ব্যস্ত জীবনে টানা দু-তিন দিনের ছুটি যেন সঞ্জীবনী সুধার মতো। বছরের শুরুতেই কর্মজীবী মানুষেরা সরকারি ছুটির পঞ্জিকায় আগ্রহে চোখ বোলান। কখন একটু বেশি সময় ছুটি আছে, নিদেনপক্ষে দুই বা তিন দিন—দেখে বর্ষ পরিকল্পনা সাজাতে চেষ্টা করেন। বিয়ের অনুষ্ঠান, পারিবারিক সম্মিলন, আত্মীয়স্বজনের বাড়ি যাওয়া কিংবা দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মতো পরিকল্পনার জন্য একটু লম্বা ছুটির দরকার। একনজরে দেখে নিতে পারেন ২০২৩ সালের বড় ছুটির দিনগুলো।
২৪-২৬ মার্চ (৩ দিন): ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পড়েছে এবার রোববার। আগের দুদিন, অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মোট ছুটি হয়ে যাচ্ছে ৩ দিন।
ঈদুল ফিতর (৩ দিন): ২২ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হওয়ার কথা। সরকারি ছুটির দিন হিসেবে এদিন শনিবার। ঈদের আগের ও পরের দিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। মোট তিন দিনের ছুটি। তবে আরবি বর্ষের শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠার ওপর নির্ভর করে ছুটির দিনে পরিবর্তন আসতে পারে।
৪-৬ মে (৩ দিন): ৪ মে বুদ্ধপূর্ণিমা। ছুটি এক দিনের। সেই দিনটি পড়েছে বৃহস্পতিবার। পরবর্তী দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে মোট তিন দিনের ছুটি উদ্যাপনের একটি পরিকল্পনা করতেই পারেন।
ঈদুল আজহা (৩ দিন): ২৯ জুন ঈদুল আজহা। ঈদুল ফিতরের মতো ঈদের আগের ও পরের দিনসহ ঈদুল আজহার মোট ছুটি ৩ দিন।
২৮-৩০ সেপ্টেম্বর (৩ দিন): ২৮ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। সরকারি ছুটির বর্ষপঞ্জিতে এদিন বৃহস্পতিবার। পরের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি। তাহলে মোট ছুটি দাঁড়াচ্ছে ৩ দিন। তবে আরবি বর্ষের পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ ওঠার ওপর নির্ভর করে ছুটির দিনে পরিবর্তন আসতে পারে।
সরকারি ছুটির নির্দেশনা মোতাবেক, একজন কর্মচারী তার নিজ ধর্ম অনুযায়ী বছরে অনধিক মোট তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি কাটাতে পারেন। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সাধারণ ছুটি, নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যুক্ত করে ঐচ্ছিক ছুটি ভোগ করার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
২৬-২৮ জানুয়ারি (৩ দিন): সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা ২৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার। পরের দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটি।
৩-৫ ফেব্রুয়ারি (৩ দিন): বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মাঘী পূর্ণিমা ৫ ফেব্রুয়ারি, রোববার হলে আগের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে মোট ছুটি পাওয়া যেতে পারে তিন দিন। তবে উৎসবটি চান্দ্র তিথির ওপর নির্ভরশীল বলে ছুটিতে পরিবর্তন আসতে পারে।
১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি (৩ তিন): পবিত্র শবে মেরাজ উপলক্ষে ১৯ ফেব্রুয়ারি ছুটি। দিনটি রোববার। আগের দুই দিনও (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে মোট ছুটি হবে ৩ দিন। তবে চাঁদ ওঠার ওপর নির্ভর করে ছুটির দিনে পরিবর্তন আসতে পারে।
১৭-১৯ মার্চ (৩ দিন): ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ, রোববার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব দিবসের ছুটি। আগের দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি।
৬-৯ এপ্রিল (৪ দিন): পুণ্য বৃহস্পতিবারের ছুটি ৬ এপ্রিল। পরের দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সেই সঙ্গে ইস্টার সানডের ছুটি ৯ এপ্রিল। অতএব খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা মোট ছুটি পাবেন ৪ দিন।
১৩-১৫ এপ্রিল (৩ দিন): চৈত্রসংক্রান্তির ছুটি ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। পরের দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি।
২৮-৩০ সেপ্টেম্বর (৩ দিন): চাঁদ দেখতে পাওয়া সাপেক্ষে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের পবিত্র মধু পূর্ণিমা হতে পারে ২৮ সেপ্টেম্বর। দিনটি বৃহস্পতিবার। পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার। তাহলে মোট ছুটি পেতে পারেন তিন দিন।
২০-২৩ অক্টোবর (৪ দিন): বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার ছুটি ২২ ও ২৩ অক্টোবর, রবি ও সোমবার। আগের দুই দিন (শুক্র-শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সুতরাং মোট ছুটি দাঁড়াচ্ছে ৪ দিন।
১০-১২ নভেম্বর (৩ দিন): ১২ নভেম্বর, রোববার শ্যামা পূজার ছুটি। আগের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি।
২২-২৬ ডিসেম্বর (৫ দিন): খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন (ক্রিসমাস ডে) ২৫ ডিসেম্বর। বড়দিনের আগে-পরের দুই দিন ঐচ্ছিক ছুটি। বড়দিনের আগের দিন, অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর রোববার। এর আগের দুই দিন (শুক্র-শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। একেবারে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার) ছুটি পেতে পারেন খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা।