আজ ১ অক্টোবর বিশ্ব প্রবীণ দিবস। এ বছর প্রবীণ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য—বিশ্বে প্রবীণদের জন্য সহনীয় ও উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিতকরণ। বাংলাদেশে বর্তমানে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮ শতাংশ প্রবীণ যা সংখ্যাগত হিসেবে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ। জাতিসংঘের জনসংখ্যা অভিক্ষেপ অনুযায়ী ২০৫০ সালে এ দেশের মোট জনসংখ্যা হবে ২১৭.৮ মিলিয়ন যার মধ্যে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৪০ মিলিয়নের উপরে অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ১৯ শতাংশ হবে প্রবীণ যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং এই বৃদ্ধির হারও উদ্বেগজনক। বস্তুত প্রবীণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই ধরন সমাজ তথা সার্বিকভাবে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ওপর যে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ক্রমবর্ধমান এই প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো অন্যান্য চাহিদাগুলোকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তুলবে যা বাংলাদেশ পূরণের জন্য প্রস্তুত নাও থাকতে পারে।
সম্প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি’র হিউম্যান রাইটস প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে একটি গবেষণা পরিচালিত হয়েছে যেখানে মূলত বাংলাদেশে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সেবা ও সুবিধাসমূহের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে বিশেষত: প্রবীণদের জন্য বিদ্যমান স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা এবং প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমে বার্ধক্য বিষয়ের অবস্থান মানবাধিকারের দৃষ্টিভঙ্গিতে পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই গবেষণার প্রাপ্ত তথ্যমতে, বাংলাদেশে দরিদ্র ও প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম সামাজিক নিরাপত্তা সহায়তা লক্ষণীয়।
বাংলাদেশে প্রবীণদের একটি বড় অংশ আর্থিক সমস্যাসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অধীনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। যদিও সরকার প্রবীণদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় কিছু উদ্যোগ নিয়েছে, যেমন: বয়স্ক ভাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের জন্য ভাতা, ভিজিএফ ইত্যাদি। কিন্তু প্রবীণদের একটি বড় অংশ এই কর্মসূচিগুলোর আওতার বাইরে রয়েছেন। প্রবীণদের জন্য অবসরকালীন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও পেনশন সুবিধা শুধুমাত্র সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। প্রবীণ জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ বিশেষ করে যারা কৃষি, শিল্প এবং অন্যান্য অনানুষ্ঠানিক খাতের সাথে নিযুক্ত তাঁরা এই নীতিমালার আওতার বাইরে রয়েছেন।
বর্তমানে বয়স্কভাতা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হওয়ায় পল্লি এলাকার প্রবীণেরা শহর এলাকার প্রবীণদের চেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। প্রবীণদের মৌলিক চাহিদা পূরণে বিদ্যমান বয়স্ক ভাতার পরিমাণও অপ্রতুল। তবে সরকারিভাবে প্রবীণেরা প্রতি মাসে যে ভাতা পায় তা তাদের কিছুটা হলেও আর্থিক সক্ষমতা ও চাহিদা পূরণ করে।
বাংলাদেশে প্রবীণদের জন্য নিবেদিত বিশেষায়িত জেরিয়েট্রিক স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতি লক্ষণীয়। সরকারি এবং বেসরকারিভাবে হাতেগোনা কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রবীণদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা থাকলেও তা শুধুমাত্র প্রবীণদের জন্য নিবেদিত নয় বরং তা প্রবীণসহ সকল বয়সী রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকে। এই গবেষণায় দেখা যায় সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রবীণবান্ধব নয় অর্থাৎ কেন্দ্রগুলোতে প্রবীণবান্ধব সেবা পদ্ধতি ও ব্যবস্থা যেমন- ওয়ানস্টপ সার্ভিস, প্রবীণবান্ধব অভ্যর্থনাকারী, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস ইত্যাদির অভাব রয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলো প্রবীণবান্ধব হলে প্রবীণরা অন্যদের দ্বারস্থ না হয়ে নিজেরাই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এসে কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারতেন।
অপরদিকে চিকিৎসক দেখানোর সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে প্রবীণদের প্রতি যত্নশীল ও মর্যাদাপূর্ণ মনোভাবের ঘাটতি লক্ষ করা গেছে। প্রবীণদের মতে, তাঁরা ডাক্তারের কাছ থেকে যত্নশীল মনোভাব আশা করেন। আবার প্রবীণ নারী রোগীরা কিছু বিশেষ রোগের পরামর্শের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে পুরুষ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণে দ্বিধাবোধ করেন। এ ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উভয় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে প্রবীণ নারী রোগীগণ নারী ডাক্তারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকার মূলধারার চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’ সেবাকে একীভূত করার প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দিয়েছে কিন্তু এই সেবাটি বাংলাদেশে এখনও অবহেলিত। বিএসএমএমইউ-এর সেন্টার ফর প্যালিয়েটিভ কেয়ার (সিপিসি) ব্যতীত বাংলাদেশে এই সেবা প্রায় নেই বললেই চলে। খুব বয়স্ক প্রবীণ রোগীদের জন্য বিশেষ করে যাঁরা জীবনের শেষ পর্যায়ে রয়েছে তাদের শারীরিক দুর্ভোগ উপশম ও নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
বার্ধক্য বিষয়ক শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ বার্ধক্য ও প্রবীণ কল্যাণে জ্ঞান ও সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই তরুণদের মধ্যে প্রবীণদের প্রতি আগ্রহ তৈরি, ব্যক্তিত্বের বিকাশ এবং মূল্যবোধ ও মনোভাব গঠনে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণে জেরোন্টোলজি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
এই গবেষণায় প্রচলিত বিভিন্ন সাধারণ ও পেশাদার পাঠ্যক্রমে বার্ধক্য ও প্রবীণ কল্যাণ বিষয়ের অবস্থান জানতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক ও পাঠ্যসূচির বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে পরোক্ষভাবে খুবই স্বল্প পরিসরে প্রবীণদের যত্নের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে যা বার্ধক্য বিষয়ক সমস্যার গুরুত্ব বিবেচনায় যথেষ্ট নয়। উপরন্তু এ বিষয়ে যতটুকু আলোচনা করা হয়েছে সে সম্পর্কে এ সংশ্লিষ্ট অংশীদারিগণ (শিক্ষক-শিক্ষার্থী) অবগত নয়। অন্যদিকে বাংলাদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উচ্চশিক্ষায় ‘জেরিয়েট্রিক মেডিসিন’ বিষয়টি এখনও অবহেলিত রয়েছে। বর্ণিত গবেষণায় বাংলাদেশে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে কিছু সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়েছে যা সরকারের নীতি কাঠামোতে ভূমিকা পালনের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।
এর মধ্যে অন্যতম হলো- প্রবীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে অতি সত্ত্বর মেডিকেল পাঠ্যসূচিতে জেরিয়েট্রিক মেডিসিন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা; চিকিৎসা এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পেশাদারদের মধ্যে বিশেষত যারা হাসপাতাল ও ক্লিনিকে বিভিন্ন রোগীদের সেবা প্রদান করছেন তাদের জন্য জেরিয়েট্রিক মেডিসিন, জেরোন্টোলজিক্যাল নার্সিং, থেরাপি, পুষ্টি, যত্ন ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা; প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্যান্য জেনারেল হাসপাতালে জেরিয়েট্রিক মেডিসিন বিভাগ/ইউনিট স্থাপন করা; সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোতে প্রবীণরা যাতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারে তা নিশ্চিতে প্রবীণ রোগীদের জন্য আলাদা কাউন্টার এবং কর্নার স্থাপন করা এবং প্রবীণদের জন্য কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ শয্যা সংরক্ষণ করা।
এ ছাড়া খুব বয়স্ক প্রবীণ রোগীদের জন্য বিশেষ করে যারা জীবনের শেষ পর্যায়ে রয়েছে তাদের শারীরিক দুর্ভোগ উপশম ও নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেবার ব্যবস্থা করা; প্রবীণদের জন্য বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য আলাদা জেরিয়েট্রিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা যাতে প্রবীণেরা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সব ধরনের সেবা একই জায়গা থেকে পেতে পারে; হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে প্রবীণ বান্ধব করা যাতে প্রবীণদের জন্য পর্যাপ্ত মর্যাদাপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক অধিকার-ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হয়; প্রবীণদের জন্য ‘প্রবীণ স্বাস্থ্য বিমা’ কর্মসূচি চালু করা; সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালসমূহে প্রবীণ ব্যক্তিদের চিকিৎসার সুবিধার্থে হেলথ অ্যাকসেস ভাউচার, হেলথ সার্ভিস কার্ড চালু করা; বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিশেষ করে ডাক্তার, ডেন্টিস্ট, নার্স, থেরাপিস্ট, পুষ্টিবিদ, আইনজীবী, সমাজকর্মী এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পেশাদার কর্মীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ‘জেরেন্টোলজি এবং জেরিয়েট্রিক ওয়েলফেয়ার’ বিষয়ে স্বতন্ত্র বিভাগ/প্রোগ্রাম চালু করা।
সেইসঙ্গে বার্ধক্য ও প্রবীণ কল্যাণ বিষয়ক পঠন-পাঠন ও উচ্চতর গবেষণা পরিচালনার জন্য সরকারি সহায়তা ও অনুদান প্রদান করা যা প্রবীণ কল্যাণে যথাযথ নীতি নির্ধারণে সুপারিশ প্রদান ও বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করবে; প্রবীণদের সেবা প্রদানে আগ্রহী, উৎসাহিত ও উপযুক্ত হওয়া এবং নিজেদের সমাগত বার্ধক্য মোকাবিলায় যথাযথভাবে তৈরি হওয়ার লক্ষ্যে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা ও প্রস্তুতিমূলক কর্মসূচি চালু করা; বার্ধক্য এবং প্রবীণকল্যাণ বিষয় পাঠ্যপুস্তকে আলাদাভাবে অন্তর্ভুক্ত করা এবং পাঠ্য বিষয়বস্তুতে প্রবীণ অধিকার বিষয়ে বাংলাদেশের সংবিধান, জাতীয় প্রবীণ নীতি-২০১৩, পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন-২০১৩ এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা; বাংলাদেশে বিদ্যমান ঐতিহ্যগত দাতব্য-ভিত্তিক প্রবীণ সেবা ও কল্যাণ কার্যক্রমগুলোকে অধিকার ভিত্তিক কার্যক্রমে পরিণত করতে প্রবীণদের নিয়ে কাজ করছে এমন প্রতিষ্ঠানসহ বার্ধক্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মতামত ও পরামর্শ বিবেচনা করা; প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জন্য অধিকারভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সেবা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে ‘বার্ধক্য সেবা ও প্রবীণ কল্যাণ বিষয়ক আলাদা মন্ত্রণালয়/কর্তৃপক্ষ’ গঠন করতে হবে এবং প্রবীণদের জন্য ‘ইউনিভার্সাল সোশ্যাল পেনশন স্কিম’ চালু করতে হবে।
পরিশেষে, প্রবীণজনের কল্যাণ উদ্যোগ কোনো দয়াদাক্ষিণ্য নয়; বরং তাদের মৌলিক মানবাধিকার প্রসূত। তাই অলক্ষ্যে থাকা প্রবীণ নারী, প্রতিবন্ধী/চ্যালেঞ্জড প্রবীণ, সামাজিকভাবে খানিক বিচ্ছিন্ন প্রবীণ (দলিত, হিজড়া, যৌনকর্মী ইত্যাদি)-দেরকেও সেবার অন্তর্ভুক্ত করা সমীচীন হবে। যেমনটি প্রচলিত আছে সরকারি বয়স্কভাতা কর্মসূচিতে। এসডিজি’র নিরিখে, কাউকে ফেলে রেখে নয় বরং প্রাপ্য অধিকার আর মর্যাদার ভিত্তিতে সকল প্রবীণের কল্যাণ উদ্যোগ গ্রহণ করলে বাংলাদেশে সব নাগরিকের জন্য সমান উপযোগী সমাজ গড়ে উঠবে।
অধ্যাপক ড. এ এস এম আতীকুর রহমান সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সদস্য, প্রবীণ অধিকার বিষয়ক থিমেটিক কমিটি- জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, বাংলাদেশ।
মো. শাহনুর রহমান সুশাসন, উন্নয়ন ও দুর্নীতি বিষয়ক গবেষক ও প্রাক্তন রিসার্চ ফেলো, টিআই-বাংলাদেশ ও টিআই-নেপাল।