গেল নভেম্বরে অনুষ্ঠিত শিল্পী রফিকুন নবীর ‘রেট্রস্পেকটিভ’–এ একজন দর্শক
গেল নভেম্বরে অনুষ্ঠিত শিল্পী রফিকুন নবীর ‘রেট্রস্পেকটিভ’–এ একজন দর্শক

শিল্পাঙ্গনে ধ্যানযোগ ও ধনপ্রাপ্তির বছর

শিল্পকলার গতিপ্রকৃতি বিচারে বছরওয়ারি হিসাব–নিকাশের জায়গাটা সংকীর্ণ। সাল যদি তামামি বা সমাপ্ত হলো, সেই সূত্রে সারা বছরের অর্জন চিহ্নিত করার চেয়ে দশক ধরে অঙ্ক কষা বেশি সুবিধাজনক। দশকওয়ারি হিসাবের সূত্রে কোন ধারা কোন দিকে মোড় নিল, কোন কোন নতুন উৎক্ষেপ সামনে হাজির হলো, সেই চিত্র আঁকা সহজতর। তবু চিত্রকলার ক্ষেত্রে ২০২৩ এক স্মরণীয় বছর। কোভিড–শাসিত বছরগুলোয় শিল্পচর্চা শিল্পীর একান্ত ব্যক্তিগত পরিসরের বাইরে বেরোতে পারেনি। ২০২৩ সাল বৈশ্বিক মহামারি-পরবর্তী এমন এক বছর, যার মধ্য দিয়ে শিল্পের অঙ্গনে ধ্যানযোগ ও ধনপ্রাপ্তি দুই-ই ঘটেছে।

ফিরে দেখার অর্থ বিশদভাবে দেখা—সময়ের বিস্তারিত দিগন্ত ভাগ করে করে তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনাগুলো আলাদাভাবে চিহ্নিত করা। ২০২৩ সালের শুরু ও শেষ ছিল ঘটনাবহুল। জানুয়ারির শুরুতে যদি শিল্পের জগতের অর্জন হয় দিলারা বেগম জলির ‘অ/দৃশ্য’ শিরোনামের মিশ্র মাধ্যমের প্রদর্শনী, যা কলাকেন্দ্রের নতুন আবাসকে একপ্রকার তীর্থে পরিণত করে। তবে এজ গ্যালারিতে মার্কিন প্রবাসী শিল্পী মোহাম্মদ টোকন দৃষ্টিনন্দন ক্যানভাস দিয়ে যে ‘অডিসি’র আয়োজন করেছিলেন, তা ছিল বাজারের নৈকট্যে ধন্য। বলা বাহুল্য, এজের এই প্রদর্শনী বাজারের সম্ভাবনার দিকটি বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।

সমাজে নারীর অবস্থানকে কেন্দ্র করে যে নারীস্বর তৈরি হয়, তা শিল্পের পরিসরে এ বছর আরও বেশি মাত্রায় দেখা গেছে। আতিয়া ইসলাম অ্যানির ‘সাম্প্রতিক বয়ান’ এ বছরের উল্লেখযোগ্য প্রদর্শনীর একটি। ১৩ বছর পর নিজের এই তৃতীয় এককে তিনি নারীসত্তার ওপর দুই বিপরীত মেরুর রাজনীতির প্রভাব চাক্ষুষ করে তুলেছেন—ধর্মীয় রক্ষণশীলতা ও উদারনীতির ভেতর নারীর শরীর কী রূপ ধারণ করে, তা–ই দেখা গেছে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের গ্যালারিতে।

২০২৩ সাল যে আধুনিক শিল্পকলার মাধ্যমকেন্দ্রিকতা নাকচ করে মাধ্যম ও বিবিধ শৃঙ্খলার মিশ্রতার দিকটিকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে, এর আভাস দিলারার বুনননির্ভর কাপড়ের ভাস্কর্য, ভিডিও চিত্র ও আলোকচিত্রের ওপর সুইয়ের ফোঁড় কেটে কেটে সৃষ্ট স্থাপনায় স্পষ্ট হয়ে ওটে। শুধু স্বাতন্ত্র অর্জনই এই শিল্পীর আরাধ্য নয়, পাশাপাশি নারী ও তাঁর গর্ভবিষয়ক ডিসকোর্স দাঁড় করানোও এ শিল্পীর অষ্টম একক প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য ছিল।

জানুয়ারিতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। মাসের শুরুতে মাসব্যাপী এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর চূড়ান্ত পর্ব উপভোগ করার মধ্যমে নতুন বছরেই আশা-হতাশার দোলাচলে প্রবেশ করেন শিল্পকলার সত্যিকার দর্শক এবং নতুন প্রজন্মের শিল্পীরাও। শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত শিল্পকলার এই বৃহৎ আয়োজন আগের মান রক্ষা করতে আর সক্ষম নয়। এখনো কিউরেটরহীন এই প্রদর্শনী। তবে ১৯তম প্রদর্শনী কোভিডের কারণে দুই বছর পর অনুষ্ঠিত হলেও এতে একটি-দুটি কিউরেটর কর্তৃক আয়োজিত অংশ যুক্ত ছিল। চট্টগ্রামের শিল্পী ও সংগঠক মঞ্জুর আহমেদের ‘হেয়ার দেয়ার অ্যান্ড এভরিহয়ার’ শিরোনামের উপস্থাপনাটি নানা চরিত্রের শিল্পকর্ম, এমনকি মাধ্যমের মিশ্রতা ও বিমিশ্রতার এক উপভোগ্য কোলাজ হাজির করে দর্শকের সামনে। ক্রমে অরাজনৈতিক হয়ে ওঠা দ্বিবার্ষিক প্রদর্শনীটির এই স্বশাসিত দ্বীপটি ছিল তার ব্যতিক্রম। ভারত ও পাকিস্তানের শিল্পীরা এখানে পাশাপাশি জায়গা করে নিয়ে জাতীয়তাবাদী আচার, ক্ষমতাকাঠামোর মধ্যে জনতাবিরোধী কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এশীয় চারুকলায় নতুন যে সংযোজন, তা হলো পারফরম্যান্স বা লীলা। প্রতিবারই এর জন্য পৃথক কিউরেটর নিয়োগ দেওয়া হয়, এবার নিয়োগ পেয়েছিলেন আবদুস সালাম। তাঁর তত্ত্বাবধানে গল্প উপস্থাপনায় শরীরকে ব্যবহারের ধরনে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে বললে সত্যের অপলাপ হয় না।

রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শিল্পকলার বৃহৎ ক্ষেত্র থেকে আর কোনো বিশেষ আশাজাগানিয়া ইঙ্গিত সারা বছরে খুব একটা মেলেনি। অক্টোবর মাসে শিল্পী এস এম সুলতানের প্রয়াণদিবসে প্রায় মাসব্যাপী এক আয়োজনের অংশ হিসেবে শাওন আখন্দ শিল্পকলা একাডেমির সংগ্রহে থাকা বেশ কিছু শিল্পকর্ম একছাদের নিচের হাজির করেন।

নভেম্বর মাসে স্বনামধন্য শিল্পী ও কার্টুনিস্ট রফিকুন নবী ওরফে রনবীর ‘রেট্রস্পেকটিভ’ ছাড়া ২০২৩ ছিল মূলত তরুণ শিল্পীদের বছর। বছরের তিনটি বড় কলেবরের প্রদর্শনী ছিল তাঁর একটি। বাকি দুটি বৃহৎ প্রদর্শনী যথাক্রমে ঢালী আল মামুনের ‘অসম্মতি মানচিত্র’, যা জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে শুরু হয়ে চলে দুই মাস; অন্যটি ছিল ‘কোয়ারেইন্টাইন’ শিরোনামে মাহবুবুর রহমানের, যা অক্টোবরের মাঝামাঝিতে শুরু হয়ে ডিসেম্বরের মধ্য ভাগ পর্যন্ত চলেছে। ঢালী তাঁর স্বভাবসুলভ সহজতায় ব্রিটিশ উপনিবেশিত বাংলার ইতিহাস এবং সংস্কৃতি ও রাজনীতিতে তার অভিঘাত তুলে ধরতে ভাস্কর্য, ভিডিওসহ কাইনেটিক শিল্পকর্ম চাক্ষুষ করে তোলেন প্রদর্শনীতে। অন্যদিকে মাহবুব করোনাকালের বন্দিদশা তুলে ধরার জন্য বৈশ্বিক রাজনীতিতে উপনিবেশ নির্মাণের পাশাপাশি পাশ্চাত্যে তাদের নিজ পরিসরে ঘটে যাওয়া নানা বৈপ্লবিক আখ্যান, যেমন বিলাতে নারীমুক্তির আন্দোলন, ক্ষমতার সঙ্গে মানুষের, বিশেষত কালো মানুষের সম্পর্কের সূত্রে তাঁর প্রদর্শনীকে ইতিহাসনির্ভর বয়ানে পরিণত করেন।

এই দুই প্রদর্শনীই হয়েছে বেঙ্গল শিল্পালয়ে। এর পাশাপাশি বেঙ্গল শিল্পালয় তরুণ এক শিল্পীকে সুযোগ করে দেয় একক প্রদর্শনীতে তাঁর অসাময়িক মাত্রার শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর। সৈয়দ মোহাম্মদ জাকিরের ‘মায়া’ শিরোনামের প্রদর্শনীতে তাঁর বহুদিনের পারফরম্যান্স শিল্পী হিসেবে কুড়িয়ে পাওয়া বস্তু, গাছের ডালপালাসহ নগরের চিহ্ন বহনকারী ফেলে দেওয়া কাঠ ও সরঞ্জাম যেন না–শিল্পের বা অ্যান্টি–আর্টের ভাষা ভর করে স্থাপনা হয়ে উঠল।

পারফরম্যান্স বা লীলার মধ্যে যদি নতুন কিছুর নিশানা থাকে, তবে উত্তরসূরির ধানমন্ডি কার্যালয় ভেঙে ফেলার সময় প্রিমা নাজিয়া আন্দালিব, আবু নাসের রবি ও আফসানা ঝুমার একক লীলা মার্চ-এপ্রিলে এই মাধ্যমের প্রতি আস্থা বাড়াতে সাহায্য করেছে। আগেই দাবি করা হলো যে বছরটি ছিল তরুণদের নানা তত্পরতার বছর—বিশেষত দলীয় সক্রিয়তার বছর হিসেবেও ২০২৩ সালকে চিহ্নিত করা যায়।

প্রদর্শনীর আধিক্য দিয়ে যদি শিল্পের স্বাস্থ্য রক্ষা হয় বলে ধরে নেওয়া যায়, তবে এ বছর বহু প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে তরুণ শিল্পীদের প্রতিভার একটা সার্বিক চিত্র পাওয়া গেছে বলে দাবি করা চলে। যেসব তরুণের মধ্যে মাধ্যমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে, তাঁদের একক গত বছরগুলোর গড়ে তোলা চরিত্রের পরিচায়ক ছিল। কলাকেন্দ্রের ভূমিকাই এখানে মুখ্য। বিশেষত বছরের শেষ তিন-চার মাস পরপর একক প্রদর্শনীগুলোয় চট্টগ্রাম ও ঢাকার কয়েকজন পরিচিত মুখের একক প্রদর্শনীর ফরম্যাটে নতুন করে শিল্পের জগতে প্রতিভার ভূমিকা নিয়ে ভাবার অবকাশ তৈরি করেছে।

‘পাবলিক ডিসকোর্স’–এর ক্ষেত্রে চিত্রকলা যেহেতু এখনো বহুল আলোচিত বিষয়, বিশেষত মাধ্যমের সহজলভ্যতার কারণে যেহেতু এর আধিক্য লক্ষণীয়, এই বিদ্যার প্রয়োগে কেমন সৃষ্টিক্ষমতা দেখা গেল, তা আগে সুরাহা করা যাক। অনিন্দ নাহার হাবিব ডিজাইনের উপাদান যোগ করে তাঁর চিত্রকে নতুনত্ব দিতে সক্ষম হয়েছেন তাঁর ‘একামাথা’ নামের একক প্রদর্শনীতে। ৬ থেকে ৮ অক্টোবর দেয়ালে বড় মাপের এক ছবি গড়ে তুলে তিনি তার ভাষার জুতসই ব্যবহার দর্শকের সামনে একে দেখিয়ে শক্তির পরিচয় দিয়েছেন। তার আগে একই গ্যালারিতে চট্টগ্রামের শারদ দাশ ফিল্মমাধ্যমে কাজ করলেও দ্বিমাত্রিক তলের কাজে মানব অবয়ব এঁকে বর্তমান সময়ের ভেঙে পড়ার নানা আখ্যান তুলে ধরেছিলেন তিনি।

অন্যদিকে দ্বীপ গ্যালারিতে ক্যানভাস ও কাগজে করা কাজ নিয়ে উপস্থিত হন মাসুদুর রহমান। তাঁর ‘কসমিক ক্যাডেন্স’ প্রদর্শনীটি মাধ্যম নিয়ে সাদাসিধা পথে হাঁটার ফল মনে হলেও এতে চার কোণের মিশ্রণ শিল্পীর ছবির চরিত্র গঠনে সহায়ক হয়েছে।

নতুন মাধ্যম নিয়ে যাঁরা গত ১০ বছরে নিজেদের শিল্পের রাজনীতির অগ্রগামী তরুণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাঁদের মধ্যে পলাশ ভট্টাচার্য একজন। চট্টগ্রামের এই শিল্পী তাঁর ডিজিটাল তত্পরতার মধ্য দিয়ে যে খণ্ড আখ্যান তৈরি করেন, তাতে ব্যক্তির স্বর ও গোষ্ঠীর অস্তিত্ববিষয়ক বাস্তবতা বিষয় হিসেবে তাঁর শিল্পকর্মকে বাঙ্ময় করে তোলে। ‘খণ্ডাংশ’ শিরোনামে কলাকেন্দ্রে তাঁর একক প্রদর্শনী হয় নভেম্বরে। এর পরপরই একই পরিসরে মিডিয়া আর্ট নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে আসছেন এমন একজন—তানভীর পারভেজের একক প্রদর্শনীতে ভিডিওর পাশাপাশি স্বয়ংক্রিয় মেশিনের ব্যবহারে শিল্পকর্মে নড়াচড়ার নতুন মাত্রা প্রত্যক্ষ করা গেছে।

‘অ/দৃশ্য’ শিরোনামে দিলারা বেগম জলির প্রদর্শনীটি শিল্পবোদ্ধাদের প্রশংসা কুড়িয়েছে

কলাকেন্দ্রের শেষ প্রদর্শনী ‘-+ ২০ /হিমদশা’ নামে মোর্শেদ জাহাঙ্গীরের একক, সেখানে বস্তুজগতের অসাময়িক কসমসে নানা খণ্ডরূপ ও প্রতিরূপ—এই দুই মাত্রার ভাস্কর্য ও চিত্রের সমারোহে এক স্থাপনার দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এই প্রদর্শনীগুলোর প্রায় প্রত্যেক শিল্পীই এই প্রথম এককভাবে হাজির হয়েছেন। ব্যতিক্রম শুধু শারদ, কলাকেন্দ্রের একক ছিল তাঁর চতুর্থ একক প্রদর্শনী।

এসব প্রদর্শনীতে কিউরেটরের ভূমিকা লক্ষণীয়। তানভীর ছাড়া বাকিদের সঙ্গে কলাকেন্দ্রের শার্মিলী রহমান প্রতিটি প্রদর্শনীর চরিত্র গড়ার কারিগরিতে শিল্পীর সঙ্গী হয়েছেন। মাসুদুর রহমানের প্রদর্শনীটি যেমন আমার ও শিল্পীর যৌথ বাছাইয়ের ফলাফল। শিল্প প্রদর্শনীর পাশাপাশি আলাপ মুখ্য হয়ে উঠেছে। এটি বহুদিনের চর্চা হলেও এ বছর শিল্পী ও শিল্পবোদ্ধাদের মধ্যকার আলোচনায় তত্ত্বীয় বিষয়ের উপস্থাপনার মাত্রা বেড়েছে বলে প্রতিভাত হয়েছে।

দ্বীপ গ্যালারির শেষ আয়োজনকেও এমন ডিসকোর্স ও শিল্পের ‘ইন্টারসেকশন’ বা সংগমস্থল হিসেবে ভাবা হয়েছে। শিল্পীদের সঙ্গে কিউরেটর হিসেবে আমার আলাপচারিতার ফল হলো, ‘আপন ঘরে পরের আমি’। ফকিরি মতকে শহরে তুলে ধরার বাসনার বদলে এতে আত্ম ও অপরের দার্শনিক ভাবনার সূত্রে শিল্পভাষার অনন্যতার বিপরীতে অন্যতা চর্চার দিকটি প্রাধান্য পেয়েছে।

বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে এ বছর আর্ন্তজাতিকভাবে স্বীকৃত শিল্পীর কাজ ঢাকায় প্রদর্শিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার বিশ্বজিৎ গোস্বামীর কিউরেশনে বেলজিয়ামের শিল্পী কোয়েন ভ্যানম্যাকেলেনের ‘মানব প্রকৃতি স্বপ্ন’ ছিল মনে রাখার মতো এক ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী, যেখানে মোরগের জিনের সম্পূর্ণ তথ্য হাজির করে মানব প্রকৃতিবিষয়ক ইয়রোপীয় মিথ ভাঙার চেষ্টা করেছেন শিল্পী।

মানবকেন্দ্রিতার বাইরে বের হয়ে আসার প্রয়াসের আরও দুটি প্রদর্শনীর কথা বলে এই লেখার ইতি টানা যায়। দুটির সঙ্গেই সেজাদ চৌধুরীর নাম জড়িত। দ্বীপ গ্যালারিতে মার্চ মাসে ‘নিমেষ’ শিরোনামে প্রকৃতির নানা রেফারেন্স ও নিজের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে যিনি একটি নির্মীয়মান শিল্প দর্শকের সামনে হাজির করেছেন। দ্বিতীয়টি হলো শিল্পীর কিউরেশনে ‘রুহানী’ শিরোনামের দলীয় প্রদর্শনী, যাতে মাধ্যম অতিক্রম করে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় তরুণ শিল্পীরা একত্র হয়ে মানবসামান্যতাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রয়াস পেয়েছিলেন।


মোস্তফা জামান: চিত্রশিল্পী ও শিল্পসমালোচক