বাংলাদেশ ভূখণ্ডকে আকবর আলি খান বুঝতে চেয়েছিলেন ইতিহাস ও ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের বর্ণিলতা ও ইতিহাসের পরম্পরার মধ্য দিয়ে। কেমন ছিল তাঁর বাংলাদেশ অনুসন্ধান?
আমি যেহেতু আকবর আলি খানের জুনিয়র সহকর্মী ছিলাম এবং সম্প্রতি তাঁর লেখালেখির ওপর একটি পুস্তিকা রচনা করেছি, তাই হয়তো লোকজন আমাকে প্রশ্ন করেন, আকবর আলি খান জনসেবার ক্ষেত্রে দেশকে কী দিয়েছেন? বিশেষত আমলাতন্ত্রের লোকজন প্রশ্ন করেন, তিনি আমলাতন্ত্রের সহকর্মীদের জন্য কী করেছেন? আমার তখন ড. খানের কাছ থেকে শোনা নাসিরউদ্দিন হোজ্জার একটি গল্প বলতে ইচ্ছে করে। গল্পটি এমন: হোজ্জাকে একদিন বাধ্য হয়ে রাজার সঙ্গে বাঘ শিকারে যেতে হয়েছিল। শিকার শেষে পাড়া-প্রতিবেশী তাঁকে জিজ্ঞেস করল, ‘হোজ্জা, শিকার কেমন হলো?’ হোজ্জা হাসিমুখ করে বলল, ‘খুব ভালো।’ ‘তা, কয়টা বাঘ শিকার করলে?’ ‘একটাও না।’ ‘কয়টা বাঘ দেখতে পেলে?’ ‘একটাও না।’ ‘তাহলে ভালো শিকার হলো কী করে?’ হোজ্জা এবার বলল, ‘কোনো বাঘ দেখতে না পাওয়াও ভালো শিকার।’ আমি এই গল্পের মর্মার্থ করি এভাবে—সাহসী, প্রথাবিরুদ্ধ কোনো কিছু না করে আমলাতন্ত্রে কেবল প্রথানুগ কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন করাই একজন জনসেবকের ক্ষেত্রে উত্তম কাজ। তাঁকে কোনো বীরত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে না, আর তার জায়গাও আমলাতন্ত্র নয়। আমরা দেখতে পেয়েছি, যখনই আমলারা দুঃসাহসী, নিয়মবিরুদ্ধ, অপ্রথাগত কাজ করতে গিয়েছেন (মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধে যোগদান ছাড়া) তখনই তা দেশ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষতি করেছে।
আকবর আলি খান যদি আমলাতন্ত্রে বিরাট কোনো কাজ না-ও করে থাকেন, প্রথানুসারে কাজ করে থাকেন, আমলাতন্ত্রের সর্বোচ্চ পদে বৃত থেকে ‘বাঘ শিকার’ না করেও তিনি কৃতিত্বের দাবিদার হতে পারেন। তবে তাঁকে যে দুইবার শিকারভূমি থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছিল, সে কথা জানি আমরা। একবার স্বাধীনতার পর লিয়েন নিয়ে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে চলে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর খোঁজ না পেয়ে তাঁকে ডেকে এনে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি কী চান। তিনি তখন তাঁর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর বিষয়, তথা ইতিহাসবিষয়ক কোনো বৃত্তি পাওয়া যায়নি বলে এবং একমাত্র অর্থনীতির একটি বৃত্তি পাওয়া গিয়েছিল বলে, আমরা জানি, এই ইতিহাসবিদকে অর্থনীতিতে পিএইচডি সম্পন্ন করতে হয়েছিল। আমরা একজন ইতিহাসবিদ অর্থনীতিবিদ পেয়েছিলাম। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। তিনি ইতিহাস ও অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে অন্য আরও অনেক বিষয়কে অত্যন্ত দক্ষতা ও প্রজ্ঞার সঙ্গে চর্চা করেছিলেন, তাতে ফসল ফলিয়েছিলেন, যেমন, পানি ব্যবস্থাপনা, সাহিত্য, বৃহত্তর পরিসরে—রাজনীতি, রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনা তথা আমলাতন্ত্র ইত্যাদি। তাই কেউ যেদি তাঁকে ‘পলিম্যাথ’ বলেন, তবে সেটিই যথার্থ হয় (অভিধানে আমি ‘পলিম্যাথ’ শব্দটির বাংলা খুঁজে পাইনি। এটি বিভিন্ন ও বহু বিষয়ে প্রজ্ঞাধারী ও দক্ষ ব্যক্তিকে বোঝায়)। আরেকবার তিনি তাঁর কয়েকজন সহযোগীসহ এক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এই পদত্যাগের সুদূরপ্রসারী প্রভাব ছিল। অনেকে বলে থাকেন, তাঁদের পদত্যাগের কারণেই পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের একটি পথ খুঁজে পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। তাই আমি বলি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘বাঘ শিকারে’ ব্যর্থতাও একধরনের সফলতা।
আমলাতন্ত্রের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে আকবর আলি খান তাঁর পুস্তক পরার্থপরতার অর্থনীতির ‘শুয়োরের বাচ্চার অর্থনীতি’ প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘উন্নয়নশীল দেশের জনগণকে তাদের সরকারকে বলতে হবে, “হুজুর, আমরা আপনার কাছে উপকার চাই না, শুধু মেহেরবানি করে আপনার শুয়োরের বাচ্চাদের সামলান।”’ বাঘ মেরে বাহ্বা নেওয়া জনসেবকদের তথা আমলাদের কাজ নয়। তাঁরা যদি সামলে চলেন, অর্পিত আইনি দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে পালন করেন, তাহলে তাঁরা যে যথার্থ কাজ করেছেন, তা মেনে নেওয়া যায়। আমার ধারণা, আকবর আলি খান তাঁর জীবনের সব কর্ম সামলে চলেছেন, তাঁর মেধা ও দক্ষতা অনুযায়ী তাঁর সর্বোত্তমটি দেশ ও আমলাতন্ত্রকে দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন স্তরে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থায় (যেমন, বিশ্বব্যাংক) নিয়োজিত থেকে সেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন; নিজেকে এবং তাঁর সহকর্মীদেরও সামলানোর চেষ্টা করেছেন। আকবর আলি খান আমলাদের ‘সামলানোর’ যে কাজের কথা বলেছেন, তা সহজ নয়। তিনি, আমার ধারণা, তাঁর জনসেবক জীবনে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পানিসম্পদ ও পরিবেশ উন্নয়ন, আমলাতন্ত্রের উন্নয়ন, পল্লি উন্নয়ন, আমলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর মেধা ও শ্রম দিয়ে, নিয়মকানুন মেনে সরকারি কৃত্য সম্পন্ন করার চেষ্টা করেছেন। আমার আরও ধারণা, তিনি ‘হিরো’ হতে চাননি। এবং তাঁর নিজকে কোনো কিছু থেকে সামলাতে হবে—এমন কাজও করেননি। এটি জনসেবক হিসেবে তাঁর বড় অর্জন বলে আমি মনে করি।
আকবর আলি খান যদি আমলাতন্ত্রে বিরাট কোনো কাজ না-ও করে থাকেন, প্রথানুসারে কাজ করে থাকেন, আমলাতন্ত্রের সর্বোচ্চ পদে বৃত থেকে ‘বাঘ শিকার’ না করেও তিনি কৃতিত্বের দাবিদার হতে পারেন।
তাঁর দ্বিতীয় অর্জনটি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো, তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক ক্রিয়াকর্ম। একসময়, বিশেষত, ব্রিটিশ আমলে ‘পণ্ডিত আমলা’ বলে একটি কথা প্রচলিত ছিল। সেই সব আমলা জনকার্যে যেমন দক্ষতা দেখিয়েছিলেন, তেমনই তাঁদের শাসনকার্যের অধীন এলাকার জনজীবন, ইতিহাস, ভূগোল, সংস্কৃতি, ধর্মপ্রথা, সাহিত্য, স্থাপত্য, বিজ্ঞান ইত্যাদির চর্চা করে লেখালেখির মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে নিজেদের স্থায়ী আসন করে নিয়েছিলেন। কেউ কেউ হয়তো একে উপনিবেশবাদী রাষ্ট্রচিন্তা, ইতিহাস, সংস্কৃতি, বিজ্ঞানের অংশ মনে করতে পারেন। কিন্তু সেই সঙ্গে এ কথাও সত্য যে সেসবের ওপর ভিত্তি করেই এখন আমাদের বৃদ্ধিবৃত্তিক পথ তৈরি করে এগিয়ে যেতে হয়। আকবর আলি খানকে ‘পণ্ডিত আমলা’ বললে অত্যুক্তি হয় না। তবে তিনি যে ব্রিটিশ আমলের আমলাদের মতো উপনিবেশবাদী চিন্তাচেতনার ধারক-বাহক নন, তা-ও বলতে হয়। এ দেশের ইতিহাস, সমাজ ও রাষ্ট্রগঠন, এর সংস্কৃতি, রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা নিয়ে প্রভূত পুস্তক ও প্রবন্ধ তিনি রচনা করে গেছেন। আমরা এখানে তাঁর এ ধরনের কিছু পুস্তকের নাম নিতে পারি: সাম অ্যাসপেক্টস অব পিজেন্ট বিহেভিয়্যার ইন বেঙ্গল: আ নিও–ক্ল্যাসিক্যাল অ্যানালাইসিস; ডিসকভারি অব বাংলাদেশ: এক্সপ্লোরেশন ইনটু ডাইনামিক্স অব আ হিডেন নেশন; বাংলাদেশের সত্তার অন্বেষা: একটি প্রচ্ছন্ন জাতির গতিপ্রকৃতির অনুসন্ধান; পরার্থপরতার অর্থনীতি; আজব ও জবর-আজব অর্থনীতি; অন্ধকারের উৎস হতে; চাবিকাঠির খোঁজে: নতুন আলোকে জীবনানন্দের বনলতা সেন; গ্রেশামস ল সিন্ড্রোম অ্যান্ড বিয়ন্ড: অ্যান্ড অ্যানালাইসিস অব দ্য বাংলাদেশ ব্যুরোক্রেসি; দুর্ভাবনা ও ভাবনা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে; অবাক বাংলাদেশ: বিচিত্র ছলনাজালে রাজনীতি; বাংলায় ইসলাম প্রচারে সাফল্য: একটি ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ; দারিদ্র্যের অর্থনীতি: অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎ; বাংলাদেশে বাজেট অর্থনীতি ও রাজনীতি; পুরানো সেই দিনের কথা; মুজিবনগর সরকার ও বর্তমান বাংলাদেশ ইত্যাদি। তা ছাড়া গোটা ত্রিশেক প্রবন্ধ–নিবন্ধও তিনি রচনা করেছেন, যার বিষয় ইতিহাস, অর্থনীতি, সাহিত্য, সমাজ, রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যবস্থাপনা, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। আকবর আলি খানের এই সব পুস্তক ও প্রবন্ধ-নিবন্ধ পাঠ করে কেউ যদি তাঁকে আমাদের পূর্বচিহ্নিত ‘পলিম্যাথ’ বলেন, তবে আমরা বলব যে তিনি যথার্থ বলেন।
এই সব পুস্তক এবং তাঁর রচিত প্রবন্ধ-নিবন্ধে তাঁর যেসব ধারণা, তত্ত্ব, অনুকল্প উপস্থাপন করা হয়েছে, তার সবই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশদ আলোচনার দাবি রাখে। আমি এখানে বিশেষভাবে তাঁর পুস্তক বাংলাদেশের সত্তার অন্বেষার কথা তুলে ধরতে চাই। আমাদের দেশ বাংলাদেশ যে একটি আলাদা সত্তা, একটি সুস্পষ্ট বৈশিষ্ট্যময় জাতিসত্তা, তা সামাজিক, রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে প্রকাশিত হয়েছিল রাজনৈতিক সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে। কিন্তু আমাদের ধারণা, আকবর আলি খান তাঁর এই পুস্তকের মধ্য দিয়ে দেশটির, রাষ্ট্রটির একটি দার্শনিক ভিত্তির দিশা দিয়েছেন। তাতে তিনি যে উপাদান যোগ করেছেন, তা হলো এর ভূপ্রকৃতি, বিশেষত তার পানির প্রাচুর্য, গ্রামের প্রকৃতি তথা গ্রামের উন্মুক্ততা, জনগোষ্ঠীর আধ্যাত্মিক আকাঙ্ক্ষা এবং পরিণামে তাদের অধিকাংশের ধর্মান্তরণ। এসব উপাদান এই অঞ্চলকে অনন্যতা দিয়েছে। তাই সামগ্রিক ও বৃহত্তর সামাজিক, ঐতিহাসিক পটভূমি ও গতিপ্রকৃতির কথা বিবেচনায় না নিয়েও বলা যায়, বাংলাদেশের জন্মক্ষণ নির্ধারিত হয়েছিল রাজনৈতিক আন্দোলন এবং প্রতিরোধমূলক যুদ্ধে বিজয় লাভের মাধ্যমে। ড. খান তাঁর সমাজতাত্ত্বিক, দার্শনিক, মনোভুবনগত এবং ঐতিহাসিক পটভূমি তুলে ধরেছেন; বলতে চেয়েছেন যে বাংলাদেশের জন্ম ছিল এক অনিবার্য পরিণতি। বইয়ের ভূমিকায় তিনি এই ভূমির আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেখান থেকে উদ্ধৃত করা যাক: ‘বাংলাদেশের আত্মপরিচয় এমন একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক আবহে লালিত হয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন।...উপমহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এতদঞ্চলের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় কর্তৃত্ব ছিল সর্বদাই দুর্বল। মজার ব্যাপার হলো, বাংলাদেশের সামাজিক প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা একে যেমন একটি সুনির্দিষ্ট অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তেমনই এটি তার সুনির্দিষ্ট আত্মপরিচয়ের প্রকাশকেও বিঘ্নিত করেছে।’ তাই হয়তো ড. খান বাংলাদেশকে একটি ‘প্রচ্ছন্ন জাতি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আমাদের ধারণা, বাংলাদেশের যেকোনো ইতিহাস নির্মাণের প্রচেষ্টায়ই এই বইয়ের ডাক পড়বে।
আকবর আলি খান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। অনেকে হয়তো বলবেন যে জনসেবকদের মধ্যে প্রভূতসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তা সত্য বটে। অনেকে পরিস্থতির চাপে, আবার অনেকে ইতিহাসের গতিধারা অনুধাবন করে, মাতৃভূমির স্বাধীনতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন বলে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন, অনেকে আবার বুঝেশুনে যুদ্ধ শুরুর প্রথম দিন থেকেই তার সূচনা করেছিলেন। আকবর আলি খান সে রকম এক উল্লেখযোগ্য মুক্তিযোদ্ধা, যিনি যুদ্ধের সূচনালগ্নেই তাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। বলা চলে, অন্য অনেক স্মরণীয় ও কৃতি বঙ্গসন্তানের মতো বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। ‘যাঁরা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন’ আর ‘যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন’, তাঁদের মধ্যে প্রকৃতিগত ভিন্নতার কথা বলেন অনেকেই। আকবর আলি খান ছিলেন দ্বিতীয়োক্ত ধরনের সেই মুক্তিযোদ্ধা। আমরা তাঁর বিভিন্ন পুস্তক যেমন পুরানো সেই দিনের কথা এবং মুজিবনগর সরকার ও বর্তমান বাংলাদেশ-এ (‘২৬ মার্চ থেকেই বাংলাদেশ সরকার’) মুক্তিযুদ্ধ শুরু করার ক্ষেত্রে তাঁর সেসব ভূমিকার বর্ণনা পাই। আমরা মনে করি, মুক্তিযুদ্ধে আকবর আলি খানের ভূমিকা এ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণে রাখবে। আমরা তাঁর জীবনধারা ও কৃতিকে গর্বভরে ও সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি।