যোগব্যায়ামে মাধ্যমে নানা সমস্যার সমাধান মিলবে স্বাভাবিক নিয়মে। মডেল: শামা মাখিং
যোগব্যায়ামে মাধ্যমে নানা সমস্যার সমাধান মিলবে স্বাভাবিক নিয়মে। মডেল: শামা মাখিং

ভুঁড়ি কমানোর তিন উপায়

একটা বয়সের পরে ভুঁড়ি নিয়ে চিন্তায় পড়েন অধিকাংশ মানুষ। অথচ ছোট ছোট অভ্যাস দিয়েই আমরা এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। পেটের মেদ কমানোর জন্য রোজকার জীবনযাপনে একটু পরিবর্তন আনুন। সাধারণত যেসব কারণে আমাদের ভুঁড়ি বাড়ে, তার মধ্যে আছে
প্রয়োজনের তুলনায় অতিভোজন, সময়মতো না খাওয়া, রাতের খাবারে দেরি, ব্যায়াম না করা ও ফাস্ট ফুড খাওয়া। তাই এই বিষয়গুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।

কিন্তু এরই মধ্যে যাঁদের ভুঁড়ি হয়ে গেছে, তাঁরা কীভাবে সেটা কমাবেন! মাত্র তিনটি যোগব্যায়াম করে আপনার মধ্যপ্রদেশের টিলাকে সমতল বানিয়ে ফেলতে পারেন। পেটের ফ্যাট বার্ন করার জন্য নানা রকম আসন আছে। সেখান থেকে তিনটি আসন এখানে বর্ণনা করা হলো।

ধনুরাসন

ধনুরাসনে ভুঁড়ি কমবে। মডেল: শামা মাখিং

যেভাবে করবেন: উপুড় হয়ে দুই পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল স্পর্শ করে টান টান হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর দুই পায়ের মাঝে কাঁধসমান দূরত্ব রেখে ফাঁকা করে রাখুন। পা দুটি হাঁটু থেকে ভাঁজ করুন এবং গোড়ালির ওপরের অংশ ধরুন। এরপর শ্বাস নিতে নিতে বুক ও মাথা ওপরে তুলুন। একই সঙ্গে হাঁটু ও ঊরু ওপরে তুলুন। হাঁটু ওপরে তোলার জন্য পা দুটিকে মাথার বিপরীত দিকে বল প্রয়োগ করুন এবং হাত দুটি দিয়ে পা দুটিকে ওপরের দিকে তোলার চেষ্টা করুন। আসনে থাকা অবস্থায় স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস চলবে। আসন থেকে নামার সময় শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে নামবেন।

ব্যাপ্তিকাল: প্রথমে ১৫ সেকেন্ড করে ৩-৫ বার করুন। ধীরে ধীরে ব্যাপ্তিকাল বাড়াবেন।

সতর্কতা: নারীরা মাসিকের সময় আসনটি করবেন না।

হংসাসন

হংসাসনে এভাবে পায়ের আঙ্গুল ও হাতের তালুতে ভর দিয়ে থাকতে হয়। মডেল: শামা মাখিং

যেভাবে করবেন: বজ্রাসনে বসুন। দুই হাত বাইরের দিকে ঘুরিয়ে পরস্পরের সঙ্গে মিলিয়ে (কনুই একসঙ্গে থাকবে) হাতের আঙুলগুলো পেছনের দিকে করে হাঁটুর ওপর ভর দিয়ে বসুন। কনুই জোড়া নাভির দুই দিকে লাগিয়ে পা দুটো এক এক করে পেছনের দিকে সোজা করে দিন। পায়ের আঙুলগুলো ভেতরের দিকে ভাঁজ হয়ে থাকবে। পূর্ণ স্থিতিতে পা থেকে মাথা পর্যন্ত সোজা হয়ে থাকবে। 

ব্যাপ্তিকাল: প্রথম অবস্থায় ১০ সেকেন্ড একটানা থাকার চেষ্টা করুন। এরপর সময় বাড়িয়ে ৩০-৬০ সেকেন্ড করতে পারেন। কমপক্ষে তিনবার করুন।

সতর্কতা: পিরিয়ডের সময় ও অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এই আসন করা থেকে বিরত থাকুন।

জানুশিরাসন

জানুশিরাসনে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে

যেভাবে করবেন: পা টান টান করে দণ্ডাসনে বসুন। ডান পা মুড়ে পায়ের পাতাকে বাঁ ঊরুর গোড়ায় লাগান, যাতে গোড়ালি ঊরুর জয়েন্টে স্পর্শ করে। শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত মাথার ওপরের দিকে টান টান করে তুলুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পেট ভেতরে টান দিন এবং কোমরের নিচের অংশ থেকে সামনের দিকে ঝুঁকে যান। দুই হাত দিয়ে প্রথমে বাঁ পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এটা পারলে পরে পায়ের পাতা ধরে মাথাটা হাঁটুতে লাগানোর চেষ্টা করুন। আসনে শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। আসন থেকে ফেরার সময় শ্বাস নিতে নিতে সোজা হন। হাত মাথার ওপর টান টান হয়ে থাকবে। এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত নামিয়ে ফেলুন। অন্য পায়েও একইভাবে করুন। 

 ব্যাপ্তিকাল: প্রথমে ১০-১৫ সেকেন্ড করে করুন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে সময় বাড়িয়ে ৩০-৬০ সেকেন্ড আসনে স্থির হয়ে থাকুন। কমপক্ষে তিনবার করবেন।