২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেওয়া হচ্ছে ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড। পুরস্কারটি প্রবর্তন করেছে প্রিন্সেস ডায়ানার নামে প্রতিষ্ঠিত একটা দাতব্য সংস্থা। ন্যূনতম এক বছর কোনো মানবিক কাজ করেছেন এবং বয়স ৯-২৫ বছরের মধ্যে, এমন উদ্যমী তরুণদেরই কেবল দেওয়া হয় এই পুরস্কার। গত ১ জুলাই ভার্চ্যুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘোষণা করা হলো এই বছরের প্রাপকদের নাম। বিশ্বের নানা দেশের উদ্যমী তরুণদের পাশাপাশি তালিকায় বাংলাদেশি আট তরুণ ‘চেঞ্জমেকার’-এর নামও আছে। পড়ুন এই আট তরুণের একজনের গল্প।
উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ ইয়ুথ সোসাইটি (বিওয়াইএস) গড়ে তোলেন ফায়েজ বেলাল। মানসম্পন্ন শিক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নারী-পুরুষের সমানাধিকারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে এ সংগঠন। ‘অভয়’, ‘গার্লস সামিট’, ‘স্বপ্নজয়’, ‘সম্পর্কে ভালো থাকুক দেশ’, ‘শি ইজ দ্য ফার্স্ট’, ‘আমি থেকে আমরা’, ‘ইয়ুথ ফেস্ট’, ‘বরিশাল নুক’সহ নানান উদ্ভাবনী প্রকল্পের মাধ্যমে সামাজিক সমস্যার সমাধান করে চলেছে বিওয়াইএস। আট বছরে তাদের নানা কার্যক্রমের অংশ হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। বরিশাল, ঢাকা ও রংপুর বিভাগের প্রায় ১২টি জেলায় এখন কার্যক্রম পরিচালনা করছে তারা। আর এসবের জন্যই ‘চেঞ্জার’ ক্যাটাগরিতে ২০২২ সালের ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন ফায়েজ।
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের এই শিক্ষার্থীবলেন, ‘বরিশালের তরুণদের হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছিল বিওয়াইএস। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ এবং কিশোরীদের নেতৃত্ব বিকাশকে প্রধান্য দিয়েছিআমরা। এখন দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ তরুণ সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে বিওয়াইএস। ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে ২০ লাখ নারী এবং কিশোরীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং তাদের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখতে কাজ করে যাচ্ছে বিওয়াইএস। পাশাপাশি ‘অভয়’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে রাস্তাঘাটে নারীদের যৌন হয়রানি কমানোরও উদ্যোগ নিয়েছে সংগঠনটি।