প্রান্তজনের কথা

হরিজনদের আপনজন ভাবব কবে

বেতনের দাবিতে কুষ্টিয়া আদালত প্রাঙ্গণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বিক্ষোভ।
 ফাইল ছবি

বাংলাদেশে বসবাসকারী অবাঙালি দলিতদের সাধারণভাবে হরিজন বলা হয়। ব্রিটিশ আমলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা (১৮৩৮-১৮৫০), চা-বাগানের কাজ (১৮৫৩-৫৪), জঙ্গল কাটা, পয়োনিষ্কাশন প্রভৃতি কাজের জন্য ভারতের নানা অঞ্চল থেকে দরিদ্র দলিত মানুষকে এ দেশে আনা হয়। তাদের থাকতে দেওয়া হয় কাজের জায়গায়, কলোনিতে। এদের কাছ থেকে সেবা নেওয়া যাবে, কিন্তু ছোঁয়া যাবে না। সেলুন, রেস্তোরাঁ, রেলের কামরা, স্কুল–কলেজ পরিষ্কার করবে এরা।

বলা হয়, কথিত এসব ‘অচ্ছুত’ মানুষকে সম্মানজনক অবস্থান দেওয়ার জন্য মহাত্মা গান্ধী তাদের নাম দিয়েছিলেন হরিজন। মানে ঈশ্বরের সন্তান। তবে ইতিহাস বলছে অন্য কথা। ১৯৩২ সালে দলিত নেতা বি আর আম্বেদকারের প্রচেষ্টার ভিত্তিতে নতুন সংবিধানের আওতায় অস্পৃশ্যদের জন্য আলাদা ভোট ব্যবস্থা রাখা হয়। গান্ধী তা মানতে চাইলেন না। প্রতিবাদে ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অনশনে বসে যান। সারা দেশের কোটি কোটি দলিত যদি আলাদা নির্বাচন করে, তাহলে কংগ্রেসের শক্তিতে টান পড়তে বাধ্য। তাতে ভোটের পাল্লা মুসলিম লীগের দিকে ঝুঁকতে কতক্ষণ? তাই সমাজে অচ্ছুত হলেও রাজনীতিতে তাদের অচ্ছুত রাখা যাবে না। ডাক পড়ল ভুবনজয়ী দলিত ক্রিকেটার পালওয়াঙ্কার বালুর। বালু তখন দলিতদের আইডল, গান্ধীজির ঘুঁটি। বালুর মধ্যস্থতায় ছয় দিন পর অনশন ভাঙেন গান্ধীজি। আম্বেদকারকে পিছু হটতে হয়।

এরপরই গান্ধী হরিজন নাম দিয়ে দলিত, অস্পৃশ্যদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে নতুন ঘোষণা দেন। ১৯৩৩ সালের ৮ মে তিনি হরিজন আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে ২১ দিনের জন্য আত্মশুদ্ধি অনশন করেন। প্রার্থনায় যুক্ত করেন নতুন শ্লোক ‘রাজ্য চাই না প্রভু, খ্যাতি নয়, মুক্তিও নয়, চাই শুধু দুঃখতপ্ত প্রাণীদের দুঃখনাশ (ন ত্বহং কাময়ে রাজ্যং ন স্বর্গ নাপুনর্ভব। কাময়ে দুখতপ্তানাং প্রাণিনামার্তিনাশনম)।’ গান্ধীজি বেঁচে থাকলে স্বাধীন ভারতে কী হতো বলা মুশকিল। তবে দলিতদের সমান অধিকার তিন দেশেই অধরা থেকে গেছে।

যে জীবন হরিজনদের

মাগুরা শহরের হাসপাতাল পাড়ায় সুইপার কলোনিতে থাকতেন মানিক লাল। ১ জুলাই ভোর চারটার দিকে তাঁর আট বছর বয়সী ছেলে শান ঘুম ভেঙে দেখে, বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে আছেন। বাড়িতে আর কেউ ছিল না। শান দ্রুত পাশের বাড়িতে থাকা তার বড় ভাই আসান ও কাকা হীরা লালের কাছে ছুটে যায়। তাঁরা এসে মানিক লালকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। মানিক লালকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

বছর কয়েক আগের কথা। ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর। ফজরের নামাজের সময় মিয়াপাড়া সড়কে দুটি লাশ মুসল্লিদের নজরে পড়ে। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। খুন হওয়া দুজন পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মী মানিক জমাদ্দার (২৮) ও তাঁর শ্যালক ভরত জমাদ্দার (২৩)। ভোররাতে ওই হত্যার ঘটনা ঘটে। মানিক জমাদ্দার পৌরসভার আলীপুর এলাকায় হরিজনপল্লিতে থাকতেন। ভরত এসেছিলেন নাটোর থেকে। সেদিন গেছেন বোনের বদলি খাটতে। টুম্পার চার বছরের শিশুসন্তান শ্রীকান্ত অসুস্থ থাকায় দিন তিনেক ভরত ভগ্নিপতিকে কাজে সাহায্য করছিলেন। ফজরের আগে তাঁরা রাস্তা ঝাড়ু দেওয়ার কাজে বের হতেন।

হরিজনদের পাঁচ দফা দাবি পূরণ করতে হবে। একটি স্থায়ী কমিশন গঠন করে তাদের সংখ্যা নিরূপণ, চাকরির নিশ্চয়তা ও বসবাসের জায়গা নিশ্চিত করতে হবে।

সকাল হওয়ার আগেই নাগরিকদের জন্য রাস্তাঘাট ঝকঝকে করার তাগিদেই শেষ রাত থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজ শুরু করতে হয়। ঘটনার সপ্তাহখানেক আগে পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার কিছু সন্ত্রাসী রাতে কাজে না যাওয়ার জন্য মানিক ও তাঁর স্ত্রী টুম্পাকে শাসিয়ে গিয়েছিল। মানিকের বাবা কিশোর জমাদ্দার পুলিশের কাছে এ বয়ান দিয়ে জানিয়েছিলেন, কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ড দেখে ফেলাতেই হয়তো জীবন দিতে হয়েছে মানিক ও ভরতকে।

ফরিদপুরের মানিক, নাটোরের ভরত, মাগুরার মানিকসহ গত কয়েক বছরে যে কয়জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী খুন বা কথিত গাড়িচাপায় নিহত হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই শেষ রাতে অথবা কাকডাকা ভোরে হত্যার শিকার হন।

দিনদুপুরে খুনের ঘটনাও আছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ছুরিকাঘাতে নিহত হন এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী। সিলেটে কাস্টঘর সুইপার কলোনির সিকন্দর লালকে (৩০) মাদকসেবীরা কুপিয়ে হত্যা করে। সিকন্দর লাল ও তাঁর স্ত্রী গোয়াইনঘাটের জাফলং বাজারে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজ করতেন। সন্তান জন্মের খবর দিতে কাস্টঘর কলোনিতে স্বজনদের কাছে এসেছিলেন সিকন্দর। গত ২২ এপ্রিল কুষ্টিয়ার মিরপুরে জিকে খাল থেকে এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঢাকার ওয়ারীর পরিচ্ছন্নতাকর্মী তরুণ তাতালুকে রাতে ‘অজ্ঞাত গাড়ি’ ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলেছে। তালিকা অনেক দীর্ঘ। ঢাকার কাকরাইল, বংশাল, নীলক্ষেত, খিলক্ষেত, উত্তরা থেকে শুরু করে মাদারীপুর বা পটুয়াখালীর কলাপাড়া—কত হিসাব রাখবে হিসাবের খাতা?

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে

নিশুতি রাতে অনেকটা জনমানবশূন্য ফাঁকা রাস্তায় কাজ করেন হরিজন এই পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। কোথাও মধ্যরাতে, কোথাও শেষ রাতে শহরগুলোকে ঝেড়ে–মুছে দিনের উপযোগী করে তোলেন তাঁরা। নিভৃত সেই কর্মপরিবেশ। সে সময় স্থানীয় নানা
অপরাধীর মুখোমুখি হয়ে যেতে হয় তাঁদের। কোনো কোনো অপরাধীর গোপনীয়তা রক্ষার মরিয়া চেষ্টা এই নাগরিক কর্মীদেরই উল্টো মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। তাই এদের নিরাপত্তা নিয়ে নগর কর্তৃপক্ষকে নতুন করে ভাবতে হবে। ভাবতে হবে পুলিশ বিভাগকে। এদের নিরাপত্তার বিষয়ে টহল পুলিশের সঙ্গে পৌর কর্তৃপক্ষ একটা সমন্বিত পদক্ষেপও নিতে পারে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজের সময়টায় টহল পুলিশ সতর্ক থাকবে। পাহারা জোরদার করবে।

ভারতের কেরালায় পুলিশ পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের শুধু নিরাপত্তাই দেয় না, নারী কর্মীদের বাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেওয়ার কাজটাও করে থাকে। খুঁজলে উদাহরণ হয়তো আরও পাওয়া যাবে। কিন্তু দ্রুত স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে নগর কর্তৃপক্ষগুলোকেই। জাতীয়ভাবে উদ্যোগ নিতে পারে স্থানীয় সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যৌথভাবে।

থাকে কিছু প্রতিবাদ

ফরিদপুরে জোড়া খুনের প্রতিবাদে শহরের আলীপুরে মুজিব সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিল হরিজনেরা। সেই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন পৌরসভার মেয়রও। দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। পৌরসভার মেয়র দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। হরিজনেরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। নেতাদের বিশ্বাসও করেছিলেন। বিশ্বাস নিয়েই তারা দিনের পর দিন মার খাচ্ছে।

গাইবান্ধাতেও হরিজনরা একজোট হয়েছিল গত বছরের জুনে। পরিচ্ছন্নতাকর্মী ভুট্টু বাশফোড়কে কারাগারের কাজের বাইরে পারিবারিক কাজ করতে বাধ্য করতেন জেল সুপার। বেতন কেটে নেন। ওই বছরের ৩১ মে কাজে যোগ দিতে গেলে এক জেল পুলিশ ভুট্টুকে গালিগালাজ করে। ভুট্টু বিচার দিতে যান জেল সুপারের কাছে। সেখানে তিনি ভুট্টুকে লাথি–ঘুষি মারেন, লোহার রড দিয়ে পেটান। ২ জুন হরিজন সম্প্রদায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

গত ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ কুষ্টিয়ার হরিজনরা সংবাদপত্রের প্রথম পাতায় চলে আসেন। প্রায় দেড় বছর ধরে বেতন পাচ্ছিলেন না তাঁরা। শেষমেশ তাঁদের কর্মস্থল আদালত প্রাঙ্গণে বর্জ্য ঢেলে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। অগ্রাধিকার থাকা সত্ত্বেও ক্লিনার, ঝাড়ুদার, সুইপার পদে হরিজনদের বাদ দিয়ে অহরিজনদের নিয়োগ দেওয়ার প্রবণতা দেশের সব জায়গায়। কুষ্টিয়ায়ও তা–ই ঘটেছিল। গত ডিসেম্বরে যশোরের হরিজন সম্প্রদায় নিয়োগবঞ্চনার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

রেলেও চলছে হরিজন বিচ্ছেদি গান

হরিজনদের একটা বড় অংশ কাজ করত রেলওয়েতে। রেলে চাকরি কেনাবেচার কাহিনি নতুন না হলেও এত দিন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চাকরি হরিজনদেরই ছিল। ২০১৬ সাল থেকে সে গণেশও উল্টে গেছে। সে বছর রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলে সুইপার পদে ১২১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের শর্ত ও সব ধারাবাহিকতা ভঙ্গ করে হরিজনদের বাইরে থেকে হিন্দু, মুসলমান মিলিয়ে ৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। রেলওয়ে হাসপাতালের ক্লিনার পদে ৩৩ জনের মধ্যে ভিন্ন সম্প্রদায়ের ২৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

বঞ্চিত প্রার্থী স্মৃতি রানী তখন বলেছিলেন, ‘আমাদের অন্য কোনো কাজ শেখার সুযোগও দেওয়া হয় না। আমাদের এই একটাই পেশা; সেখানে অন্য ধর্মাবলম্বী বা ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকদের চাকরি দেওয়া হলে আমরা কী করে খাব?’

রাজশাহী হরিজন ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতি বসন্ত লাল বিশ্বাস করেন, সুইপার পদে অন্য সম্প্রদায়ের যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা কেউ এ কাজ করবেন না। দুদিন পরই তাঁরা পিয়ন পদে পদোন্নতির চেষ্টা করবেন। নয়তো অন্য একজনকে বদলি খাটাবেন।

হরিজনদের পাঁচ দাবি

নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্কারের মেগা পরিকল্পনায় হরিজনদের ঠাঁই নেই। তাঁরা কী করবেন? এখন সারা দেশে পাঁচ দফা নিয়ে লড়ছেন তাঁরা। দাবিগুলো হলো বর্জ্য সংগ্রহে এনজিওগুলোর সঙ্গে করা চুক্তি বাতিল, অহরিজনদের নিয়োগ বাতিল ও বন্ধ করা, সরকারঘোষিত প্রবিধান অনুযায়ী মজুরি বৃদ্ধি, চাকরি স্থায়ীকরণ ও শ্রম আইন বাস্তবায়ন।

হরিজনদের উচ্ছেদ অভিযান

ভূমিহীন ও নিজস্ব বসতভিটাহীন হরিজন সম্প্রদায় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় সরকার প্রদত্ত জমি, রেলস্টেশনসহ সরকারি খাসজমিতে বসবাস করে। উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের নামে পুনর্বাসন ছাড়া তাদের উচ্ছেদ করা খুব সহজ। হচ্ছেও তাই। উচ্ছেদে বাধ্য করতে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে তাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। চাপাতি হাতে দুর্বৃত্ত ধরা পড়লেও আগুনের হুমকি উবে যায়নি।

লাকসাম রেলওয়ে জংশন হরিজন কলোনি থেকে শুরু করে রংপুর সদর হাসপাতাল হরিজন কলোনি—সব জায়গায় ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে উচ্ছেদের নোটিশ। কেউ হরিজনদের ঘর বা বাড়িভাড়া দেয় না। ফলে টাকা থাকলেও তাদের জন্য একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই জোগাড় করা কঠিন।

দলিত হরিজনদের জন্য কমিশন

শুধু অবাঙালি দলিত হরিজন নন; দেশে স্থানীয় দলিতরাও আছেন। বাঙালি দলিতরাও অচ্ছুত, অস্পৃশ্য। চর্মকার, মালাকার, কামার, কুমার, জেলে, পাটনী, কায়পুত্র, কৈবর্ত, কলু, কোল, কাহার, ক্ষৌরকার, নিকারী, পাত্র, বাউলিয়া, ভগবানীয়া, মানতা, মালো, মৌয়াল, মাহাতো, রজদাস, রাজবংশী, কর্মকার, রায়, শব্দকর, শবর, সন্ন্যাসী, কর্তাভজা, হাজরা প্রভৃতি সম্প্রদায় আজ আমাদের স্বাধীন দেশে অস্পৃশ্যতার শিকার হচ্ছে।

২০১৩ সালে মাযহারুল ইসলাম ও আলতাফ পারভেজের গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশে বসবাসরত বাঙালি–অবাঙালি দলিতদের সংখ্যা বর্তমানে ৫৫ থেকে ৬০ লাখ। এদের প্রকৃত সংখ্যা জানার জন্য, তাদের ধারাবাহিক উন্নতি আর
শিক্ষার সুযোগ তৈরির জন্য, ঋণ বা পুজি তাদের নাগালের মধ্যে পৌঁছানোর জন্য আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে।

এখানেই দলিত হরিজনদের জন্য একটা দলিত হরিজন কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা আসে। এটি হবে স্থায়ী কমিশন। কমিশনের প্রথম কাজ হবে দলিতদের ওপর একটি পূর্ণাঙ্গ শুমারি করা। রেস্তোরাঁ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সেলুন, পার্ক, খেলার মাঠসহ দৃশ্যমান স্থানে তাদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। তাদের আবাসন, ভূমি আর চাকরির অধিকার নিশ্চিত করা। তাদের বিকাশের পথ সুগম করা। সর্বোপরি তাদের মনে এ আস্থা নিয়ে আসা যে দেশটা তাদেরও।


 লেখক গবেষক nayeem5508@gmail.com