ছোট্ট ছেলেমেয়ের দলে দেখবে বলে তুষারপাত,
ঘর থেকে সব বাইরে নামে আকাশপানে মেলে হাত।
তুষারকণা উড়ে উড়ে আকাশ থেকে নামে
গাছের পাতা, ছাদ পেরিয়ে পথে এসে থামে।
পথে জমা তুষার দিয়ে ছেলেমেয়ে মিলে
বানাল এক তুষারমানব সবাই তিলে তিলে।
চারিদিকে তুষারঝড়ের চলছে নাচানাচি,
ঠিক তখনই তুষারমানব দিল যে এক হাঁচি।
কী করা যায় ভাবছে তখন ছেলেমেয়ের দলে
তুষারমানবটাকে দিল জড়িয়ে কম্বলে।
তুষারমানব তবু কেঁপে বলছিল খুব শীতে
কেউ কি পারো গরম কফি আমায় এনে দিতে?
অমনি সকল ছেলেমেয়ে কফি করে আনে,
উষ্ণ হলো তুষারমানব গরম কফি পানে।
তারপরে যা হলো শোনো উষ্ণতারই ফল,
তুষারমানব গলে হলো এক্কেবারে জল।
ছেলেমেয়ের মন খারাপ হয় জলরাশিকে ঘিরে,
ভাবনা ছিল আসুক আবার তুষারমানব ফিরে।
ঠিক তখনই জলের থেকে শব্দ আসে ভেসে
শব্দগুলো কথা হয়ে বলল কানে এসে,
‘চারিদিকে চেয়ে দেখো তুষার আছে ঢের,
শুরু করো সবাই মিলে বানাও আমায় ফের!’
(মার্কিন লেখক মরিন রাইটের ‘স্নিজি দ্য স্নোম্যান’ গল্প অবলম্বনে)
হাঁটে ওই শিয়ালটা চটপট
বেজিদের বাড়ি যাবে ঝটপট।
আজ রাতে হবে নাকি পিকনিক
রান্নাটা হবে মাছ চিকনিক।
চিকনিক মাছ ছিল চায়নায়
ধরে নিয়ে এসেছে তা হায়নায়।
গিয়েছিল ভোঁদড়টা হংকং
এনেছে সে কিনে হাঁস টংকং।
সব মিলে আয়োজন কম নয়
কারও কাছে কেউ আজ যম নয়।
শিয়ালের গতি তাই বাড়ছেই
খাবে শুধু, ভেবে গোঁফ নাড়ছেই।