২৫ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন। তাই আজ পড়ে নিই তাঁর তিনটি ছড়া...
‘সাত ভাই চম্পা জাগো’—
পারুলদি’ ডাক্ল, না গো?
একি ভাই, কাঁদ্চ?—মা গো
কি যে কয়—আরে দুত্তুর!
পারায়ে সপ্ত–সাগর
এসেছে সেই চেনা–বর?
কাহিনীর দেশেতে ঘর
তোর সেই রাজপুত্তুর?
মনে হয়, মণ্ডা মেঠাই
খেয়ে জোর আয়েশ মিটাই!—
ভাল ছাই লাগ্ছে না ভাই,
যাবি তুই একেলাটি!
দিদি, তুই সেথায় গিয়ে
যদি ভাই যাস্ ঘুমিয়ে,
জাগাব পরশ দিয়ে
রেখে যাস সোনার কাঠি।
অ মা! তোমার বাবার নাকে কে মেরেছে ল্যাং?
খ্যাঁদা নাকে নাচ্ছে ন্যাদা—নাক্ ডেঙাডেং ড্যাং।
ওঁর নাক্টাকে কে কর্ল খ্যাঁদা র্যাঁদা বুলিয়ে?
চাম্চিকে–ছা বসে যেন ন্যাজুড় ঝুলিয়ে!
বুড়ো গরুর টিকে যেন শুয়ে কোলা ব্যাং!
অ মা! আমি হেসে মরি, নাক ডেঙাডেং ড্যাং!
ওঁর খ্যাঁদা নাকের ছেঁদা দিয়ে টুকি কে দেয় ‘টু’!
ছোড়্দি বলে সর্দি ওটা, এ রাম! ওয়াক্! থু!
কাছিম যেন উপুড় হয়ে ছড়িয়ে আছেন ঠ্যাং!
অ মা! আমি হেসে মরি, নাক ডেঙাডেং ড্যাং!
কি যে ছাই ধানাই–পানাই—
সারাদিন বাজ্ছে শানাই,
এদিকে কারুর গা নাই
আজি না মামার বিয়ে!
বিবাহ! বাস্, কি মজা!
সারাদিন মণ্ডা গজা
গপাগপ খাও না সোজা
দেয়ালে ঠেসান্ দিয়ে।
তবু বর হচ্ছিনে ভাই,
বরের কি মুশকিলটাই—
সারাদিন উপোস মশাই
শুধু খাও হরিমটর।
শোনো ভাই, মোদের যবে
বিবাহ করতে হবে—
‘বিয়ে দাও’ বলব, ‘তবে
কিছুতেই হচ্ছিনে বর!’
সত্যি, কও না মামা,
আমাদের অম্নি জামা
অম্নি মাথায় ধামা
দেবে না বিয়ে দিয়ে?
মামি–মা আস্লে এ ঘর
মোদেরও করবে আদর?
বাস্, কি মজার খবর!
আমি রোজ করব বিয়ে।।
তিনটি ছড়াই ঝিঙে ফুল বই থেকে নেওয়া। ‘খাঁদু–দাদু’ ছড়াটি সংক্ষেপিত।