতীশ কুমারের জেডিইউকে টানার আগেই তারা জোট ভারী করে শিবসেনা ও এনসিপিকে ভাঙিয়ে। পুরোনো মিত্র জেডিএস ও টিডিপিকে কাছে টানে। উত্তর প্রদেশের আপনা দলকে ধরে রাখার পাশাপাশি টেনে আনে জাট সমর্থনপুষ্ট রাষ্ট্রীয় লোকদল ও অনগ্রসরদের সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টিকে। তারা জানে, বিন্দু বিন্দুতেই সিন্ধু (৪০০) হয়। উত্তর প্রদেশে বাড়তি জেতার জন্য রয়েছে ১৬টি আসন।
অথচ ‘ইন্ডিয়া’ জোট সেভাবে দানা বাঁধল না। এর একটা কারণ নড়বড়ে শরিকদের ওপর বিজেপির প্রবল চাপ সৃষ্টি, অন্য কারণ নিজের খাসতালুকে ত্যাগ স্বীকারে অনীহা। এই দুই কারণে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটে থেকেও ‘একা’।
মহারাষ্ট্রে প্রকাশ আম্বেদকরের দল বঞ্চিত বহুজন আগাঢ়ির আলাদা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত। গুপকর জোটের শরিক হয়ে বিজেপির মোকাবিলা করেও কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও পিডিপি আসন সমঝোতায় ব্যর্থ।
উত্তর প্রদেশে অখিলেশ ও রাহুল শেষ পর্যন্ত হাত মেলালেও এত দিন ধরে তিক্ততা বাড়িয়েছেন। জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডি বিজেপির জোটে না গেলে কংগ্রেসকে অখিলেশ ১৭টি আসন ছাড়তেন কি না সন্দেহ। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে অখিলেশের দলকে দু–তিনটি ও রাজস্থানে বামপন্থীদের দু–একটি আসন ছাড়লে কংগ্রেসও জোরের সঙ্গে ত্যাগের বার্তা দিতে পারত। জোট হিসেবে ইন্ডিয়া তা হলে আরও পোক্ত হতো।
এখন জোটবদ্ধতা দৃশ্যমান বিহার, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড, তামিলনাড়ু ও দিল্লিতে। কেজরিওয়াল গ্রেপ্তার না হলে আম আদমি পার্টি দিল্লিতে কংগ্রেসকে তিনটি আসন ছাড়ত না। এখনো তারা পাঞ্জাবে আসন সমঝোতা নিয়ে চুপ।
মোদির ৪০০ পার নিয়ে বিরোধীরা সংশয়ী। এটা যেমন ঠিক, তেমনি এটাও ঠিক যে মোদিকে হটিয়ে তারা ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে না। কিন্তু তবু বারবার যেভাবে ৪০০ পার স্লোগান তোলা হচ্ছে, তাতে বিরোধীদের সন্দেহ দানা বাঁধছে ইভিএম ঘিরে। সন্দেহটা একেবারে অলীক বলা যায় না। আবার এ কথাও বলা যাবে না, ইভিএমে কারচুপি ঘটিয়েই বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা দেখাচ্ছেন কীভাবে ইভিএমে কারচুপি করা সম্ভব। সেই সন্দেহ এতটাই দৃঢ় যে ইভিএম নিয়ে মামলা হয়েছে। এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টে শুনানিও চলছে। সওয়াল জবাবের রকমসকম থেকে স্পষ্ট, ইভিএমের বদলে ব্যালটে ফেরত যেতে বিচারপতিদের অনীহা তীব্র। আবার তাঁরা এটাও মনে করছেন, ইভিএমের মতো ভোটযন্ত্রে হস্তক্ষেপের সুযোগ আছে।
কংগ্রেস তো এখনো এই ধাঁধার রহস্য ভেদ করতে পারেনি, টানা ১৮ বছর রাজত্বের পরও বিজেপি এবার মধ্যপ্রদেশে ৮ শতাংশ ভোট বেশি কী করে পেল! কীভাবেই বা তারা ছত্তিশগড়ে ৪ শতাংশ বেশি ভোট পেয়ে সরকার গড়ল! প্রবল জনপ্রিয় অশোক গেহলটকে হারিয়ে রাজস্থান দখল করল প্রায় আড়াই শতাংশ বেশি ভোট টেনে! সন্দেহ করলেও কংগ্রেস মুখ ফুটে বলতে পারছে না তেলেঙ্গানায় জিতেছে বলে।
এই ভোটেও পাটিগণিত ও রসায়ন দুই–ই মোদির পক্ষে। চোখ বুজে বলা যায় ‘অ্যাডভান্টেজ মোদি’। কিন্তু সেই পাটিগণিত ও রসায়নে ৪০০ পারের ইঙ্গিত নেই। অথচ নরেন্দ্র মোদি নিশ্চিন্ত। নিরুদ্বিগ্ন। নির্বিকার। নিঃসংশয়। তাঁর এই আপাতপ্রশান্তির নেপথ্যে তা হলে কি ইভিএম? বিরোধীরা ঘোর সংশয়ী।
●সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়প্রথম আলোর নয়াদিল্লি প্রতিনিধি