আগামীকাল সাম্রাজ্যবাদবিরোধী বিপ্লবী চে গুয়েভারার মৃত্যুদিন। মৃত্যুদিনে অতুলনীয় এই বিপ্লবীর প্রতি শ্রদ্ধা।
‘আমার জন্ম আর্জেন্টিনায়, গুয়াতেমালায় বিপ্লবী হয়েছি, কিউবায় লড়েছি, কিউবান হয়েছি। আমি একজন লাতিন আমেরিকান। আমি লাতিন আমেরিকার যেকোনো দেশের জন্য প্রাণ ত্যাগে প্রস্তুত। বিনিময়ে আমার কিছুই চাওয়ার নেই।’ অল্প কথায় এমন স্বপ্ন, আদর্শ আর সংগ্রামের কথা আর কে বলতে পারেন—বিপ্লবী এর্নেস্তো চে গুয়েভারা [১৪ জুন ১৯২৪—৯ অক্টোবর ১৯৬৭] ছাড়া।
শুধু আপন ভূখণ্ড নয়, দুনিয়ার দেশে দেশে মানুষের মুক্তির ঝান্ডা নিয়ে লড়েছেন যে কজন বিপ্লবী, এর্নেস্তো চে তাঁদের অন্যতম। কেন অন্যতম? মুক্তির স্বপ্ন আর রাজনৈতিক আদর্শ থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত একবারের জন্যও পিছপা হননি চে। অতুলনীয় এই বিপ্লবীর নানা ইতিহাস আর রাজনীতি, তথ্য আর তত্ত্ব, কবিতা আর প্রেম, লড়াই আর মুক্তির প্রশ্নসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘চে: বন্দুকের পাশে কবিতা’। বইটি যৌথভাবে লিখেছেন লেখক ও সাংবাদিক মনজুরুল হক ও মতিউর রহমান। বাংলা ভাষায় চে গুয়েভারাকে নতুনভাবে দেখা আর পড়ার পথ আর পন্থা দুই-ই প্রকাশিত বইয়ে আছে। বইয়ে একদিকে আছে চের জীবন ও রাজনৈতিক লড়াই, অন্যদিকে নিজের লেখা, নিবেদিত ও পছন্দের কবিতার তরজমা।
কেন বইয়ের নাম ‘চে: বন্দুকের পাশে কবিতা’? বস্তুত বইটির নামায়ন চিলির বিখ্যাত কবি পাবলো নেরুদার ‘মেমোয়ার্স’ থেকে উত্সারিত। গুয়েভারার সঙ্গে পাবলো নেরুদার একবার মাত্র দেখা হয় হাভানায়। তা–ও আবার মধ্যরাতে, কিউবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। তখন মুক্ত কিউবায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন।
‘বন্দুকের পাশে কবিতা’ রচনায় নেরুদার মেমোয়ার্সের বরাত, ‘আমার বই কান্তো জেনারেল সম্পর্কে তিনি যা বললেন, শুনে আমি কৃতার্থ। সিয়েরা মায়েস্ত্রার রাতে গেরিলাদের এটা পড়ে শোনাতেন তিনি। এত বছর পর এখনো ভাবলে শরীর শিউরে ওঠে, যখন মনে পড়ে, মৃত্যুতেও তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিল আমার কবিতা।...আমরা বিদায় বললাম, কখনো আর তাঁকে দেখিনি। তারপর বলিভিয়ার জঙ্গলে তাঁর লড়াই, তাঁর মৃত্যু। কিন্তু আমার কাছে চে গুয়েভারা এমন এক ভাবুক, সাহসিক লড়াইয়ে যিনি অস্ত্রের পাশে কবিতাও রাখতেন।’
ছোটবেলা থেকে চে নিজেও কবিতা লিখতেন। কবিতা ভালোবাসতেন। তাঁর এই ভালোবাসা নিছক কবিতাপ্রেম নয়, আদর্শের লড়াই আর মানবিক আবেগে একাকার। কবিতা মূলত লড়াইয়ের ভাষা দিয়েছে তাঁকে। ফলে বন্দুক আর কবিতা ‘মুক্তি’র প্রতিপক্ষ হয়নি কখনো। দর্শন, ইতিহাস, ভূগোল, রাজনীতি, সাহিত্য আর শিল্প ছিল চের প্রিয় বিষয়। পঞ্চাশের দশকে ফিদেলের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর কবিতা আর বিপ্লব চিরসঙ্গী হয়ে ওঠে তাঁর। ফ্রান্সিসকো দে কুয়েভেদোর, হোসে মার্তি, নিকোলাস গিয়েন, পাবলো নেরুদা, সেজার ভায়েহোসহ বেশ কজন তাঁর প্রিয় কবি।
তিন ধরনের কবিতা সংকলিত হয়েছে এই বইয়ে। চের লেখা কবিতা, চের প্রিয় কবিতা আর চেকে নিবেদিত খ্যাতিমান কবিদের কবিতা। বইয়ে চের লেখা একটি কবিতা সংকলিত হয়েছে। কবিতার নাম ‘ফিদেলের জন্য গান’। একই নামে পাবলো নেরুদারও একটি কবিতা আছে, যেটি এই সংকলনে স্থান পায়নি। দুটি কবিতার অন্তর্গত ভাব আর সুর মিলিয়ে বোঝা যায়, নেরুদার কবিতায় কতটা আসক্ত ছিলেন চে। তবে কিংবদন্তি চেকে নিয়ে দুনিয়ার দেশে দেশে এত এত কবি এত এত কবিতা লিখেছেন, তার হদিস খুব সহজ নয়। উরুগুয়ের আনিবাল সাম্পাইও থেকে আর্জেন্টিনার হুলিও কোর্তাসার পর্যন্ত প্রায় ২০টি দেশের প্রভাবশালী কবিদের কবিতা সংকলিত হয়েছে বইয়ে। অনুবাদও প্রাঞ্জল ও সুখপাঠ্য। দু–একটি নজির টানা যাক।
আমার এক ভাই ছিল
আমি যাকে দেখিনি কখনো
তাতে নেই ক্ষতি কোনো
যে যেত পাহাড় পার হয়ে...
[আমার এক ভাই ছিল: হুলিও কোর্তাসার]
তুমি কি জানো এই মৃতদেহ কার,
খুদে সেনা বলিভিয়ার?
এই মৃতদেহ চে গুয়েভারার,
তিনি ছিলেন আর্জেন্টাইন এবং কিউবান...
[গিটারে বিলাপের সুর: নিকোলাস গিয়েন]
আমার ভেতরে কোনো এক জায়গায়,
হয়তো-বা কাঁধের বাঁ দিকের নিচে
আছে একটি দেশ নাম যার
গুয়েভারা।
[গুয়েভারা: জন হেইন্স]
কয়েকটি উদাহরণে বোঝা যায়, চের মৃত্যু আর আদর্শের লড়াই কতটা আলোড়িত করেছিল কবিদের। কতটা আপন, কতটা মন আর মানুষের জীবনাচ্ছন্ন করেছিলেন চে। সবচেয়ে সত্য এই—জীবনের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলো রাজনীতিবিমুখ নয়। জীবন সেখানে রাজনীতির সঙ্গে কবিতার দফারফা করে। এমনকি কবিতায় জীবনানুসন্ধানের পথও রাজনৈতিক আদর্শ হয়ে ওঠে কখনো কখনো। সাক্ষ্য চে নিজেই। তাঁর সবুজ নোটবই আর ঠোঁটস্থ কবিতা সেই সাক্ষ্য বহন করে।
চে দেখিয়েছেন, বস্তুত রাজনীতির সঙ্গে কবিতার কোনো বিরোধ নেই। আছে অপার সম্বন্ধ। বরং কবিতা আর রাজনীতির আত্মীয়তার এমন বন্ধন মানুষকে নতুন সমাজের দিশা দিতে পারে। কেননা, মানুষের মুক্তির বাসনা আর ভাষার সম্বন্ধই রাজনীতি। কবিতা সেই ভাষার ভেতর দিয়ে ভবিষ্যৎকে জাগিয়ে রাখে। রুশ কবি ইয়েভগেনি ইয়েভতুশেঙ্কুর ভাষায় বললে ‘কমেনদান্তের চাবি’। কবিতা হয়তো, ‘ঘোড়ার খুরের উচ্চারিত টুক–টাক শব্দ/ এই সব পথের সংগীত!’
কবিতা যেমন মৃত্যুর আগমুহূর্ত নাগাদ গুয়েভারাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল, ঠিক তেমনি চের মৃত্যুও পৃথিবীর দেশে দেশে কবিতা আর রাজনীতিকে জাগিয়ে তুলেছিল। আর দেশে দেশে বুনেছিল ভবিষ্যৎদ্রষ্টার স্বপ্নের বীজ।
চে: বন্দুকের পাশে কবিতা
লেখক: মনজুরুল হক, মতিউর রহমান
প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০১৭
প্রকাশক: প্রথমা প্রকাশন
প্রচ্ছদ: মাসুক হেলাল
পৃষ্ঠা: ১৩০
মূল্য: ২৫০ টাকা
গদ্যে চের লড়াইয়ের ইতিহাস আর নানা দেশের কবিদের কবিতা মিলিয়ে বইটি অনন্য। বলা চলে, তাঁকে নিয়ে বাংলা ভাষায় গদ্যে আর কবিতায় নতুন ভাষ্য সংযোজিত হয়েছে। গদ্যে যেমন এসেছে—চে শুধু লাতিন আমেরিকায় নয়, পৃথিবীর দেশে দেশে বিপ্লবের স্বপ্ন নিয়ে গেছেন। মুক্তির বার্তা নিয়ে গেছেন। প্রাণপণ লড়াই করেছেন। কোথাও স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আবার কোথাও হয়নি।
ফিদেল কাস্ত্রোর কিউবার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের অন্যতম সফল কমান্ডো চে। কিউবায় বিপ্লবের পর রাষ্ট্রীয় নানা পদে অধিষ্ঠিত হন চে। কিন্তু সেখানেও বেশি দিন থাকেননি তিনি। ছুটে গেছেন কালো আফ্রিকার কঙ্গো আর তানজানিয়ায়। ‘দেশ’ বা ‘ভূখণ্ড’ তাঁর কাছে যত না গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়ে অধিক গুরুত্বের ব্যাপার নির্যাতিত, নিষ্পেষিত ও অধিকারবঞ্চিত মানুষের ‘মুক্তি’। প্রশ্ন উঠতে পারে, মুক্তি কী জিনিস? মুক্তি হচ্ছে প্রভু থেকে দাস, শোষক থেকে শোষিতের, শোষণ থেকে মানুষের ন্যায্য অধিকারের—শেষ নাগাদ গণতান্ত্রিক সাম্যের পথে যাওয়া। আদতে মুক্তি এক চলমান স্বপ্নের পথ। স্বপ্ন কেমন?
এবং চলো আমরা
সকল উপেক্ষাকে তুচ্ছ করি
বিদ্রোহী প্রগাঢ় নক্ষত্রপ্লাবিত ভ্রুকুটিতে।
হয় বিজয়ী হব না হয়
মৃত্যুকে যাব পেরিয়ে।
[ফিদেলের জন্য গান: চে গুয়েভারা]
সত্যি, সবকিছুকে উপেক্ষা করে চে মৃত্যুকে পেরিয়ে গেছেন। সফল বিপ্লবের পর চে কিউবার নাগরিকত্ব নেন। ১৯৬৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকার স্বাধীন দেশগুলো, চীন, ভারতসহ নানা দেশ ভ্রমণ করেন। একসময় সিদ্ধান্ত নেন, আফ্রিকায় বিপ্লবের স্বপ্ন বুনবেন। ১৯৬৫ সালের এপ্রিলে পাড়ি জমান কঙ্গোতে। সেখানে চুরমার হয়ে যায় সেই স্বপ্ন। চে রচিত ‘দ্য আফ্রিকান ড্রিম’ বইয়ের বরাতে লেখকদ্বয় বলেন, ‘অস্ত্রের ঘাটতির চেয়েও কঙ্গোর বিপ্লবীদের মনোবল আর বিপ্লবী চেতনার ঘাটতি ছিল বেশি। বিপ্লবীদের মধ্যে ক্ষমতার হাতছানি ও গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের ফলে দেখা দেওয়া বিভক্তি যতটা প্রবলভাবে উপস্থিত হয়েছিল, উল্টোভাবে আদর্শগত চিন্তাভাবনার ঠিক একই পর্যায়ের অনুপস্থিতি চেকে বিচলিত এবং শেষ পর্যন্ত আশাহত করেছিল।’ [পৃষ্ঠা-১১৫]
অবশ্য কঙ্গো থাকাকালীন ফিদেলের কাছে লেখা পত্রে চের সেই আশাহতের কথা মেলে। কঙ্গো ছেড়ে চে কিন্তু ভেবেছিলেন ভিন্ন স্বপ্নের কথা। বিপ্লবের স্বপ্ন নিয়ে উরুগুয়ে পার হয়ে বলিভিয়ায় যান তিনি। যেখানেই ঘটে তাঁর জীবনের শেষ অধ্যায়।
ধারণা করা হয়, চে বলিভিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন ১৯৬৬ সালে—অক্টোবর থেকে নভেম্বরের কোনো এক সময়। মৃত্যুর আগপর্যন্ত মার্কিন মদদপুষ্ট বলিভিয়ার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে বিপ্লবীদের নানাভাবে সংগঠিত করেছেন চে।
১৯৬৭ সালের অক্টোবরে বলিভিয়ায় চে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। ‘চে: বন্দুকের পাশে কবিতা’ বইয়ে মৃত্যুকালীন ঘটনার বর্ণনা মর্মন্তুদ এবং আবেগে ভরা। বইয়ে বলা হয়, ‘চের রক্তের ছাপ নিজের হাতে লেগে থাকুক, কেউ তা চাইছিলেন না। ফলে একসময় হাবিলদার পর্যায়ের নন-কমিশন্ড সদস্যদের ডেকে তাঁদের ওপর সেই সিদ্ধান্ত কার্যকরের দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে তাঁরা বলেছিলেন, কে গুলি ছুড়বেন, তা যেন লটারির মাধ্যমে ঠিক করে নেন।’ কারণ, প্রথমবার সার্জেন্ট ভেরন ব্যর্থ হয়েছিলেন। জীবন্ত চেকে দেখে ভয়ে থরথর করে কাঁপছিলেন। এরপর কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান আতঙ্কে। সাম্রাজ্যবাদবিরোধী বিপ্লবী চে বলেছিলেন, ‘কাপুরুষ, মারো গুলি মারো, তোমাদের গুলিতে মরবে শুধু মানুষটি।’
ভবিষ্যৎদ্রষ্টা চেকে মারতে শেষ নাগাদ চোখে পট্টি বাঁধতে হয়েছিল ভিতু সার্জেন্টকে। ‘গার্ডিয়ান’–এর সাংবাদিক রিচার্ড পট লিখেছিলেন, ‘তিনি হচ্ছেন একমাত্র ব্যক্তি, সারা বিশ্বের বিভিন্ন বিপ্লবী দলকে যিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সমবেত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি এখন মৃত। তবে এর মধ্য দিয়ে তাঁর আদর্শের মৃত্যু হবে, তা ভেবে নেওয়া কঠিন’। [পৃষ্ঠা-১২২]
‘ঠিক পঞ্চাশ বছর আগে তাঁকে মর্মান্তিক এক মৃত্যুকে বরণ করতে হয়েছিল, যে মৃত্যু তাঁকে ‘বিপ্লবী সন্তের’ এক স্থায়ী আসনে বসিয়ে দিয়ে গেছে’—ভূমিকায় সে কথা জানালেন প্রাজ্ঞ দুই লেখক মনজুরুল হক ও মতিউর রহমান। ‘দেশে দেশে চে’ অংশে তাঁরা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে চের লড়াই ও লেখা লেখকদ্বয়সহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ঘুরেছিল তাঁর লেখাগুলো। বস্তুত মানুষ ও মানবতার মুক্তির জন্য যেকোনো মৃত্যু মানুষকে আকাশচুম্বী করে তোলে। সেই ব্যক্তিও হয়ে ওঠেন দেবতুল্য। চে গুয়েভারাও মৃত্যুর ভেতর দিয়ে হয়েছেন অমলিন নক্ষত্র, দিন নেই, ক্ষণ নেই, মানবমুক্তির ইতিহাসের পাতা ওলটালেই যে নামটি সোনার হরফে জ্বলজ্বল করতে থাকে।
ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সেই মৃত্যু যেন মুক্তিকে আহ্বান করে—‘বিপ্লবী চের মৃত্যু নেই’। মূলত মৃত্যু তাঁকে অমরত্বের দিকে নিয়ে গেছে। সাম্য আর মুক্তি প্রশ্নে জীবিত চে গুয়েভারার চেয়ে মৃত চে অধিক স্বপ্নচারী, অধিক শক্তিশালী। কেননা, ব্যক্তির মৃত্যু হলেও আদর্শের কখনো মৃত্যু হয় না। আদর্শই তাঁকে বাঁচিয়ে তোলে। অসামান্য আত্মত্যাগ তাঁকে মহিমান্বিত করেছে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের প্রাণে। এক মৃত্যুহীন প্রাণ তিনি।
যদি প্রশ্ন করি ‘চে’ শব্দের অর্থ কী? চে মানে ‘মানুষ’ বা ‘ভাই’। আর্জেন্টিনা আর উরুগুয়ের মনুষ্য সমাজে চে শব্দের আরও দু-চারটি অর্থ থাকতে পারে। সেই তর্ক ভিন্ন। তবে জীবন, প্রেম, ইতিহাস, তত্ত্ব, তথ্য আর কবিতায় প্রাঞ্জল এই সংকলন পাঠককে এমন কথা মনে করিয়ে দেবে—বিপ্লবী চে: ভাই আমার!