পুরুষের চেয়ে একজন নারীর সেলফি তোলার হার দেড়গুণ বেশি
পুরুষের চেয়ে একজন নারীর সেলফি তোলার হার দেড়গুণ বেশি

সেলফি তোলার পেছনে একজন ব্যক্তি বছরে কত ঘণ্টা ব্যয় করে, জানেন

বিভিন্ন জরিপ অনুযায়ী, সারা পৃথিবীতে এক দিনে প্রায় ৯ কোটি ৩০ লাখ সেলফি তোলা হয়। এ ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে বেশ এগিয়ে নারীরা। পুরুষের চেয়ে একজন নারীর সেলফি তোলার হার দেড়গুণ বেশি। গবেষণা বলছে, একজন ব্যক্তি সেলফি তোলার পেছনে বছরে ৫৪ ঘণ্টা সময় ব্যয় করে। অর্থাৎ দিনে সাত মিনিট। আবার নির্দিষ্ট সেলফিটি পছন্দসই হলো কি না, সে সিদ্ধান্ত নিতে একজন মানুষ সময় নিয়ে থাকেন ১১ সেকেন্ড। তবে সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করবেন কি না, তা স্থির করতে সময় নেন ২৬ মিনিট।

সেলফির কিছু ইতিবাচক দিক আছে। এটি স্মৃতি ধরে রাখে। মন ভালো রাখে। তবে এর নেতিবাচক দিকও কিন্তু কম না। মন ও শরীরের ওপর সরাসরি এর প্রভাব আছে। সেলফিতে নিজেকে নিজে দেখা যায়। ফলে নিজের বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে একধরনের হীনম্মন্যতাবোধ তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকে। সবচেয়ে বড় কথা, এটি মূল কাজ থেকে মানুষের মনোযোগ সরিয়ে দেয়। যেমন কোনো একটি সুন্দর জায়গায় গিয়ে জায়গাটির সৌন্দর্য উপভোগের চেয়ে মানুষ সেলফি তোলায় বেশি মনোযোগী হয়ে পড়ে। কারও সঙ্গে দেখা হলে দু-চারটা ভালো-মন্দ কথাবার্তা না বলে আঙুলের ফাঁকে ফোন রেখে শুরু হয়ে যায় সেলফি তোলা। যারা কিছুটা দেখনদারি স্বভাবের, নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, নিজের ব্যাপারে অতি আত্মবিশ্বাসী কিংবা নিজের প্রতি যাঁদের অগাধ ভালোবাসা, তাঁদের ভেতর সেলফি তোলার প্রবণতা বেশি। কারও কাছে এটি রীতিমতো আসক্তি। কেউ কেউ তো ভয়ংকর ঝুঁকি নিতেও ছাড়েন না। চলন্ত ট্রেনের ছাদে, আকাশচুম্বী ভবনের ওপরে বা পাহাড়চূড়ায় দাঁড়িয়ে হামেশাই মানুষকে সেলফি তুলতে দেখা যায়।

আজ ১৬ মার্চ, সেলফিবিহীন দিবস (নো সেলফি ডে)। এই দিবসের শুরু কীভাবে জানা যায় না। সেলফি-আসক্তি দূরে সরিয়ে রেখে অন্তত একটি দিন কিন্তু কাটাতেই পারেন।

ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে