সব শুভ উদ্যোগই আশা জাগায়। আশাজাগানিয়া আকাঙ্ক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নীতি–দূরদর্শিতার বাস্তবায়নের পথেই সম্ভাবনাময় আগামীর বাংলাদেশ অর্জন করা সম্ভব। বর্তমানে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ব্যয় বাড়ছে কিন্তু সরকারের রাজস্ব আয় বাড়ানো যাচ্ছে না। ফলে অর্থনীতি ক্রমাগত ঋণের জালে আটকে যাচ্ছে। মোট দেশজ উৎপাদনে বা জিডিপিতে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ অনুপাতও বাড়ছে না। রপ্তানি আয়ের ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের ওপর বেশ চাপ দিচ্ছে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না, বেকারত্ব বাড়ছে। অধিকাংশ মানুষ অনানুষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। পরিসংখ্যান বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে দারিদ্র্য কমার হারও কমে গেছে। আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনা অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। প্রবৃদ্ধির হিসাবে গরমিল লক্ষ করা যাচ্ছে। পুঁজিবাজারের কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে বিনিয়োগকারীরা দিন দিন আস্থা হারিয়ে ফেলছে। সামষ্টিক অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে অর্থনীতিতে বিদ্যমান অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধেও
শুদ্ধি অভিযান কাম্য। যেসব খাতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, তা আলোচনা করা হলো:
পুঁজি পাচার বন্ধ করতে হবে
বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ জিডিপির ২৩ শতাংশের মধ্যেই আটকে আছে। সরকারি বিনিয়োগ খুবই প্রান্তিকভাবে বেড়েছে। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা না গেলে সরকারি বিনিয়োগ দিয়ে প্রবৃদ্ধির রূপান্তরযোগ্যতা অর্জন হবে না, টেকসই করাও যাবে না।
অতীতেও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে জোরজবরদস্তির মাধ্যমে সম্পদ আহরণ ও কেন্দ্রীভবনের চেষ্টা চলেছে। সম্পদ আহরণের এই আদিম প্রক্রিয়া এখন রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ীর সমন্বয়ে সৃষ্ট গোষ্ঠীতন্ত্রের মাধ্যমে গতিপ্রাপ্ত হয়েছে। কিন্তু অতীতের সঙ্গে বড় পার্থক্য হলো, বর্তমানে পুঁজির
ব্যাপক পাচার চলছে। গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেগ্রিটির সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী ২০০৬-২০১৫ সময়কালে বাংলাদেশ থেকে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে ২০১৮ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ প্রায় ২৯ শতাংশ বা ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বেড়েছে। অর্থ পাচারের এই সমস্যা আগে স্বীকার করা দরকার।
আস্থার অভাবের সুযোগে হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রার মানের অসামঞ্জস্যের সুযোগে লাগেজ ব্যবসা, আমদানির ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েসিং বা বেশি মূল্য ও পরিমাণ দেখানো এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসিং বা কম মূল্য ও পরিমাণ দেখানোর মাধ্যমে পুঁজি পাচার ঘটছে। রপ্তানি পণ্যের জাহাজীকরণ বা শিপমেন্ট এবং তার বিপরীতে অর্থপ্রাপ্তির মধ্যেও বিশাল ব্যবধান। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে বিশ্ববাজারে পণ্য জাহাজীকরণ হয়েছে সাড়ে ৩৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। তার বিপরীতে দেশে অর্থ এসেছে ৩২ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদেশে পণ্য জাহাজীকরণ ও অর্থপ্রাপ্তিতে চার বিলিয়ন ডলারের গরমিল।
হুন্ডি ব্যবস্থা সমূলে উৎপাটন না করা গেলে পুঁজি পাচার ঠেকানো যাবে না। আমদানি-রপ্তানি তথা বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায় বাংলাদেশ ব্যাংকে এবং কাস্টম ডেটায়। এই দুটি উৎস থেকে প্রাপ্ত প্রতিটি কোম্পানির এলসি বা ডিফারড এলসির তথ্য বিশ্লেষণ করে পার্থক্য নিরূপণ করা যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাছে পার্থক্যের কারণ জেনে এবং কোনো ব্যত্যয় হলে আইনের আওতায় আনা যেতে পারে।
খেলাপি ঋণ সরকারি হিসাবের দ্বিগুণ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, প্রকৃত খেলাপি ঋণ সরকারি হিসাবের দ্বিগুণ। সরকারি হিসাবে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবপত্র ঘেঁটে আইএমএফ বলছে, এর পরিমাণ ২ লাখ ৪০ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ২২ শতাংশের ওপরে। কিন্তু ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তা সত্ত্বেও খেলাপি ঋণ বন্ধ হয়নি।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ব্যাংকগুলো তারল্যের চাকা চালু রাখতে পারছে না। বিনিয়োগে বিঘ্ন ঘটছে। ফলে সম্পদ তৈরির ওপর দিন দিন চাপ বাড়ছে।
গোষ্ঠীতন্ত্রের মাধ্যমে খেলাপি ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে। অভিযোগের তির ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের দিকে। ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে আইন সংশোধনের মাধ্যমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক পদে একটানা থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে নয় বছর করা হয়েছে। ফলে এখন একই পরিবার থেকে চারজন কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারবেন। ব্যাংকগুলোকে প্রকৃতপক্ষে আমানতকারীদের ও বিনিয়োগকারীদের প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংককে নিয়ম প্রতিপালন করাতে হবে। আন্তর্জাতিক ব্যাংকিংবিধি বাসেল ৩ থেকে যে সরে এসেছে, তা না করে বরং এর পূর্ণ বাস্তবায়ন দরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সঠিক তথ্য নির্ণয়ের জন্য ফরেনসিক অডিট করে প্রকৃত অবস্থা নির্ণয় করবে। যেসব ঝুঁকিপূর্ণ খেলাপির নগদ প্রবাহ ও যথাযথ বন্ধকি সম্পত্তি নেই, তাদের সব সুবিধা বন্ধ করতে পারে। পরিচালনা পর্ষদের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ড ঋণের বিপরীতে সরাসরি সমন্বয় করা যেতে পারে।
আয় কমছে, ঋণ বাড়ছে
সরকারের আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হওয়ায় ঘাটতি মেটাতে ঋণের পরিমাণও বাড়ছে। ঋণের পরিমাণ ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে সুদ-আসল পরিশোধ করতেই বিশাল ব্যয় হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি, লোপাটের খবর দিচ্ছে; কিন্তু এদের অধিকাংশই আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এডিপি বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে শিক্ষা, স্বাস্থ্যের মতো খাতে বরাদ্দ বাড়ানো যাবে।
বহুজাতিক কোম্পানির লেনদেনের আড়ালে অর্থ পাচার ও কর ফাঁকি রোধে ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল গঠন করা হলেও কর ফাঁকি ও কর পরিহারের ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিদেশে ভিন্ন নামে কোম্পানি খুলে দেশীয় কোম্পানিকে সাবসিডিয়ারি দেখানো হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে আবার ট্যাক্স উইথহোল্ডিং হয়ে আছে, অর্থাৎ কর সংগ্রহ করেছে কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে জমা হয়নি। কর আদায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সীমাহীন দুর্নীতি কারও অজানা নয়।
কৃষক ও শ্রমিকের পাশে কেউ নেই
কৃষিতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যের কারণে কৃষক পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন; ফলন বাড়লেও বাজারে ধানের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। ধান বিক্রি করে অধিকাংশ কৃষক উৎপাদন খরচই ওঠাতে পারেননি। কিন্তু বাজারে চালের দামে পরিবর্তন আসেনি। মিলমালিক এবং স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র কৃত্রিমভাবে ধানের দাম কমিয়ে রাখছে। এই চক্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। বরং পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে চাল আমদানির মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীরা আরেক প্রস্থ লাভবান হয়েছেন। আমদানির আড়ালে উচ্চমূল্য দেখিয়ে অর্থ পাচার নতুন ঘটনা নয়। উদাহরণস্বরূপ ২০১৩-১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আমদানি করা চালের মূল্য টনপ্রতি ৮০০ থেকে ১ হাজার ডলার ছিল। অথচ এ সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের গড় মূল্য ছিল টনপ্রতি প্রায় ৫০০ ডলার।
আইএলও বলছে প্রকৃত মজুরি কমেছে। ২০১৫ ও ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে প্রকৃত মজুরির প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ কমেছে। ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে প্রতিবছর দারিদ্র্য কমার হার ছিল ১ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যবর্তী সময়ে এই হার ১ দশমিক ২ শতাংশে নেমেছে। অর্থাৎ দারিদ্র্য কমার হার কমছে। মাথাপিছু পুষ্টি গ্রহণের হারও কমছে। ২০১০ সালের তুলনায় পুষ্টি গ্রহণের হার ৫ শতাংশ কমে ২ হাজার ৩১৮ কিলোক্যালরি থেকে ২ হাজার ২১০ কিলোক্যালরিতে পৌঁছেছে।
কর্মক্ষেত্রে অধিকাংশ শ্রমিকের শ্রম-অধিকার নেই। ফলে তাঁরা তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করা গেলে এবং তাঁদের জন্য ন্যূনতম মজুরির ব্যবস্থা করা গেলে দারিদ্র্য হ্রাস পাবে, তেমনি পুষ্টি গ্রহণও নিশ্চিত করা যাবে।
প্রবৃদ্ধি আসলে কত?
সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্তে গরমিল লক্ষ করা যাচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বিভিন্ন পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। হিসাব–প্রক্রিয়াই ত্রুটিপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে (প্রথম আলো, ২৯ জুলাই ২০১৯, উচ্চপ্রবৃদ্ধি কেতাবে আছে গোয়ালে কই? https://www. prothomalo.com/opinion/article/1606792)। ভারতের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অরবিন্দ সুব্রামানিয়ান সম্প্রতি তাঁর গবেষণায় দেখিয়েছেন, ভারতে জিডিপির প্রকৃত প্রবৃদ্ধির হার সরকারি হিসাব থেকে ২ দশমিক ৫ শতাংশ কম। বাংলাদেশেও যদি এ ধরনের গবেষণা চালানো হয়, তবে প্রকৃত প্রবৃদ্ধির হার সরকারি হিসাব থেকে একই হারে কমে ৪-৫ শতাংশের মতো পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো একটি স্বাধীন ও স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তথ্য-উপাত্তকে বাড়িয়ে প্রকাশ করার প্রবণতা থাকায় সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো স্বায়ত্তশাসিত হিসেবে কাজ করে না। রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে তথ্য-উপাত্তে হস্তক্ষেপ করা হলে পুরো অর্থনৈতিক পরিকল্পনাই ভুল পথে চালিত হবে।
প্রকৃত প্রবৃদ্ধি কত?
বাংলাদেশে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে তা বিস্ময় বা ধাঁধা নয়। অন্যান্য দেশের মতোই শ্রম নিয়োজনের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। গত শতাব্দীর আশির দশক থেকেই জনমানুষ গ্রাম থেকে শহরে ও বিদেশে শ্রমিক হিসেবে গেছেন। আয়ের প্রায় পুরোটাই গ্রামে পাঠিয়েছেন, দারিদ্র্য কমেছে এবং ভোগব্যয় বেড়েছে। ভোগব্যয় বাড়ায় জিডিপির পরিসর বেড়েছে। তবে পশ্চিমা বিশ্ব এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পুঁজিতান্ত্রিক বিকাশের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো অর্ডার বা শৃঙ্খলা। অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এসব দেশ পুঁজিপতিদের নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। কেউই জবাবদিহির ঊর্ধ্বে ছিল না। ফলে পুঁজিপতিরা নির্দিষ্ট নিয়মনীতির মধ্যে থেকে উৎপাদনশীল কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন, পুঁজিকে বিনিয়োগে খাটিয়েছেন।
কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একটি গোষ্ঠী আদিম কায়দায় জোরজবরদস্তির মাধ্যমে সম্পদশালী হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের রূপান্তর যোগ্যতা, টেকসই ক্ষমতানির্ভর করবে অর্থনীতিতে কত দ্রুত অর্ডার বা শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা যায়, তার ওপর।
ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক
rt@du.ac.bd