ছেলেবেলায় হয়তো ছবি আঁকা, গান কিংবা অভিনয়ের মতো বিষয়গুলোই আপনাকে টানত বেশি। মনে মনে হয়তো ভেবেছেনও, যদি এসব নিয়েই পড়ালেখা করা যেত! পরিবার ও সমাজের চাপে পড়েই আমরা অনেক সময় বিবিএ, প্রকৌশল কিংবা চিকিৎসাবিদ্যার মতো বিষয়গুলো বেছে নিই। কিন্তু পছন্দের কোনো সৃজনশীল বিষয়ে স্নাতক করে কি ক্যারিয়ার গড়া যায় না?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ আছে। পড়ানো হয় অভিনয় ও নাটকের তত্ত্বীয় বিষয়। কিন্তু এত বিষয়ের মধ্যে নাটকের প্রতি আগ্রহ জন্মায় কীভাবে? মুঠোফোনে এই প্রশ্ন শুনে কিছুটা স্মৃতিকাতর হলেন অপরূপ রাহী। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে সম্প্রতি স্নাতক শেষ করেছেন। বললেন, ‘ছোটবেলা থেকেই বাবাকে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে দেখেছি। গানও শুনতেন প্রচুর। সকালে ঘুম ভাঙলেই কানে আসত নুসরাত ফাতেহ আলী, আদনান সামীর গান। সেখান থেকেই সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ। এরপর নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থিয়েটারে যোগ দিই। তখনই প্রথম জানতে পারি যে এ বিষয়েও স্নাতক করার সুযোগ আছে। ভেবে দেখলাম, এই বিষয় ছাড়া অন্যদিকে আমার সে রকম আগ্রহ নেই।’
অনেকের ধারণা, এই বিভাগের মূল কার্যক্রমই হলো অভিনয়ের চর্চা, তা কিন্তু নয়। একক ও দলীয় অভিনয়ের খুঁটিনাটি কৌশল তো শেখানো হয়ই। এর বাইরেও শেখানো হয় নাট্য পরিচালনা, প্রযোজনা, মঞ্চ ও আলোক পরিকল্পনা, মেকআপ, ইত্যাদি বিষয়ে। প্রথম বর্ষে শুদ্ধ উচ্চারণের ওপরও কোর্স থাকে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি অংশ নিতে হয় ব্যবহারিক পরীক্ষায়। দিতে হয় অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ৷ অতএব, সৃজনশীলতা চর্চার অনেক সুযোগ আছে এই বিভাগে। অপরূপ রাহী যোগ করলেন, ‘এ বিভাগের কোনো শিক্ষার্থীকে না চাইলেও সৃজনশীল হতে হয়। নতুন ভাবনার সঞ্চার ঘটাতে হয়। যেমন ধরুন, সেলিম আল দীন বা শেক্সপিয়ারের চরিত্র আমাদের জন্য বড় বিষয়। আমাদের চারজনকে বলা হলো, তোমাদের মধ্যে যে ভালো করবে, তাঁকে এই চরিত্র দেওয়া হবে। ওই চরিত্রটা নিজের মধ্যে ধারণ করা, পড়াশোনা করা, একটা মাস অনুশীলন করে নিজেকে চরিত্রের উপযোগী করে তৈরি করার যে আনন্দ, সেটাও নতুন রূপে নিজেকে আবিষ্কার করার থেকে কম নয়।’
নতুন পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজিত হওয়াকেই সবচেয়ে বড় সৃজনশীলতা মনে করেন এই শিক্ষার্থী। রুম ঝাড়ু দেওয়া থেকে শুরু করে মঞ্চ তৈরি, অভিনয় থেকে পরিচালনা, একজন নাটকের শিক্ষার্থীকে সবই করতে হয়। ফলে পরিবেশে মানিয়ে নিতে বা অন্য যেকোনো কাজে ভালো করার ব্যাপারে এগিয়ে থাকেন নাটকের শিক্ষার্থীরা৷ সব দিক ভেবেই এ বিষয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
বাংলা সিনেমা এখন অস্কার, কান উৎসবে যায়। সিনেমা, নাটকের বাজেটও বাড়ছে। ফলে কলাকুশলী হিসেবে নতুন নতুন কাজের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া বিসিএস, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নাটকের শিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার গঠন করা যায়।
চারুকলার শিক্ষার্থী বললেই অনেকের চোখে ভাসে ‘কবি কবি চেহারা, কাঁধেতে ঝোলানো ব্যাগ’। সৃষ্টিশীল মানুষেরা হয়তো একটু উদাসীনই হন। তবে তাঁদের সৃজনশীলতার চর্চাটা কিন্তু একদিনের নয়। এর পেছনে থাকে অনেক দিনের প্যাশন, লেগে থাকার গল্প। মুক্তাদির কুয়াশাও একমত হলেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী। চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা, ছাপচিত্র বিভাগে স্নাতকোত্তর করছেন। বলছিলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আঁকাআঁকিতে আগ্রহ। বড় হয়ে বুঝেছিলাম, এখানে নিজের মতো করে বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা করা যায়। তাই নিজের চিন্তা, মত প্রকাশ করার প্রয়াস থেকেই এ বিষয়ে পড়তে চেয়েছি। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কার্টুন আঁকি, ছবি আঁকি। নিজের কথাগুলো ছবিতে ফুটিয়ে তুলি।’
দেশের সাতটি পাবলিক ও দুটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চারুকলা বিষয়ে পড়ার সুযোগ আছে। চারুকলা অনুষদেও থাকে বিভিন্ন বিভাগ। এর মধ্যে অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগ, ছাপচিত্র বিভাগ, ভাস্কর্য বিভাগ, গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ উল্লেখযোগ্য। ভর্তি হতে চাইলে বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি চারুকলা সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞানে ভালো করতে হবে। আঁকাআঁকিতেও হতে হয় দক্ষ।
তবে হঠাৎ করে যেমন চিত্রশিল্পী হওয়া যায় না। তেমনি আগ্রহ না থাকলে চারুকলায় ভালো করা কঠিন। থাকতে হয় অঙ্কনের মৌলিক ধারণা। মুক্তাদির কুয়াশা বুঝিয়ে বললেন, ‘এটা আসলে গুরুমুখী শিক্ষা। পড়লাম আর পারলাম, এমন নয়। স্নাতকের কোনো কোর্সে হয়তো জ্যেষ্ঠ কোনো শিল্পীর চিত্রকর্ম বোঝার চেষ্টা করছি, কোন মনস্তাত্ত্বিক অবস্থান থেকে এটি আঁকা হয়েছিল, সমাজব্যবস্থা কেমন ছিল। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানুষের নানা রকম বিশ্বাস ও তাঁর প্রেক্ষাপট নিয়ে জানতে পারছি। সবকিছু মিলিয়ে নিজের ভাবনার সঙ্গে সমন্বয় করে আমার চিন্তাটা কী, সেটা প্রকাশ করছি রং-তুলির আঁচড়ে। গৎবাঁধা পড়ালেখার সঙ্গে সৃজনশীল কোনো বিষয়ের এখানেই তফাৎ। অর্থাৎ নতুন কিছু সৃষ্টি করতে হয়। মনোযোগ ও আগ্রহ না থাকলে সৃষ্টি করা খুবই কঠিন।’
চারুকলায় পড়ে চাইলে ফ্রিল্যান্স আর্টিস্ট হতে পারেন। চলচ্চিত্র, নাটকের জগৎ থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রকাশনা, প্রযোজনা সংস্থাসহ নানা জায়গায় কাজের সুযোগ থাকে।
পোশাকশিল্প যে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত, সে কথা নিশ্চয়ই নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। ভিনদেশ থেকে আমাদের দেশে পোশাক তৈরির প্রচুর ফরমাশ আসে বটে, কিন্তু বৈশ্বিক বাজারে পোশাকের নকশা করার ক্ষেত্রে আমরা এখনো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারিনি। তবে সেই সুযোগ নিশ্চয়ই আছে। সেই লক্ষ্যেই ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়ালেখা করে তৈরি হচ্ছে অনেক তরুণ।
টেক্সটাইলে বিশেষায়িত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইল (বুটেক্স) ছাড়াও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাশন ডিজাইনে পড়ার সুযোগ আছে। এ ছাড়া ঢাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলোজি (বিইউএফটি), শান্ত-মরিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলোজিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে পড়া যায়। কী কী পড়ানো হয় এ বিভাগে?
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্র্যাফট অ্যান্ড ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগে পড়ছেন আরমান চৌধুরী। শেষ বর্ষের এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘কাঠ খোদাই, ধাতুর ওপর নকশা, মৌলিক বুনন, ডিজাইন, প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, ফ্যাশন ডেভেলপমেন্ট, পোশাক সম্পর্কে ধারণা, স্টাইল সম্পাদনা, পোশাক বানানো, ইত্যাদি বিষয়ে আমাদের পড়তে হয়।’
এই শিল্পে কাজের সুযোগ যেমন অনেক, তেমনি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বৈদেশিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করা যায়। তবে সে জন্য নিজেকে তৈরি করতে হয়। আরমান বলছিলেন, ‘এটা সৃষ্টিশীল কাজের ক্ষেত্র। হাতে–কলমে যতটা কাজ, প্রযুক্তিরও ব্যবহারও অনেকখানি। তবে, যেখানেই কাজ করেন, চিন্তাচেতনাকে প্রসারিত করার বিকল্প নেই। আপনি কোথায় বড় হচ্ছেন, আপনার জীবনধারা কেমন, কোন এলাকার মানুষের জন্য কাজ করছেন; এ বিষয়গুলো সচেতনভাবে ধারণ করার সক্ষমতা থাকতে হবে। আমাদের প্রচুর বই পড়তে হয়, প্রচুর ইতিহাস জানতে হয়। কী ঘটে গেছে, কী ঘটছে, এসব না জানলে নতুন কী আসতে পারে; সেটা চিন্তা করাটা সহজ হয় না।’
কিন্তু পড়াশোনা শেষে সৃজনশীলতা দেখানোর সুযোগটা তো চাই। আরমানের বক্তব্য, ‘আপনি নামকরা ব্র্যান্ডের পোশাক পরেছেন, কিন্তু কজন ডিজাইনারের নাম জানেন? একটা জুসের প্যাকেটের ওপরের লেবেলিং থেকে শুরু করে বোতল বা প্যাকেট কীভাবে তৈরি হচ্ছে, ডিজাইন ও আকার কে করছে, সেটা কেউ জানে না। এতটুকু বলতে চাই, সৃজনশীল অন্যান্য বিষয়ের মতো ডিজাইনার পেশায়ও চাকরির বাজার অনেক সমৃদ্ধ। সব খাতেই কাজের সুযোগ আছে।’
শিল্পকলা একাডেমি থেকে শুরু করে জাদুঘর, ফ্যাশন হাউস, নানা খাতে ফ্যাশন ডিজাইনে স্নাতকেরা কাজ করেন। আছে শিক্ষকতা বা গবেষণারও সুযোগ।
ছোটবেলা থেকে গান শিখছেন? স্কুল-কলেজে গান গেয়ে মঞ্চ মাতিয়েছেন? ভাবছেন, বিশ্ববিদ্যালয়েও সংগীতসংক্রান্ত পড়ালেখা হলে মন্দ হতো না? আপনি বেছে নিতে পারেন সংগীত বিভাগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাড়াও ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ এবং শান্ত–মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির মতো কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গান নিয়ে পড়ালেখার সুযোগ আছে।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সংগীত বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় বসতে হয়। দুই পরীক্ষার নম্বর সমন্বয় করে প্রকাশ করা হয় মেধাতালিকা। এই বিভাগে সুযোগ পেলে ব্যবহারিক ও তাত্ত্বিক, দুই বিষয়ে পড়াশোনা করতে হয়। প্রথম বর্ষে বিভিন্ন সংগীতের ইতিহাস, তালবিষয়ক ও কণ্ঠ সাধনার কোর্স থাকে। পরের বর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে বিভিন্ন বিষয়ে মেজর করা যায়। যেমন ক্ল্যাসিক্যাল, লোকসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুল সংগীত ইত্যাদি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন সংগীতশিল্পী কারিশমা সানু সভ্যতা। মুঠোফোনে তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, সংগীত বিভাগে পড়ার আগ্রহ জন্মেছিল কেন?
কারিশমা সানু সভ্যতা বলছিলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই গান করতাম। উচ্চমাধ্যমিকের পর মনে হয়েছিল, যেটা ভালোবাসি, সেটাই করা উচিত। যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, গানই করতে চাই, তাই অন্য কিছুতে পড়াটা আমার কাছে স্রেফ সময় নষ্ট করা মনে হয়। মিউজিশিয়ান হওয়া তো খুব সহজ ব্যাপার নয়। নানা সামাজিক বাধা থাকে। এ বাধাগুলোকে অতিক্রম করে কীভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করে যাওয়া যায়, এই মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ের কিছু অংশ সংগীত বিভাগ থেকে শেখা যায়।’
গানের বিভিন্ন শাখার মধ্যে ক্ল্যাসিক্যাল তুলনামূলকভাবে কঠিন। এ বিষয়েই মেজর করেছেন সভ্যতা। কেন? ‘একটা কারণ, এটা হলো ব্যাকরণ। যে ব্যাকরণ ভালো জানে, সে ভালো গান বানাতে পারে। আমার সম সময়ই গান গাওয়ার চাইতে গান বানানোর প্রতি বেশি ঝোঁক ছিল। উচ্চাঙ্গসংগীতে যেহেতু ইম্প্রোভাইজ করার সুযোগ আছে, এটাও আগ্রহ থাকার অন্যতম কারণ। আমি মিউজিক তৈরি করতে চাই, আর সংগীতের পড়াশোনা আমার সংগীতময়তাকে গড়ে তুলবে, তাই পড়তে আগ্রহী হয়েছিলাম।’
সভ্যতা মনে করেন, যে গানই করতে চায় বা এ বিষয়ে আগ্রহী, তাঁরই আসলে এ বিভাগে পড়া উচিত। অন্য কোনো বিষয়ে পড়ার চেয়ে সৃজনশীল বিষয়ে পড়া অনেক কঠিন। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য এ বিভাগে এলে, সে আসলে কিছুই বুঝবে না বা পারবে না বলেই মনে করেন তিনি।
সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজকের মতো পেশা বেছে নিতে পারেন এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। হতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। শিল্প একাডেমি, বাংলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠানেও কাজ করার সুযোগ থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মিডিয়াতেও নিয়মিত কাজ করছেন সংগীতে পড়া তরুণেরা।