হেমন্ত চলে গেছে

আজ পাতা ঝরে যাচ্ছে, অভাব দেখা দিয়েছে জলসিঞ্চনে

হলুদ মেঘে ঢেকেছে বায়ু—ভ্রান্তির কবলে বাড়ি ফেরার পথ

বন্ধুরা যারা তুলেছে কণ্ঠে শীত-কম্পন, ডাকিছে আকিঞ্চনে

কাশ–যুবতীর কেশ হয়েছে শুভ্র শরতে, এখন যাবার শপথ।

এসেছে গ্রীষ্মে যদিও, হেমন্তও চলে গেছে মরা কার্তিকে

পোস্টমাস্টার লিখেছে চিঠি—প্রকৃতির নানা রং উপচারে

প্রস্তুত হও বরফঘুমে, পল্লব ঝরে গেছে তোমাদের শোকে

বাইরে নবান্ন উৎসব—ভেতরে কান্নায় ভিজেছে বারে বারে।

তুষারশুভ্র মেয়েরা মিলায় হিসাব—কয়টা দিনের ব্যবধানে

এখানে কুসুম ফুটেছিল—মধুর মতো ঝরেছিল শুভ্র স্তন

হঠাৎ ওঠে চমকে গভীর রাত্রে—উদ্ভ্রান্ত মৌমাছির গানে

শীতের পাখিরা ডানা ঝাপটায়, শূন্যতা আর কতক্ষণ।

যদিও সংগীত যাবে থেমে অকস্মাৎ ফুরাবে ব্যর্থ আয়োজনে

তবুও থাকবে পৃথিবীর ধূলিকণা—পড়ন্ত নক্ষত্রের গানে।