পুলিশ-র‌্যাব তৎপর হলে ছেলের লাশ নিয়ে ফিরতে হতো না

‘ত্বকি নিখোঁজ হলো ৬ মার্চ। আমি থানায় জিডি করলাম। র‌্যাবকেও লিখিতভাবে জানালাম। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো তৎপরতা দেখিনি। ওরা তৎপর হলে আমাকে ছেলের লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হতো না।’ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি ছেলে হত্যার ব্যাপারে এভাবেই তাঁর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা রফিউর রাব্বি মনে করেন, ছেলের মৃত্যুর কারণ তিনি নিজে। ছেলের তো কোনো শত্রু ছিল না। তিনি বলেন, তেল-গ্যাস-খনিজ-বন্দর-বিদ্যুৎ রক্ষা, বাস ভাড়া কমানো, রেলওয়ের ভূমি লুটপাটের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের মানুষ যে অবস্থান নিতে শুরু করেছিল, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মানুষ সোচ্চার হয়ে উঠছিল, সর্বশেষ গণজাগরণ মঞ্চে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন—এসব কারণে কোনো একটি পক্ষ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।সন্তানহারা রাব্বি গতকালও বলেছেন, ‘যদি বাস ভাড়া কমানোর বিষয়টি অন্যায় হয়ে থাকে, ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে রেলওয়ের ভূমি রক্ষা করা অন্যায় হয়ে থাকে, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ করাটা অন্যায় হয়ে থাকে এবং যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি করা অন্যায় হয়ে থাকে, তাহলে এই অন্যায় আমৃত্যু করে যাব। এই আন্দোলন চালিয়ে যাবই।’রফিউর রাব্বি বলেন, এর আগেও একইভাবে নাট্যকর্মী দিদারুল আলম চঞ্চল, ব্যবসায়ী আশিককে হত্যা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের মানুষের মনে এই ধারণা জন্মেছে যে, র‌্যাবের ক্যাম্প বিশেষ মহলের কথায় উঠবস করে। এ কারণেই এসব হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু বের হচ্ছে না। কারা হত্যাকাণ্ড ঘটাল, নারায়ণগঞ্জবাসী জানলেও প্রশাসন বলছে, তারা কিছু জানে না। তাঁর বিশ্বাস, সরকার ও প্রশাসন চাইলে ত্বকির হত্যাকারীদের খুঁজে বের করা সম্ভব।