বিরাট কোহলি আর আনুশকা শর্মা ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় পাওয়ার কাপলদের মধ্যে অন্যতম। তাঁদের নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। তাঁদের নিয়ে গুগলের কাছে অসংখ্যবার জানতে চাওয়া প্রশ্নগুলোর ভেতর একটি হলো, বিরাট আর আনুশকার ভেতর কে বেশি ধনী? উত্তরটা অনুমিত, সহজ। বিরাট কোহলি। বিরাটের মোট সম্পদের পরিমাণ আনুশকার পাঁচ গুণেরও বেশি!
বিরাট কোহলি প্রতিবছর কেবল ক্রিকেট থেকেই আয় করেন শত কোটি টাকা। এর ভেতর বিসিসিআই (বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া) থেকে প্রতি বছর কেবল বেতনই পান ২১ কোটি টাকা (১৬ কোটি রুপি)। প্রতিবছর আইপিএল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) খেলে কেবল বেতন পান ২০ কোটি টাকা। প্রতিদিন টেস্ট খেলার জন্য পান ৮০ লাখ টাকা।
এ ছাড়া কোহলি পুমা, অডি, এমআরএফসহ অনেক নামীদামি ব্র্যান্ডের এন্ডোর্সমেন্টের সঙ্গে যুক্ত। এসব এন্ডোর্সমেন্ট আর স্পনসরশিপই এখন তাঁর আয়ের প্রধান উৎস। কেননা, তিনি নিজেকেই ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এগুলো থেকে বছরে তিনি প্রায় ২০০ কোটি টাকা আয় করেন। এসব ছাড়াও কোহলির নিজের ফ্যাশন লেবেল আছে, নাম রং। কোহলির ফিটনেস সেন্টারের নাম চেজল। আরও অনেক খাত থেকে আয় করেন এই ক্রিকেট তারকা।
বাৎসরিক আয় ও মোট সম্পদ: বছরে বিরাট কোহলি সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা আয় করেন। আর তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ (ফেব্রুয়ারি, ২০২৩) ১২৫০ কোটি রুপি বা ১৬৫০ কোটি টাকা।
১. সিনেমা
পাঁচ বছর হয়ে গেল নতুন সিনেমায় নেই আনুশকা। বিয়ের পর সীমিত সময়ের জন্য বলিউডকে বিদায় দিয়েছিলেন। আর মা হওয়ার পর তাঁর ব্যক্তিত্বেও এসেছে বদল। এখন আর বলিউডের মসলাদার ফর্মুলা সিনেমা তাঁকে টানে না। তিনি এখন কেবল অর্থ উপার্জনের জন্য বড় পর্দায় দেখা দেবেন না। যখনই দেখা দেবেন, কোন একটি ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে। এই যেমন ডিসেম্বরে ‘চাকদা এক্সপ্রেস’ সিনেমায় তিনি হয়ে উঠবেন ভারতের নারী ক্রিকেটের দ্রুততম বোলার ঝুলন গোস্বামী। নারীর জীবনের সংগ্রাম আর সফলতার মাধ্যমে ট্যাবু ভেঙে অন্যদের অনুপ্রাণিত করাই তাঁর উদ্দেশ্য। সিনেমাপ্রতি আনুশকা ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নেন।
২. প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান
আনুশকার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ক্লিন স্লেট ফিল্মস থেকেও মুক্তি পাচ্ছে ভিন্ন ধারার ওয়েব কনটেন্ট, ওয়েব সিরিজ আর চলচ্চিত্র। তবে এখান থেকে আনুশকা খুব বেশি আয় করেন না। বরং মেধাবী তরুণ নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, অভিনয়শিল্পী আর ভিন্ন অথচ গুরুত্বপূর্ণ গল্পগুলোকে তুলে ধরার জন্যই এই প্রতিষ্ঠানটি চালান তিনি।
৩. বিজ্ঞাপন
এন্ডোর্সমেন্ট, বিজ্ঞাপন ও ব্র্যন্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আনুশকা প্রতি চুক্তিতে চার থেকে ছয় কোটি টাকা আয় করেন।
৪. ব্যবসা
আনুশকার ক্লদিং ব্র্যান্ড নুশ। তবে এখান থেকে বছরে তিনি কত টাকা আয় করেন, তা জানা যায় না। এ ছাড়া হোলসাম ফুড নামে ভেজিটেরিয়ান একটা খাবেরর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও পার্টনারশিপে যুক্ত আছেন তিনি।
বাৎসরিক আয় ও মোট সম্পদ: সব মিলিয়ে আনুশকা শর্মা বছরে ১৫ কোটি টাকা আয় করেন। লাইফস্টাইল এশিয়া অনুসারে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা।