বিজয়োৎসবের নানা আয়োজনের এ সময় আপনার সন্তানের কোমল মনে বুনে দিতে পারেন দেশপ্রেমের বীজ। দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বেড়ে ওঠা শিশুরাই তো একদিন দায়িত্বশীল নাগরিক হবে। আর দেশকে এগিয়ে নেবে সাফল্যের পথে। বাঙালির লড়াই ও গৌরবের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদেরই। কেবল বিজয় দিবসে নয়, বছরের বারো মাস শিশুকে এই গৌরব ও ত্যাগের ইতিহাস উপলব্ধি করাতে যা করতে পারেন...
শুরুটা শিশুর ঘর থেকেই হোক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তৈরি করা নানা রকম পোস্টার আছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। ২০–২৫ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন। ৫–১০ টাকায় আছে ছোট ছোট পোস্টকার্ড। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, নিত্য উপহারসহ বিভিন্ন দোকানের লাল–সবুজ নকশার বিশেষ মগও দিতে পারেন উপহার।
শিশুর দিনের বড় একটা সময় কাটে পড়াশোনা নিয়ে। স্কুলব্যাগটায় বিজয় স্মারক লাগানো হলে সেটি যেমন প্রায়ই তার চোখে পড়বে, তেমনি নিজের ব্যাগটা বিশেষ কিছু দিয়ে সাজানো বলে মনটাও খুশি থাকবে। ব্যাগটার যে অংশ কাঁধে ঝুলিয়ে রোজ স্কুলে যায় সে, সেই অংশটায় লাল-সবুজ ব্যাজ লাগিয়ে দিতে পারেন। একটু বড়রা স্কুলব্যাগের চেইনের সঙ্গে চাবির রিং পেলে খুশি হতে পারে। তাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে লাল-সবুজ চাবির রিং কিনে নিতে পারেন। দাম সামান্যই।
বিজয়ের মাসে ঘর থেকে বেরোলেই পতাকাবিক্রেতার দেখা মেলে। ছোট-বড় নানা আকৃতির এসব পতাকার মধ্য থেকে যেকোনো একটি বেছে নিতে পারেন পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্যটির জন্য। পতাকা বিক্রেতাদের কাছে পতাকা আঁকা ব্যান্ডানাও পেতে পারেন।
শিশুর উপযোগী বইটি যদি হয় মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা, তবে গল্প-ছড়ার ছলেই গড়ে উঠতে পারে ইতিহাসের চেতনা। গল্প-ছড়ার এমন বইও কিনে দিতে পারেন আপনার শিশুকে।
আজকাল ডাকটিকিট জমানোর চল তেমন নেই। তবে আনন্দের খোঁজ পেলে পুরোনো শখ নতুন প্রজন্মও লুফে নিতে পারে। সেটি শুরু হতে পারে বাংলাদেশের জন্ম ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রকাশিত ডাকটিকিট উপহার দিয়েই। এ ছাড়া শিশুদের জন্য লাল-সবুজ রিস্টব্যান্ড পাবেন নিউমার্কেটে। মেয়েদের জন্য লাল-সবুজ চুড়িও কিনতে পারেন।