বাজেট বিশ্লেষণ

বাজেট উচ্চাভিলাষী হলেও পরাবাস্তব নয়

১. বাজেটে জিডিপি প্রাক্কলিত হয়েছে ১১,৮৮,৮০০ কোটি টাকা। এর শতাংশ হিসেবে ২,২২,৪৯১ কোটি টাকার বাজেটের প্রাক্কলিত মোট ব্যয় দাঁড়ায় ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরে সরকারি ব্যয় বরাদ্দ জিডিপির অনুপাত হিসেবে ছিল ১৮ দশমিক ২ শতাংশ, আগামী অর্থবছরে অর্থমন্ত্রী এই অনুপাতকে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নিয়ে যেতে চাইছেন, এ জন্য অর্থমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানানো উচিত।

কারণ, বাংলাদেশের সরকারি ব্যয় জিডিপির অনুপাত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য বড় অর্থনীতি ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের তুলনায় নিম্নে রয়ে গেছে এবং তা ধাপে ধাপে বাড়িয়ে জিডিপির ন্যূনপক্ষে ২০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস নিঃসন্দেহে সঠিক পদক্ষেপ। বর্তমান অর্থবছরের সংঘাতপূর্ণ রাজনীতির কারণে ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রাক্কলিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। তৎসত্ত্বেও আগামী অর্থবছরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রাকে আগেভাগেই বাস্তবায়ন-অযোগ্য ঘোষণা করাটা কতটা সমীচীন? ১,৬৭,৪৫৯ কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা জিডিপির শতাংশ হিসেবে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। এ অনুপাতটাও ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের চেয়ে কম। এ লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছিও পৌঁছানো গেলে সেটাকেও সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য পদক্ষেপ বলতে হবে। রাজস্বের প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলিত হার ২০ শতাংশ উচ্চাভিলাষী হলেও তা বাস্তবায়ন-অযোগ্য নয়।

২. যে প্রশ্নটা যৌক্তিক তা হলো, ৫৫,০৩২ কোটি টাকার প্রাক্কলিত বাজেট ঘাটতির অর্থায়নের যে সম্ভাব্য সূত্রসমূহ নির্দেশিত হয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে আশাবাদী হওয়া যায় কি না। বাজেটে অর্থমন্ত্রী দেখাচ্ছেন, আগামী অর্থবছরে বৈদেশিক অনুদান পাওয়া যাবে ৬,৬৭০ কোটি টাকা আর বৈদেশিক ঋণ সংগ্রহ করা হবে আরও ১৪,৩৯৮ কোটি টাকার সমপরিমাণের—মানে, মোট ২১,০৬৮ কোটি টাকা ঘাটতি অর্থায়ন করা হবে বৈদেশিক সূত্রসমূহ থেকে। এই লক্ষ্যমাত্রা সাম্প্রতিক অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে এবং নির্বাচনী বছরের একাধিক সরকারের বাজেট ব্যবস্থাপনার রদবদল ও অনিশ্চয়তার বাস্তব আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে অর্জনযোগ্য মনে হচ্ছে না। আর, এ ক্ষেত্রে বড়সড় ব্যর্থতা ঘটলে ঘাটতি অর্থায়নের অভ্যন্তরীণ সূত্রসমূহের ওপর নির্ভরতা বাড়াতেই হবে। নয়তো, বিকল্প হিসেবে খাতওয়ারি বরাদ্দ কঠোর কাটছাঁটের কবলে পড়বে। সে ক্ষেত্রে বাজেট ব্যবস্থাপনা বিপর্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

৩. বাজেটে ৩৩,৯৬৪ কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ সূত্রসমূহ থেকে সরকারের প্রাক্কলিত ঋণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, যার মধ্যে ব্যাংকঋণ প্রাক্কলিত হয়েছে ২৫,৯৯৩ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্রসমূহ থেকে সম্ভাব্য আহরণ দেখানো হয়েছে ৪,৯৭৯ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র ব্যবস্থাটি অর্থমন্ত্রীদের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে গত এক দশকে প্রায় অকার্যকর হয়ে গেছে। বর্তমান অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত নাকি মাত্র ৭০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে (প্রাইভেট ব্যাংকের আমানত বাড়ানোর জন্য কি এই ইচ্ছাকৃত ভ্রান্তিবিলাস?)। তাই, আগামী অর্থবছরে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৪,৯৭১ কোটি টাকা ঋণ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার আশাবাদের জোরালো ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার মানে, অভ্যন্তরীণ ঋণের জন্য আগামী অর্থবছরে ব্যাংকের দ্বারস্থ হতে হবে আরও বেশি অনুপাতের ঋণের জন্য এবং তাবত ব্যাংকঋণের উচ্চ হারের সুদের বোঝা সরকারের জন্য আরও দুর্বিষহ হবে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে ঋণ ও সুদ পরিশোধ খাতে সরকারি ব্যয় প্রাক্কলিত হয়েছে ২৭,৭৪৩ কোটি টাকা, যে অঙ্কটা জনপ্রশাসন খাতের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সরকারি ব্যয়ের খাত নির্দেশ করছে। অর্থনীতির গতিশীলতার জন্য ক্রমবর্ধমান সুদের বোঝা ক্রমেই বড়সড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

আমার বিবেচনায় অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেটের অগ্রহণযোগ্য দিকগুলো হচ্ছে:

১. কালোটাকা সাদা করার অনৈতিক বিষয়টি এবার নির্দিষ্ট করা হলো আবারও জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট কেনায় উৎসাহিত করার জন্য। অর্থনীতির দুর্বৃত্তায়ন ও রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নকে এভাবে প্রতিবছর আশকারা দিয়ে রাষ্ট্রটিকে আমরা দুর্নীতির অতল গহ্বরে নিমজ্জিত করছি আর মন্ত্রীরা গলাবাজি করে চলেছেন, এ দেশে নাকি উচ্চপর্যায়ের দুর্নীতি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। অর্থমন্ত্রীও নিজেকে আর্থিক দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে সচেষ্ট বলে জনমনে একটা ধারণা রয়েছে। কিন্তু, তাঁর মাধ্যমে উপস্থাপিত পাঁচটি বাজেটেই এই ‘কম্প্রোমাইজ’ দেখা গেল! কবিগুরুর প্রার্থনার কথাগুলো কি তাঁর মনে পড়ে?

‘অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে

তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।’

রিহ্যাব, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মহল, ভূমিদস্যুরা, চোরাচালানিরা, দুর্নীতিবাজ আমলারা, মার্জিনখোর ও পুঁজিলুটেরা, রাজনৈতিক নেতা-পাতিনেতা-কর্মীরা অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সিদ্ধান্তে বিলক্ষণ খুশি। বোঝাই যাচ্ছে, আবাসনশিল্পের শক্তিশালী লবি এ ক্ষেত্রে কাজ করেছে। কিন্তু, অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটের দামের আগুনে এই সিদ্ধান্ত ঘৃতাহুতির শামিল নয় কি? ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১০ সালে আবাসন খাতে জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটের দামে যে প্রবল স্ফীতি দেখা দিয়েছিল, সেটি মোটেও সুস্থ প্রবণতা নয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত ফ্ল্যাট ক্রয়ে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীরা, বাড়ির জন্য জমি কেনা বা ফ্ল্যাট কেনা তাদের সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জমি ও ফ্ল্যাটের দাম কিছুটা কমেছে, উচ্চ দামের কারণে চাহিদাও কিছুটা কমেছে। এখন এ খাতে কালোটাকাকে সাদার আমন্ত্রণ জানিয়ে মূল্যস্ফীতিকে চাগিয়ে দেওয়াটা অন্যায় ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত হবে। জমি কেনাবেচাকে অর্থনীতির ভাষায় অনুৎপাদনশীল ‘জিরো-সাম বিনিয়োগ’ অভিহিত করা হয়। সংসদে অর্থমন্ত্রীর এই প্রস্তাব বাতিল হলে ক্ষমতাসীন মহলের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

২. বাজেটের আরেকটি নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য অনেক বিশ্লেষকের দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে। এবারের বাজেটে জিডিপির অনুপাত হিসেবে শিক্ষা খাতে এবং স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক। শিক্ষা ও প্রযুক্তি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দের যোগফল দাঁড়াচ্ছে ২৬,১১৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ২ দশমিক ২০ শতাংশ। শুধু শিক্ষা খাত এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতের ব্যয় বরাদ্দের যোগফল দাঁড়াচ্ছে মাত্র ২৫,১০৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির মাত্র ২ দশমিক ১১ শতাংশ। শিক্ষামন্ত্রী চার বছর ধরে বারবার আরজি জানিয়ে চলেছেন, যেন ধাপে ধাপে শিক্ষা খাতে সরকারি ব্যয় বাড়িয়ে প্রথমে ৩ শতাংশে এবং তারপর ৪ শতাংশে উন্নীত করার প্রয়াস নেওয়া হয়। শিক্ষার জন্য সরকারি ব্যয়ের অনুপাত দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশে সর্বনিম্ন। গত বছরের ২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে আগামী বছরের বাজেটে এই অনুপাতকে ২ দশমিক ১১ শতাংশে নামিয়ে এনে অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের পদাঙ্কই অনুসরণ করলেন। অথচ, এই সরকারকে তো শিক্ষাবান্ধব সরকার মনে করা হয়। স্বাধীনতার ৪০ বছর পর সরকার জাতিকে একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি উপহার দিয়েছে, যার পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়ন এগিয়ে চলেছে। কিন্তু এর সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থায়নের তো হদিস মিলছে না বাজেটে। যে হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া হলো, তার অর্থই বা আসবে কোথা থেকে? আরও দুঃখজনক হলো, জিডিপির শতাংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতের ব্যয় বরাদ্দ টেনে নামানো হয়েছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের যুগোপযোগী উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন ধারণ করছে এ দেশের মানব উন্নয়নের চাবিকাঠি।

৩. এবারের বাজেটের তৃতীয় নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য হলো, অনুৎপাদনশীল খাতগুলোতে ব্যয় বরাদ্দের স্ফীতি। বাজেটেই অনুন্নয়ন রাজস্ব ব্যয় প্রাক্কলিত হয়েছে ১,১৩,৪৭১ কোটি টাকা এবং মোট অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১,৩৪,৪৪৯ কোটি টাকা। মোট প্রাক্কলিত রাজস্ব আয় ১,৬৭,৪৫৯ কোটি টাকার বিপরীতে ১,৩৪,৪৪৯ কোটি টাকা অনুন্নয়ন ব্যয় হয়ে যাওয়া মানে হলো সরকারের রাজস্ব আয়ের ৮০ দশমিক ২৯ শতাংশই অনুৎপাদনশীল খাতে খরচ করা। উন্নয়ন কার্যক্রমে রাজস্ব আয়ের অবদান বাড়ানোর পরিবর্তে এভাবে সংকুচিত করার প্রবণতা অর্থনীতির ‘ঋণ ও খয়রাতনির্ভরতা’ কমানোর ঘোষিত লক্ষ্যের পরিপন্থী হয়ে যাচ্ছে না, মাননীয় অর্থমন্ত্রী?

৪. কৃষি খাতের প্রস্তাবিত ভর্তুকি ৯,৫০০ কোটিতে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি ছিল ১২ হাজার কোটি টাকা। এ বছর বকেয়া ভর্তুকি দিতে হবে না, তাই নাকি কৃষি খাতের প্রস্তাবিত ভর্তুকির এই সংকোচনের প্রস্তাব। নির্বাচনী বছরের জন্য কৃষি-ভর্তুকি কমানো ভালো লক্ষণ নয়। মনে রাখতে হবে, এ সরকারের সবচেয়ে সফল কীর্তি ধারণ করছে কৃষি খাতের অগ্রগতি। তাই ভর্তুকি না কমিয়ে বরং ভর্তুকির অর্থ প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর প্রয়াস নেওয়াটাই হতো সঠিক পদক্ষেপ। যেমন সৌর সেচপাম্প স্থাপনের জন্য ওই আড়াই হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া যায় না? সংসদ সদস্যরা বিষয়টি বিবেচনা করবেন কি?

৫. গ্যাস সিলিন্ডারে শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবটি যদিও দেশীয় সিলিন্ডার উৎপাদন উৎসাহিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে, তবু এ পদক্ষেপ শুধুই গ্যাস-সিলিন্ডারের বাজার দাম বাড়াবে। এলপিজির দাম স্ফীতির কালোবাজারের দৌরাত্ম্যে ক্রেতারা ঘোষিত দামের ৫০-৭০ শতাংশ বেশি দিয়ে গ্যাস কিনছেন। তা সত্ত্বেও সিলিন্ডারের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব কি ঠিক হচ্ছে?

ওপরের আলোচনা থেকে মনে হতে পারে, বাজেটে ভালো তেমন কিছু নেই। কিন্তু নিচের প্রস্তাবগুলো নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ও প্রশংসনীয়:

ক. মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কহার কমিয়ে ৩ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ নির্দিষ্ট করার প্রস্তাব করা।

খ. মধ্যবর্তী পণ্য ও কাঁচামালের আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কহার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ আরোপের প্রস্তাব করা।

গ. বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় পণ্য বিলাসদ্রব্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। আমদানিকৃত পটেটো চিপস, গুঁড়া দুধ, সিগারেট, টেলিভিশন ইত্যাদির দাম বাড়বে।

ঘ. চাকরিজীবীদের করমুক্ত বাড়িভাড়া ১,৮০,০০০ থেকে ২,৪০,০০০ টাকায় উন্নীত করা।

ঙ. রেলওয়ের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য ৫,৫৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা।

চ. সামাজিক নিরাপত্তা জালের আওতা সম্প্রসারিত করা।

ছ. শেয়ারবাজারের জন্য বেশ কয়েকটি প্রণোদনামূলক পদক্ষেপ নেওয়া।

জ. জাহাজ নির্মাণ খাতকে উৎসাহিত করার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া।

ঝ. খাদ্যশস্য মজুতকে ২০ লাখ টনে উন্নীত করার প্রস্তাব করা এবং স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা।

ঞ. পর্যটন খাতকে উৎসাহিত করার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব করা।

ট. মোবাইল ফোনের সিমকার্ডের আমদানির ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে কমানোর প্রস্তাব করা।

ঠ. পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক বাতির শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা।

ড. কোমল পানীয়ের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ১০০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা।

এসব প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে তা অর্থনীতিতে নিঃসন্দেহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সে ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেট উচ্চাভিলাষী হলেও পরাবাস্তব নয়।

ড. মইনুল ইসলাম: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।