এখনকার সময়ে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা যাচাইয়ের অংশ হিসেবে আইইএলটিএস বা এ ধরনের পরীক্ষার সঙ্গে আমরা বেশ পরিচিত। আগের আমলে কিন্তু এমন পরীক্ষার চল ছিল না। ভাষাভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগটি ১১০ বছর আগে চালু হয়। সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই ১৯১৩ সালের ইংরেজি পরীক্ষার একটি প্রশ্নপত্র প্রকাশ করেছে। ইংরেজি পরীক্ষার ১১০ বছর উপলক্ষে প্রশ্নপত্রটি প্রকাশ করে তারা।
১৯১৩ সালের জুনে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়টি ইংরেজি ভাষা দক্ষতার পরীক্ষা চালু করে। সেবারের পরীক্ষায় মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তখন পরীক্ষা দিতে খরচ পড়ত তিন পাউন্ডের মতো। আর সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা ১২ ঘণ্টা সময় নিয়ে পরীক্ষা শেষ করতেন।
কী ছিল সেই পরীক্ষায়?
ইংরেজি যাঁদের প্রধান ভাষা নয়, তাঁদের জন্য প্রশ্নপত্রে অনুবাদ, উচ্চারণ, বানানসহ নানা বিষয় যুক্ত ছিল। কেমব্রিজের প্রকাশ করা প্রশ্নপত্রটিতে এখনকার সময়ের মতোই কিছু বাক্য শুদ্ধিকরণের প্রশ্নও চোখে পড়ল।
এখন বছরে ছয় লাখের বেশি শিক্ষার্থী কেমব্রিজের ইংরেজি পরীক্ষাগুলোয় অংশ নেন। তখন সার্টিফিকেট অব প্রফিসিয়েন্স ইন ইংলিশ নামে পরিচিত ছিল এই পরীক্ষা, যা এখন সিটু প্রফিসিয়েন্সি নামে আলোচিত। কেমব্রিজের ইংরেজি ভাষা দক্ষতা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সনদের মধ্যে এই পরীক্ষার সনদকে শীর্ষে রাখা হয়।
তিনজন থেকে লাখো পরীক্ষার্থী
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস ও অ্যাসেসমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ফ্রান্সেস্কা উডওয়ার্ড বিবিসিকে জানান, ‘মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী থেকে এখন লাখো শিক্ষার্থী আমাদের মাধ্যমে ইংরেজি শিখছে ও শেখাচ্ছে। ঐতিহাসিক এই প্রশ্নপত্র থেকে আমরা বুঝতে পারছি, ইংরেজি ভাষার পরীক্ষা কতটা বদলে গেছে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে অ–ইংরেজিভাষী শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তির বড় সুযোগ পায়।’