দৈনন্দিন কাজে মনোযোগ ধরে রাখাটা জরুরি। তীব্র প্রতিযোগিতার এই যুগে জরুরি কোনো কাজে বারবার মনোযোগ হারিয়ে ফেলাটাও কাজের কথা নয়। বেশির ভাগ সময়ই পারিপার্শ্বিক, পারিবারিক, সামাজিক, ব্যক্তিগত চাপের কারণে আমরা মনোযোগ হারিয়ে ফেলি। অনেক সময় মেধাবী হওয়ার পরও মনোযোগ হারিয়ে ফেলার জন্য পরাজয় মেনে নিতে হয়। তবে এত চাপের মধ্যেও মনোযোগ ধরে রাখার কিছু উপায় আছে। নিয়মিত কিছু অনুশীলন আমাদের মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে।
১. প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবে আমাদের মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন জরুরি কাজে মনোযোগ থাকে না।
২. সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি বা লেবুপানি পান আমাদের মস্তিষ্ককে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করবে। পানি শুধু মস্তিষ্ক নয়, আমাদের পুরো দেহের সব অঙ্গের জন্য খুব উপকারী।
৩. নারী-পুরুষ উভয়ের দেহে ভিটামিন ডির অতিরিক্ত ঘাটতি হলে জরুরি কাজে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়। সূর্যের আলো আমাদের রক্তের ভিটামিন ডিকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তাই মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত সকালের হালকা রোদ শরীরে লাগাতে হবে, যা সব বয়সের মানুষের জন্য অপরিহার্য।
৪. সব সময় কাজের তালিকা কাজের গুরুত্ব অনুযায়ী লিখতে হবে। এতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সবার আগে মনোযোগ দিয়ে করা যাবে। এ ছাড়া একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ জমে গেলে কোনো কাজে আনুমানিক কতটুকু সময় লাগতে পারে, তা আগে থেকে হিসাব করে, কাজ করলে জরুরি কাজে আপনি মনোযোগ দিতে পারবেন।
৫. গল্প বা উপন্যাস যাঁরা নিয়মিত পড়েন, গবেষণায় দেখা গেছে তাঁদের মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়। ফলে তাঁরা যেকোনো কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন তুলনামূলকভাবে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি।
৬. ধ্যান, পছন্দের কোনো কাজ আমাদের একঘেয়েমি দূর করে মনোযোগ বৃদ্ধি করে।
৭. দাবা খেলা, সুডোকু মেলানো, ডায়েরি লেখা, দীর্ঘ আগের কোনো স্মৃতিচারণে মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়, যা আমাদের কাজে মনোযোগ বৃদ্ধি করে।
৮. বিষণ্নতা, নেতিবাচক চিন্তা, দুঃখ, হীনম্মন্যতাবোধ, অসৎ সঙ্গ আমাদের জরুরি কাজে মনোযোগ কমিয়ে দেয়। তাই সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে। জীবনে উত্থান-পতন আসবেই। এই কঠিন সত্যকে মেনে নিয়ে জীবনসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
৯. পরনিন্দা, পরচর্চা, জরুরি কাজ ছাড়া অতিমাত্রায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার আমাদের প্রয়োজনীয় কাজে মনোযোগ কমিয়ে দেয়।
১০. পছন্দের গান আমাদের মন প্রফুল্ল রাখে, গান মানসিক প্রশান্তি বাড়ায়, যা আমাদের মনোযোগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।