আনট্রাঙ্কুইল রিকালেকশনস: নেশন বিল্ডিং ইন পোস্ট–লিবারেশন বাংলাদেশ—২০২১ সালে প্রকাশিত অধ্যাপক রেহমান সোবহানের আত্মস্মৃতির দ্বিতীয় খণ্ড। এই খণ্ডে কিংবদন্তিতুল্য এই অর্থনীতিবিদ লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধ–পরবর্তী বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতার গল্প
প্রথম আলো নির্দেশ দিয়েছে, এমন একটা বই নিয়ে লিখতে হবে, যা মনকে বদলে দিয়েছে। ভেবে দেখলাম, এ রকম বইয়ের সংখ্যা একাধিক। তবে খুব সাম্প্রতিক কালের বই সেগুলো নয়। যেমন ছোটবেলায় শরৎবাবুর পথের দাবী মনকে বদলে দিয়েছিল। যৌবনে ম্যাক্সিম গোর্কির মা। আর এখন প্রায়ই হেগেলের যুক্তিশাস্ত্র পড়ে সময় কাটাই। আমার মনের ওপর এসব বইয়ের অন্তর্লীন প্রভাব যথেষ্ট বলেই মনে হয়। এগুলো শুধু চেখে দেখার বই নয়। হজম করে মনের পুনর্গঠনের বই।
এসব ভেবে মনে হলো, অধ্যাপক রেহমান সোবহান লিখিত ২০২১ সালে প্রকাশিত তাঁর আত্মস্মৃতির দ্বিতীয় খণ্ডটি নিয়ে কথা বলি না কেন! বইটি আমি অবশ্য পড়েছি ইংরেজিতে। নাম আনট্রাঙ্কুইল রিকালেকশনস: নেশন বিল্ডিং ইন পোস্ট–লিবারেশন বাংলাদেশ। বইটি সেজ পাবলিকেশন্স থেকে একই সঙ্গে দিল্লি, ক্যালিফোর্নিয়া, লন্ডন ও সিঙ্গাপুর থেকে প্রকাশিত হয়েছে বলে আমার কপিটি দেখাচ্ছে। বইটির রচনাগুণ সুস্বাদু, বিষয়বস্তু ঐশ্বর্যময় এবং মনের ওপর প্রভাব শিক্ষণীয় বলেই মনে হয়েছে। তাই ভেবেচিন্তে এই বইই বেছে নিলাম।
বইয়ের ভূমিকায় অধ্যাপক সোবহান আমাদের জানিয়ে দেন যে এটি তাঁর তিন খণ্ডে রচিত স্মৃতিকথার দ্বিতীয় খণ্ড। প্রথম খণ্ডটি আগেই প্রকাশিত হয়েছে, যার নাম ছিল আনট্রাঙ্কুইল রিকালেকশনস: দ্য ইয়ার্স অব ফুলফিলমেন্ট।
প্রথম খণ্ডের কালপর্ব অধ্যাপক সোবহানের জন্মকাল থেকে ১৯৭১-এ স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মকাল পর্যন্ত ব্যাপ্ত। এটিও খুব উল্লেখযোগ্য একটি বই। এখানে বিবৃত হয়েছে অধ্যাপক সোবহানের বেড়ে ওঠার কাহিনি। যৌবনে ‘দুই অর্থনীতি’ সম্পর্কে তাঁর চিন্তাভাবনা, ষাটের দশকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনি ও তাঁর সতীর্থদের মিথস্ক্রিয়া, স্বাধীন বাংলাদেশের বীক্ষণ এবং গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকার বিবরণ। অমূল্য এই প্রথম খণ্ডটি আমাদের মতো পরবর্তী প্রজন্মের পাঠকদের মুক্তিযুদ্ধের অপূর্ব গৌরবকে বুঝতে সহায়তা করেছে। এ জন্যই হয়তো বইয়ের সাবটাইটেলে হয়েছে ‘দ্য ইয়ার্স অব ফুলফিলমেন্ট’ বা ‘পূর্ণতার বছরগুলো’। স্যার বইটি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে দেওয়ার সময় তাতে লিখে দিয়েছিলেন এই কথাগুলো, ‘টু আকাশ: রিফলেকশনস অন আ ভিশন অব অ্যান আর্লিয়ার জেনারেশন উইথ ওয়ার্ম রিগার্ডস—রেহমান সোবহান।’ (স্বাক্ষর: অস্পষ্ট)।
এই প্রথম খণ্ডের ধারাবাহিকতায় রচিত হয়েছে দ্বিতীয় খণ্ড, যার কালপর্ব হচ্ছে ১৯৭২-৭৫। স্বাধীনতা–উত্তর প্রথম তিন বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনকাল। স্যার আমাকে অতিসম্প্রতি জানালেন যে এই আত্মস্মৃতির তৃতীয় খণ্ডটিও তিনি লিখে শেষ করেছেন। কিন্তু আগস্টের ‘ছাত্র–জনতা’র অভ্যুত্থানের কারণে এখন এটাতে কিছু সংশোধন, সংযোজন ও পরিমার্জনা প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে বলে আবার এটা নিয়ে তিনি কিছু কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আশা করি, শিগগিরই সে কাজ শেষ করে তাঁর আত্মস্মৃতির সর্বশেষ খণ্ডটিও আমাদের হাতে চলে আসবে। তখন আমরা হয়তো এই অক্লান্ত স্বপ্নময় যোদ্ধার জীবনের একটা মোটামুটি ইতিহাস জানতে পারব। আমরা অনেকেই অধীর আগ্রহে এ জন্য অপেক্ষা করছি। এবার আলোচ্য বইয়ের কথায় আসা যাক।
স্যারের স্মৃতিকথার প্রথম খণ্ডে স্যার জীবনের সেই যাত্রার কথা বর্ণনা করেছেন, যেখানে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য রাজনৈতিক সংগ্রাম করেছেন এবং জয়ী হয়েছেন। এই দ্বিতীয় খণ্ডে বর্ণিত হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশে নতুন জাতি গঠনের চ্যালেঞ্জগুলো এবং সেখানে মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা ও ফলাফলগুলো।
লেখক প্রথম অধ্যায়েই আমাদের এ প্রসঙ্গে জানিয়ে দেন, ‘দিস ফেইজ বিগান ইন হোপ বাট এন্ডেড ইন ডার্কনেস’—শুরু হয়েছিল আশা নিয়ে। শেষ হয়েছে অন্ধকার আর হতাশা দিয়ে।
এই বইয়ের প্রধান অংশজুড়ে রয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত লেখকের নিজস্ব কার্যকলাপের বিবরণ। উল্লেখ্য, শুধু অধ্যাপক সোবহান নন, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক আনিসুর রহমান ও অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন—এই চারজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী অধ্যাপক তাঁদের অধ্যাপনা পেশা থেকে অব্যাহতি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে পরিকল্পনা কমিশনে যোগ দিয়ে ‘সমাজতান্ত্রিক’ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৭২-৭৫ সালে সম্পূর্ণ নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ শুরু করেছিলেন।
কিন্তু দু-তিন বছর পর বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন করলে তাঁরা কেউই আর শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে থাকেননি। তাঁদের মধ্যে অধ্যাপক আনিসুর রহমানের মোহভঙ্গ হয়েছিল সবচেয়ে আগে। তিনি প্রথম পরিকল্পনা কমিশন ত্যাগ করেন। তারপর একে একে মোশাররফ হোসেন ও অধ্যাপক রেহমান সোবহান চলে যান। সর্বশেষ চলে যান অধ্যাপক নুরুল ইসলাম। তাঁদের চলে যাওয়ার কিছুদিন পরই সংঘটিত হয় ১৯৭৫–এর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড, যেখানে বিপথগামী সেনাসদ্যরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যা করে। মুজিবের মৃত্যুর পর মুজিবের সঙ্গে এই চার অর্থনীতিবিদের প্রত্যেকেই তাঁদের নিজেদের কাজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে পরবর্তী সময়ে লিখেছেন।
সেই লেখাগুলো একত্র করে পাশাপাশি রাখলে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ, সীমাবদ্ধতা, দ্বন্দ্বগুলো সম্পর্কে একটা স্পষ্ট সামগ্রিক ধারণা পাওয়া যাবে। আমার লেখা বঙ্গবন্ধুর উন্নয়নদর্শন (ইউপিএল) বইয়ে আমিও কিছু লিখেছি। এসব তুলনামূলক বহুপক্ষীয় মূল্যায়ন পাঠ করলে ১৯৭২-৭৫-এর কালপর্ব পাঠকের চোখে প্রতিভাত হবে অনেকটা চার্লস ডিকেন্সের ফরাসি বিপ্লবোত্তর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময় এবং সবচেয়ে নিকৃষ্ট সময় হিসেবে।
বর্তমান আলোচ্য বইটির সর্বশেষ অধ্যায়টির শিরোনামেও এই সত্য ফুটে উঠেছে। আর্থার কোয়েসলারের একটি বিখ্যাত বইয়ের নামের উদ্ধৃতি ব্যবহার করে অধ্যাপক সোবহান বইটির শেষে এসে ত্রয়োদশ অধ্যায়ের নাম দিয়েছেন ‘ডার্কনেস অ্যাট নুন: দ্য লাস্ট ডেজ অব দ্য বঙ্গবন্ধু এরা’, যার বাংলা অনুবাদ করলে হয় ‘মধ্যাহ্ন অন্ধকার: বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের শেষ দিনগুলো’, এই শিরোনাম থেকে সবার মনেই প্রশ্ন জাগবে, কী অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছিল বঙ্গবন্ধুর শেষ দিনগুলোয়। এর উত্তরে বামপন্থীদের মধ্যে প্রচলিত দুটি ঐতিহাসিক ভাষ্য পাওয়া যায়। একটি মস্কোপন্থী বামদের ভাষ্য। অপরটি চীনপন্থী বামদের ভাষ্য। অবশ্য পরবর্তী সময়ে এখন মস্কোপন্থীরা আগের প্রদত্ত ইতিবাচক ভাষ্যটিকে ‘বঙ্গবন্ধুর অতিমূল্যায়ন’ হিসেবে অভিহিত করে আত্মসমালোচনা করেছেন। তাঁদের মতে, বঙ্গবন্ধুর সমাজতন্ত্র প্রচেষ্টায় কিছু প্রগতিশীল পদক্ষেপের সমাহার থাকলেও (বৃহৎ ব্যাংক, বিমা ও কলকারখানার জাতীয়করণ এবং সোভিয়েত ইউনিয়নসহ সমাজতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে অধিকতর সুসম্পর্ক।) শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ বাস্তবায়নের অভাবে সেগুলো নানা দ্বিধা, দোদুল্যমানতা ও চোরাবালিতে আটকে যায়। আওয়ামী লীগ দলের ভেতরেই নব্য ধনীদের উদ্ভব হয়। বঙ্গবন্ধু শেষ মুহূর্তে বাকশাল তৈরি করে দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিলেও তা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। আর টিকে থাকলে তা কী হতো না হতো, তা বলা এখন আর সম্ভব নয়। অন্যদিকে চীনপন্থী বাম ও জাসদের অনুসারীদের মতে, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২-৭৫ সালকে ক্রমশ একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করে গণতন্ত্র কেটে একনায়কত্বমূলক ব্যবস্থার দিকেই এগোচ্ছিলেন; অর্থাৎ তাঁর শাসনামলে প্রগতি নয়, প্রতিক্রিয়াই ছিল প্রধান গতিপ্রবণতা।
অধ্যাপক সোবহান ও ড. আনিসুর রহমানের মতো যাঁরা সে সময় কোনো দলীয় রাজনীতি করতেন না, কিন্তু বামপন্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন, তাঁদের মধ্যেও ১৯৭২-৭৫–এর বাংলাদেশ সম্পর্কে এই দুই ধরনের মূল্যায়ন দেখা যায়। অধ্যাপক সোবহানের আলোচ্য বইয়ের ৩৩৬-৩৭ পৃষ্ঠায় তিনি তাঁর নিজস্ব বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতাটি খোলামেলাভাবে তুলে ধরেছেন। তাঁর সেই বক্তব্যের মূল নির্যাসটি হচ্ছে: ক. বঙ্গবন্ধু ও পরিকল্পনা কমিশনের সমাজতন্ত্র অভিমুখিন পদক্ষেপগুলো রাষ্ট্রযন্ত্র ও আওয়ামী লীগ দলের নানা বাধার কারণে বাস্তবায়িত হচ্ছিল না। খ. তখন এসব বাধার বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ ও প্রগতির পক্ষে রাজনৈতিক দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রয়োগ ছিল। বাকশাল ছিল বঙ্গবন্ধুর নিজের আন্তরিক অঙ্গীকারের দিক থেকে সে ধরনের একটি ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার অভিব্যক্তি। গ. অধ্যাপক সোবহান এই প্রচেষ্টাকে তাঁর গ্রন্থে ‘অ্যাডভেঞ্চার’ হিসেবে অভিহিত করে লিখেছেন, ‘এই অভিযানে আমি তাঁর সঙ্গে যোগ দিইনি। কারণ, এর প্রতিগণতান্ত্রিক চেহারায় আমি স্বস্তি পাচ্ছিলাম না।’ (পৃ. ৩৩৬)। ঘ. কিন্তু এটুকু বলেই অধ্যাপক সোবহান ক্ষান্ত থাকেননি। তিনি আরও লিখেছেন যে সেই সময় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে থেকে বঙ্গবন্ধুর অভিযানে যোগ দিলে তাঁকে তখন অনেক ব্যক্তিগত মূল্য দিতে হতো। তাঁকে রাজনৈতিক প্রত্যক্ষ সংগ্রামেই জড়িয়ে পড়তে হতো। বাংলা শিখতে হতো । আরামদায়ক জীবন পরিত্যাগ করে কঠিন রাজনৈতিক জীবনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হতো। সেটা করতে তিনি প্রস্তুত ছিলেন না। করেনওনি। ঙ. আত্মসমালোচনা করে তিনি আরও লিখেছেন, ‘তা করতে না পারার ব্যর্থতা আমার জীবনের একটি অমার্জনীয় ভুল। আর আমি আমার এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার জন্য চড়া রাজনৈতিক মূল্য শোধ করেছি।’ (পৃ. ৩৩৭)। অবশ্য অনেকেই হয়তো অধ্যাপক সোবহানের এই স্বমূল্যায়নের সঙ্গে বর্তমানে একমত না–ও হতে পারেন।
অধ্যাপক সোবহানের এই বইয়ের শেষ অধ্যায়ে এসে তিনি বঙ্গবন্ধুর শেষ প্রচেষ্টা বা বীক্ষণের সঙ্গে বর্তমান সময়ের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে একটি ছোট্ট অনুচ্ছদও লিখেছেন। সেটির শিরোনাম: ‘কনটেমপোরারি পার্সপেকটিভস অন বঙ্গবন্ধু ভিশন’।
সেখানে তিনি লিখেছেন, প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে বঙ্গবন্ধুর আমলে তাঁরা সবাই মিলে যা–ই করতে চেষ্টা করে থাকেন না কেন এবং তার পরিণতি তখন যা–ই হোক না কেন, এখন (২০২০) ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রয়েছেন শেখ হাসিনা, স্বয়ং বঙ্গবন্ধুর কন্যা। কিন্তু অধ্যাপক সোবহানের মতে, বাংলাদেশ এখন উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি অর্জন করলেও অসমতা ও সামাজিক বৈষম্য এতই বেড়েছে যে এর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমাজের কোনো মিল নেই। এই বেমিলের জন্য ২০২৪-এ অবশ্য আমরা লক্ষ করছি যে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিদারুণভাবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন।
এই বই পড়ে বাংলাদেশে নতুন প্রজন্ম যেমন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম মূলনীতি সমাজতন্ত্রের অতীত বিপর্যয়ের দিকটি অনুধাবন করতে পারবে, তেমনি ২০২৪ সালে এখন আবার বৈষম্য নিরসনের জন্য সংগ্রামের প্রেরণা কেন পুনরুজ্জীবিত হলো সেটারও একটা হদিস পাবেন। বইটির বহুল প্রচার কাম্য। আর অপেক্ষায় রইলাম তৃতীয় খণ্ডের জন্য।