মেঘের জার্নাল

সব দেখাই দৃশ্য নয়, কোনো কোনো দেখাগুলো দৃশ্য হয়ে যায়। দৃশ্যের ভেতর দিয়ে দেখি, অনেক মানুষ ছিল দৃশ্যপটে, পরে যারা নেই হয়ে গেছে। হেঁটে বেড়ানো চলিষ্ণু মানুষের কবরস্থান পুরোপুরি সুনসান, স্থির, খোদিত-না-খোদিত এপিটাফের বাগান! অনেক দৃশ্যের মধ্যে এই দৃশ্যও থেকে যেতে পারে, কেউ একজন এপিটাফ পড়তেই বাগানে আসে।

কবিতা ঘনিয়ে এলে ভারাক্রান্ত প্রেমিকের দীর্ঘশ্বাসগুলো জমে জমে মেঘ হতে পারে। বহুদিন আগে মরে যাওয়া বা অকালবৈধব্যে উড়ে যাওয়া আমার দাদির শাড়িকেও মেঘ মনে হতে পারে! এ যুগেও, কাউকে কিছু না জানিয়ে আত্মহত্যাকামী মেয়েটির চিরকুট বয়ে নিয়ে যেতে পারে মেঘ—অর্থাৎ আকাশে তাকিয়ে আমাদের পুনরায় মেঘ চিনতে হবে। কারণ, সব মেঘই মেঘ নয়, মেঘের মতোই উড়ে যাওয়া অনেক সাদা সাদা বিভ্রমের ভিড়ে মেঘ হচ্ছে কোনো কোনো মেঘ, কী জানি কার পুঞ্জীভূত ভালোবাসাই দৃশ্যত মেঘ হয়ে থাকে, সেই মেঘ কবিতারও ধার ধারে না

 ধার ধারে কার? কে ছড়াচ্ছে পাঁজরে পুষ্পশোভিত হাহাকার?