মনরে ময়ূর, বেঁধে রাখি তার কুহু রাত্রিস্রোতে
পুরুষের ভয়ে, রাধাবতী মনে বিষণ্ন কাজরি
শরীর দস্তার পাত? তাতে বৃষ্টি ঝাঁপতালে নামে
কোষ ভরে যাচ্ছে জ্বরে, মৃত্যুলোভী একাকী ঘাগরি
প্রণয়ের পাশাখেলা বন্ধ, তবু সরাইখানার
মন, জল আর জহরত নিয়ে জেল্লাদার দেখো
ইঞ্জিনের গায়ে জন্ম নিচ্ছে মেঘ, পুরাতন রেণু
অঙ্কুরোদ্গমের ঋতুতে বুঝি পুড়বে পেখম?
মাধব বিনা ফুটেছে যে মাধবী এমন বর্ষায়
তার বুকে বিঁধে আছে ত্রিশূল কী বিভ্রমে, মায়ায়!
শূন্যতার দীর্ঘ আড়ম্বরে জেগে আছে ভিখারিনী
জলের আতর নিচ্ছে ক্ষতমুখে, নগ্ন সাহারায়
আমি একা, রাত্রি একা, একা এই বৃষ্টির শহরে
সমস্ত ময়ূর আমি ছেড়ে দিই রাত্রির শরীরে!