চি ঠি প ত্র

সংখ্যালঘু নির্যাতন

চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার সুযোগে একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মানুষ সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়কেই টার্গেট করেছে।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, নীলফামারী, দিনাজপুর, নোয়াখালী প্রভৃতি জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর সহিংসতা চালানো হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী এবং তার সহযোগী ইসলামী ছাত্রশিবির এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা স্পষ্ট।
তবে কোথাও কোথাও এর সঙ্গে অন্যান্য দলেরও সম্পৃক্ততার খবরও প্রকাশিত হচ্ছে, যা আমাদের উদ্বিগ্ন না করে পারে না।
বিশেষকরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কাদের মোল্লার ফাঁসি হওয়ার পর বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার মাত্রা বেড়ে গেছে। এবারে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, মন্দির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপরই বেশি হামলা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে হিন্দুদের সংখ্যা শতকরা ৮ দশমিক ৫ শতাংশে এসে ঠেকেছে। এভাবে হামলা ও সহিংসতা চলতে থাকলে তাঁদের সংখ্যা আরও কমে যাবে।
সহিংসতার ধরনটা একটু আলাদা, সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রাণে না মেরে তাঁদের বাড়িঘর, মন্দির, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট এবং আগুনে ভস্মীভূত করা হচ্ছে। সহিংসতা কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়।
আওয়ামী লীগকে হিন্দুরা ভোট দেন, এটা কোনো অপরাধ হতে পারে না। ভোট দেওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তিন-চতুর্থাংশ মানুষের সমর্থন পেয়েছে। তাহলে কেন বেছে বেছে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে?
অমিতাভ মণ্ডল
কলেজগেট, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।