পাঠকের সুখ–দুঃখ, হাসি–আনন্দ, পছন্দ, ভালোলাগা, ভালোবাসাসহ যে কোনো না বলা কথা শুনতে চায় মনের বাক্স। প্রতি সপ্তাহে পাঠকের পাঠানো সেসব লেখা থেকে নির্বাচিত কিছু লেখা আজ প্রকাশিত হলো এখানে
প্রিয় তারিক সাইমুম, হাজারো কাজের ভিড়ে হয়তো ক্যাম্পাসে কাটানো খুনসুটিভরা সময়টুকুই মনে থাকবে। এক প্লেটে খাওয়া, রাতবিরাতে হঠাৎ পার্টি, চোখ দেখে মনের অবস্থা বুঝে যাওয়া আর কেউ পারবে কি? এক ইশারাতেই কোনো প্রশ্ন ছাড়া পেছন পেছন হাঁটতে থাকা, আন্টির হাতের চিংড়ি রান্না; রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি নিয়ে গল্প করে রাত ভোর করে দেওয়া আর কদিন থাকবে জানি না। আর কটা দিন বাদেই ইচ্ছাগুলো নিয়মের বেড়াজালে বন্দী হয়ে যাবে, ভাবলে চোখ জলে ভরে যায়। তুই মানুষের ছোট ছোট সমস্যার সমাধানে হয়তো ব্যস্ত হবি। আমারও হয়তো পড়াশোনায় বুঁদ হয়ে থাকার অভ্যাস এক জীবনে ফুরাবে না। কারণে–অকারণে সম্পর্কের চাদর হালকা ধুলোয় মলিন হবে। কিন্তু আমি জানি, তুই ঠিক বহু বছর পর হঠাৎ করে মলিন চাদর আবার চকচকে করে দিবি। মনের কথাগুলো কলমের আঁচড়ে এঁকে দিলাম। তোর নথিপত্রের বিশাল সংগ্রহশালায় রেখে দিস।
মাসুম আলভী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
গত রাতে স্বপ্নে তোমাকে অন্য পৃথিবীতে দেখেছি। যেখানে তুমি পাখির মতো উড়ছ। নরম হাতে একবার চাঁদকে স্পর্শ করছিলে, আবার তারাদের সঙ্গে সেলফি তুলছিলে। এই সমুদ্রের অঢেল জলরাশির ওপর দিয়ে হাঁটছ, এই আবার পাহাড়ি মিষ্টি ফল খেতে খেতে চলে যাচ্ছে চোখের সীমানা ছাড়িয়ে। স্বপ্নের এই ধরণিতে সমস্ত ফুল তোমাকে ছুঁয়ে দেখার আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছে। এসব দেখতে দেখতেই ঈর্ষাকাতর হয়ে যাচ্ছি। একবার ভাবছি চাঁদ হব, আরেকবার পাহাড়ি মিষ্টি ফল। তুমিই না হয় বলো, কী হলে আমাকে
সঙ্গে নেবে।
সামির হোসেন, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।
প্রথমবার স্কুলে যাচ্ছে সন্তান। পাখির বাচ্চার নতুন উড়তে শেখার আনন্দের মতো করছে আমার মন। নতুন যাত্রা মানেই নতুন স্বপ্ন। স্কুলের সামনে কত অভিভাবক যে তাঁদের স্বপ্নের বীজ বুনতে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকে সন্তানকে প্রথম হওয়ার, সেরা হওয়ার প্রতিজ্ঞা করাচ্ছেন। অনেকের চিন্তা, এক বছর আগে ভর্তি করালেই ভালো হতো, কত কিছু শিখে যেত, এ রকম হাজারো গল্প। আমি চাই আমার সন্তান উড়তে শিখুক। ডানা মেলে নিজের ইচ্ছেমতো সে উড়ে বেড়াক এদিক–ওদিক। গন্তব্য সে নিজেই চিনে যাবে।
কুসুম, পাবনা