বর্ষাকালের ফল পেয়ারা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি এবং সি। ভিটামিন এ চোখের উপকার বয়ে আনে। আর ভিটামিন সি পুরো শরীরের ত্বকে বয়ে আনে পুষ্টি। পেয়ারার ভেতরের চেয়ে বাইরের খোসায় রয়েছে বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি, যা স্কার্ভি নামক চর্মরোগসহ সব ধরনের ত্বকের অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, সর্দি, হাঁচি, কাশি দূর করে। ত্বককে ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে রক্ষা করে পেয়ারার বাইরের সবুজ আবরণ। এই ফলে রয়েছে ক্যারটিনয়েড নামক উপাদান, যা ভাইরাসজনিত ইনফেকশনকে ধ্বংস করে, ডায়রিয়ার জীবাণুকে করে দুর্বল। ত্বকে টানটান ভাব এনে মাংসপেশিকে শক্তিশালী করতে এর ভূমিকা অপরিসীম। তারুণ্য বজায় রাখে দীর্ঘকাল। তবে খুব বেশি মিষ্টি পেয়ারা ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তে চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই হালকা মিষ্টি পেয়ারা খান। কচি পেয়ারা রক্তে দ্রুত চিনির মাত্রা কমায়। তাই ডায়াবেটিসের রোগী ও অধিক ওজনবিশিষ্ট ব্যক্তিরা পাকা পেয়ারার পরিবর্তে খেতে পারেন কচি পেয়ারা। অনেকেই পেয়ারার বিচি (বীজ) হজম করতে পারেন না। হজমে সমস্যা হলে বীজ ফেলে পেয়ারা খান। এই ফলের পুষ্টিগুণ দ্রুত নষ্ট হয়। তাই টাটকা খাওয়াই উত্তম। ডা. ফারহানা মোবিন