ডেটিংয়ের জন্য কেমন পুরুষ খুঁজছেন মেলিন্ডা গেটস

মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস
ছবি: এএফপি

বিল গেটসের সঙ্গে সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল, কিন্তু তাঁরা কখনোই ঠিক বন্ধু ছিলেন না। বিচ্ছেদ তাঁর জন্য কঠিন, কষ্টদায়ক। কিন্তু ধাক্কাটা সামলে ওঠার পর জীবনকে নতুন করে আবিষ্কার করছেন। টাইম সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি এমনটাই বলেছেন মেলিন্ডা গেটস। ডেটিংয়ের জন্য নতুন কাউকে খুঁজছেন। সেই নতুন কারও মধ্যে কী কী বৈশিষ্ট্য চান, সে প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন।
প্রায় ৬০ বছর বয়সী এই জনহিতৈষী বলছেন, এমন কারও সঙ্গে ডেটিংয়ে যেতে চান, যিনি হবেন প্রাণবন্ত ও বুদ্ধিমান। শেখার ব্যাপারে খোলা বইয়ের মতো। এসবের বাইরেও সম্পর্ক জমাতে দরকার টক-ঝাল-মিষ্টির সংমিশ্রণ। অর্থাৎ একঘেয়ে পুরুষ নয়। বরং এমন কাউকেই সঙ্গী হিসেবে চান মেলিন্ডা, যাঁর মধ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মতো গুণ থাকবে।

এত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কাউকে কি পাওয়া গেছে? প্রশ্নের উত্তরে মেলিন্ডা বলেন, ‘এটা নিয়ে কথা বলার মতো প্রস্তুত আমি নই।’ ২০২২ সাল থেকে সাংবাদিক জন ডু প্রির সঙ্গে মেলিন্ডার ডেটিং নিয়ে নানা মহলে কানাঘুষা চলছিল। তবে এ বছর এপ্রিলে তাঁর মুখপাত্র নিশ্চিত করেন যে তিনি আর ডেটিং করছেন না।

সাংবাদিক জন ডু প্রির সঙ্গে মেলিন্ডার ডেটিং নিয়ে নানা মহলে কানাঘুষা চলছিল


দীর্ঘদিন সংসার করার পর ২০২১ সালে আলাদা হয়ে যান বিল ও মেলিন্ডা গেটস। টাইম ম্যাগাজিনকে মেলিন্ডা জানান, কোভিড ১৯ মহামারির গোড়া থেকেই আলাদা থাকা শুরু করেছিলেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমিই প্রথম আলাদা হই। নিভৃতেই নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকি। একদিকে যেমন সন্তানদের দেখাশোনা করার চেষ্টা করেছি, আবার সম্পর্কের বাঁধন ছিন্ন করার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েও ভাবতে হয়েছে।’
আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের পরও দাতব্য সংস্থা ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’–এ এক হয়ে কাজ করছিলেন আলোচিত এই দম্পতি। ২০০০ সালে নিজ হাতে গড়া এই প্রতিষ্ঠান থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন মেলিন্ডা। জুনের প্রথম সপ্তাহে করেছেন শেষ অফিস। একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মানুষের জন্য তাঁর কাজকে পরবর্তী অধ্যায়ে নিতে এটাই সঠিক সময়। তাই এমন সিদ্ধান্ত। জানা গেছে, বিচ্ছেদের শর্ত অনুযায়ী ফাউন্ডেশন ছেড়ে যাওয়ার পর মেলিন্ডা পাবেন প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা)। মানবকল্যাণে এই টাকা ব্যয় করতে চান তিনি।
নারীদের জীবনমান উন্নয়ন ও নারী-পুরুষের সমতা নিয়ে কাজ করেন মেলিন্ডা। সম্প্রতি নারীদের অধিকার রক্ষায় প্রায় ১ বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার দান করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নারীরা যেন পূর্ণক্ষমতা নিয়ে কাজ করতে পারে, সেটা নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। নিজেদের শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, নতুন করে এটি হাতে তুলে দেওয়ার কিছু নেই, নারীরা অন্তর্নিহিত ক্ষমতা নিয়েই জন্মায়।’
সূত্র: টাইম