ছেলেটার বন্ধু, ১৯৮০

হান কাংয়ের হিউম্যান অ্যাক্টস উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৪ সালের ১৯ মে। ১৯৮০ সালের ১৮ মে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াংজু শহরে গণতন্ত্রের জন্য যে আন্দোলন হয়েছিল, সেই আন্দোলনের পটভূমিতে লেখা এই উপন্যাস। এক অল্পবয়সী ছেলে দং হোর মৃত্যু গোয়াংজু আন্দোলন ও সেই শহরের মানুষের জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল, তাই-ই এর বিষয়। উপন্যাসের প্রথম অধ্যায়ে যেসব চরিত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়, পরবর্তী অধ্যায়গুলো একে একে সেই সব চরিত্রের বয়ানে রচিত। এই অংশটুকু উপন্যাসের দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম অংশ। আন্দোলনে নিহত হওয়ার পর দং হোর বন্ধু জেয়ং দের জবানিতে তার নিজের মৃত্যু–পরবর্তী অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে অধ্যায়টির সূচনা।

আমাদের লাশগুলো একটার ওপরে আরেকটা স্তূপ করে রাখা হয়েছে একটা ক্রুশের মতো আকৃতিতে।

অচেনা একজনের লাশ আমার পেটের ওপর নব্বই ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ছুড়ে ফেলা হলো, আর তার ওপরে আমার চেয়ে বয়সে বড় আরেকটা ছেলের লাশ, ছেলেটা এতটা লম্বা যে তার ভাঁজ হওয়া হাঁটু আমার খালি পায়ের তলায় চাপ দিচ্ছে। ছেলেটার চুল আমার মুখ স্পর্শ করে আছে। আমি সবকিছুই দেখতে পাচ্ছি। কারণ, তখনো আমি আমার শরীরকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে আছি।

তারা আমাদের দিকে দ্রুততম গতিতে এগিয়ে এল। হেলমেট, বহুবর্ণের ইউনিফর্মের হাতার ওপরে রেডক্রসের আর্মব্যান্ড। জোড়ায় জোড়ায় কাজ করছে ওরা, আমাদের তুলে একটা মিলিটারি ট্রাকের ভেতরে ছুড়ে ফেলতে শুরু করল। এতটা যান্ত্রিকভাবে, যেন গাড়িতে শস্যদানার বস্তা বোঝাই করছে। আমি আমার গালের সঙ্গে, ঘাড়ের পেছন দিক আঁকড়ে ধরে কোনোরকমে ঝুলে ছিলাম, যাতে শরীর থেকে আমি আলাদা হয়ে না যাই। অবাক হলাম, দেখলাম যে ট্রাকে আমি একা। সেখানে অবশ্যই আরও লাশ ছিল, কিন্তু আমার মতো কাউকে পেলাম না। হয়তো ওরা সেখানেই ছিল, ট্রাকের ভেতরে জড়সড় হয়ে ছিল, কিন্তু ওদের আমি দেখতে পেলাম না। মানুষ বলত যে ‘পরকালে আমাদের দেখা হবে’। কথাগুলো এখন অর্থহীন।

এলোমেলো বিশৃঙ্খল করে রাখা লাশগুলো আমারটাসহ ট্রাকের ভেতরে ঝাঁকি খাচ্ছে। শরীর থেকে এত বেশি রক্ত বের হয়েছে যে আমার হার্ট শেষে থেমে গেছে। তারপরেও শরীর থেকে তখনো রক্ত পড়ছে চুইয়ে চুইয়ে। ফলে আমার মুখের ত্বক একদম পাতলা ও সাদা কাগজের মতো স্বচ্ছ হয়ে গেছে। রক্তশূন্য মুখের ওপর আমার চোখ বন্ধ হয়ে আছে, খুব অদ্ভুত দেখাচ্ছে। 

যখন সন্ধ্যা আমাদের ঘিরে এল, ট্রাকটা তখন কংক্রিটের শহর ছেড়ে নির্জন রাস্তা ধরে ছুটছে। রাস্তার দুই পাশেই বিস্তীর্ণ অন্ধকার মাঠ। একটা ছোট পাহাড়ে উঠতে শুরু করল ট্রাকটা। সেই পাহাড়ে লম্বা লম্বা ওকগাছ ঘন হয়ে আছে। এরপরেই দেখা গেল, একটা লোহার গেট নড়ছে। গেটের সামনে এসে ট্রাকটা গতি কমিয়ে থেমে গেল এবং দুজন প্রহরী স্যালুট দিল। দুটো দীর্ঘ, তীক্ষ্ণ ধাতব চিৎকার শোনা গেল, প্রথমে যখন প্রহরীরা গেট খুলে দিল তখন, এবং আমাদের পেছনে পরে যখন গেট বন্ধ করল, তখন আবার। পাহাড়ে আরও অল্প একটু উঠে পাশের একটা ফাঁকা জায়গায় ঢুকল ট্রাকটা। জায়গাটার এক পাশে কংক্রিটের একটা নিচু দালান, অন্য পাশে ওকগাছের বন। থেমে গেল ট্রাকটা।

তারা নেমে এল ট্রাক থেকে, হেঁটে পেছনে এসে ট্রাকের ডালা খুলল। এবারও ওরা জোড়ায় জোড়ায়, একজন পা আর অন্যজন হাত ধরে আমাদের ট্রাক থেকে নামিয়ে ওই ফাঁকা জায়গার মধ্যখানে রাখল। শরীরটা আমার আঁকড়ে ধরা থেকে আলগা হয়ে প্রায় ছুটেই যাচ্ছিল, যেন আমাকে ঝাঁকি মেরে ফেলে দেবে আমারই শরীর থেকে। কিন্তু আমি মরিয়া হয়ে শক্তি দিয়ে আঁকড়ে ধরে থাকলাম। নিচু দালানটার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, জানালায় আলো জ্বলছে। জানতে ইচ্ছা করল, এটা কী ধরনের দালান, আমি কোথায় আছি এবং আমার লাশ কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

তারা ওই ফাঁকা জায়গাটার পেছনের ঝোপটার মধ্যে গিয়ে ঢুকল। যাকে দেখে মনে হচ্ছিল দায়িত্বে আছে, তার নির্দেশে লাশগুলোকে ওরা নিখুঁত একটা ক্রুশের আকৃতিতে পালা দিয়ে রাখল। আমার লাশটা ছিল নিচের দিক থেকে দ্বিতীয়; ওপরে যারা আছে, তাদের প্রত্যেকের চাপে পিষ্ট হচ্ছে। এই চাপেও আমার ক্ষতস্থান থেকে আর কোনো রক্ত নিংড়ে বের হয়নি, তার একটাই অর্থ হতে পারে, ইতিমধ্যে সব রক্ত বের হয়ে গেছে। আমার মাথা পেছনের দিকে হেলানো থাকায় গাছের ছায়া মুখের ওপর পড়ে আমার চেহারাটাকে পাণ্ডুর বর্ণের ভূতের মতো দেখাচ্ছে, চোখ বন্ধ আর মুখ অর্ধেক খোলা। ওরা যখন সবার ওপরে থাকা মানুষটার লাশের ওপর একটা খড়ের বস্তা ছুড়ে দিল, এই লাশের টাওয়ারটাকে একটা বিশাল, কাল্পনিক পশুর মৃতদেহের মতো মনে হচ্ছিল, যেন এর মৃতদেহের নিচে এর অসংখ্য পা ছড়িয়ে আছে।

ওরা চলে যাওয়ার পরে অন্ধকার ঘিরে ধরল আমাদের। পশ্চিমের আকাশে সূর্যাস্তের যে নিস্তেজ আলো তখনো ছিল, সেটাও অন্ধকারে মিশে গেল ধীরে ধীরে। আমি দ্রুত লাশের টাওয়ারের চূড়ায় উঠে এলাম।

তখন অবশ্যই মাঝরাত হওয়ার কথা। টের পেলাম জিনিসটা আমাকে স্পর্শ করছে, অশরীরী কোনো কিছুর নিশ্বাসের মতো নরম আলতো স্পর্শ, সেই নিরাবয়ব ছায়া, তাকে অবয়ব দেওয়ার মতো ভাষাও নেই। সে কে, তার সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে, তা নিয়ে সন্দেহ এবং না–জানার কারণে একমুহূর্ত অপেক্ষা করলাম আমি। কেউ আমাকে কখনো শেখায়নি যে একজন মানুষের আত্মাকে কীভাবে ডাকতে হয়।

এবং হয়তো, অথবা সে রকমই মনে হলো যে আমার সঙ্গীও একই রকম হতভম্ব ছিল। ভাষার কোনো পরিচিত সংযোগ ছাড়াই একটা বস্তুগত শক্তি হিসেবে আমরা একে অন্যের মনের ভেতর আমাদের অস্তিত্বের ব্যাপারটা টের পাচ্ছিলাম। শেষ পর্যন্ত যখন সে আমার নিশ্বাসের দূরত্বে, তার প্রত্যাখ্যান, তার ছেড়ে যাওয়া আবার আমাকে একা করে দিল। 

রাত গভীর হলো, একই ধরনের ঘটনা অসংখ্যবার ঘটতে থাকল। কোনো নীরব স্পর্শে, আরেকটা আত্মার উপস্থিতিতে আমার ছায়ার কিনারাও যেন সজাগ হয়ে উঠছিল। আমরা নিজেরাই বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পড়লাম যে অন্যজন কে, হাত নেই, পা নেই, মুখ নেই, জিব নেই, আমাদের ছায়ারা একে অন্যকে স্পর্শ করছিল, কিন্তু একে অন্যের সঙ্গে ঠিকভাবে মিশছিল না। বিষণ্ন অগ্নিশিখা মসৃণ একটা কাচের দেয়াল বেয়ে বেয়ে ওঠে, যেকোনো বাধাকে অতিক্রম করে অলৌকিকভাবে দূরে সরে যাচ্ছে। যখনই আমি টের পাচ্ছিলাম যে একটা ছায়া আমার কাছে থেকে সরে গেল, প্রতিবারই রাতের আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলাম। আমি বিশ্বাস করতে চাইলাম যে ওই মেঘে জড়ানো অর্ধচন্দ্র আমাকে দেখছে, কল্পনার কারণে তার একটা চোখ উজ্জ্বল। আসলে বাস্তবে একটা বিশাল, ঊষর, একেবারে জড় পাথরের খণ্ড ছাড়া আর কিছুই না। 

এতটাই অদ্ভুত ছিল তখন, প্রাণবন্ত রাতটা শেষের কাছাকাছি, আকাশের কালো কালি সরিয়ে ভোরের ম্লান নীল আলো সবেমাত্র দেখা দিতে শুরু করেছে। তখন হঠাৎই আমি তোমার কথা ভাবলাম দং-হো। হ্যাঁ, তুমি আমার সঙ্গে ছিলে সেদিন। যতক্ষণ না ঠান্ডা ভারী লাঠির মতো কিছু একটা আমাকে পাশ থেকে আঘাত করল। যতক্ষণ না আমি একটা কাপড়ের পুতুলের মতো পড়ে গেলাম। যতক্ষণ না কান ফাটানো গুলির শব্দ ও পিচঢালা রাস্তায় সন্ত্রস্ত পদধ্বনির আওয়াজের মধ্যে আমার হাত দুটো নিঃশব্দে নিজেদের শূন্যে ছুড়ে দিল। যতক্ষণ না আমি টের পেলাম যে আমার রক্ত ছড়িয়ে পড়ছে আমারই কাঁধে, ঘাড়ের পেছনে, ততক্ষণ পর্যন্ত তুমি আমার সঙ্গে ছিলে। 

ঘাসফড়িংগুলো গুঞ্জন করছে। আড়ালে থাকা পাখিরা তাদের সকালের গান গাইতে শুরু করেছে। বাতাসের ঝাপটায় কালো গাছগুলোর পাতার সঙ্গে পাতার ঘষা লাগছে। দিগন্তের কিনারে ফ্যাকাশে সূর্য কেঁপে উঠল, রাজকীয় ও আগ্রাসী ভঙ্গিতে দ্রুত মধ্য আকাশের দিকে উঠে যেতে শুরু করল। ঝোপের পেছনে রাখা আমাদের লাশগুলো এখন রোদের তাপে নরম হতে শুরু করেছে, সঙ্গে পচনও ধরেছে। যে স্থানে স্থানে রক্ত শুকিয়ে কালো হয়ে আছে, সেখানে বড় বড় মাছি আর ছোট ছোট পোকা এসে বসেছে, ওরা নিজেদের সামনের দুই পা ঘষছে, সামনে এগোচ্ছে, উড়ে গিয়ে আবার এসে বসছে। আমি ধাক্কা দিয়ে আমার শরীরের কিনারে গেলাম, দেখতে চাচ্ছিলাম যে এই টাওয়ারের কোথাও তোমার লাশটাও চাপা পড়ে আছে কি না; গত রাতে যেসব আত্মার হঠাৎ হঠাৎ স্পর্শে চমকে উঠছিলাম, তোমার আত্মাও তাদের মধ্যে ছিল কি না। কিন্তু পারলাম না, আমি আটকা পড়েছি, কোনোভাবেই নিজেকে আমার শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারলাম না। মনে হলো, শরীরের মধ্যে কোনো একধরনের চৌম্বকশক্তি এসে জমা হয়েছে। আমার ভূতের মতো ফ্যাকাশে চেহারা থেকে অন্য কোনো দিকে তাকাতে পারছিলাম না। 

সূর্য একেবারে মধ্য আকাশে ওঠা পর্যন্ত এভাবেই পার হলো। আমি জানতাম, তুমি এখানে নেই। শুধু তুমি যে এই লাশের স্তূপে নেই তা নয়, তুমি বেঁচে আছ আসলে। যদিও আমার কাছে জড়ো হওয়া আত্মাগুলোর পরিচয় অজানাই ছিল আমার। তবু কোনো এক কারণে, নির্দিষ্ট একজন, যাকে আমি চিনতাম, আমি আমার মনোযোগের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করলেই বলতে পারতাম যে সে মারা গেছে কি যায়নি; এবং তারপরেও, ওই মুহূর্তে, আমার এই বুঝতে পারাটা আমাকে কোনো স্বস্তি দিল না। বরং আমার ভয় লাগল যে এই অচেনা ঝোপের পাশে, যেখানে চারপাশের লাশেরা ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে, নিজেকে একা লাগল আমার—এই অপরিচিতদের মাঝখানে।

আরও খারাপ কিছু অপেক্ষা করছিল তখনো। 

ভয়ের স্রোতকে শান্ত করার চেষ্টায় আমি বোনের কথা ভাবলাম। দক্ষিণ থেকে আরও দক্ষিণ দিকের বৃত্ত থেকে আসছিল আগুনের মতো গনগনে রোদ। সেটা দেখতে দেখতে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বন্ধ চোখের পাতা ভেদ করে ভেতরে ঢুকে যেতে চাইলাম। আমার বোনের কথা মনে হলো, শুধু তারই কথা। এবং আমার এত যন্ত্রণা হলো যে আমি প্রায় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেলাম। সে মারা গেছে; আমি মারা যাওয়ার আগেই সে মারা গেছে। আমার ভেতর থেকে চিৎকার বের হয়ে রক্ত ও তরলের মধ্যে মিশে গেল, সেই চিৎকার ধরার মতো কোনো ভাষা বা কণ্ঠস্বর ছিল না। আমার আত্মার কোনো চোখ ছিল না; রক্ত কোথা থেকে আসছিল, কোনো শিরা-উপশিরার শেষপ্রান্ত ব্যথায় জ্বলছিল? আমার নির্বিকার মুখের দিকে তাকালাম। আমার নোংরা হাত দুটো আগের মতোই স্থির। রক্তের পুরু আস্তরণ শুকিয়ে আঙুলের নখগুলো রঙিন হয়ে আছে, লাল পিঁপড়া ঘোরাঘুরি করছে, নিঃশব্দে।

নিজেকে আর পনেরো বছর বয়সী কেউ মনে হচ্ছে না আমার। পঁয়ত্রিশ, পঁয়তাল্লিশ; এই সংখ্যাগুলো মনে এল, আর মনে হলো এগুলো যথেষ্ট নয়। আমি এখন যেমন, তা কোনো সংখ্যাই আসলে ধারণ করতে পারবে না, পঁয়ষট্টিও না, না, পঁচাত্তরও না।

আমি জেয়ং দে নামের মানুষটা নই আর, যে কয়েকটা বছর ধরে বেড়ে উঠেছে। আমি পার্ক জেয়ং দে নই, যার ভালোবাসা ও ভয়ের ধারণা তার বোনের শরীরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। একটা অদ্ভুত সহিংসতা জেগে উঠল আমার মধ্যে, আমার মৃত্যুর কারণে সেটা তৈরি হয়নি, যেসব চিন্তা আমাকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছিল সেগুলোর কারণে, যে জিনিসগুলো আমার জানা দরকার ছিল, সেগুলোর কারণে আমার ভেতরে এই সহিংসতা তৈরি হলো। কে আমাকে মেরে ফেলল, কে আমার বোনকে মেরে ফেলল এবং কেন মেরে ফেলল। যতই এসব প্রশ্নের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছি, আমার ভেতরের নতুন এই শক্তি ততই তীব্র হচ্ছে। এই নিরবচ্ছিন্ন রক্তের ধারা, চোখ নেই, গাল নেই এমন জায়গা থেকে নির্গত হওয়া রক্ত, গাঢ় হয়ে, ঘন হয়ে ভেতরের একটা নরম, ভেজা জায়গায় চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে।

আমার মতো আমার বোনের আত্মাও কোথাও ভেসে বেড়াচ্ছে, কিন্তু কোথায়? আমাদের জন্য এখন আর শরীর বলে কিছু নেই, আমাদের দুজনের দেখা করার জন্য বস্তুগত বা শারীরিক নৈকট্য এখন আর প্রয়োজনীয় কিছু নয়। কিন্তু শরীর ছাড়া আমরা একজন আরেকজনকে চিনব কীভাবে? আমি কি আমার বোনকে শুধু একটা ছায়া হিসেবে চিনতে পারব?

অনুবাদ: আশরাফুল আলম শাওন