শ্রদ্ধাঞ্জলি

তাজউদ্দীন আহমদ: ইতিহাসের আলোকে

তাজউদ্দীন আহমদ
তাজউদ্দীন আহমদ

গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনাকে সবাই একভাবে উপলব্ধি করেন না। ফলে ইতিহাস নিয়ে মতপার্থক্যও দেখা দেয়। উন্নত জীবনের জন্য চিন্তার স্বাধীনতার ও মতপার্থক্যের স্বীকৃতি রাষ্ট্রে থাকা চাই। ঐতিহাসিক ঘটনার কিংবা নেতৃত্বের মূল্য বিচার নিয়ে মতপার্থক্য আর ইতিহাস-বিকৃতি এক নয়। আমাদের বুঝতে হবে যে চিন্তা ও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে মিথ্যাচার, অসহিষ্ণুতা, জুলুম-জবরদস্তি, বলপ্রয়োগ, দমননীতি ও নির্যাতন বিজয়ী ও পরাজিত কিংবা ক্ষমতাধর ও ক্ষমতাহীন উভয় পক্ষের জন্যই ক্ষতির কারণ হয়। ক্ষমতার দম্ভ ধ্বংস ডেকে আনে।
সাম্প্রতিক কালের আমাদের গোটা ইতিহাসকেই নানাভাবে বিকৃত করা হয়েছে। এ কাজ কোনো এক পক্ষ করেনি, করেছে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় মত্ত একাধিক পক্ষ। এর আরম্ভ ১৯৭২ সালের প্রায় শুরু থেকেই: তাজউদ্দীন আহমদ (১৯২৫-১৯৭৫) ও প্রবাসে গঠিত প্রথম বাংলাদেশ সরকারকে (১৯৭১) বিস্মৃতির অতল গহ্বরে তলিয়ে দেওয়ার আয়োজন দিয়ে। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে প্রায় সব আলোচনাই হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজনীতি ও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বাদ দিয়ে কিংবা যথোচিত গুরুত্ব না দিয়ে। এতে ইতিহাস বিকৃত হয়ে যায়। কোনো জাতির ইতিহাসকে বিকৃত করলে সেই জাতির আত্মাই বিকৃত হয়ে যায়।
প্রচলিত অর্থে তাজউদ্দীন আহমদ অসাধারণ ‘ভালো ছাত্র’ ছিলেন। কিন্তু ‘ভালো ছাত্রদের’ ‘আত্মোদরসর্ব সত্তা’ তাঁর মধ্যে ছিল না। তিনি গতানুগতিক ধারায় চলেননি। অন্তর্গত সামাজিক দায়িত্ববোধে তাড়িত হয়ে নিজের জীবনের জন্য সৃষ্টিশীল রাজনীতির কঠিন-কঠোর পথ বেছে নিয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে জীবন দিয়ে তাঁকে রাজনীতি করার মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে। শিকার হয়েছেন বহুমুখী ষড়যন্ত্রের।
যে আয়োজন যুদ্ধপূর্ব বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে—সব রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে দরকার ছিল, তার কিছুই করা হয়নি। তৎকালীন আওয়ামী লীগের ও অন্যান্য দলের ভেতরে তাকালে দেখা যায় ভেতর থেকে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য দল মোটেই শক্তিশালী হয়নি। কোনো দলকে ভেতর থেকে শক্তিশালী করতে হলে সেই দলে শৃঙ্খলা, আদর্শগত ও নৈতিক অনুশীলন, কর্মসূচি, কর্মনীতির চর্চা ইত্যাদি অপরিহার্য।
এ দেশের রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সাধারণত যে লঘুচিত্ততা, ভাবালুতা, অদূরদর্শিতা, অস্থিরচিত্ততা, অমার্জিত ক্ষমতালিপ্সা, হীনস্বার্থপরতা, ভাঁওতাপ্রবণতা, বাকচাতুর্য ও দুর্নীতিপ্রবণতা লক্ষ করা যায়, তাজউদ্দীন আহমদের মধ্যে তা ছিল না। তিনি ছিলেন স্থিতধী ও দূরদর্শী। তাঁর ব্যক্তিত্বে ছিল সেই দুর্লভ বৈশিষ্ট্য, ইংরেজিতে যাকে বলে ‘সিরিয়াসনেস’। কৈশোরকাল থেকেই তিনি ছিলেন চিন্তাশীল, সমাজসচেতন, কর্তব্যপরায়ণ এবং উন্নত মূল্যবোধ ও নৈতিক চেতনার অধিকারী। ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক জীবনে তিনি কথার মূল্য বা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলতেন, আর ছোট ছোট কাজের মধ্য দিয়েও সমাজসচেতনতা, স্বাজাত্যবোধ ও স্বদেশপ্রীতির পরিচয় দিয়েছেন। নিজের অস্তিত্বকে তিনি খুব স্বাভাবিকভাবেই অনুভব করেছেন সবার মধ্যে সবার অংশ রূপে। কিন্তু সে অনুসন্ধান করে আমি দেখেছি, তাঁর এখানকার, কাপাসিয়া এলাকায়, তাঁর সম্পর্কে এসব বিষয়ে জনশ্রুতির অন্ত নেই। তাঁর জীবন ও কর্ম পর্যালোচনা করলে বোঝা যায়, আবেগ তাঁর মধ্যে ছিল, কিন্তু আবেগের চালকশক্তি কাজ করেছে বিবেক ও বুদ্ধি। হয়তো তিনি জাতির স্মৃতিতে চিরকাল বেঁচে থাকতে চেয়েছিলেন, যার জন্য তিনি জাতির স্বার্থে নিজের জীবনকে নিঃশেষে দান করার ঝুঁকি নিয়েছিলেন। অস্তিত্বের ঊর্ধ্বে রাজনৈতিক জীবনে জনগণের ভালোবাসা লাভের আকাঙ্ক্ষাটুকুই হয়তো ছিল তাঁর আকিঞ্চন।
তাজউদ্দীন আহমদ বক্তৃতাপ্রিয় নেতা ছিলেন না। বাগ্মিতায় তাঁর পারদর্শিতা কম ছিল। জনসভায় বক্তৃতাকালে তিনি বাগ্মিতা প্রদর্শন না করে কেবল কাজের কথাই কার্যকরভাবে বলতে চাইতেন। জানা যায়, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন বক্তব্য, বিবৃতি, কর্মসূচি, প্রচারপত্র ইত্যাদি লেখার দায়িত্ব তিনি পালন করতেন।
তাজউদ্দীন স্বভাবগতভাবে আদর্শসন্ধিৎসু, আদর্শনিষ্ঠা এবং আদর্শের ভিত্তিতে জনগণের কল্যাণে প্রণীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে আত্মনিবেদিত নেতা ছিলেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র ছিল তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ। প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন ক্ষমতা উপভোগের জন্য নয়, সমাজ ও জাতিকে নিয়ে তাঁর আকাঙ্ক্ষাকে সফল করার আন্তরিক তাগিদে। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন লক্ষ্য অর্জনের প্রয়োজনে—দায়িত্ব পালনের জন্য। পূর্ব পাকিস্তান গণতান্ত্রিক যুবলীগ, আওয়ামী লীগ প্রভৃতি সংগঠনে তাঁর উদ্দেশ্য ও আচরণ ক্ষমতা-উপভোগকারীদের উদ্দেশ্য থেকে ভিন্ন ছিল। স্বদেশে অভীষ্ট রাষ্ট্র গঠন, জাতি গঠন ও সমাজ গঠন ছিল তাঁর লক্ষ্য। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছয় দফা প্রণয়ন ও প্রচারে এবং আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমানের (১৯২০-১৯৭৫) সহকর্মী হিসেবে তিনি যে ভূমিকা পালন করেছেন, তা তাঁর বিস্ময়কর সংগঠননিষ্ঠা, সামর্থ্য ও যোগ্যতা প্রমাণ করে। তাঁকে ছাড়া ছয় দফা আন্দোলনের কালে (১৯৬৬-১৯৭১) শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অন্য রকম চরিত্র লাভ করত। উন্নততর চরিত্র লাভ করত কি? দলীয় ব্যাপারে শেষ পর্যন্তই শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের প্রতি তাঁর ছিল নিঃশর্ত সমর্থন। তবু ভুল-বোঝাবুঝি দেখা দিয়েছিল, যার পরিণতি মারাত্মক হয়েছে। খোন্দকার মোশতাক আহমদরা অবস্থার সুযোগ নিয়েছেন। তাতে রাষ্ট্র ও জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
তাজউদ্দীনের সংগঠনমনস্কতা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে অল্পই গুরুত্ব পেয়েছে। শেখ মুজিব সাংবিধানিক ব্যাপারে সাফল্য অনুভব করেছেন আওয়ামী লীগের সমর্থনে এবং নিজের সমর্থনে জনসাধারণকে জয় করতে পেরেই তাঁর উৎসাহ ছিল প্রতিপক্ষের মোকাবিলায়, দলীয় আত্মগঠনের এবং জনসমর্থনকে দীর্ঘস্থায়ী করার সমস্যাবলি নিয়ে অল্প ভেবেছেন। দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ও রীতিনীতি ও আত্মসমালোচনা বলে কিছুই বিকশিত হয়নি। ফলে স্বাধীন বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতি অতি দ্রুত ভেতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ল। অন্যান্য দলের রাজনীতিও এই দুর্বলতার শিকার ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনৈতিক দুর্বলতা প্রধান জাতীয় দুর্বলতা রূপে দেখা দেয়।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের কালে প্রবাসে গঠিত প্রথম বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যুদ্ধের রাজনৈতিক নেতৃত্বের তথা সার্বিক নেতৃত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে নিজের শক্তির ওপর নির্ভর করে, ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রত্যক্ষ সহায়তা নিয়ে এবং সারা দুনিয়ার জনগণের সমর্থন নিয়ে, বিজয় অর্জন ও স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং কর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং জাতীয়তাবাদ ও তার সম্পূরক আন্তর্জাতিকতাবাদকে আদর্শ রূপে গ্রহণ করে রাষ্ট্র ্রপরিচালনা ছিল তাঁর লক্ষ্যও। সেই ঐতিহাসিক মহালগ্নে প্রবাসে শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দলীয় অন্তর্বিরোধের মধ্যে সরকার গঠন ও রাষ্ট্র পরিচালনার কাজটি ছিল সবচেয়ে জটিল ও দুরূহ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে শেখ মুজিবুর রহমান সিদ্ধান্ত নিয়ে যুদ্ধে না যাওয়ার ফলে অবস্থা জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছিল। আওয়ামী লীগ ও অন্য সব দল সিদ্ধান্তহীন হয়ে পড়ে। পরে আওয়ামী লীগ তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনে চলে।
খোন্দকার মোশতাক ও তাঁর কিছু অনুসারী তাজউদ্দীনের নেতৃত্ব মেনে নিতে চায়নি। যত দূর জানা যায়, মোশতাক শেখ মুজিবের নেতৃত্বও কখনো আন্তরিকভাবে মেনে নেননি। তিনি উচ্চাভিলাষী ছিলেন। নিজেকে তিনি অধিকতর যোগ্য মনে করতেন এবং দলে সর্বোচ্চ আসন আশা করতেন। তখনকার বিশ্ব বাস্তবতায় মোশতাকের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল দিল্লি-মস্কোর বিরোধী ও যুক্তরাষ্ট্রের অনুসারী। যুদ্ধকালে তিনি মার্কিন সহায়তা নিয়ে শেখ মুজিবের মুক্তির কথা বলেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না, প্রধানমন্ত্রী হতে প্রয়াসপর ছিলেন।
যুদ্ধকালে শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর অনুসারীরাও তাজউদ্দীনের নেতৃত্ব মেনে নিতে চাননি। মোশতাকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এঁরা কাজ করতেন। মণিও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার অভিলাষী হয়েছিলেন।
যুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কর্নেল (পরে জেনারেল) এম এ জি ওসমানীও তাজউদ্দীনকে মানতে চাইতেন না—মোশতাকের সঙ্গেই তাঁরও ঘনিষ্ঠতা ছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ট্র্যাজিক পরিণতির পরে মোশতাকের অনুকূলে ওসমানীর সক্রিয় ভূমিকার কথা স্মরণ করা যেতে পারে।
ফজলুল হক মণি ও তাঁর অনুসারীরাও তাজউদ্দীন সরকারের প্রতি যথেষ্ট অনুগত না থাকার ফলে সমস্যা জটিল হয়েছিল। তাঁদের উদ্যোগে গঠিত মুজিব বাহিনী ওসমানীর কমান্ডের বাইরে থেকে যুদ্ধ করেছিল। ইন্দিরা সরকার তাঁদেরও আলাদাভাবে সহায়তা দিয়েছিল।
যুদ্ধকালীন রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বোঝার জন্য যতই অনুসন্ধান করা যাবে, ততই এর মধ্যে জটিলতার সন্ধান পাওয়া যাবে। উপদলীয় বিরোধ, পারস্পরিক অবিশ্বাস, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, বহুবিধ চক্রান্ত ইত্যাদির ফলে যে ভীষণ জটিল অবস্থা তৈরি হয়েছিল, তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল তাজউদ্দীনকে। ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সহয়তা গ্রহণ, বিশ্বজনমতকে অনুকূলে রাখা, বিভিন্ন রাষ্ট্রের সমর্থন অর্জন—সব ব্যাপারেও তাজউদ্দীনের নেতৃত্ব অত্যন্ত সফল ছিল। প্রায় এক কোটি শরণার্থী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। ভারতে তাদের রক্ষা করার কাজও তাজউদ্দীন সরকার সাফল্যের সঙ্গে করেছিল। সর্বোপরি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। চরম প্রতিকূলতা অতিক্রম করে তাজউদ্দীন সরকার অর্জন করেছিল সাফল্য।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার জন্য ছয় দফা আন্দোলন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি মুক্তিযুদ্ধও গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠার পেছনে রয়েছে বহু সংগঠনের, বহু নেতার ও বহু লেখক-চিন্তকের অবদান। ইতিহাসকে বুঝতে হলে সবকিছুকেই যথোচিত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় ধরতে হবে।
যে উপদলীয় বিরোধ মুক্তিযুদ্ধের সময় দেখা দিয়েছিল, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরও তার অবসান ঘটেনি। তা ছাড়া সরকারি দল ও বিরোধী দলের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে কোনো নীতিও বাংলাদেশে কার্যকর হয়নি। তার ফলে এসেছে ট্র্যাজিক পরিণতি।
আজ তাজউদ্দীন আহমদের জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে আমরা স্মরণ করছি তাঁর কৃতি ও কীর্তি। বাংলাদেশের অন্যতম স্রষ্টা তিনি। ১৯৭১ সালে তাঁকে ছাড়া অন্য যাঁদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল, তাঁরা কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে ইতিহাস অন্য রকম হতো। ভালো হতো কী! তাজউদ্দীন আহমদের স্বপ্ন ছিল গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও তার সম্পূরক আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশকে জনগণের রাষ্ট্ররূপে গড়ে তোলার। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করলেই তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানো অর্থপূর্ণ হবে।
আবুল কাসেম ফজলুল হক: চিন্তাবিদ। অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।