আলোচনায় সুপারিশ
■ বাংলাদেশ পুনর্বাসন কাউন্সিল আইন ২০১৮ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে
■ প্রতিবন্ধী ও ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসনের সেবা নিশ্চিত করা দরকার
■ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী ও হাসপাতালের কর্মীদের পুনর্বাসন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি
■ স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসনসেবার মধ্যে রেফারেল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে
■ পুনর্বাসনসেবা প্রদানে নারী পেশাজীবীর সংখ্যা বাড়ানো উচিত
■ প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ, প্রতিরোধের ওপর জোর দিতে হবে
■ স্বাস্থ্য বিমা ও প্রবেশগম্যতার অধিকারের বিষয়ে সরকারের প্রাধান্য দেওয়া দরকার
■ উপযুক্ত তথ্যসেবা প্রচার ও প্রসারের ব্যাপারে মিডিয়া ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোর এগিয়ে আসতে হবে
■ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবার ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে
আব্দুল কাইয়ুম
চিকিৎসার পাশাপাশি পুনর্বাসনসেবা জরুরি। কেননা, চিকিৎসার পর প্রায় কেউই পুরোপুরি সুস্থ হয় না। তাই পুনর্বাসনসেবার প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাংলাদেশে একীভূত স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসনসেবার ঘাটতি রয়েছে। এগুলো নিশ্চিতকরণে পেশাজীবী ও সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। একীভূত স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসনে পেশাজীবী এবং সংগঠনগুলো কী ভূমিকা পালন করে, তাদের কী করা উচিত—এসব আজকের আলোচনায় আসবে। এখন এ বিষয়ে আলোচনা করবেন মো. মাজেদুল হক।
মো. মাজেদুল হক
হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল–হিউম্যানিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন (এইচআই) একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সংস্থা। এটি একটি আন্তর্জাতিক এনজিও হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে এনজিও ব্যুরোর রেজিস্ট্রেশন নিয়ে ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে।
এইচআই প্রতিবন্ধী ও অসহায় মানুষের অপরিহার্য চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন নিয়ে কাজ করে। তাদের আর্থসামাজিক ও জীবনমান উন্নয়ন এবং মর্যাদা ও মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে সহায়তা করে। এ ছাড়া পুনর্বাসনসেবার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী ও সংগঠনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও কাজ করছে।
এইচআই তাদের কাজের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকাগুলোতে প্রতিবন্ধী ও অপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একীভূত শিক্ষা, জীবিকায়ন, একীভূত স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন নিয়েও কাজ করে।
পুনর্বাসনসেবার ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশি-বিদেশি এনজিওগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
মো. গোলাম মোস্তফা
২০১৭ সালের শুরুর দিকে এইচআই ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো যৌথভাবে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক একটি জরিপ চালায়। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থায়ন করে। সহযোগিতা করে নসাল ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ। এখানে ৬ হাজার ৭৫২ জন ব্যক্তির ওপর গবেষণা চালানো হয়। জরিপটা কুড়িগ্রাম ও নরসিংদীতে করা হয়। দুই জেলার মধ্যে কুড়িগ্রামের ৬০ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা ও ৮৩ শতাংশ মানুষ পুনর্বাসনসেবা পায় না। আর নরসিংদীতে এর পরিমাণ ২৮ ও ৪৭ শতাংশ।
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের তুলনায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসনসেবা, সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ, মতামত প্রদান, কর্মসংস্থান, পারস্পরিক যোগাযোগ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কম সুবিধা ভোগ করে। সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হলো সেবার অপর্যাপ্ততা, তথ্যের অভাব ও অসচেতনতা।
২০১৮ সালে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ও এইচআই যৌথভাবে ছয়টি জেলায় আরেকটি গবেষণা চালায়। গবেষণার শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসনসেবাগুলোর মধ্যে সমন্বয়’। এ গবেষণায় দেখা যায়–
একজন ব্যক্তির পুনর্বাসনসেবা নেওয়া শুরু করতে গড়ে প্রায় আড়াই বছর সময় বিভিন্নভাবে অতিবাহিত হয় এবং অনেক অর্থ খরচ করে ফেলে। ফলে পুনর্বাসনসেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে তাদের তেমন আর্থিক সামর্থ্য থাকে না।
চিকিৎসা ও পুনর্বাসনসেবার মধ্যে পারস্পরিক রেফারেল প্রক্রিয়া দৃশ্যমান নয়, এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের বিভিন্ন পুনর্বাসনসেবা যেমন- ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি, প্রস্থেটিকস অ্যান্ড অর্থোটিকস, সাইকোথেরাপি ইত্যাদি সম্পর্কে তাদের ধারণা থাকা জরুরি।
পুনর্বাসনসেবা কেন্দ্রগুলোতে নারী সেবা প্রদানকারীর স্বল্পতা নারীদের সেবা গ্রহণকে সীমাবদ্ধ করছে।
তবে, ৯৬ দশমিক ৬ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন যে পুনর্বাসনসেবা গ্রহণের ফলে তঁাদের স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
পুনর্বাসনসেবাকে শক্তিশালী করতে স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন পেশাজীবীদের মধ্যে এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করে উপরিউক্ত সমস্যাগুলোর আশু সমাধান প্রয়োজন।
দেবেশ দাস
২০১৪ সালে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে একীভূত স্বাস্থ্যসেবা ও পুনর্বাসন প্রকল্প শুরু হয়। এর কার্যক্রম এখনো চলছে। এতে ৯টি উপজেলাকে বেছে নেওয়া হয়।
গবেষণায় প্রতিবন্ধী ও এ ধরনের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। এদের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার। তার মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ জনকে সেবা প্রদান করা হয়েছে।
এ জন্য ১০০ জন চিকিৎসক ও ২৪০ জন সেবাপ্রদানকারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরপরও অনেক সমস্যা থেকে যায়। অনেক সময় প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা বদলি হয়ে যান। পরবর্তী সময়ে নতুন কেউ দায়িত্ব পান। তাঁদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হয়।
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা অনেক। তাদের চাহিদাও অনেক। কিন্তু সে অনুযায়ী সম্পদ নেই। তাই আমাদের ঘাটতির পরিমাণ বেশি। ফলে পুনর্বাসনসেবা যথাযথভাবে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বেসরকারি উদ্যোগে কোনো সমস্যা সহজে সমাধান হয় না। এ জন্য বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
ফিদা আল্–শামস্
বাংলাদেশে ২০০৪ সালে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট কোর্স চালু হয়। দেশে ১০০ জনের বেশি গ্র্যাজুয়েট স্পিচ ও ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট রয়েছেন।
অনেক শিশু দেরিতে কথা বলে। কারও কথায় অস্পষ্টতা লক্ষ করা যায়। স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টরা তাদের নিয়ে কাজ করেন।
অনেকের স্ট্রোক ও খাবার গলাধঃকরণজনিত সমস্যা থাকে। তাদের নিয়েও কাজ করা হয়।
বিভিন্ন হাসপাতালে ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগী দেখা যায়। তাদের বিনা মূল্যে চিকিত্সা দেওয়া হয়। কিন্তু পরে খোঁজখবর রাখা হয় না। চিকিত্সার পর এদের উচ্চারণগত সমস্যা হয়। বাংলাদেশে শ্রবণপ্রতিবন্ধীর সংখ্যা অনেক। তাদেরও স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট প্রয়োজন।
মানুষ দুর্ঘটনায় পড়ে প্রতিবন্ধী হতে পারে। আর স্ট্রোকের পর যেকোনো সমস্যা হতে পারে। প্রতিবন্ধকতা নিরসনে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট প্রয়োজন। একটি শিশু ৯ থেকে ১৮ মাস বয়সের কথা বলা শুরু করে। শিশুর কথা বলতে দেরি হলে পুনর্বাসনসেবা প্রদান করতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সেটা সম্ভব হয় না। পুনর্বাসনসেবা দেরিতে প্রদান করা হয়। প্রায় আড়াই বছর পেরিয়ে যায়। বাংলাদেশ জনবহুল দেশ। সবার স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট প্রয়োজন। তাই এ িচকিৎসা িনশ্চিত করতে হবে।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সান্ধ্য কোর্স চালু হয়েছে। এগুলোর ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য থাকে। কোর্স গ্রহণকারীরা তঁাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিত্সা করান না। তাঁরাই আবার বিভিন্ন হাসপাতালে সেবা প্রদান করেন। বিষয়টা খুবই ভয়াবহ।
পুনর্বাসন কাউন্সিল আইন বাস্তবায়নে কমিটি গঠন করা হবে। সেখানে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টের অংশগ্রহণ যৌক্তিক। বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার।
মো. কামাল উদ্দিন
দেশের স্বার্থে আইন প্রণয়ন করা হয়। নতুন আইনে অনেকে খুশি হয়। অনেকের মন খারাপ হয়। ২০১৮ সালে পুনর্বাসন কাউন্সিল আইন প্রণয়ন হয়েছে। অনেকে খুশি হয়েছে। অনেকে অখুশি হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এই আইনের আওতায় সেবা প্রদান করবেন। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই একমাত্র প্রতিষ্ঠান নয়, দেশে আরও অনেক সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। অথচ সেসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেবা প্রদান করতে পারবেন না। এই অসংগতি বিবেচনা করতে হবে।
মনোবিজ্ঞানীরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। মানুষ দুর্ঘটনায় হাত-পা হারায়। ওই ব্যক্তির সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও ভেঙে পড়েন। তঁাদের কথা কেউ ভাবেন না। তাঁদের মন ভালো করার জন্য মনোবিজ্ঞানী প্রয়োজন। মনোবিজ্ঞানীরা তাঁদের মন ভালো করতে পারেন।
কোনো ব্যক্তির পা ভেঙে গেলে তিনি পঙ্গু হয়ে যান। অনেকে ভাবেন, তিনি কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। এটা ভুল ধারণা। তিনি আগের থেকে বেশি কর্মক্ষম হয়ে যেতে পারেন। এটা মনোবিজ্ঞানে প্রমাণিত।
দেশে মেধাবী মানুষ গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে তাঁরা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হতে পারেন। নতুন প্রজন্মের বুদ্ধি বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু তাঁরা আবেগপ্রবণ নন।
সমস্যায় পড়ার পর সমাধান খোঁজা হয়। কিন্তু এটা আসল সমাধান নয়। আগে থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদি প্রতিবন্ধকতা কমাতে হবে। এ জন্য স্কুলপর্যায়ে মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ করা যেতে পারে। জিপিএ-ভিত্তিক লেখাপড়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অনেকে হয়তো জিপিএ–৫ পায় না কিন্তু তাদের অনেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে ভালো করে। সেগুলো মূল্যায়ন করতে হবে।
কৃষ্ণ সেন
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। সেখান থেকেই অকুপেশনাল থেরাপি পেশার পথচলা শুরু হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধেও অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। যুদ্ধাহত মানুষের পুনর্বাসনসেবার কথা ভাবা হয়। ১৯৭২ সালে অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসা ও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয় ।
১৯৯৯ সালে পুনরায় অকুপেশনাল থেরাপি শিক্ষা চালু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শুধু সিআরপিতে স্নাতক শিক্ষা পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় ২৬৮ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। তাঁরা সম্মানের সঙ্গে দেশে-বিদেশে কাজ করছেন। কিন্তু দেশে সঠিক মর্যাদা পান না।
স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর হতে যাচ্ছে। এখনো কোনো প্রতিষ্ঠান এই শিক্ষার প্রসার ঘটাতে পারেনি। সরকার এ নিয়ে অনেক আলোচনা করেছে। অনেক আশার বাণীও শোনা গেছে। কিন্তু এখনো আলোর মুখ দেখা যায়নি।
পুনর্বাসন কাউন্সিল আইনে পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্ব প্রায় অনুপস্থিত। এ আইন সংশোধন হওয়া দরকার। পেশাজীবীদের সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রতিনিধিত্ব থাকা জরুরি।
ভেলরি এ টেইলর
দেশে পুনর্বাসনসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য নার্সদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। পক্ষাঘাতগ্রস্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) আওতায় ডিপ্লোমা ও ডিগ্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এর মধ্যে ফিজিওথেরাপিস্ট ও অকুপেশনাল থেরাপিস্ট অন্যতম।
এ ছাড়া স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট, প্রস্থেটিকস অ্যান্ড অর্থোটিকস সম্পর্কেও পাঠদান করানো হয়। আমরা মোট পাঁচ বছর প্রশিক্ষণ প্রদান করি। চার বছর কোর্স করানো হয়। আর এক বছর ইন্টার্নশিপ করানো হয়।
সরকারি হাসপাতালগুলোর অবস্থা খুব খারাপ। দীর্ঘমেয়াদি কোর্স করার কথা বলা হয় না। উল্টো স্বল্প সময়ে কোর্স করার পরামর্শ প্রদান করা হয়। এটি খুবই বিপজ্জনক।
একজন মেয়ের পা অচল হয়ে গেছে। এখন চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়ন করছে। মজার বিষয় হলো, সে ক্লাসে সবচেয়ে ভালো করছে। প্রতিবন্ধী কিংবা ঝুঁকিতে থাকাদের মন খারাপ করার কিছু নেই। তাদের দ্বারা ভালো কিছু করা সম্ভব।
বছরের শুরুতে একজন পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষ সিআরপিতে আসেন। তিনি চিকিৎসার জন্য আসেননি। স্পিচ থেরাপি কোর্স করার জন্য আসেন। আমরা তাঁর আগ্রহ লক্ষ করেছি। সবাইকে তার মতো আগ্রহী হওয়া উচিত।
অস্ট্রেলিয়ায় মিউজিক থেরাপিস্ট অনেক জনপ্রিয়। এর মাধ্যমে বেশ সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। বাংলাদেশেও মিউজিক থেরাপিস্টের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
প্রত্যেক মানুষের মানসিক প্রশান্তি প্রয়োজন। প্রতিবন্ধীরাও শান্তিতে বাঁচতে চান। তঁাদের সুখের ব্যবস্থা করে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।
শেখ হামিম হাসান
প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। বিভিন্ন পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছে। কিছুটা সফলতাও এসেছে। আগে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হতো না। কোনো সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব নয়। পুরোপুরি সফলতা পেতে সময় লাগবে। ধৈর্য ধারণ ও সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
২০১৩ সালে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হয়। এরপর বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধকতা ঝুঁকি হ্রাস ও প্রতিরোধের ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে। হাসপাতালের পরিবেশ ভালো রাখা প্রয়োজন। আর চিকিৎসাবিমার ব্যবস্থা করতে হবে।
পুনর্বাসন কাউন্সিল আইনে অনেক ঘাটতি রয়েছে। অনেক কিছু সংযোজন করা প্রয়োজন। সময়ের সঙ্গে সেটা করা হবে। উন্নতির জন্য অন্য দেশগুলোকে অনুসরণ করতে হবে। তাহলে কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জিত হবে।
সাভারে ১২ একর জমিতে ক্রীড়া কমপ্লেক্স বানানো হচ্ছে। এ কাজ শেষের পথে। এটি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বানানো হচ্ছে। অনেক বড় বাজেটও ধরা হয়েছে।
ক্রীড়া কমপ্লেক্সটি কুয়ালালামপুর ও সিউলের আদলে বানানো হচ্ছে। থ্রিডি অ্যানিমেশন সংযুক্ত করা হয়েছে। এটা অনেক প্রশংসিত হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
প্রতিটি উপজেলায় সাহায্য-সেবা কেন্দ্র তৈরি করা হবে। বর্তমানে ৬২টি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল রয়েছে। িকন্তু প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা দরকার। এ নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
সরকার আইনগত দিকে অনেক উন্নতি করেছে। শিক্ষা নীতিমালাও গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা শিক্ষা নীতিমালা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সহযোগিতা কেন্দ্রকে অত্যাধুনিক মানের করে তোলা হবে।
মো. শফিকুল ইসলাম
ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর প্রস্থেটিকস অ্যান্ড অর্থোটিকসকে সংক্ষেপে আইএসপিও বলা হয়। বাংলাদেশে এটি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন কারণে মানুষের অঙ্গহানি ঘটে। আইএসপিএ তাদের জন্য কাজ করে। অনেকের অঙ্গের কার্যক্ষমতা কমে যায়। সেটা পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য সংস্থাটি কাজ করে।
অঙ্গ সংযোজনের প্রক্রিয়া অনেক জটিল। এ জন্য মেকানিক, বায়ো-মেকানিক, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ সব ধরনের জ্ঞানের সমন্বয় প্রয়োজন।
বাংলাদেশে প্রস্থেটিকস ও অর্থোটিকস পেশা ২০০৩ সালে শুরু হয়। প্রথমে প্রাথমিক সেবা প্রদান করা হতো। এখন কাজের পরিধি বেড়েছে।
২০১৪ সালে রানা প্লাজায় দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর প্রস্থেটিকস ও অর্থোটিকস সেবার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। তখন দেশে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন পেশাজীবী ছিলেন। তাঁরা ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে ডিপ্লোমা ডিগ্রিপ্রাপ্ত হন।
২০১৪ সালে ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা হয়। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্মতি প্রদান করে। গত বছর প্রথম ব্যাচের ১০ জন শিক্ষার্থী কোর্স শেষ করেছে। দ্বিতীয় ব্যাচেও ১০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
অনেকে বাইরে থেকে ডিপ্লোমা করে আসেন। কেউ আবার দেশের বাইরে চলে গেছেন।
বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এ দেশে অনেকের কৃত্রিম অঙ্গ সংযোজন প্রয়োজন। কিন্তু প্রস্থেটিকস ও অর্থোটিকস পেশাজীবীদের সংখ্যা অনেক কম। এই পেশাজীবীর সংখ্যার পরিমাণ বাড়াতে হবে।
অন্যান্য দেশে এই পেশায় ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যন্ত রয়েছে। এখানে শিক্ষার প্রসার ঘটানো সম্ভব হচ্ছে না। এই শিক্ষার প্রসার ঘটানো দরকার। সম্প্রতি পুনর্বাসন কাউন্সিল আইন পাস হয়েছে। সেখানে প্রস্থেটিকস ও অর্থোটিকস পেশাজীবীরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
এস এম ফারহান বিন হোসেন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দেশে প্রতিবন্ধী ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ। প্রতিবন্ধী ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের কর্মক্ষেত্রে ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় অর্থনীতিবান্ধব ও ডিজিটাল দেশ গড়া সম্ভব হবে না।
দেশে অনেক সরকারি ও বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। সেগুলোতে অকুপেশনাল থেরাপিস্টের পদ সৃষ্টি করতে হবে।
দেশে অনেক গার্মেন্টস ও কলকারখানা রয়েছে। এগুলোতে স্বাস্থ্যনিরাপত্তা ও উপযোগী কর্মপরিবেশ প্রয়োজন। এ জন্য অকুপেশনাল থেরাপিস্টের প্রয়োজন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের অনেক প্রয়োজন।
অধিকাংশ মানুষ গ্রামাঞ্চলে বাস করে। তারা অকুপেশনাল থেরাপি ও পুনর্বাসনসেবা সম্পর্কে জানে না। এসব বিষয়ে তাদের জানাতে হবে।
পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সা ও পুনর্বাসনসেবা দরকার। আর স্বাস্থ্যবিমাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। পেশাজীবী ও হাসপাতালের কর্মীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে। উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার অপরিহার্য।
পুনর্বাসন আইন দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। এর মাধ্যমে বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও কমিউনিটি ক্লিনিকে একীভূত স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসনসেবা নিশ্চিত করা যাবে।
রাজীব হাসান
সম্প্রতি ছয়টি জেলায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। এতে ৩৯৬ জন সেবা গ্রহণ করে। তারা সেবার বিষয়ে ইতিবাচক প্রভাবের কথা বলেছে। তবে পুনর্বাসনসেবা প্রদানে অনেক ঘাটতি রয়েছে। সেটা গবেষণায় এসেছে।
ছয়টি জেলার মধ্যে ছয়টি উপজেলা কেন্দ্র ছিল উল্লেখযোগ্য। এখানে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা অনেক বেশি। সে অনুযায়ী জনবল নেই।
প্রতিবন্ধকতা কমানোর জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ প্রয়োজন। সরকার দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে। সামনেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সরকার পুনর্বাসনের জন্য কাজ করতে আগ্রহী। সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকার যুক্ত রয়েছে। সবার কাছ থেকেই তথ্য নেওয়া হচ্ছে। তবে এখানেই শেষ না। কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে, সমস্যাগুলোর সমাধান কীভাবে করা যাবে, সে বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পুনর্বাসন বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি এখন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
মো. শাহাদৎ হোসেন
ফিজিওথেরাপি একটি স্বীকৃত চিকিৎসা পেশা। এটি মানবদেহের কর্মক্ষমতা ও শারীরিক সক্ষমতা নিশ্চিত করে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য ও জীবনমানের উন্নয়ন করে।
প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্য একজন ফিজিওথেরাপিস্ট দরকার। কিন্তু আমাদের প্রতি ১ লাখ মানুষের জন্য একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রয়েছেন।
দেশে অনেক ভুয়া ফিজিওথেরাপি সেন্টার রয়েছে বলে অভিযোগ শোনা যায়। সেখানে মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ফিজিওথেরাপিস্টরা প্রথম শ্রেণির পেশাজীবী। কিন্তু গত কয়েক দশকে শূন্যপদে তঁাদের নিয়োগ হচ্ছে না। সরকারি হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি বিভাগসমূহ অকার্যকর।
সঠিক ও মানসম্মত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে পুনর্বাসন চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এটা এখন সময়ের দাবি।
সরকারের ইশতেহারে প্রতিবন্ধিতা উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে। তাঁর সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরি। অন্যথায় দেশ কাঙ্ক্ষিত লক্ষে্য পৌঁছাতে পারবে না। তাই এদিকে সরকারের লক্ষ রাখা দরকার।
মো. গোলাম রব্বানী
সরকারের সব মন্ত্রণালয় সর্বদা তৎপর। ফলে দেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এরপরও কিছু ঘাটতি রয়েছে। সমন্বিতভাবে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শ্রীলঙ্কার চিত্রটা একটু ভিন্ন। স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পাশাপাশি অবস্থান করছে। ফলে দ্রুত সফলতা পাচ্ছে। আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
সরকার পুনর্বাসনসেবা প্রদানে প্রস্তুত। তবে একা কাজ করা সম্ভব নয়। অনেকে পুনর্বাসন নিয়ে কাজ করে। তাদের উৎসাহিত করা উচিত।
সুশিক্ষিত জনবল দেশের অনেক বড় সম্পদ। তাদের এগিয়ে আসতে হবে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। সাধারণ জনগণকে এ ব্যাপারে সচেতন করতে হবে। আর এসব ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
সবাইকে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে হবে। যে কোনো ধরনের লোভ থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে মানুষের স্বার্থ রক্ষা হবে।
আইনে ঘাটতি থাকতে পারে। সেগুলো চিহ্নিত করতে হবে। পরবর্তীকালে সংশোধন করা হবে।
আইন প্রণয়ন করা সহজ নয়। জটিল প্রক্রিয়ায় এই কার্য সম্পাদন করতে হয়। পুনর্বাসন কাউন্সিল আইনের ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করতে হবে।
পুনর্বাসন আইনের মাধ্যমে সরকার পথ দেখিয়েছে। এখন একত্রে কাজ করতে হবে। সমন্বিতভাবে কাজ করলেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।
আব্দুল কাইয়ুম
দেশের উন্নতির জন্য সবার অংশগ্রহণ আবশ্যক। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশের শিকার ব্যক্তিরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তঁাদের সেবায় এগিয়ে আসতে হবে।
আজকের আলোচনায় যেসব সুপারিশ এসেছে, সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রথম অালোর পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
যাঁরা অংশ নিলেন
মো. গোলাম রব্বানী: চেয়ারম্যান, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
শেখ হামিম হাসান: পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), যুগ্ম সচিব, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
রাজীব হাসান: উপপরিচালক (পরিকল্পনা), জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
ভেলরি এ টেইলর: প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী, পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)
মো. মাজেদুল হক: অপারেশনাল কো-অর্ডিনেটর, এইচআই
মো. গোলাম মোস্তফা: প্রজেক্ট ম্যানেজার, এইচআই
কৃষ্ণ সেন: সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ
অকুপেশনাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিওটিএ)
ফিদা আল্-শামস্: সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সোসাইটি অব স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টস (এসএসএলটি)
মো. শফিকুল ইসলাম: সহসভাপতি, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর প্রস্থেটিকস অ্যান্ড অর্থোটিকস-বাংলাদেশ (আইএসপিও)
মো. কামাল উদ্দিন: যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতি (বিপিএ)
দেবেশ দাস: উপপরিচালক, ডিজঅ্যাবলড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন (ডিআরআরএ)
এস এম ফারহান বিন হোসেন: ক্লিনিক্যাল অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, সিআরপি, মিরপুর ব্রাঞ্চ, ঢাকা
মো. শাহাদৎ হোসেন: সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ িফজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)
সঞ্চালক
আব্দুল কাইয়ুম: সহযোগী সম্পাদক, প্রথম আলো