১৯৭৬ সালের ৩০ মে লন্ডনের সানডে টাইমস পত্রিকায় কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুকুর রহমান লিখেছিলেন, ‘আমি মুজিব হত্যায় সহায়তা করেছি, পারলে আমার বিচার করুক।’ আসলে ফারুক বঙ্গবন্ধু হত্যায় সহায়তা করেননি। তিনিই ছিলেন এই হত্যার প্রধান হোতা। আর বিলম্বে হলেও ঘাতকদের বিচার হয়েছিল।
ফারুক চ্যালেঞ্জটি ছুড়ে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান সরকারের প্রতি। তত দিনে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ফারুক-রশিদ চক্র দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। তারা আশির দশকে এরশাদের প্ররোচনায় দেশে এসে ফ্রিডম পার্টি প্রতিষ্ঠা করে। এরশাদের পতনের পরও খুনি চক্র দেশে অবস্থান করেছিল। জাতীয় পার্টি ও বিএনপি সরকার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের ব্যবহার করেছে। এরশাদ নিজের ভোটারবিহীন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন জায়েজ করতে ফারুককে প্রার্থী করেছিলেন। আর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনে আবদুর রশিদকে জিতিয়ে আনা হয়েছিল। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১২ জুনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি রহিত করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করে। রশিদ তাঁর আগেই দেশ ত্যাগ করেন। কিন্তু ফারুকসহ বাকি পাঁচজনকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হয়। রশীদসহ দণ্ডিত পাঁচ আসামি বিদেশে পলাতক।
১৫ আগস্টের ঘটনা কোনো অভ্যুত্থান ছিল না। এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ফারুক-রশিদ চক্রের এই অপকর্মের দায় সেদিন সেনা নেতৃত্ব নিতে অস্বীকার করে। তবে তারা এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি। নভেম্বরের শুরুতে খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে পাল্টা অভ্যুত্থান হলে ঘাতকেরা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তার আগে অবশ্য নড়বড়ে হয়ে পড়ে তাদের অবস্থান।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পাঁচ দিনের মাথায় ঘাতকদের কেউ কেউ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। ২০ আগস্ট সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে অন্যতম অভ্যুত্থানকারী মেজর মহিউদ্দিন সস্ত্রীক মার্কিন দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগে গিয়ে আশ্রয়ের অনুরোধ জানান। তাঁর নেতৃত্বাধীন সেকেন্ড ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টের অভ্যুত্থানে জড়িত সব মেজরকে নিরস্ত্র করা হয়। তিনি জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছিলেন। ১৯ আগস্ট দুপুরে বঙ্গবন্ধুর সরকারি কার্যালয় গণভবনে দায়িত্বরত মহিউদ্দিন ও তাঁর ইউনিটকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ওই দিন বেলা দুইটায় তিনি বঙ্গভবনে যান চার অভ্যুত্থানকারী রশিদ, ফারুক, মহিউদ্দিন (ল্যান্সার) ও ডালিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের সতর্ক করে দিতে। তিনি ফারুকের সঙ্গে দেখা করে গণভবনে ফিরে আসেন এবং রাত সাড়ে আটটায় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে সহযোগীদের সঙ্গে সেনানিবাসে ফিরে যান।
নিজের বাসায় ফিরে আসার পর ৯টা ১৫ মিনিটে তাঁর ব্যাচমেট কর্নেল আনোয়ার হোসেন সেনাপ্রধানের নির্দেশে তাঁকে সেনানিবাস না ছাড়ার কথা বলেন। পরদিন সকালে তিনি কুর্তা ও পায়জামা পরে সস্ত্রীক মার্কিন দূতাবাসে যান। তিনি আশঙ্কা করেন, অভ্যুত্থানকারীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং তাঁদের সামরিক ট্রাইব্যুনাল নয়, সংক্ষিপ্ত আদালতে বিচার হবে বিদ্রোহ ও অবাধ্যতার অভিযোগে।
সেদিনই মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়: ‘মহিউদ্দিন আমাদের দূতাবাস প্রাঙ্গণে আসার পর প্রাথমিক কথাবার্তায় বুঝতে পারি, তিনি জীবননাশের ঝুঁকিতে আছেন।’
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজনৈতিক আশ্রয় না দেওয়ার পরামর্শ দেয়, যদিও এটি তাদের নীতিবিরুদ্ধ। তাদের নীতি হলো, আবেদনকারীর জীবনের শঙ্কা দেখা দিলে চরম ও ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে সাময়িক আশ্রয় দেওয়া এবং যখন ঝুঁকি শেষ হয় কিংবা তার আগে সেই আশ্রয়ের অনুমতি বাতিল করা।
মহিউদ্দিনের ব্যাপারে দূতাবাসের নীতি ব্যাখ্যা করারও নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে তাঁকে দেখানো হয় যে মার্কিন সহায়তার ব্যাপারে খুবই কম সুযোগ রয়েছে এবং তাঁকে বাংলাদেশ ত্যাগ করানোর ব্যাপারে সহায়তা বা আমেরিকায় নিরাপত্তা দেওয়ার সুযোগ নেই। এই অবস্থায় মহিউদ্দিন স্বেচ্ছায় দূতাবাস ত্যাগ করেন।
৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে পাল্টা সেনা অভ্যুত্থান হওয়ার পরপরই ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকারী কর্নেল ফারুক রহমান, কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ ও শরিফুল হক ডালিম ঢাকা ত্যাগ করেন। তাঁদের সঙ্গে আরও ছিলেন অন্য ১২ কর্মকর্তা, দুজন নন-কমিশন কর্মকর্তা, সাত নারী ও পাঁচ শিশু। তার অগেই খুনি চক্র ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করে।
৪ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ফারুক ব্যাংকক বিমানবন্দর থেকে সেখানকার মার্কিন দূতাবাসে টেলিফোন করে জানান, তিনি একজন বাংলাদেশি সেনা কর্মকর্তা, এখানে এসেছেন বিশেষ বিমানে। দূতাবাস কর্মকর্তা তাঁদের ভ্রমণসূচি জানতে চাইলে ফারুক বলেন, এক-দুই দিন পরই তাঁরা বাংলাদেশে ফিরে যেতে চান। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এই অভ্যুত্থানকারীদের বাংলাদেশের বাইরেই আশ্রয় নিতে হয়। বিমানবন্দরে থাই পুলিশের মাধ্যমে থাই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাঁরা ব্যর্থ হন। এরপর পাকিস্তান দূতাবাসের সহায়তা চেয়েও তাঁরা সফল হননি। দূতাবাস কর্মকর্তা জানান, তিনি তাঁর কথাগুলো নোট নিয়েছেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবেন। তিনি তাঁকে পুনরায় যোগাযোগ করা বা সহায়তার আশ্বাস দেননি। পরে বাংলাদেশ দূতাবাস থাই বহির্গমন ও শুল্ক বিভাগের ছাড়পত্র নেওয়ার ব্যবস্থা করে। তাঁরা থাইল্যান্ডে ১৫ দিনের থাকার অনুমতি পান।
ফারুক ব্যাংককের মার্কিন ও পাকিস্তান দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ৫ নভেম্বর মার্কিন দূতাবাস ওয়াশিংটনে জানায়, পাকিস্তান দূতাবাস বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের ব্যাপারে উৎসাহ দেখায়নি। ব্যাংককের রয়টার্স সংবাদদাতা রজার্স পাকিস্তান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি খালিদ নিজামির উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, পাকিস্তানে এই কর্মকর্তাদের আশ্রয় দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। পাকিস্তানে ঢাকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ ছিল।
আমেরিকাও মেজরদের আশ্রয় দেওয়ার বিরোধী। ৬ নভেম্বর ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাক্সবি পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠানো বার্তায় জানান, ‘আমি আনন্দিত যে দেশত্যাগী মেজররা এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আবেদন করেননি। আশা করি, তাঁরা যা-ই করুন না কেন, তা প্রত্যাখ্যাত হবে। এই লোকগুলোর হাতে রক্ত আছে। ঢাকায় যাঁরা নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছেন, তাঁরা সব সময় সুদক্ষ না হলেও নিবেদিতপ্রাণ মানুষ, যেকোনো স্থান থেকে সহায়তা পেতে পারতেন, তাঁরা এর চেয়ে ভালো হতে পারত। তিনি এ ব্যাপারে সজাগ ছিলেন যে মেজররা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি পেলে ভারত তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাবে। মুজিব নিহত হওয়ার পরপরই ভারত সরকারের কেউ কেউ মনে করেছেন, এই অভ্যুত্থানের সঙ্গে আমাদের যোগসাজশ আছে। এখন মেজরদের স্বাগত জানালে সেটাই সত্য বলে প্রতীয়মান হবে। এরপর আমাদের আরও বেশি যুক্তিসংগত থাকতে হবে। আমি কোনো কারণ দেখি না যে এসব লোককে আমরা আশ্রয় দিয়ে নিজেদের কাঁধে বোঝা নেব, যাঁদের কৃতিত্ব হলো বাংলাদেশের নেতৃত্বের একটি ভালো অংশকে নির্মূল করে দেওয়া।’
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বোস্টারও ঘাতকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার বিরোধিতা করে লিখেছেন, ‘আমরা রাষ্ট্রদূত স্যাক্সবির সুপারিশকে জোরালোভাবে সমর্থন করি যে ব্যাংককে অবস্থিত মেজরদের এখন অস্থায়ী বা স্থায়ীভাবে আশ্রয়ের অনুমতি না দেওয়া।’
তখনো ফারুক আশা করছেন, জিয়ার পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলে তাঁদের দেশে ফেরার অনুকূল পরিবেশ আসবে। পররাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশে মার্কিন দূতাবাস ফারুক ও অন্যদের সঙ্গে ন্যূনতম যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। ফারুকের আবেদনের ব্যাপারে তারা ওয়াশিংটনের পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষা করে।
ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত উইলি আলবার্ড বিট্টার মার্কিন রাষ্ট্রদূত বোস্টারকে জানান, মেজররা তাঁর দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু বনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস পরামর্শ দেয়, এ ধরনের কোনো আবেদন যেন তারা নাকচ করে দেয়। কেননা, তাঁরা খুনি। বিট্টারও তাঁদের আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর না করার পরামর্শ দেন এই যুক্তিতে যে তাতে জার্মানিতে রাজনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি হবে।
১৩ নভেম্বর একজন আমেরিকান ব্যবসায়ী মেজরদের কাছ থেকে একটি বার্তা নিয়ে ব্যাংকক থেকে ঢাকায় আসেন। সেটি হলো, তাঁরা দেশে ফিরে আসতে চান। ব্যাংককে যাওয়ার পর মেজররা মোশতাক ও জিয়ার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। ১২ নভেম্বর তাঁরা দুজনই মেজরদের টেলিফোন করেন। আমেরিকার প্রবাসী ব্যবসায়ী মেজরদের যে চিঠি নিয়ে এসেছিলেন তা জিয়া, মোশতাক ও অন্যদের হাতে দেন।
এদিকে বাংলাদেশ সরকার মেজরদের হংকংয়ে আশ্রয়ের অনুরোধ জানালে ব্রিটিশ সরকার তা নাকচ করে দেয়। তৎকালীন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্মলম্যান পররাষ্ট্রসচিব ফখরুদ্দীন আহমদকে জানান, ব্রিটেন এই সমস্যার বাইরে থাকতে চায়।
১৭ নভেম্বর বোস্টার ও তাঁর এক সহকর্মী রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সায়েমের সঙ্গে দেখা করতে এলেও নতুন পররাষ্ট্রসচিব তবারক হোসেন ও মোশতাকের মুখ্যসচিব মাহবুবুল আলম চাষী তাঁদের সঙ্গে মেজরদের আশ্রয়ের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বলেন, এক দিন আগেও ভাবেননি যে ব্যাংককে তাঁদের থাকতে সমস্যা হবে। থাই সরকার তাঁদের ভিসা বাড়াতে অস্বীকৃতি জানায়। এ অবস্থায় বাংলাদেশের কর্মকর্তারা আশা করেন, অন্য দেশ না হলেও অন্তত যুক্তরাষ্ট্র স্থায়ী ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী আবাসনের অনুমতি দেবে।
বোস্টার জানতে চান কেন মেজররা ঢাকায় ফিরে আসছেন না? চাষী জবাব দেন, তাতে সেনাবাহিনীর মধ্যে সমস্যা হবে। তাঁরা ফিরে এলে স্বাভাবিক অবস্থাও ব্যাহত হবে।
একই সঙ্গে ব্রিটেনের সঙ্গেও বাংলাদেশ সরকার অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ রাখে। কিন্তু তারা সহায়তা করতে রাজি নয়, খবর প্রচারিত হওয়ার পর মনোভাব পরিবর্তন করে। বোস্টার বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধটি ওয়াশিংটনে পাঠানো হবে, এই মর্মে প্রতিশ্রুতি দেন এবং বলেন, দুজনেরই অন্য কোনো দেশ বেছে নেওয়া উচিত। আমেরিকায় আশ্রয় পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
এরপর চাষী লাতিন আমেরিকার কোনো দেশে মেজরদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে ভূমিকা রাখতে বললে বোস্টার বলেন, সেখানে তো বাংলাদেশেরই নিজস্ব মিশন আছে। তিনি আরও বলেন, ‘সামরিক চক্রকে অস্থায়ী বা রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার জন্য আমি সুপারিশ করব না। ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তবে পররাষ্ট্র দপ্তর থাই সরকারকে আরও কিছুটা সময় দেওয়ার অনুরোধ জানাতে পারে।’
২০ নভেম্বর ফারুক ব্যাংককে মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলরকে জানান, পরদিনই তাঁরা লিবিয়ায় চলে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পাওয়ার জন্য আবেদন জানাতে আগ্রহী নন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইতিমধ্যে ব্যাংকক মিশনকে ফারুককে এই কথা বলতে বলেছে যে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক আশ্রয় দেবে না। কিন্তু ফারুকের সঙ্গে দূতাবাসের যোগাযোগের আগেই তিনি লিবিয়ার ভিসা পেয়ে যান।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ই তাঁদের পাসপোর্ট ঢাকায় এনে লিবীয় ভিসা জোগাড় করে দেয়। ফারুক মার্কিন কর্মকর্তাকে জানান, তিনি দেশের বাইরে থাকতে চান, যাতে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে। ফারুক ইন্দোনেশিয়া থেকে আটলান্টিক পর্যন্ত মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে তাঁর কমিউনিস্টবিরোধী বলয় প্রতিষ্ঠার মহাপরিকল্পনার কথা বলেন।
ফারুক-রশিদ ভেবেছিলেন, যাঁরা ৭ নভেম্বরের বিদ্রোহ ঘটিয়েছেন তাঁরা তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নেবেন। কিন্তু বাস্তবে সেটি ঘটেনি।
সোহরাব হাসান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি
sohrabhassan55@gmail.com