গ্যাস্ট্রোলিভারের আধুনিক চিকিৎসায় বাংলাদেশের অগ্রগতি

>

গত ২০ জুলাই ২০১৯, প্রথম আলোর আয়োজনে এবং ইমপাল্‌স হাসপাতালের সহযোগিতায় ‘গ্যাস্ট্রোলিভারের আধুনিক চিকিৎসায় বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকদের বক্তব্য সংক্ষিপ্ত আকারে এই ক্রোড়পত্রে ছাপা হলো।

সঞ্চালক

আব্দুল কাইয়ুম: সহযোগী সম্পাদক, প্রথম আলো

আলোচনায় সুপারিশ

রোগীদের প্রতি চিকিৎসকদের আরও মানবিক হওয়া প্রয়োজন

বিদেশি রোগীরা যেন আমাদের দেশে চিকিৎসা নিতে আসতে পারেন, এ জন্য নীতিমালা দরকার

চিকিৎসকদের সংখ্যা আরও বেশি বাড়ানো জরুরি

সব শ্রেণি–পেশার নাগরিককে দেশে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে

নবজাতকের হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা দেওয়ার কর্মসূচি দরকার

স্বাস্থ্য রক্ষায় কুসংস্কার প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা বাড়াতে হবে

চিকিৎসা খাতে প্রশিক্ষিত জনবল প্রয়োজন

রোগীদের আস্থার সংকট নিরসনে গণমাধ্যমের সহায়তা দরকার

তরুণদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে

আলোচনা

আব্দুল কাইয়ুম

চিকিৎসার জন্য এখন আর বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের দেশেই অনেক উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা রয়েছে। ইমপাল্‌স হাসপাতালসহ দেশের অনেক হাসপাতালে ভালো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও আধুনিক যন্ত্রপাতি আছে। এখানে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির সব রোগের চিকিৎসা করা হয়।

আমাদের দেশে কেন লিভারে সমস্যা হয়, তা দেখতে হবে। মানুষের সচেতন হওয়া দরকার। এ সম্পর্কে সবার জানা প্রয়োজন।

আমাদের দেশে কেন লিভারে সমস্যা হয়, সেটা দেখা প্রয়োজন। মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। লিভার সমস্যা সম্পর্কে সবার জন্য জানা প্রয়োজন। এখন এ বিষয়ে বক্তব্য দেবেন ইমপাল্‌স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব জাহীর আল-আমীন

জাহীর আল–আমিন


জাহীর আল–আমিন
খারাপ স্বাস্থ্য ও আস্থাহীনতা আমাদের দেশের জন্য বিরাট সমস্যা। এটি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। কোনো কোনো রোগী ও চিকিৎসকদের আচরণে সমস্যা আছে। এটা দূর করতে হবে। এ জন্য সময় লাগবে। আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমরা কী করতে পারি? এখানে রোগী ও চিকিৎসকদের ভূমিকা কী হবে, সেটা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। যত দিন চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর রোগীরা অাস্থা রাখতে না পারবেন, তত দিন তঁারা কি বিদেশ গিয়ে চিকিৎসা করবেন? নাকি দেশে চিকিৎসা নেবেন? এই ভাবনা থেকেই আমরা ইমপাল্‌স হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছি। এখানে রোগীরা আস্থার সঙ্গে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।

এক দেশের রোগী অন্য দেশে গিয়ে চিকিৎসা করার প্রবণতা সারা বিশ্বেই আছে। তবে আমাদের দেশে এটা অনেক বেশি। এখানকার বড়লোকেরা হাঁচি উঠলেও ভারত, সিঙ্গাপুরে চলে যান। এ জন্য আমাদের ভালো চিকিৎসাকেন্দ্র তৈরি করতে হবে। রোগীদের বোঝাতে হবে ভারত, সিঙ্গাপুরের মানের চিকিৎসা আরও কম খরচে আমাদের দেশেই পাওয়া যাবে।

আমাদের দেশের তিন ভাগের এক ভাগ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী লিভারের রোগে ভুগছে। ২৫ শতাংশ মানুষের লিভারে চবি৴জনিত সমস্যা আছে। এ জন্য সচেতনতা বাড়াতে হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ইমপাল্‌স হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল গঠন করেছি।

সচেতনতা বৃদ্ধির সঙ্গে ভালো চিকিৎসাসেবাও দিতে হবে। রোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে তঁাদের প্রতি ভালো চিকিৎসা ও ভালো ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। এই কাজটা চিকিৎসকদেরই করতে হবে। তাতে রোগীদের বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কমে আসবে।

তা ছাড়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে গেলে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। অনেকের ভিসা পেতে ঝামেলা হয়। একা যাওয়া যায় না। সেখানে
রোগীদের কেউ দেখতে যেতে পারেন না। যাওয়া-আসা, থাকায় অনেক বেশি খরচ হয়। মোটকথা, দেশে চিকিৎসার চেয়ে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়া অনেক বেশি ঝামেলার।

আমাদের এ কথাও মনে রাখতে হবে, কেউ ইচ্ছা করে বিদেশে যান না। আমাদের দেশের চিকিৎসার প্রতি আস্থাহীন হয়েই তঁারা বাইরে যান। এ জন্য এই খাতে আস্থা ফিরিয়ে আনা অনেক বেশি জরুরি।

এ কিউ এম মোহসেন


এ কিউ এম মোহসেন
চিকিৎসা খাতে অনেক বৈজ্ঞানিক উন্নতি হয়েছে। সেই উন্নতির ছোঁয়া বাংলাদেশেও লেগেছে। সেটা রোগীদের বোঝাতে হবে। রোগীদের প্রতি চিকিৎসকদের আরও মানবিক হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই আস্থার সংকট কাটিয়ে ওঠা যাবে।

একজন চিকিৎসক ও একজন পদার্থবিদের গবেষণায় ১৯৫০–এর দশকে এন্ডোস্কপি আবিষ্কৃত হয়। এর মাধ্যমে শরীরের ভেতরের অংশ ভালোভাবে দেখে চিকিৎসা করা যায়। এখন এই যন্ত্র িদয়ে শরীরের ভেতরে অপারেশনও করা যায়। আগে শুধু গলার ভেতর পর্যন্ত দেখে চিকিৎসা করা যেত। বর্তমানে এই যন্ত্রের সহায়তায় শরীরের যেকোনো অংশ দেখে চিকিৎসা করা যায়।

ইলেকট্রনিক এন্ডোস্কপি, ক্যাপসুল এন্ডোস্কপি ইত্যাদির মাধ্যমে আরও আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। শরীরে কঠিন অংশ দেখার জন্য আমরা আলট্রাসনোগ্রাফি, সিটিস্ক্যান, এমআরআই ব্যবহার করি। এর মাধ্যমে দেশেই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুচিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

ক্যাপসুল এন্ডোস্কপি দিয়ে মুখগহ্বর থেকে পায়ু পথ পর্যন্ত ছবি এবং ভিডিওর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হয়। এভাবে ক্ষুদ্রান্ত্রের রোগ নির্ণয় করা হয়। এ ছাড়া ডাবল বেলুন এন্টারোস্কোপ দিয়ে ক্ষুদ্রান্ত্র সরাসরি দেখে রোগ নির্ণয় করা হয়। ফাইব্রো স্ক্যানের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, ক্রনিক লিভার ডিজিজ যেমন সিরোসিস নির্ণয় ও অ্যাসেসমেন্ট করা হয়।

উন্নত পদ্ধতির চিকিৎসা আমাদের দেশেও চালু হয়েছে। সেটা সবাইকে বোঝাতে হবে। আমাদের দেশে সফলভাবে লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এগুলো বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতের সফলতার চিত্র।

সানিয়া তহমিনা


সানিয়া তহমিনা
আমাদের দেশে হাসপাতালকেন্দ্রিক চিকিৎসাব্যবস্থার সমালোচনা করা হয়। কিন্তু এটি ছাড়াও চিকিৎসাব্যবস্থার অন্যান্য দিক আছে। আমরা প্রতিকারমূলক স্বাস্থ্য রক্ষায় অনেক সফলতা লাভ করেছি। এই তথ্যগুলো সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

চিকিৎসা খাতে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি খাতেও বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসাজনক। শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল নামের একটি সরকারি হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এখানে সব শ্রেণির মানুষ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতালসহ সারা দেশের সরকারি হাসপাতালের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। চবি৴যুক্ত লিভার, প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যানসার, বি ভাইরাস, সি ভাইরাস ইত্যাদি নিরূপণের জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।

পুষ্টিহীনতা শিশুদের জন্য একটি বিরাট সমস্যা। ২০০৮ সাল থেকে সারা দেশের শিশুদের ভিটামিনের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ২০০৮ সালের এক জরিপে দেখা যায়, ৮০ শতাংশ শিশুর পেটে কৃমি আছে। ২০১৪ সালের জরিপে এই হার ৮ শতাংশে নেমে আসে। এটা আমাদের দেশের জন্য অনেক বড় একটি সাফল্য।

আগে অনেক মানুষ জুতা–স্যান্ডেল পরত না। এখন আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতির কারণে মানুষ এখন জুতা–স্যান্ডেল ব্যবহার করছে। তারা আরও বেশি চিকিৎসা নিতে পারছে।

হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের ওষুধের মূল্য অনেক বেশি। সাধারণ মানুষের পক্ষে তা কিনে ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব। ২০১৭ সাল থেকে সি ভাইরাসের ওষুধ সিডিসি (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন) থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। এই রোগের প্রতিটি রোগীকে সরকার ১ লাখ ২৪ হাজার টাকার ওষুধ দিচ্ছে।

অনেকে উন্নত দেশ থেকে এসে বাংলাদেশে চিকিৎসা নেন। এ জন্য সরকার একা কাজ করলে হবে না। এতে বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে।

গত ৩০–৪০ বছরে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। আমাদের দেশের ফামে৴সিতে বর্তমানে অনেক ওষুধ দেখা যায়। আগে এমনটি ছিল না।

মানুষ বিদেশি চিকিৎসকদের ব্যবহারের প্রশংসা করে। আমাদের দেশের রোগীরা যেন বলেন, আমরা চিকিৎসকদের ব্যবহারে মুগ্ধ।

আমাদের চিকিৎসক আছেন, প্রযুক্তি আছে কিন্তু সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় কেমন যেন একটা ঢিলেঢালা ভাব।

আনিস আহাম্মদ


আনিস আহাম্মদ
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমার পেটে খুব ব্যথা শুরু হয়। স্থানীয় চিকিৎসকেরা আমাকে ঢাকায় পাঠান। এখানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসক এ কিউ এম মোহসেনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ইমপাল্‌স হাসপাতালে আসি।

ইমপাল্‌স হাসপাতালে গ্যাস্ট্রোলিভারের উন্নত চিকিৎসা নিয়েছি। এখানে চিকিৎসা গ্রহণের পরসুস্থ আছি।

মো. মহছেন চৌধুরী


মো. মহছেন চৌধুরী
আমাদের দরকার প্রশিক্ষণ। আমাদের ডিগ্রি ছিল কিন্তু প্রশিক্ষণ ছিল না। তখন আমরা সিঙ্গাপুরে গেলাম। গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল হাসপাতাল আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তারা আমাদের অনেক সহায়তা করেছে। তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।

লিভারের অপারেশন খুবই জটিল। আগে বাংলাদেশে এ অপারেশন করা যেত না। কিন্তু বর্তমানে এই অপারেশন দেশে করা হচ্ছে।

লিভার অপারেশনের জন্য আমাদের দেশের রোগীরা বাইরে যেত। লিভার ক্যানসারের চিকিৎসাও আমাদের দেশে করা হচ্ছে। এর জন্য সব যন্ত্রপাতিও আমাদের আছে।

লিভারে সমস্যা থাকলে অপারেশন করে এর তিন ভাগের দুই ভাগ ফেলে দেওয়া যায়। ফেলে দেওয়া লিভারের বাকি অংশটা পুনরায় প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়।

এ ধরনের অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও আমাদের দেশে আছে। আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থায় যন্ত্রপাতির ভূমিকা অনেক বেশি।

দুই বছর আগে আমরা লিভার প্রতিস্থাপন শুরু করেছি। তার আগে আমাদের নীতিমালা প্রণয়ন করতে হয়েছে।

কারা লিভার দান করতে পারবেন, এ জন্য আইন করা হয়েছে। এই বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সহায়তা করেছেন।

 এখন বাংলাদেশে নিয়মিত লিভার প্রতিস্থাপন করা হবে। এ জন্য বিদেশ যেতে হবে না। যেকোনো কাজের পূর্বশর্ত হচ্ছে ভালোবাসা। ভালোবাসা থাকলে কাজের মান ভালো হবে।

রোগীর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলা খুবই জরুরি। অপারেশনের সময় কী প্রয়োজন হবে। অপারেশনের পর কী সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসার পর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে কি না। কত টাকা খরচ হবে।

চিকিৎসকেরা কী করতে পেরেছেন, কী করতে পারেননি। এ বিষয়গুলো রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বললে তঁারা মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন। তাতে চিকিৎসকদের প্রতি রোগীদের আস্থা ফিরে আসবে।

এখন বাংলাদেশে পিত্ত পাথর, পিত্ত ক্যানসার ইত্যাদির চিকিৎসা হচ্ছে। সরকারি সহায়তায় কম মূলে্য ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

মো. নাসির উদ্দিন


মো. নাসির উদ্দিন
২০০৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর আমার হেপাটাইটিস বি ভাইরাস ধরা পড়ে। তখন ভাইরাসের পরিমাণ জানা যায়নি। চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক আমাকে প্রতি শনিবার ঢাকায় আসতে বলেন। এরপর থেকে আমি নিয়মিত চিকিৎসা নিতে থাকি। ধীরে ধীরে বিভিন্ন পর্যায়ে চিকিৎসা নেওয়ার পর এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।

আমাদের সফলতার চিত্র সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। এটি চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে সহায়তা করবে।

 আমাদের দেশেও ভালো চিকিৎসা হয়। এটা মানুষ বুঝবে। তাহলে তারা আর বিদেশ গিয়ে অনেক টাকা খরচ করে চিকিৎসা করবে না। বরং এর চেয়ে কম খরচে একই মানের চিকিৎসা বাংলাদেশে পাবে।

মো. আনিছুর রহমান


মো. আনিছুর রহমান
হেপাটাইটিস বি–এর কারণে সাধারণত দুই ধরনের রোগ হয়। এক প্রকার রোগ দীঘ৴স্থায়ী হয়। আরেক প্রকার রোগ স্বল্পস্থায়ী। এই ভাইরাস প্রধানত মায়ের মাধ্যমে ছড়ায়। মায়ের বি ভাইরাস পজিটিভ থাকলে তা সন্তানেরও হয়। ৯৫ শতাংশ সন্তান এই ভাইরাস বহন করতে থাকে। কারও ভাইরাস সুপ্ত থাকে, কারও ভাইরাস জাগ্রত হয়।

শিশুদের বি ভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়। নবজাতকদেরও এই টিকা দিতে হবে। জন্মের ছয় সপ্তাহ সময়ে যে টিকা দেওয়া হয়, সেটা মন্দের ভালো। শিশুদের আরও তাড়াতাড়ি টিকা দেওয়া প্রয়োজন।

আমাদের দেশে পানিবাহিত রোগ বেশি হয়। রাস্তাঘাটের পানিতে বিভিন্ন জীবাণু থাকে। হেপাটাইটিস এ ভাইরাস হয় শিশুদের। হেপাটাইটিস ই ভাইরাস বয়স্কদের হয়। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এই ভাইরাসগুলোর জন্য চিকিৎসা করা লাগে না। এগুলো এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।

খাদ্যাভ্যাসের কারণে লিভারে চবি৴ জমা হয়। বিভিন্ন ধরনের ফাস্ট ফুড, চর্বিজাতীয় ও অস্বাস্থ্যকর খাবার বেশি খেলে শরীরে চবি৴ জমে যায়। প্রথম পর্যায়েই এটি সমাধান করতে হবে।

আগে অনেক রোগী পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসত। পিত্তনালির মধ্যে কৃমি ঢুকে গেলে এই সমস্যা হতো। ইদানীং এই সমস্যা খুব কম দেখা যায়। আমাদের দেশে লিভার প্রতিস্থাপন শুরু হয়েছে। বারডেম হাসপাতালে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি চিকিৎসাকেন্দ্র আছে। কিন্তু এটা চালু করা হচ্ছে না। এটা চালু করা হলে দেশের মানুষের অনেক উপকার হবে।

মো. মহসিন কবির


মো. মহসিন কবির
এখন আমাদের দেশে প্রায় সব ধরনের রোগ নির্ণয় করা হচ্ছে। এ জন্য আর দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এখানে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের ইপিআই (এক্সপান্ডেড প্রোগ্রাম অন ইমিউনাইজেশন) কর্মসূচি চালু আছে। হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন নেই।

আগে আমাদের দেশে হেপাটাইটিস সি ও হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের কোনো চিকিৎসা ছিল না। কিন্তু এখন এর চিকিৎসা আছে।সরকার বিভিন্ন কোম্পানি ও বেসরকারি খাতকে কম মূল্যে এই রোগের ওষুধ সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে।

অনেকের রক্তবমি হয়। এন্ডোস্কপি আবিষ্কারের ফলে কোন জায়গা থেকে রক্তপাত হচ্ছে, তা সহজেই শনাক্ত করা যায়। এতে চিকিৎসা করতে সহজ হয়। অনেক ক্ষেত্রে অপারেশন করা ছাড়াও রোগ সারা হচ্ছে। এর মাধ্যমে চিকিৎসা করার ফলে রোগীদের কষ্ট কম হচ্ছে। ফলে জীবনমানের উন্নতি হচ্ছে।

ইমপাল্‌স হাসপাতালে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি চিকিৎসার ব্যবস্থা খুবই ভালো। এখানে রোগীরা স্বল্পমূল্যে উন্নত চিকিৎসা পাবে।

মো. হাসান মাসুদ


মো. হাসান মাসুদ
আমাদের দেশে দক্ষ জনবল তৈরি করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। আমরা বাইরে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছি। সেখান থেকে এসে আমাদের শিক্ষার্থীদের এখন প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। তাঁদের মধ্য থেকে অনেক বিশেষজ্ঞ বেরিয়ে আসবেন।

তা ছাড়া আমাদের হাতে চিকিৎসা প্রযুক্তি তুলনামূলক কম আছে। মেডিকেল কলেজগুলোতে সব যন্ত্রপাতিই আছে। কিন্তু সেগুলোর অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে আছে।

বাংলাদেশে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট কতজন আছেন? ২০০ জনের বেশি হবে না।১৭ কোটি মানুষের জন্য মাত্র ২০০ জন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট চিকিৎসক। এর মধ্যে সবাই আবার প্রশিক্ষিত নন।অনেকেই আছেন, যাঁদের শুধু ডিগ্রি আছে। কিন্তু তাঁরা চিকিৎসা পেশায় নেই। চিকিৎকদের এই সংখ্যাটা খুবই কম।

এন্ডোস্কপি, কোলনস্কপিসহ বিভিন্ন ধরনের আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের পর স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।

ইমপাল্‌স হাসপাতালে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির প্রায় সব যন্ত্রপাতি আছে। আশা করি এখান থেকে দেশবাসী অনেক ভালো চিকিৎসা পাবেন।

ফারজানা ব্রাউনিয়া


ফারজানা ব্রাউনিয়া
আজকের আলোচনায় আসার ফলে আমার অনেক উপকার হয়েছে। অনেক কিছু জানতে পেরেছি। আমি আমার সংগঠন ‘স্বর্ণ কিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশনের’ মেয়েদের আরও বেশি সচেতন করতে পারব।

আমাদের হতাশ হলে চলবে না। অনেক ইতিবাচক দিক আছে। দেশে ১০-১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা ৪ কোটি। তাদের সচেতন করতে পারলে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনা সম্ভব। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে দেশের সব পর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তায় কাজ করতে হবে।

আমাদের সংগঠনের অনেক ক্লাব আছে। এর বেশির ভাগই ইউনিয়ন পর্যায়ে। আমরা স্বাস্থ্য, পুষ্টি, কৃমি ইত্যাদি নিয়ে কথা বলি। মেয়েদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করি।

নিয়মিত তাদের রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। এভাবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

আমাদের ক্লাবের প্রধানদের নিয়ে আয়োজিত সভাগুলোয় এই বিষয়ে আলোচনা করব। এই সভাগুলোতে প্রায় পাঁচ হাজার প্রতিনিধি উপস্থিত থাকেন। এখানে সরকারের সহায়তার দরকার আছে।

আমরা কোন ধরনের খাবার খাব, তা দেখতে হবে। বেশি ভাত খেলে লিভারে চবি৴ জমা হয়। হাত ধোয়া, পয়োনিষ্কাশন—সবকিছুই স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত। আস্থা তৈরি করতে হলে রোগীদের আর্থিক দিকটাও দেখতে হবে। তাদের কাছ থেকে যথেচ্ছভাবে টাকা নিলে হবে না।

মো. শামসুল আরেফিন


মো. শামসুল আরেফিন
আমাদের দেশে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ অনেক বেশি। তবে আগে তা আরও বেশি ছিল। বর্তমানে গড় আয়ু ৭৩ বছর। কিন্তু আমরা যখন তরুণ ছিলাম, তখন এ হার বেশ কম ছিল। গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে আমাদের স্বাস্থ্যসচেতনতা, প্রতিরোধমূলক ওষুধ কাজ করেছে।

জন্ডিস নিয়ে আমাদের দেশে অনেক কুসংস্কার প্রচলিত আছে। বলা হয়ে থাকে, জন্ডিসের কোনো চিকিৎসা নেই। তাই এই রোগ সারানোর জন্য গ্রামে বিভিন্ন ধরনের কবিরাজ থাকেন। তঁাদের থেকে ওষুধ খেয়ে রোগীদের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে।

গ্রামে প্রচলিত আছে, জন্ডিস হলে পানি খাওয়া যাবে না। হলুদ, লবণ, শক্ত খাবার ইত্যাদি খাওয়া যাবে না।

এগুলো খেলে নাকি সমস্যা হয়। এসবই কুসংস্কার। এগুলো প্রতিরোধে গণমাধ্যমের বড় ভূমিকা আছে। এতে করে চিকিৎসার নামে প্রচলিত অপচিকিৎসা বন্ধ হবে।

প্রযুক্তিতে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু আমরা যেখানে জাতীয়ভাবে আস্থাহীনতায় ভুগছি, সেখানে চিকিৎসা খাতকে আলাদা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। চিকিৎসা করার সময় অনেক জটিলতায় পড়তে হয়। ভালোভাবে খবর নিয়ে গণমাধ্যমে সঠিক সংবাদ প্রচার করা উচিত।

বাংলাদেশে প্রশিক্ষিত জনবল কম। এখানে উন্নত দেশের মতো চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব। আমাদের এখানে লিভার প্রতিস্থাপন হয়েছে। সুতরাং আমরা চিকিৎসা প্রযুক্তিতে পিছিয়ে নেই। অভাব রয়েছে প্রশিক্ষিত জনবলের।

গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির ক্ষেত্রে আমরা অল্প কিছু চিকিৎসক কাজ করছি। শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু হয়নি।

মো. আবদুল ওহাব খান


মো. আবদুল ওহাব খান
স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। খরচ বেশি হওয়ায় হয়তো কিছু যন্ত্রপাতি কম আছে। কিন্তু আমরা পিছিয়ে নেই।

বিশ্বের যেকোনো জায়গায় চিকিৎসা খাতে নতুন কোনো আবিষ্কার ও গবেষণা প্রকাশিত হলে তা অতি দ্রুত আমাদের দেশে পৌঁছে যায়। আমাদের অগ্রগতি হচ্ছে। আস্থার সংকট নিরসনে গণমাধ্যমের ভূমিকা খুব বেশি। আস্থার সংকট অনেক বেশি বলে আমি মনে করি না। তা ছাড়া আস্থার সংকট নতুন কিছু না। এটা সব সময় ছিল।

 বিশ্বজুড়েই এটা আছে। এক দেশের রোগীদের অন্য দেশে চিকিৎসা করতে যাওয়া প্রায় সব দেশেই আছে।

বিদেশি রোগীরা যেন আমাদের দেশে চিকিৎসা নিতে আসতে পারে, তার জন্য নীতিমালা করা প্রয়োজন।

আমাদের দেশের যেসব রোগী বিদেশে চিকিৎসা করাতে যান, তঁাদের জন্যও নীতিমালা থাকা দরকার।

এমপি, মন্ত্রী, পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বড় ব্যবসায়ী সবার ক্ষেত্রে খুব বেশি জটিল রোগ না হলে দেশে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে করে দেশে অনেক ভালো চিকিৎসাকেন্দ্র তৈরি হবে।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ


আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ
বাঙালি জাতির উন্নতির পথে অন্যতম বাধা তাদের স্বাস্থ্য। আমাদের দেশের মানুষের স্বাস্থ্য তেমন ভালো না, যতটা ভালো হওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে একটা বই লিখেছি।

আমাদের স্বাস্থ্য এত খারাপ থাকার কথা না। আমরা দ্রাবিড় জাতিগোষ্ঠীর বংশধর। দ্রাবিড়দের স্বাস্থ্য তেমন খারাপ ছিল না। দক্ষিণ ভারতে তাদের বংশধরেরা অনেক শক্তিশালী।

আমাদের খারাপ স্বাস্থ্যের অন্যতম কারণ, পেটের সমস্যা। আগে প্রায় সবার পেটের রোগ ছিল। হিমালয় থেকে উৎপন্ন অনেক নদী বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

এখানে নদীর সংখ্যা অনেক। বাঙালি জাতি নদীর কূল ঘেঁষেই বসবাস শুরু করে। তারা নদীর পানি খেত।

সেই পানি পবিত্র হিসেবে খাওয়া হতো। বলা হতো, স্রোত থাকলে নদীর পানি দূষিত হয় না। ফলে জাতিগতভাবে আমরা পানিবাহিত রোগ বয়ে চলেছি।

বর্তমানে আমাদের দেশের পানি আরও বেশি দূষিত হচ্ছে।

এর মাধ্যমে কলেরা, ডায়রিয়া ইত্যাদি পানিবাহিত রোগ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার পয়োনিষ্কাশনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় সব রোগের চিকিৎসা আছে, তবে অনেক ভয়ও আছে।

স্বাস্থ্য খাতের ওপর মানুষের আস্থা কমেছে। আমাদের এখানে প্রথমেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগী দেখেন।

কিন্তু বাইরের দেশে এমনটি হয় না। সেখানে প্রথমে ছোট চিকিৎসক দেখেন। বেশি সমস্যা হলে তিনি বড় চিকিৎসকের কাছে পাঠান। আমাদের দেশে চিকিৎসক তুলনামূলকভাবে বেশ কম। একজন চিকিৎসককে অনেক বেশি রোগী দেখতে হয়।

এখানে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। তা ছাড়া বিভিন্ন রকম বেসরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠেছে যেখানে সেখানে। ভালো মানের চিকিৎসকদের থেকে খারাপ মানের চিকিৎসকেরা অনেক বেশি ওষুধ দেন।

আমাদের দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর রোগীরা ভরসা পান না।

তাই তাঁরা সিঙ্গাপুর, ভেলোরে যান। আমরা জাতিগতভাবে আস্থাহীনতায় ভুগছি।

আমাদের উচিত চিকিৎসকদের ওপর আস্থা রাখা। তঁাদেরও উচিত বিশ্বাস রাখার মতো কাজ করা।

যাঁরা অংশ নিলেন

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ: শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজসংস্কারক, প্রতিষ্ঠাতা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র

জাহীর আল-আমিন: ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইমপাল্‌স হাসপাতাল

এ কিউ এম মোহসেন: সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও প্রধান, গ্যাস্ট্রোলিভার সেন্টার ইমপাল্‌স হাসপাতাল

সানিয়া তহমিনা: পরিচালক, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডিরেক্টর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

মো. মহসিন কবির: সিনিয়র কনসালট্যান্ট, গ্যাস্ট্রোলিভার সেন্টার, ইমপাল্‌স হাসপাতাল

মো. হাসান মাসুদ: অধ্যাপক, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অ্যান্ড হেপাটোলজি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)

মো. আবদুল ওহাব খান: সাবেক অধ্যক্ষ ও সার্জারি বিভাগের প্রধান, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ

মো. শামসুল আরেফিন: কনসালট্যান্ট, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অ্যান্ড হেপাটোলজি, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেড

মো. মহছেন চৌধুরী: হেপাটো বিলিয়ারি, প্যানক্রিয়াটিক অ্যান্ড লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)

মো. আনিছুর রহমান: সিনিয়র কনসালট্যান্ট অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অ্যান্ড হেপাটোলজি, বারডেম হাসপাতাল

মো. নাসির উদ্দিন: রোগী, ইমপাল্‌স হাসপাতাল, উপসচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ

ফারজানা ব্রাউনিয়া: চেয়ারপারসন ও সিইও, স্বর্ণ কিশোরী নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন

আনিস আহাম্মদ: রোগী, ইমপাল্‌স হাসপাতাল

আব্দুল কাইয়ুম

সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে নবজাতক শিশুদের হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা দেওয়া প্রয়োজন।

আমাদের দেশে চিকিৎসাব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। তবে আরও উন্নতি দরকার। আস্থার সংকট বলতে নেতিবাচক কিছু বোঝানো হয়নি। বরং কোনো ত্রুটি থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই আমাদের উদ্দেশ্য।

আজকের আলোচনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এতে দেশবাসী উপকৃত হবে।

প্রথম আলোর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।