থমকে দাঁড়াবার আগে হেঁটে যাচ্ছি সামনের খেলা পথে
বকুলের সঙ্গে দেখা হলো, দেখা হলো বটবৃক্ষ, গাছতলা
তাদের সাথেও। আমাকে পথিক ভেবে কে কে ভুল পয়ার লিখেছ?
পাখি সব করে রব, এই গ্রামে চিঠি লিখে ভুলে গেছ আমার ঠিকানা!
যেদিকে বাতাস ওড়ে, সেদিকে পাতায় লিখো।
যেদিকে নদীর জল, সেদিকেই লিখো
সাতাঁর শেখার আগে এত জ্যোৎস্না এসে গেছে রাতে
এই প্রেমকথা আমি লিখে লিখে পাঠালাম শীতকালে পাশের বাড়িতে
আগামীতে দেখা হবে—আধখোলা রেখেছি বারান্দা
কে তুমি? বাতাস আসুক এই ভেবে ভেবে—
সকালে কবিতা ছিল পাশের বাড়িতে
উঁকি দিয়ে যারা দেখেছিল, তারা ছিল আমি
শরতের নীলমেঘ তাকালেই দূরে দেখতে পায়
তেমত ভ্রমণ করি, বনভূমি; রোদ নামছে
গাছের পাতায়।
অক্ষিগোলকের নিচে কে দাঁড়িয়ে হেমন্ত? গোধূলি?
এসব জিজ্ঞাসা নয়, এসবের রং কভু হয়
সময় হাঁটতে গেছে, অচেনা সে তোমার মতোই
হয়তো দেখেছি আমি, তুমি ছিলে অথবা ছিলে না।
কবিতা বানানো যখন পায়ের কাছে বসে থাকে
দেখি অনুগত, অপরূপ
তাকে আমি ইচ্ছে করি, তুচ্ছ করি—বাজারে পাঠাই
এই সব দেখে ও শ্রবণে কবিরা রেগে গেলে
কবিতাকে ফের
মাথার ওপরে তুলে দেব
আমার মাটির স্বপ্ন, উঁচু মেঘে তুমি থাকো
অথবা প্রদক্ষিণে রেখে দেব অনন্তের সৌরপঞ্জিকায়
শুধু বৃষ্টিদিনে তুমি আমি স্বতঃস্ফূর্ত
অনুগত থাকে না কবিতা
প্রতিরোধের আলো এসে পড়েছে তোমার মুখে
বাতাসকে সমর্পণ করে করে আমি আজ যুদ্ধবিরতি চাই
অস্ত্রগুলো লুকিয়ে ফেলার আগে যারা ছুটে আসছে
তারা নিদারুণ পারমাণবিক
বোমারু বিমানের শব্দ তোমাকে দেখে লুপ্ত হোক
যেকোনো যুদ্ধক্ষেত্রে জ্যোৎস্না জ্বালিয়ে রাখুক চাঁদ
নীরবতা আমাদের শান্তি পুরস্কার।
স্তব্ধতা ভেঙেচুরে
তুমি দেখি
খণ্ড খণ্ড মেঘ
তোমার চোখের নিচে কালি
ঝুলবারান্দায় আমাকে বৃষ্টি দিও
কিছু কান্না ও কথা হোক।