মহান সাঁওতাল হুল

শিল্পীর চোখে সাঁওতাল বিদ্রোহ
শিল্পীর চোখে সাঁওতাল বিদ্রোহ

সাঁওতাল হুলে সাঁওতালরা পরাজয় বরণ করলেও তারা শোষকদের কাছে আত্মসমর্পণ করেনি। তারই ধারাবাহিকতায় তেভাগা আন্দোলন ও আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে সাঁওতালদের অবদান অবিস্মরণীয়। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে এই লড়াকু জাতি আজও নিপীড়িত এবং শোষণের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির ক্ষেত্রে জাতীয় সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাঁওতাল জাতিসত্তাকে একমাত্র আদিবাসী হিসেবে উল্লেখ করলেও সেই স্বীকৃতিটুকু জোটেনি তাদের ভাগ্যে (সূত্র: দৈনিক যুগান্তর, ২৮ এপ্রিল ২০১১)। জাতীয় শিক্ষানীতি মোতাবেক মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষার কার্যক্রম চালু করা হলেও এই জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষার বর্ণমালা নিয়ে সিদ্ধান্তের দীর্ঘসূত্রতা এখনো চলছে। জমি বেদখল হলে তা পুনরুদ্ধার করতে গেলে হারাতে হচ্ছে তাদের নিষ্পাপ প্রাণ। উপরন্তু, তাদের অনেক কান্নাই পত্রিকার অন্তরালে থেকে যায়। এর পরও সাঁওতাল হুলের ১৫৮তম বছর পর সাঁওতাল জাতিসত্তা, তথা বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষ আজও বীর সিধু-কানুদের বুকভরা শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে।

সমর এম সরেন: সাধারণ সম্পাদক, সান্তালি উইকি বাংলাদেশ, উদ্ভাবক, সান্তালি ইউনিকোড টাইপিং সফটওয়্যার, হড় কাথা।

samarsoren@gmail.com