ব্রিটিশ ধনকুবের স্যার রিচার্ড ব্র্যানসন তাঁর নিজস্ব স্পেসক্র্যাফট ‘ভার্জিন গ্যালাকটিকে’ চড়ে ১১ জুলাই ২০২১ দুজন পাইলট, তিনজন ক্রুসহ মহাশূন্যভ্রমণ করে এলেন। সেই সঙ্গে স্থাপিত হলো মানবেতিহাসের নতুন মাইলফলক-বাণিজ্যিক স্পেস ট্যুরিজম। বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যে বিশ্বের ৬০০ নামীদামি তারকা, শিল্পী, ধনাঢ্য ব্যক্তি ২ লাখ ৫০ হাজার ইউএস ডলার (আনুমানিক ২ কোটি ১০ লাখ টাকা) খরচ করে টিকিট কেটে অপেক্ষা করছেন বহুল কাঙ্ক্ষিত স্পেসভ্রমণের জন্য। গুগলের স্বয়ংক্রিয় বা চালকবিহীন গাড়ি (ওয়েমো) ইতিমধ্যে পাবলিক রাস্তায় এক কোটি মাইলের বেশি ভ্রমণ করে ফেলেছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পে ২০ লাখের বেশি রোবট কাজ করছে। খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, এসব প্রযুক্তি ছিল বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির উপাদান; অথচ এগুলো এখন দৈনন্দিন বাস্তবতা। যদিও জেট প্যাক, অ্যান্টি-এজিং পিলস, ওয়ারপ-স্পিড স্পেস ট্রাভেলের মতো বিষয়গুলো এখনো সেভাবে বাস্তবে ধরা দেয়নি। তবে এ কথা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়, কবে, কখন এসবের কোন প্রযুক্তি বাস্তবে ধরা দেবে এবং আমাদের জীবন-জীবিকা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের আমূল পরিবর্তন ঘটাবে।
অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের হাত ধরে মেশিন টুলস, টেক্সটাইল মেশিনারি, লোহা বা আয়রন উৎপাদন পদ্ধতি আবিষ্কার ও এর বহুল ব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত হয় মানবেতিহাসের সেরা পরিবর্তন। ফলে ১৭৬০-১৮২০ সময়ে, বিশেষত ১৮৪০ সালে ইউরোপে শিল্প, বাণিজ্যের অভাবনীয় উন্নতি সাধিত হয়, যা ‘প্রথম শিল্পবিপ্লব’ নামে অভিহিত।
ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ এবং বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে (১৮৭১-১৯১৪) ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুৎ আবিষ্কারের হাত ধরে টেলিগ্রাফ-টেলিফোন, রেলওয়ে, মোটর কার (১৮৮৬), অ্যারোডায়নামিকস (১৯০৯), স্টিলের আবিষ্কার ও ব্যবহার বিশ্বকে আরেক দফায় উন্নতির চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়, যা দ্বিতীয় শিল্পবিপ্লব নামে পরিচিত।
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি (১৯৫০–এর দশকের শেষ দিকে) শুরু হয় কম্পিউটার তথা ডিজিটালাইজেশনের যুগ, তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের গোড়াপত্তন। ১৯৬০-৬৫ সালের দিকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং ১৯৮৯-৯০ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের আবিষ্কার ম্যাজিকের মতো গোটা বিশ্বের চেহারা পাল্টে দেয়। বাস্তবিক অর্থেই গোটা পৃথিবী এখন মানুষের হাতের মুঠোয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এরপর কী? এ প্রশ্নের উত্তরে আমাদের ফিরে যেতে হবে নিবন্ধের প্রথম প্যারাগ্রাফে।
বর্তমানে আমরা এমন এক যুগসন্ধিক্ষণে অবস্থান করছি, যাকে সহজেই ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব’ বা ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন’ বা ‘ফোর আইআর’ বা ‘ইন্ডাস্ট্রি ফোর পয়েন্ট জিরো’র শুরুর লগ্ন বলা যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষি খাতে, বিশেষত বাংলাদেশের কৃষিতে ফোর আইআরের প্রভাব, সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলায় আমাদের করণীয় নিয়ে এই আলোচনা।
প্রথমেই বলে রাখি, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নিয়ামক হিসেবে প্রধানত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), বিগ ডেটা, ব্লক চেইন, ক্লাউড অ্যান্ড এজ কম্পিউটিং, রোবোটিকস অ্যান্ড কোবটস, ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর), অগমেনটেড রিয়েলিটি, অটোনমাস ভেহিকেলস, ফাইভ–জি নেটওয়ার্ক, জিনোমিকস অ্যান্ড জিন এডিটিং, ন্যানোটেকনোলজি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ইত্যাদি প্রযুক্তিকে বোঝানো হয়। প্রকৃতপক্ষে ফোর আইআর হচ্ছে ফিজিক্যাল এবং বায়োলজিক্যাল সিস্টেমের মধ্যে ডিজিটাল সিস্টেমের মেলবন্ধনের অত্যাধুনিক মেকানিজম, যার মূল ভিত্তি তৃতীয় শিল্পবিপ্লবকালীন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি। কৃষি খাতের আঙ্গিকে বলা যায়, এ প্রযুক্তি পরিবেশের ওপর ন্যূনতম প্রভাব ফেলে কম খরচে অধিক ফলন ও পুষ্টি নিশ্চিত করে। সে বিবেচনায় উন্নত বিশ্বের কৃষিব্যবস্থা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের পথে অনেকটা এগিয়ে গেছে, এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। উদাহরণস্বরূপ আমেরিকান গ্লোবাল ফুড কোম্পানি ‘কারগিল’ এবং আইরিশ টেকনোলজি কোম্পানি ‘কেইন্থাস’–এর যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা ‘বোভিন ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার’ সেকেন্ডের মধ্যে প্রতিটি গরুকে আলাদাভাবে শনাক্ত করছে। শুধু তা–ই নয়, এর সঙ্গে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি সংযুক্ত করে প্রতিমুহূর্তে মনিটর করা হচ্ছে কোন গরুটি খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে, অথবা কোন গরুটি অসুস্থ, অথবা কোন গাভিটির দুধ দেওয়ার সময় হয়েছে ইত্যাদি এবং তা সরাসরি খামারির স্মার্টফোনে চলে যাচ্ছে। কৃষিতে ফোর আইআর প্রযুক্তি ব্যবহার করছে এ রকম শত শত উদাহরণ রয়েছে ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, কোরিয়া ইত্যাদি দেশ। ভবিষ্যতে কৃষি খাতে এর ব্যবহার কল্পনাতীতভাবে বাড়বে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আর এর প্রভাব বাংলাদেশের কৃষিব্যবস্থায়ও পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। প্রসঙ্গক্রমে কৃষিতে ফোর আইআর প্রযুক্তির বাজার সম্পর্কে ছোট একটা পরিসংখ্যান দেখে আসা যাক।
• ২০১৯ সালে আইওটির মার্কেট ছিল ২১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার এবং ২০২৬ সালে তা ৫৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার অতিক্রম করবে, যার সিএজিআর (কম্পাউন্ড অ্যানুয়াল গ্রোথ রেট) ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
• ২০১৯ সালে অ্যাগ্রিকালচার অ্যানালিটিকসের মার্কেট ছিল শূন্য দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার এবং ২০২৬ সালে ১ দশমিক শূন্য বিলিয়ন ইউএস ডলার অতিক্রম করবে, যার সিএজিআর ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
• ২০১৯ সালে স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচারের মার্কেট ছিল ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার এবং ২০২৬ সালে ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার অতিক্রম করবে, যার সিএজিআর ৯ দশমিক ৬ শতাংশ।
এ পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, ভবিষ্যৎ কৃষিতে বিনিয়োগের ধরন কেমন হতে পারে। কাজেই আমরা যদি এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে না পারি, তাহলে পিছিয়ে পড়ব, সন্দেহ নেই।
ওপরের আলোচনা থেকে এ কথা স্পষ্ট, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে একদিকে যেমন কৃষিসংশ্লিষ্ট ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগের ধরনের পরিবর্তন হবে, অন্যদিকে তেমন সরকার তথা জনগণের ওপরও এর বিশাল প্রভাব পড়বে। আবহাওয়া, জলবায়ু ও পরিবেশ ঠিক রেখে কম খরচে মানসম্পন্ন ও নিউট্রিশনসমৃদ্ধ কৃষিপণ্য উৎপাদনে চাপ তৈরি হবে, রোবটের ব্যাপক ব্যবহার কৃষিতে, বিশেষ করে উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ খাতে কর্মসংস্থান সংকুচিত করবে। ট্র্যাডিশনাল সেমি স্কিলড বা নন–স্কিলড জনবল কাজ হারাবে। পাশাপাশি এ কথাও সত্যি, ফোর আইআর–সংশ্লিষ্ট আরও অনেক নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। কৃষি খাত ছাড়াও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রকৌশল, আমদানি-রপ্তানি সব ক্ষেত্রে ব্যবসার ধরন পাল্টে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই সরকারি কার্যক্রমে এর ধাক্কা এসে লাগবে এবং সে অনুযায়ী প্রশাসন ও রাষ্ট্রযন্ত্র প্রভাবিত হবে। কাজেই আমাদের উচিত হবে এখন থেকেই সিরিয়াসলি চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের উপযোগী বিশাল জনবল গড়ে তোলার নিমিত্তে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেওয়া।
কৃষিতে ইন্ডাস্ট্রি ফোর পয়েন্ট জিরো প্রযুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কম খরচে অধিক ফলন অর্জন, প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশের সুরক্ষা এবং কৃষিশ্রমিকের ঘাটতি পূরণের সুযোগ রয়েছে। দেশে ও বিদেশে সফটওয়্যার কোম্পানিগুলোর জন্য বিশাল বাজার রয়েছে কৃষিতে ফোর আইআর প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে। উল্লেখ্য, বিশ্বের তাবৎ বড় বড় টেক জায়ান্ট কোম্পানি, যেমন আইবিএম, সিসকো, শ্নেইডার, গুগল, আমাজন ইত্যাদি ফোর আইআর উপযোগী ডিভাইস প্রস্তুত করছে এবং বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে। সারা পৃথিবীতেই কৃষিক্ষেত্রের উপযোগী রোবটের বিশাল সম্ভাবনা বা চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্প পরিসরে রোবট উৎপাদন করলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। এ ক্ষেত্রে বড় বড় কোম্পানি এগিয়ে আসতে পারে।
বরাবরই আমাদের কৃষিতে কিছু প্রচলিত চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন কৃষিজমি হ্রাস, আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষিজমির ক্ষুদ্রায়তন, কৃষিশ্রমিক–সংকট, জনসংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি। পাশাপাশি ফোর আইআর বাস্তবায়নে বেশ কিছু নতুন চ্যালেঞ্জ আবির্ভূত হয়েছে, যেমন ১. প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব, ২. নলেজ গ্যাপ, ৩. ধীরগতির ইন্টারনেট, ৪. দেশীয় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের অভাব, ৫. কৃষক পর্যায়ে ট্যাব/স্মার্টফোনের অভাব, ৬. আইনগত জটিলতা, ৭. মোটিভেশনের অভাব ইত্যাদি।
ফোর আইআর বাস্তবায়নে উল্লিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের বেশ কিছু করণীয় আছে। উল্লেখযোগ্য হলো:
১. চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বা অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা।
২. কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন সকল দপ্তর বা সংস্থার সক্ষমতা, চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণপূর্বক বিনিয়োগ পরিকল্পনা তৈরি এবং আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা করা।
৩. উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফোর আইআর উপযোগী জনবল তৈরি করা।
৪. পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ তৈরি করা (টেলকো-সরকারি দপ্তর বা সংস্থা-বিশ্ববিদ্যালয়-সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার কোম্পানি) এবং ছোট ছোট পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা এবং পর্যায়ক্রমে স্কেলআপ করা
৫. কৃষক পর্যায়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া, স্মার্টফোন নিশ্চিত করা এবং ন্যূনতম খরচে বা বিনা খরচে দ্রুতগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করা (একে ব্যয় হিসেবে না দেখে বিনিয়োগ হিসেবে দেখা উচিত)।
৬. ইন্ডাস্ট্রি ফোর পয়েন্ট জিরো উপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উৎপাদন ও বাস্তবায়নের নিমিত্তে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা।
৭. ফোর আইআর–সংশ্লিষ্ট ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা।
৮. কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং আইসিটি বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম হাতে নেওয়া।
আশার খবর হলো, কৃষি মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুতের কাজ হাতে নিয়েছে। এটুআইয়ের সহযোগিতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন সব দপ্তর বা সংস্থা থেকে তিন ক্যাটাগরিতে প্রস্তাবিত কার্যক্রম যাচাই-বাছাইপূর্বক কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তকরণের কাজ চলছে। এ কথা বলতেই হয়, এ ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয় স্পষ্টত এগিয়ে আছে এবং শিগগিরই একটি পরিপূর্ণ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে আশা করা যায়। আমাদের মনে রাখতে হবে, ২০৫০ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে প্রায় ৯৭০ কোটি এবং বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে প্রায় ২২ কোটি; কাজেই এই বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করার বিষয়টি মাথায় রেখে, এসডিজিকে সামনে নিয়ে আমাদের ইন্ডাস্ট্রি ফোর পয়েন্ট জিরোর কর্মপরিকল্পনা ঢেলে সাজাতে হবে। আশা করা যায়, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের কৃষি খাত স্পষ্টত এগিয়ে থাকবে।
ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার নির্বাহী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি), ঢাকা।
হাসান মো. হামিদুর রহমান পরিচালক (কম্পিউটার ও জিআইএস), বিএআরসি, ঢাকা।