শেষ হলো একুশে বইমেলা। তুমিও নিশ্চয়ই নতুন বই কিনেছ। হয়তো পড়েও ফেলেছ এর মধ্যে। এবার তাহলে বই নিয়েই একটা মজার খেলা শিখে নাও। খেলাটি হলো, তোমার বন্ধু বইয়ের যেকোনো পৃষ্ঠার যেকোনো একটা শব্দ বেছে নেবে, আর তুমি কিছু অঙ্ক করে বের করে ফেলবে ওই শব্দটি!
তুমি তোমার বন্ধুকে তার পছন্দমতো বইয়ের যেকোনো পৃষ্ঠার একটি শব্দ গোপনে বেছে নিতে বলো। শব্দ বেছে নেওয়ার জন্য প্রথমে তাকে বলে দাও, বইয়ের যেকোনো পৃষ্ঠার প্রথম ৯ লাইনের মধ্যে একটি শব্দ বাছতে হবে। তারপর তোমার বন্ধুর বেছে নেওয়া ওই লাইনের প্রথম ৯টি শব্দের মধ্যে একটি বেছে নেবে। এবার সে ওই শব্দটি আড়ালে একটা কাগজের ওপর লিখে রাখবে। তুমি তাকে এখন পরপর কতগুলো কাজ করতে বলো—
১. বইয়ের ওই পৃষ্ঠাসংখ্যাটিকে ২ দিয়ে গুণ করো
২. ওই গুণফলকে ৫ দিয়ে আবার গুণ করো
৩. তার সঙ্গে এবার ২০ যোগ করো
৪. যততম লাইনে শব্দটি আছে, সেই সংখ্যাটি যোগ করো
৫. এবার ৫ যোগ করো
৬. এখন ১০ দিয়ে গুণ করো
৭. লাইনে শব্দটি যে অবস্থানে আছে, সেই সংখ্যা যোগ দাও
ব্যস, এবার তাহলে তোমার বন্ধু একটি সংখ্যা বলবে। আর তুমিও সহজে পেয়ে যাবে ফল। বইয়ের যততম পৃষ্ঠার যে লাইন থেকে শব্দটি নেওয়া হয়েছে, ঠিক সেই শব্দটিই তুমি অনায়াসে বন্ধুকে বলে দিতে পারবে।
কীভাবে? চলো শিখে নিই।
তোমাকে বন্ধু যখন সংখ্যাটা বলবে, তখন তা থেকে ২৫০ বিয়োগ করো। তাহলেই তুমি সহজে উত্তরটা বলে দিতে পারবে! ধরো, তোমার বন্ধু কোনো বইয়ের ১৬ নম্বর পৃষ্ঠার ৮ম লাইনের ৪ নম্বর শব্দ বেছে নিয়েছে। তাহলে দেখো—
১. ১৬ X ২ = ৩২
২. ৩২ X ৫ = ১৬০
৩. ১৬০ + ২০ = ১৮০
৪. ১৮০ + ৮ = ১৮৮ [শব্দটি যেহেতু অষ্টম লাইনে আছে তাই ৮ যোগ হলো]
৫. ১৮৮ + ৫ = ১৯৩
৬. ১৯০ X ১০ = ১৯৩০
৭. ১৯৩০ + ৪ = ১৯৩৪ [লাইনের চতুর্থ শব্দ বলে ৪ যোগ করা হলো]
এই ১৯৩৪ সংখ্যাটিই তুমি তোমার বন্ধুর কাছ থেকে পেয়েছ।
এবার তা থেকে ২৫০ বাদ দাও। ১৯৩৪ - ২৫০ = ১৬৮৪।
এই ১৬৮৪ হচ্ছে তোমার ফল। ১৬৮৪-কে এভাবে আলাদা করো ১৬-৮-৪। তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে এই যে সব শেষের সংখ্যাটাই হলো তোমার বন্ধুর বেছে নেওয়া শব্দ। শেষ সংখ্যার আগের সংখ্যা হচ্ছে লাইন। আর অন্য সংখ্যাগুলো বইয়ের পৃষ্ঠাসংখ্যা।