ধনী আর মধ্যবিত্তের ভেতর মূল পার্থক্য কোথায় জানেন? মধ্যবিত্ত বেতনের টাকায় মাস চালায় আর ধনী প্রতি মাসের বেতনের টাকাও বিনিয়োগ করে। বিনিয়োগ থেকে যা আসে, সেটা দিয়ে খরচ করে। মূল টাকায় হাত দেয় না। অর্থাৎ ধনী হতে গেলে আপনাকে প্রাথমিকভাবে অর্থ সঞ্চয় করতে হবে। তারপর সেই অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। মূল অর্থ অক্ষত রেখে বিনিয়োগকৃত অর্থ থেকে যা আসে, সেটা খরচ করতে হবে। বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
১. সুস্বাস্থ্যের কোনো বিকল্প নেই। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। হাঁটুন, ব্যায়াম করুন।
২. লাক্সারি যেকোনো কিছু কেনা বাদ দিন। জামাকাপড়, জুতা, ব্যাগ, গাড়ি, কফি ইত্যাদি। রেস্টুরেন্টে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে বাদ দিন।
৩. যোগাযোগ দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। সুন্দর করে কথা বলা, নিজেকে উপস্থাপন করাও একটা বেসিক দক্ষতা।
৪. ধার করে চলার অভ্যাস, ব্যাংকঋণ, ক্রেডিট কার্ডে খরচ ইত্যাদি বাদ দিন। মনে রাখবেন, যে টাকা আপনার হাতে নেই, সেটা খরচ করা যাবে না।
৫. সেভিংসের কোনো বিকল্প নেই। নিজের আয়ের শতকরা ২০ ভাগ জমাতেই হবে।
৬. নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমলে তা বিনিয়োগ করতে হবে।
৭. প্রতি মাসে কী পরিমাণ টাকা জমল, কতটা কোন খাতে খরচ হলো, কী পরিমাণ লাভ-ক্ষতি হলো, এসবেরও খেয়াল রাখতে হবে।
৮. লোকে কী ভাবল, সেই চিন্তা বাদ দিন। আপনার অর্থনৈতিক জীবন একান্তই আপনার।
৯. হুটহাট অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা বাদ দিন।
১০. ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গে চলাফেরা করুন। একইভাবে নেতিবাচক মানুষদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
১১. বই পড়ুন। যে বইগুলো আপনাকে নিজের সেরাটা হয়ে উঠতে সাহায্য করবে, সেগুলো তুলে নিন।
১২. নিজের ওপর বিনিয়োগ করুন। এর চেয়ে ভালো বিনিয়োগ আর হয় না।
সূত্র: সাকসেস ডটকম