পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সাধারণ অর্থনৈতিক উন্নয়ন) ড. শামসুল আলম যদিও আইএমএফের প্রক্ষেপণের সঙ্গে মতৈক্য পোষণ করেন না, তবু তিনি বলেন, ‘সরকারের প্রাথমিক হিসাবের চাইতে চূড়ান্ত প্রবৃদ্ধি কিছুটা কম হতে পারে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় অর্থনীতি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রবৃদ্ধি এতটা নিচে নেমে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আইএমএফের প্রাক্কলনের ক্ষেত্রে সংখ্যা নয়, বরং যে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, তা গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়, আইএমএফের মূল্যায়নে এটিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কী পরিস্থিতি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনে রাশ টেনে রেখেছে, সিপিডির ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বিশ্লেষণধর্মী তথ্য-উপাত্ত দিয়ে তা তুলে ধরেছেন। নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমানেরও ওই একই বক্তব্য।
এটা অনস্বীকার্য যে বিভিন্ন কারণে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে শ্লথগতিতে। আকাশচুম্বী দুর্নীতি ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু থেকে প্রশাসনিক কাঠামোর রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনুপ্রবেশ করেছে। অর্থনীতি ও শিক্ষাঙ্গন বিপর্যস্ত। নির্দলীয় প্রশাসন এখন বিগত দিনের স্বপ্ন। আইনশৃঙ্খলা অনুপস্থিত। সীমান্তে দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন। সন্ত্রাসী পাচ্ছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা। শিল্প-বাণিজ্যে স্থবিরতা। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা। এমতাবস্থায় অর্থবহ বাজেট প্রণয়ন যে দুষ্কর, তাতে সন্দেহ নেই। তা ছাড়া বাজেট তো হচ্ছে তিন সরকারের মেয়াদকালীন বছরের জন্য। বিভিন্নমুখী দাবি—বিভিন্ন রূপ চাহিদা। তদুপরি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য অবেলায় প্রদোষে অবাস্তব তাগিদ। অর্থমন্ত্রী তাই বুঝি কল্পনার ফানুস উড়িয়ে দিলেন। এমনকি নিজস্ব সম্পদ থেকে পদ্মা সেতু নির্মাণের অর্থায়নও সন্নিবেশিত হলো বাজেটে, যদিও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী অক্টোবরের ২৫ তারিখেই শেষ হবে বর্তমান পার্লামেন্টের জীবনকাল। বিল কসবি একটি আপ্তবাক্য উচ্চারণ করেছিলেন, আই ডোন্ট নো দ্য কি টু সাকসেস, বাট দ্য কি টু ফেইলিওর ইজ ট্রাইং টু প্লিজ এভরিবডি। অর্থাৎ আমি সাফল্যের চাবির সন্ধান জানি না, তবে সবার তুষ্টি সাধনের প্রচেষ্টা হচ্ছে ব্যর্থতারই নামান্তর। বাজেট পড়লে এ ধরনের একটি মনোভাবের সৃষ্টি হলেও তা অমূলক হবে না। জনতুষ্টি যেন না হয় অলীক কল্পালোকে মানুষকে নভোচারি করে তোলা, আশাবাদ যেন না হয়ে দাঁড়ায় ভিতহীন রানা প্লাজার সৌধ নির্মাণ।
জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রয়োজন হয় বহু উপকরণের। সামষ্টিক যোগাযোগ। যেকোনো অ্যাকিলিজ হিল বা দুর্বল স্থান মারাত্মক বা বিধ্বংসী হয়ে দাঁড়াতে পারে। যেমন সুশাসনের অনুপস্থিতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, সাংঘর্ষিক রাজনীতি বা স্বৈরাচার। এটা অনস্বীকার্য, প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের আমলে তদানীন্তন সারা পাকিস্তানে সামাজিক (যেমন মুসলিমধর্মীয় বিবাহ ও উত্তরাধিকার-সম্পর্কিত আইন পরিবর্তন) এবং অর্থনৈতিক (শিল্প উৎপাদনে সরকারি উন্নয়ন ও বেসরকারি উদ্যোগী) উন্নয়ন বিশেষ লক্ষণীয় ছিল, শুধু স্বৈরাচার বা গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি সব ভন্ডুল করে দিল। ভবিষ্যতে সরকার যদি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সর্বদল গ্রহণযোগ্য সমঝোতা অর্জন না করে জোর-জবরদস্তি সমন্বিত সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির অবতারণা করে, তাহলে আইএমএফের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হয়ে দাঁড়াবে ফেনসিডিল-প্রসূত আকাশকুসুম কল্পনা।
প্রবৃদ্ধি অর্জনের সব কটি প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে এ ক্ষুদ্র পরিসরে আমি আলোচনা করতে চাইনি। শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করার উপায় উদ্ভাবনের জন্যই আমার বক্তব্যের অবতারণা।
২০১০ সালে প্রকাশিত জাতীয় শিল্পনীতিতে বলা হয়েছিল, এর ‘প্রধান উদ্দেশ্য হবে ব্যক্তি খাতমুখী শিল্পায়ন কৌশলের প্রতি সরকারি প্রতিশ্রুতির বিষয়ে ব্যক্তি খাতকে আস্থাশীল করা এবং এমন একটি ইতিবাচক ও কার্যক্ষম পরিবেশ সৃষ্টি করা, যেখানে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা অহেতুক প্রতিবন্ধকতা, দীর্ঘসূত্রতা এবং অযাচিত হস্তক্ষেপ ছাড়াই শিল্প-বিনিয়োগে কাজ করতে পারবে।’ আরও বলা হয়েছিল, ‘দেশি ও প্রবাসী বাংলাদেশি বা বিদেশি বিনিয়োগকারী গোষ্ঠী, ব্যবসায়িক সংগঠন বা গ্রুপ কর্তৃক একক বা যৌথভাবে প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত হবে এবং বিভিন্ন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সম্পূর্ণ সরকারি থেকে ক্রমান্বয়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’ কিন্তু এসব কী করে অর্জিত হবে, সে সম্পর্কে নীতিমালায় বা পরবর্তী সরকারি কর্মকাণ্ডে নির্দেশিত হয়নি। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) মাধ্যমে দেশের অবকাঠামো এবং অন্যান্য খাতের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ও আশাবাদ ব্যক্ত প্রতিটি বাজেটেই হয়েছে। কিন্তু বিগত চার বছরে পিপিপি আইনই প্রণীত হয়নি। হরবছরই বাজেটে পিপিপির জন্য অর্থ বরাদ্দ ছিল, কিন্তু কী কাজ হয়েছে? ২০১২-১৩ অর্থবছরে আটটি বড় প্রকল্প পিপিপির মাধ্যমে বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ১০টি প্রকল্প ছিল এডিপির অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু মাত্র দুটি প্রকল্পের (ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক নির্মাণ) দরপত্র আহ্বান ছাড়া কার্যত কিছুই হয়নি।
বস্তুত, পরিকল্পনা কমিশনও এমন দিকনির্দেশনা দেয়নি বা দিতে পারেনি যে দেশের শিল্পায়নে প্রাইভেট ও পাবলিক সেক্টরে উপখাতপ্রতি কীভাবে উদ্যোগ গ্রহণ ও বিনিয়োগ হবে। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম (৯ জুন) বলেছেন, ‘চলতি অর্থবছরে পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়নি। তাই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সংশোধন করা হবে। সেই আলোকে সংশোধন করা হবে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাও।’ পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়ন সাধন করার কথা। অবস্থার চাপে বাস্তবায়িত প্রকল্প সন্নিবেশিত করে পরিকল্পনার সামঞ্জস্য সাধন গোঁজামিল দেওয়ার শামিল হয়ে যায়। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকের সে প্রাক্কলন হয়েছে, ৬ জুনের প্রস্তাবিত বাজেটে তার বলিষ্ঠ উচ্চারণ অনুপস্থিত। বস্তুত, প্রয়োজন হচ্ছে পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে কী ধরনের একক এবং সহযোগিতামূলক উদ্যোগ নিয়ে খাতওয়ারি প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং অভীষ্ট প্রবৃদ্ধি অর্জন করা যায়, তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা। তাহলে বছরান্তে যোগ-বিয়োগের, পাওয়া না-পাওয়ার হিসাব সহজ হয়ে পড়ে। বলা হয়েছিল, ব্যক্তি খাতের ওপর জোর ও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বাজেটে। কিন্তু ১০ জুনের পত্রিকায় প্রকাশ, ‘ঘোষিত বাজেট শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তীব্র হতাশার সৃষ্টি করেছে, ফলে বাজেট ঘোষণার পর প্রথম কর্মদিবসেই দেশের দুই শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছে।’
সাধারণভাবে বলা যায়, পুঁজিবাজারে ইব্রাহিম খালেদ কমিটির প্রতিবেদন বাস্তবায়ন-জাতীয় কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলে হয়তো বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসা শুরু হতো। বেসরকারীকরণ কমিশনে বিভিন্নমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং পিপিপি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে প্রাইভেট সেক্টরে কাঙ্ক্ষিত উৎসাহ-উদ্যোগ সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ-মানসিকতা সৃষ্টি করা যেতে পারত। কিন্তু তা মোটেই হয়নি। প্রাইভেটাইজেশন কমিশনে দায়িত্ব সম্পাদনকালীন প্রাথমিকভাবে পিপিপির সম্ভাব্যতা অনুধাবন করে সে বিষয়ে কমিশনেরই উদ্যোগ গ্রহণের কথা আমি ভেবেছিলাম। কমিশনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের সঙ্গে তা সংগতিপূর্ণ হতো। সংশ্লিষ্ট প্রাইভেটাইজেশন অ্যাক্টের সামান্য পরিমার্জন এবং নীতিমালায় সামান্য পরিবর্তন সাধন করতে পারলে তা সম্ভবপর হতো।
বর্তমান সরকার প্রথম অর্থবছরেই আলাদা একটি অবস্থানপত্র উপস্থাপন করে তাকে ‘নব উদ্যোগে বিনিয়োগ প্রয়াস’ নামকরণ করেছিল। এ প্রয়াসের কোনো উল্লেখযোগ্য ফলাফল দৃষ্টিগোচর হয়নি এযাবৎ। সহজ উপায় হতো, যদি প্রয়োজন অনুসারে প্রাইভেটাইজেশন অ্যাক্টের সামান্য পরিমার্জনা করে পিপিপির দায়িত্ব প্রাইভেটাইজেশন কমিশনকে অর্পণ করা হতো। কমিশনের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এ ব্যাপারে ফলপ্রসূ হতো। এটা ঠিক যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ও শিল্পায়নে ব্যক্তি খাতের অবদান স্বীকার করে এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে বিরাষ্ট্রীয়করণ যেন বি-শিল্পায়নে পর্যবসিত না হয়। পিপিপি বাস্তবায়ন সে আশঙ্কামুক্ত এবং একটি গতিশীল কমিশনের এ ক্ষেত্রে থাকতে পারে বিশেষ অবদান ও অর্জন। বর্তমান আইনেও বিভিন্ন পদ্ধতিতে কমিশন তার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। দরপত্রের মাধ্যমে এবং শেয়ারবাজারে বিক্রয় ছাড়াও বেসরকারীকরণের বা এই সেক্টরে কর্মতৎপরতার অন্যান্য পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে (ক) মিশ্র বিক্রয় পদ্ধতি (খ) কাঠামো বিন্যাস (গ) ব্যবস্থাপনা চুক্তি (ঘ) ইজারা প্রদান (ঙ) অবসায়ন বা লিকুইডেশন (চ) বাণিজ্যিকীকরণ বা যৌথ সংস্থাভুক্তকরণ (ছ) অন্য কোনো উপযুক্ত পদ্ধতি বা একাধিক পদ্ধতি গ্রহণ। আসল কথা হচ্ছে, পাবলিক সেক্টরকে অনাকাঙ্ক্ষিত বোঝা থেকে ভারমুক্ত করা, প্রাইভেট সেক্টরকে উন্নয়নের প্রধান বাহন বলে নির্ণয় করে তাকে গতিশীল করে তোলা এবং রচনা করা এই দুই সেক্টরের সেতুবন্ধ। তাতেই শুধু ত্বরান্বিত হতে পারে দেশের শিল্পায়ন।
এমতাবস্থায়, একটি বিশেষায়িত সংস্থা হিসেবে পিপিপির দায়িত্ব গ্রহণ প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের জন্য মোটেই বেঠিক বা অপ্রাসঙ্গিক হতো না। বর্তমান সরকার যদি নিষ্ফল বাগাড়ম্বর না করে ঘোষিত শিল্পনীতিতে এই কৌশলের যথোপযুক্ত প্রতিফলন ঘটিয়ে প্রয়োজন অনুসারে সংশ্লিষ্ট আইন পরিমার্জনা করে কমিশনের ওপর পিপিপি বাস্তবায়নের দায়িত্ব অর্পণ করত, তাহলে প্রজেক্ট-ভিত্তিক উদ্যোগ নিয়ে কমিশন এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি সাধন করতে পারত। এতে অতিরিক্ত সংস্থাপন-সম্পর্কিত ব্যয়ের প্রয়োজন হতো না; উপরন্তু দক্ষ ও কিছুটা অভিজ্ঞ জনশক্তিও পাওয়া যেত। কমিশনের আন্তরিকতার ভেতরেই ‘প্রজেক্ট-ভিত্তিক’ বাস্তবায়ন সেল গঠন করা যেতে পারত। মন্ত্রী পর্যায়ের চেয়ারম্যানসহ কমিশনের সদস্য হিসেবে আছেন সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের সচিব, ছয়জন মনোনীত সাংসদ, ফেডারেশন অব চেম্বারসের প্রেসিডেন্ট, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং পেশাজীবী মহলের প্রতিনিধি। যেহেতু প্রাইভেটাইজেশন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও কার্যপরিধির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত, সেহেতু সমন্বয় সাধনও অনায়াসলব্ধ হতো। আলাদা কোনো দপ্তর প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হতো না।
আমার মনে হয়, বর্তমান ও ভাবী সরকার প্রাইভেট সেক্টরকে প্রাণবন্ত ও ফলপ্রসূ করতে চাইলে বেসরকারি কমিশনকে জোরদার করে পিপিপি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে এবং পুঁজিবাজার শক্তিশালীকরণে একে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা পালনে নির্দেশিত ও উৎসাহিত করতে পারে। জাতীয় প্রবৃদ্ধি অর্জনে তা শুধু সহায়কই নয়, নিয়ামকও হয়ে দাঁড়াবে।
ইনাম আহমেদ চৌধুরী: অর্থনীতিবিদ ও বিএনপির চেয়ারপারসনেরউপদেষ্টা।