ড. শাহদীন মালিক ২০০০ সাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে। নব্বইয়ের দশকে কাজ করেন এনজিও সেক্টরে। তাঁর গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্রের আইনবিষয়ক জার্নালে। তিনি বাংলাদেশ জার্নাল অব ল সম্পাদনা করেছেন ১৯৯৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের পরিচালক ছিলেন (২০০৪-২০১৪); শিক্ষকতা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে। আইনের ডিগ্রি লাভ করেছেন মস্কো, ফিলাডেলফিয়া ও লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিতা দিবস উপলক্ষে গতকাল তিনি কথা বলেছেন বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা পরিস্থিতি নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সোহরাব হাসান।
প্রথম আলো: আমাদের সংবিধানে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা কতটা নিশ্চিত করা হয়েছে, আর বাস্তবে তা কতটা আছে?
শাহদীন মালিক: আমাদের সংবিধান পুরোপুরি বাক্ ও সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেনি। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, নৈতিকতা, শালীনতাসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইন করে সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রিত করার ক্ষমতা সংসদকে দেওয়া হয়েছে। তবে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা সীমিত করার আইনগুলো যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত হতে হবে। ইদানীং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ভাবমূর্তিসংক্রান্ত ধারাগুলো (বিশেষত ধারা ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১) নিঃসন্দেহে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ঢালাওভাবে সীমিত করেছে। এই ধারাগুলো এমনভাবে প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে ইচ্ছা করলে অনেক বক্তব্যকে এসব ধারার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে মর্মে অভিযোগ আনা যাবে। এই গোছের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারও করা যাবে। তথাকথিত অভিযুক্তকে বহুকাল জেল খাটতে হবে। কেন জানি না, ইদানীং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের মামলাগুলোতে বিচারকেরা সহজে জামিন দিচ্ছেন না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে জেল খাটার ভয়ে সংবাদকর্মীরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতাচর্চায় ইতস্তত করতে, এমনকি পিছপা হতে বাধ্য হচ্ছেন।
প্রথম আলো: স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেল। এর মধ্যে সামরিক, বেসামরিক, গণতান্ত্রিক দোআঁশলা সরকারও এসেছে। সংবাদমাধ্যম সবচেয়ে কঠিন সময় কখন পার করেছে বলে মনে করেন?
শাহদীন মালিক: কোনো আমলেই সাংবাদিকদের জন্য সহজ সময় ছিল না। সত্তরের দশকে যখন প্রায় সব পত্রিকাই বন্ধ ঘোষণা করা হয়ে যায়, তখন এবং বর্তমান কালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে সাংবাদিকেরা কঠিনতর সময় পার করছেন। ইদানীং একটা বক্তব্য, রিপোর্ট করা বা পোস্ট দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে অর্থাৎ একটা ঘটনার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন থানায় গন্ডায় গন্ডায় মামলা হচ্ছে। এতকাল জেনেছিলাম, পড়েছিলাম যে একটা ঘটনার জন্য ফৌজদারি মামলা একটাই হতে পারে। প্রায় ২০০ বছরের এই নিয়ম গত দুই বছরে সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, টেলিভিশনের একটি টক শোতে একটা শব্দ ব্যবহার করার জন্য ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে গোটা বিশেক মামলা হয়েছিল। এই ধরনের গন্ডায় গন্ডায় মামলা হওয়া নিঃসন্দেহে আইনের জগতের অষ্টম আশ্চর্য। তবে বর্তমানকালে আরেকটা কারণে কখনো কখনো সাংবাদিকেরা নিজেরাই নিজেদের স্বাধীনতা সীমিত করছেন। বলতে গেলে দু–একটি ব্যতিক্রম বাদে প্রায় সব সংবাদমাধ্যম-সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল, নিউজ পোর্টালের পেছনে রয়েছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ব্যবসায়ীরা যেমন দলে দলে সংসদে ঢুকেছেন, তার থেকেও বেশি ঢুকেছেন সংবাদমাধ্যমের জগতে। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, কিন্তু ব্যবসায়িক স্বার্থে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত হওয়ার প্রবণতাটা এখন আর উপেক্ষা করা যায় না।
প্রথম আলো: কিছু আইন আছে, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য বড় বাধা এবং সেই দিক থেকে সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। বিষয়টি কীভাবে দেখেন?
শাহদীন মালিক: কিছু আইন অবশ্যই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার পরিপন্থী। তবে এটা অনস্বীকার্য যে আইন ছাড়াও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ, আমাদের স্বাধীনতার স্পৃহা, অধিকার সচেতনতা এবং রাজনৈতিক দলের প্রতি অন্ধ সমর্থন ইত্যাদির তারতম্যের কারণেও বাক্স্বাধীনতা সীমিত হতে পারে। কাগজে-কলমে আমাদের গণতন্ত্রের বয়স ৫০ বছর হয়ে গেছে, কিন্তু সত্যিকার গণতন্ত্রের বয়স অনেক কম। এটা আমাদের সমষ্টিগত ব্যর্থতা। আর এই ব্যর্থতার সুযোগে কালাকানুন করে বাক্স্বাধীনতা আরও সীমিত করা হচ্ছে। এর সঙ্গে মনে রাখতে হবে যে নিম্ন আদালত এখনো বহুলাংশে আইন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন আর উচ্চ আদালতে বিচারপতি নিয়োগে অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দর্শন বা দৃষ্টিভঙ্গি অন্যতম প্রধান বিবেচ্য। এখন দেখছি উচ্চ আদালতের উদ্যোগে বইও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অতীতে সরকার কোনো বই বাজেয়াপ্ত করলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের শরণাপন্ন হতেন তাঁর অধিকার সুরক্ষায়।
প্রথম আলো: সম্প্রতি রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবার নিচে। কারণ কী?
শাহদীন মালিক: এই লজ্জা রাখি কোথায়? আফগানিস্তানের মতো একটা উগ্র সাম্প্রদায়িক দেশ আর রাজা-বাদশাহদের ভুটানও আমাদের চেয়ে ওপরে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে আমাদের স্থান ১৫২তম। আমাদের অবস্থানের ব্যাপারে সম্যক উপলব্ধির জন্য তাকাতে হবে আমাদের চেয়েও অধম দেশগুলোর তালিকার দিকে। দু-চারটা ব্যতিক্রম ছাড়া সেই দেশগুলো হয় রাজা-বাদশাহদের দেশ অথবা একই ব্যক্তি যেখানে অন্তত সিকি শতাব্দী ধরে ‘নির্বাচনের পর নির্বাচনে জিতে’ ক্ষমতায় আছেন বহাল তবিয়তে।
প্রথম আলো: ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন পাস হলে ভাবা গিয়েছিল সাংবাদিকদের তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে এক ধাপ অগ্রগতি হলো। কিন্তু সরকারি কিংবা ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানই তথ্য দিতে উৎসাহী নয়। প্রতিকার কী?
শাহদীন মালিক: ইদানীং বিভিন্ন কমিশন হয়। নিজের কাছের লোকের একটা পদের ব্যবস্থা করার জন্য। দু-একটা ব্যতিক্রম যে নেই, তা নয়। তবে বেশির ভাগ কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য পদ সৃষ্টি। অতএব এ গোছের কমিশনগুলোর কাছ থেকে ভালো কিছুর প্রত্যাশা দুরাশা মাত্র।
* ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভাবমূর্তিসংক্রান্ত ধারাগুলো নিঃসন্দেহে সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে ঢালাওভাবে সীমিত করেছে। * কাগজে-কলমে আমাদের গণতন্ত্রের বয়স ৫০ বছর, কিন্তু সত্যিকার গণতন্ত্রের বয়স অনেক কম। * গণতন্ত্র যেহেতু অত্যন্ত সীমিত, তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সাংবাদিকতার স্বাধীনতাও সীমিত।
প্রথম আলো: তথ্য অধিকার আইন সাংবাদিকদের তথ্য পাওয়ার যে অধিকার দিয়েছিল, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তা কেড়ে নিয়েছে। দুই আইন সাংঘর্ষিক হলে কোনটির অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত?
শাহদীন মালিক: পরের আইন পূর্বের আইনের ওপরে প্রাধান্য পায়। অর্থাৎ ২০০৯-এর তথ্য অধিকার আইনের ৯ বছর পর ২০১৮ সালে ডিজিটাল আইনটি হয়েছে, তাই ২০১৮ সালের আইনটি ২০০৯ সালের আইনের ওপর প্রাধান্য পাবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে বক্তব্যগুলোকে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করে সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেগুলো এতটাই ব্যাপক যে যেকোনো ব্যক্তিকে বক্তব্যের কারণে অভিযুক্ত করার জন্য সবচেয়ে জুতসই ব্যবস্থা। যেমন প্রচারণা ও প্রোপাগান্ডা করা অপরাধ। এখন প্রশ্ন হলো একজন সাংবাদিকের কোন বক্তব্য বা কোন বাক্য প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণার আওতায় পড়বে, তার কোনো নির্দিষ্ট মাপকাঠি নেই।
আরেকটা ধারায় আছে কিছু অপপ্রচার অপরাধ। সমস্যা হলো কোন বক্তব্য অপপ্রচার, কোনটা সুপ্রচার, কোনটা উঁচু প্রচার, কোনটা নিচু প্রচার—এগুলোর সংজ্ঞা কী? এসব কারণে গণতন্ত্র ও বাক্স্বাধীনতা আছে এমন কোনো দেশে প্রচারণা, অপপ্রচার ইত্যাদিকে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয় না। তবে একটা ব্যতিক্রম আছে। কোনো অপপ্রচারের কারণে যদি অপরাধ সংঘটিত হয়, যেমন মার্চের শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, সম্পত্তি ধ্বংস—এই অপরাধগুলো যে প্রচারণা বা অপপ্রচারের কারণে সংঘটিত হয়েছিল, সেই প্রচারণা বা অপপ্রচার অপরাধ বলে গণ্য হবে। আমার ধারণা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্যকে অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে শুধু বাক্স্বাধীনতা খর্ব করার উদ্দেশ্যে এবং এটা সরকার জেনেশুনেই করেছে।
প্রথম আলো: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যত মামলা হয়েছে, তার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। অনেককে হয়রানি-নির্যাতন করা হয়। এখানে সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষার কোনো উপায় আছে কি?
শাহদীন মালিক: না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি দিক আছে। একটা হলো সাইবার ক্রাইম সংজ্ঞায়িত করা এবং তার শাস্তির বিধান করা। আর অপর দিকটি হলো ভয়ভীতি দেখিয়ে জেলে পুরে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ইচ্ছেমতো সীমিত করা। আর যেহেতু এই আইনটার উদ্দেশ্যই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সীমিত করা, তাই এই আইন যত দিন বলবৎ থাকবে, তত দিন ভয়াবহ অবস্থা চলতেই থাকবে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ না করার অসত্য আশ্বাসের যে বুলি মন্ত্রী মহোদয়রা আউড়িয়েছেন, সেটাই অব্যাহত থাকবে।
প্রথম আলো: সম্প্রতি ভারত সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করে আইন পাস করেছিল। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সেই আইন বাতিল করে দিয়েছেন। আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে এ রকম কোনো রায় পাওয়া আশা করা যায় কি?
শাহদীন মালিক: আশা করতে দোষ নেই। তবে সেই আশা পূরণ হবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।
প্রথম আলো: স্বাধীন সাংবাদিকতার সঙ্গে মতপ্রকাশসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকারের যোগসূত্র আছে। গণতন্ত্র না থাকলে স্বাধীন সাংবাদিকতা থাকতে পারে কি?
শাহদীন মালিক: অবশ্যই পারে না। গণতন্ত্র যেহেতু অত্যন্ত সীমিত, তাই স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সাংবাদিকতার স্বাধীনতাও সীমিত। মধ্যপ্রাচ্যের রাজা-বাদশাহের দেশে আপনি তো আর স্বাধীন সাংবাদিকতা আশা করতে পারেন না। প্রেস ফ্রিডম তালিকায় আমাদের নিচে থাকা একটি দেশ মিসর। ওদের সভ্যতা বহু প্রাচীন-পিরামিড, মমি ইত্যাদি। ওদের তিন হাজার বছরের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিল মাত্র একবার। সেই নির্বাচনে জিতে যিনি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাগারেই মৃত্যুবরণ করেন।
প্রথম আলো: নাগরিক আইন লঙ্ঘন করলে রাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়। রাষ্ট্র আইন ভঙ্গ করলে নাগরিক কি আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন না?
শাহদীন মালিক: অবশ্যই পারে। সেই মামলাগুলো রিট মামলা হিসেবে পরিচিত। তবে এগুলো স্পর্শকাতর ও জটিল মামলা। আজকাল দেখছি অনেকেই হুটহাট করে রিট মামলা ঠুকে দেন। মামলায় উত্থাপিত যুক্তির দুর্বলতার কারণে বিচারপতি যদি রিট মামলাটি খারিজ করে দেন, তবে উত্থাপিত অন্যায়ের আইনগত প্রতিকার আর সহজে পাওয়া যাবে না। তাই অনেক সময় যথেষ্ট বিচার-বিশ্লেষণ, গবেষণা ও প্রস্তুতি ছাড়া রিট মামলা করলে হিতে বিপরীত হয়। অর্থাৎ আইনগত প্রতিকারের পথ খোলা আছে, কিন্তু পথ ধরতে হবে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এবং ভালো প্রস্তুতির শেষে।
প্রথম আলো: করোনাকালে সরকার নানা অজুহাত দেখিয়ে তথ্য পাওয়ার অধিকারকে আরও খর্ব করছে। অধিকার পুনরুদ্ধার করা যায় কীভাবে?
শাহদীন মালিক: করোনার দোহাই দিয়ে স্বল্প গণতান্ত্রিক অনেক দেশই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করছে, তাই আমাদের সরকার খুব একটা ব্যতিক্রমী কাজ করছে না। করোনা মহামারি যেহেতু সহজেই যাচ্ছে না, তাই শঙ্কা হয় তত দিনে আমরা সাংবাদিকতার আরও সীমিত স্বাধীনতায় অভ্যস্ত হয়ে যাব। জনগণ আরও হারাবে তাদের অধিকার সচেতনতা আর সরকারের বাড়বে জবাবদিহিহীনতা। আমি দুঃখিত, আশার কথা কিছু বলতে পারলাম না।
প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।
শাহদীন মালিক: আপনাকেও ধন্যবাদ।