বন্ধু স্বামী

জি, সম্পর্কে সে আমার স্বামী হলেও আমরা একে অপরের সবচেয়ে ভালো বন্ধু। আমরা এমন বন্ধু যে কোনো কথা শেয়ার করতে দেরি হলে অস্বস্তি শুরু হয়ে যায়। আমাদের সম্পর্কের শুরুটাও বন্ধুত্ব থেকে। সহপাঠী হলেও পুরো একটা বছর তার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। হঠাৎ করেই বন্ধুত্ব, তারপর অদ্ভুত এক মায়া তৈরি হলো। বরাবর স্বচ্ছতার প্রতি আমার তীব্র আকর্ষণ। সে ছিল আমার সামনে স্বচ্ছ কাচের মতো। তাই শূন্য পকেট, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ জেনেও তাকে ফিরিয়ে দিতে পারিনি। প্রণয়ে জড়িয়েছি।

৩ জানুয়ারি আমাদের বিয়ের চার বছর পূর্ণ হবে (হয়ে গেছে)। এই সময়ে মানুষটা আমাকে দিয়েছে পূর্ণ স্বাধীনতা। আমার পরিবারকে আমার মতো করে ভালোবেসেছে। আমি জানি না কতটুকু প্রতিদান দিতে পেরেছি। তার সাধ্যের মধ্যে সবটুকু সুখ সে আমার হাতে এনে দিয়েছে। এই চার বছরে সে একবারও মনে হতে দেয়নি যে আমি তার হাত ধরে ভুল করেছি।

সে হয়তো আমাকে বিশাল দামি কিছু উপহার দেয়নি, কিন্তু আমার পছন্দের গোলাপ ঠিকই এনেছে। আমার মনে এমন এক শক্তি এনে দিয়েছে, যে শক্তিবলে আমি আমার স্বপ্নের থেকেও বড় হতে পারি। চারটা বছর যেন চোখের পলকে চলে গেছে। এমন একটা বন্ধু পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। সবার জীবনে এমন একজন বন্ধু আসুক। আমার চোখে সে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বন্ধু, শ্রেষ্ঠ স্বামী। তোমাকে অনেক ভালোবাসি। শুভ বিবাহবার্ষিকী বন্ধু।

মনজুরা খাতুন, বসুন্দিয়া, যশোর

সোনালি সময়

২০২৪ সালের শুরুতে এসে গত হয়ে যাওয়া বছরগুলোয় বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো সোনালি সময়গুলো মনে পড়ছে। দুষ্টুমিভরা বিকেল আর স্যারদের কাছ থেকে লুকিয়ে ক্লাসের শেষ বেঞ্চে বসে গল্পের বই পড়তে গিয়ে ধরা খাওয়া দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ছে। কতবার যে স্কুল পালিয়ে ধানখেতের ভেতর লুকিয়ে থেকেছি। স্কুলের সামনের আতির বাগান বলে পরিচিত বিরাট বাগানে অভিযান চালিয়েছি, একটিবার ভূত দেখার জন্য! নতুন বছরে সেসব স্মৃতির সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের প্রতি আমার এই নিবেদন।

জিয়াদ হোসেন, রূপসা, খুলনা

লেখা পাঠানোর ঠিকানা

মনের বাক্সে পাঠানো যাবে ই–মেইলে, ডাকে এবং প্র অধুনার ফেসবুক পেজের ইনবক্সে।

ই–মেইল ঠিকানা: adhuna@prothomalo.com (সাবজেক্ট হিসেবে লিখুন ‘মনের বাক্স’)

ডাক ঠিকানা: প্র অধুনা, প্রথম আলো, প্রগতি ইনস্যুরেন্স ভবন, ২০–২১ কারওয়ান বাজার, ঢাকা ১২১৫। (খামের ওপর লিখুন ‘মনের বাক্স’)

ফেসবুক পেজ: fb.com/Adhuna.PA