কারাগারগুলোয় জাহালম, বাবুল, আবেদ আলী, মিনুদের মতো মানুষের কাহিনির অভাব নেই। জেলকোডকে দ্রুত সংস্কার করা দরকার।
বাংলাদেশে এখন মোট কারাগার ৬৮টি। এর মধ্যে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার, বাকিগুলো জেলা কারাগার। এসব কারাগারে মোট বন্দী ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৪৫০ জন, কিন্তু আছে তার প্রায় দ্বিগুণ। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের গত জানুয়ারির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তখন কারাগারে বন্দী ছিলেন ৮২ হাজার ৬৫৪ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ৭৯ হাজার ৪৫৪ জন ও নারী ৩ হাজার ২০০ জন। বলা হয়ে থাকে, বন্দী যত বাড়ে কারাগারের অবস্থা তত কাহিল হয়। অব্যবস্থাপনার মাত্রা তত বাড়ে। সেই অনিয়ম অব্যবস্থাপনা দুর্নীতির জন্ম দেয়।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অন্তত ৪০ জন কারা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত চলমান। আর অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ের দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম এসেছে মন্ত্রণালয়ের তদন্তে। ২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম কারাগারের কারাধ্যক্ষ সোহেল রানা বিশ্বাসকে ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, আড়াই কোটি টাকার স্থায়ী আমানত (এফডিআর), ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার নগদ চেক, ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ ময়মনসিংহগামী ট্রেন থেকে রেলওয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি এক বছর আগে কারাগারে অনিয়ম ও দুর্নীতির যেসব খাত খুঁজে পেয়েছে, সেগুলো হলো ক্যানটিনের অনিয়ম, বন্দী বেচাকেনা, সাক্ষাৎ-বাণিজ্য, সিট-বাণিজ্য, খাবার-বাণিজ্য, চিকিৎসা, পদায়ন ও জামিন-বাণিজ্য। এসবের পাশাপাশি রয়েছে দিনের পর দিন বিনা বিচারে নিরপরাধ নারী-পুরুষের কারাবন্দী থাকার করুণ কাহিনি।
মাঝেমধ্যে আমরা চমকে উঠি কারাগারের চেপে রাখা নানা কান্নার আওয়াজে। সর্বশেষ ছিল মিনু–কাহিনি। তাঁকে স্রেফ ত্রাণ দেওয়ার নাম করে আদালতে আসামি হিসেবে তুলে ধরা হয়। সেখান থেকে কারাগারে। অপেক্ষায় থাকা দুধের শিশু আর ছেলে-মেয়েরা কেউ জানতে পারল না তাঁদের মা কোথায়। মিনুর রিকশাচালক ভাই মো. রুবেল বলেছেন, ‘মিনু জেলে, সে খবর আমরা জানতে পারি তিন মাস পর। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কারাগারে আমাদের দেখা করতে দেড় বছর লেগে যায়। প্রথম যেদিন দেখা হয়েছিল, সেদিন সব খুলে বলেছিল মিনু।’
মিনুকে কারাগার থেকে বের করতে লেগে যায় কঠিন তিনটি বছর। এর মধ্যে মারা যায় তাঁর দুধের শিশুটি। আর হারিয়ে যায় তাঁর বড় ছেলে, যার বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। মুক্তির পর আরেক রহস্যজনক সড়ক দুর্ঘটনায় সব অপরাধ আর অনিয়মের সাক্ষী মিনু নিহত হলে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়ে যান। বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী অনুপম সেন এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এই অন্যায়ের আদ্যপান্ত তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত।’
মিনু কি মারা গেছেন, নাকি হত্যা করা হয়েছে? আদালত প্রাঙ্গণের প্রতারকেরা কীভাবে আইন-আদালতকে ফাঁকি দিয়ে জালিয়াতি করার ক্ষমতা রাখে জীবন দিয়ে তার প্রমাণ দিয়ে গেলেন মিনু।
সাতক্ষীরার পুলিশ হত্যা মামলার আসামি আবেদ আলী ওরফে ওবায়দুর রহমান ১৫ বছর ধরে আদালতের কড়া নাড়তে নাড়তে কারাগারেই মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি যে নির্দোষ, সেই স্বীকৃতিটা পেয়েছিলেন। তবে বেঁচে থাকতে মুক্ত জীবনে ফিরতে পারেননি এই হতভাগ্য ব্যক্তি। ২০১৮ সালে এপ্রিলে আদালত তাঁকে কারাগার থেকে খালাস করার আদেশ দেন। রায় কারাগারে পৌঁছাতে অক্টোবর এসে যায়। যেদিন রায়ের অনুলিপি কারাগারে পৌঁছায়, ওই দিন মারা যান আবেদ আলী। ২০০৩ সাল থেকে তিনি আটক ছিলেন কারাগারে।
বাসে ডাকাতির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাবুল মিয়া ১৯৯২ সালে যখন গ্রেপ্তার হন তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। ২০১৭ সালে তিনি যখন বেকসুর প্রমাণিত হন এবং তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়, তখন তাঁর বয়স ৪৩ বছর। দীর্ঘ ২৫ বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। আইনজীবীদের মত, তিনি যদি দোষী সাব্যস্ত হতেন তাহলেও তাঁর কারাদণ্ড হতো বড়জোর ১০ বছর।
মা-বাবার সঙ্গে বাবুল থাকতেন ডেমরার দোলাইরপাড় (এখন যাত্রাবাড়ী থানার মধ্যে) এলাকায়। ঘটনার দিন তিনি ফতুল্লায় যাচ্ছিলেন বন্ধুর কাছে। অটোরিকশায় করে যাওয়ার সময় ডেমরা সেতুর ওপর হঠাৎ পুলিশ তাঁকে আটক করে। পরে রিমান্ডেও নেওয়া হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রথম দিকে মা-বাবা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে যেতেন। বাবুলের বাবা বিমানবাহিনীতে চাকরি করতেন। ছেলে জেলে যাওয়ার পর সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। ১৯৯৫ সালে বাবুলের মা মারা যান। এরপর থেকে কারাগারে থাকা অবস্থায় আর কোনো দিন ভাই কিংবা বোনকে দেখেননি তিনি। তাঁর সাত ভাই ও দুই বোন রয়েছে।
যাঁদের কারণে বাবুলকে এই দীর্ঘ সময় বিনা কারণে কারাগারে থাকতে হয়েছে তাঁদের বিচার দাবি করেছিলেন তখনকার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক। তিনি এ ঘটনাকে চরম অন্যায় বলে অভিহিত করে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বাবুলের প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে, এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। এ ছাড়া বাবুলকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থাও করা উচিত।’
নরসিংদীর এক পাটকলের সামান্য শ্রমিক জাহালম ব্যাংকের ১৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৬ সালে গ্রেপ্তার হন। ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছিলেন আবু সালেক নামের এক ব্যক্তি। যদিও ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জাহালমকেই আবু সালেক বলে চিহ্নিত করেন। তাঁর সাক্ষ্যের ওপর ভিত্তি করেই জাহালম আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন।
জাহালমের ভাগ্য ভালো, গণমাধ্যম তাঁর খোঁজ জেনে যায়। তারপরও হাইকোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরতে তাঁর পাক্কা তিন বছর লাগে। কার দোষে জাহালমকে কারাভোগ করতে হলো, তা বের করতে পরে তদন্ত কমিটি গঠন করে দুদক। কমিটির প্রতিবেদন উচ্চ আদালতে জমা দেওয়া হয়। সব পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত জাহালমকে ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। দুদকের ১২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছিল। তবে সেই মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে কি না বা তাঁদের কোনো শাস্তি হয়েছে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
আমাদের কারাগারগুলোয় জাহালম, বাবুল, আবেদ আলী, মিনুদের মতো মানুষের কাহিনির অভাব নেই।
ব্রিটিশরা যখন জেলখানা তৈরি করে তখন তারা এর সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে জেলকোড তৈরি করেছিল। ১৮৬৪ সালে তৈরি সেই জেলকোডের মাধ্যমে অনিয়মের রাস্তাগুলো নজরদারির মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেখানে সরকারের বা প্রশাসনের সঙ্গে লেনা-দেনা নেই এমন নারী-পুরুষের সমন্বয়ে বেসরকারি কারা পরিদর্শকের ব্যবস্থা [কারাবিধি ৫৬(১) ও (২)] রাখা হয়েছিল।
বেসরকারি পরিদর্শকেরা যেকোনো দিন যেকোনো সময় কারাগার পরিদর্শন করে বন্দীদের হাল সরেজমিনে দেখে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলতে পারতেন। শত বছরের বেশি সময়ের এই চর্চা প্রায় একটা প্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউশনে পরিণত হয়েছিল। যদিও একানব্বই–পরবর্তী রাজনীতির ঘূর্ণিঝড়ে এই চর্চাটি আনুকূল্য বিতরণের মাধ্যমে পরিণত হয়। এই পদে নিয়োগের জন্য শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। পদটি অবৈতনিক, তারপরও নিয়োগ পেতে রীতিমতো বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তদবিরের স্তূপ জমে। মন্ত্রী-সাংসদের বাইরেও সরকারের প্রভাবশালী মহল থেকে একাধিকজনের জন্য তদবির আসে।
তৃতীয় পক্ষের এই ন্যায্য ও নিরপেক্ষ কারা পরিদর্শনের চর্চা এমন নাজুক অবস্থায় পৌঁছায় যে ২০০৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এবং তার আগে ২০০২ সালের ৩ জুন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় চিঠির মাধ্যমে জেলা দায়রা জজদের প্রতি মাসে অন্তত একবার কারাগার পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলেন।
বিচারকদের পরিদর্শন প্রতিবেদনে যেসব বিষয় উল্লেখ করতে বলা হয়েছিল তার মধ্যে বেসরকারি পরিদর্শন প্রক্রিয়াটি কার্যকরী রাখার ইঙ্গিত ছিল বেশ স্পষ্ট। বলা হয়েছিল বিচারকেরা পরিদর্শনের সময় বেসরকারি পরিদর্শকেরা নিয়মিত কারাগার পরিদর্শন করছেন কি না, তাঁদের নাম ও মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ আছে কি না, মেয়াদকাল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেলে নতুন পরিদর্শক নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, নারী বেসরকারি পরিদর্শক পরিদর্শন করছেন কি না, পরিদর্শন বোর্ডের ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে কি না ইত্যাদি বিষয় পর্যবেক্ষণ করবেন। এ ছাড়া তাঁদের প্রতিবেদনে বিনা বিচারে আটক কারাবন্দীর সংখ্যা, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় আটক কারাবন্দীর সংখ্যা, বিদেশি কারাবন্দীদের সংখ্যা, নারী আসামিদের সঙ্গে থাকা শিশুদের সংখ্যা, মেডিকেল ওয়ার্ডে কারাবন্দীদের সংখ্যা, শ্রেণিপ্রাপ্ত কারাবন্দীর সংখ্যা, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কারাবন্দীর সংখ্যা তুলে আনার জন্যও বলা হয়েছিল।
বিচারকদের প্রতিবেদনে আরও কিছু বিষয় বলা হয়েছিল। এর মধ্যে রয়েছে কারাবন্দীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া, দীর্ঘদিন ধরে বিচারাধীন বন্দীদের শনাক্ত করা ও সংশ্লিষ্ট আদালতের নজরে আনা, দীর্ঘদিন ধরে বিনা বিচারে আটক বন্দীদের শনাক্ত ও তদন্তাধীন সংস্থার প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট আদালতকে জানানো এবং মামলা ছাড়া কোনো কারাবন্দী আছে কি না, তা দেখা। বলা বাহুল্য, বেসরকারি পরিদর্শন প্রক্রিয়াটি কার্যকর থাকলে আজ এত সব নিয়ে ভাবতে হতো না।
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক একজন চেয়ারম্যানের মতে, অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে জেলখানায় পড়ে আছেন। তাঁদের বিচারের মুখোমুখি বা আদালতে হাজির করা হচ্ছে না। আবার হাজির করা হলেও বারবার শুনানির দিন বদলে মামলাটিকে বিলম্বিত করা হচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।
জেলকোড তৈরির পর প্রথম সংস্কার হয় ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান আমলে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৮ সালের ৪ নভেম্বর সরকার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এফ কে এম কে মুনিমকে চেয়ারম্যান করে ১০ সদস্যের একটি কারা সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশনের প্রতিবেদনে ১৮০টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল জেলকোড সংস্কার করা। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হয়নি।
দীর্ঘ বিরতি দিয়ে ২০০২ সালে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তখনকার আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কারা সংস্কারবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করা হয়। জেলকোড সংশোধনে এ কমিটি ৬০টি সভার মাধ্যমে একটি খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করে। প্রস্তাবটি ২০০৬ সালের ৯ অক্টোবর মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়।
এই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাজা পাওয়া আসামির কারাদণ্ডের মেয়াদ থেকে হাজতে থাকার সময়টুকু বাদ দেওয়া বা গণনা করার নিয়ম যুক্ত করে ফৌজদারি কার্যবিধি আইন সংশোধন করা হয়েছিল। পাশাপাশি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দিবাযত্ন কেন্দ্র বা ডে কেয়ার সেন্টার চালু করা, টেলিভিশন ও ফ্যানের ব্যবস্থা করা এবং কারা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ ছাড়া কাশিমপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, সাতক্ষীরা, নওগাঁ, মুন্সিগঞ্জ জেলাসহ ১২টি জেলায় কারাগারের কাঠামোগত সংস্কারের কাজ হয়।
এসব কার্যক্রমের পর শেষ মুহূর্তে জেলকোডের সংশোধনী এনে তা আর বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞাপন জারি করে যেতে পারেনি তখনকার সরকার। ২০১৮ সালে ‘কারাবন্দী সংশোধনমূলক পরিষেবা ও পুনর্বাসন আইন’ নামে একটি নতুন আইন করার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাঁদের কাজ এখনো শেষ হয়নি।
কমিটির প্রধান আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক এরই মধ্যে অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে চলে গেছেন। গত জানুয়ারি মাসে একটি সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁরা কিছু কাজ এগিয়ে রেখে এসেছেন। পরবর্তী অগ্রগতি কী, তা তিনি বলতে পারবেন না।
কারা সংস্কারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি কমিটি আছে। সেই কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। তবে জেলকোডকে এখনো আমরা যুগোপযোগী করতে পারিনি। এই কাজটা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা প্রয়োজন।
লেখক গবেষক nayeem5508@gmail.com