করোনা অতিমারিতে হাত জীবাণুমুক্ত রাখার গুরুত্ব যেন নতুনভাবে উপলব্ধি করেছিল বিশ্ব। তবে নানা রকম জীবাণুর মোকাবিলা করতে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। অতিমারির সময়টায় এসব প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদিত হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। এই সময়ের বাজারে দেশি ব্র্যান্ডগুলোর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
বাজারে রয়েছে এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডস, স্কয়ারের মতো জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠানের হ্যান্ডওয়াশ ও স্যানিটাইজার। এসিআইয়ের স্যাভলন আর স্কয়ারের সেপনিল হ্যান্ডওয়াশের পাশাপাশি দেখা মিলল অরগ্যানিকেয়ার, ডি-কেয়ার, সেফ হ্যান্ডস হ্যান্ডওয়াশের। সব কটিই দেশি। এই ধারার বিদেশি পণ্যের মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডের জায়গা করে নেওয়াটা যে খুব সহজ ছিল না, সেটি তো সহজেই অনুমেয়। হ্যান্ড স্যানিটাইজার হিসেবে হেক্সিসল বহুল প্রচলিত এক নাম। এই পণ্য কিন্তু বাংলাদেশেরই। এসিআইয়ের এই স্যানিটাইজার ছাড়াও বাজারে পাবেন সেপনিল, জার্মিসল, জার্মনিল, ইত্যাদি স্যানিটাইজার বা হ্যান্ডরাব, যেগুলো সবই দেশীয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি।
মানের সঙ্গে আপস নয়: ঢাকার বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্রী তানজিন মুমু অনেক বছর ধরেই দেশি ব্র্যান্ডের হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করেন। বিদেশি হ্যান্ডওয়াশের চাইতে দেশীয় হ্যান্ডওয়াশই তাঁর বেশি পছন্দ বলে জানান। তিনি বললেন, ‘দেশীয় হ্যান্ডওয়াশগুলোর সুঘ্রাণ ভালো লাগে। এগুলো ব্যবহারে হাতও থাকে কোমল।’
রোজকার সঙ্গী: কুমিল্লার ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. অর্পিতা গৌতম বলছিলেন, সাবানের বিকল্প হিসেবে দারুণ কার্যকর এই উপকরণটি। বাইরে খাওয়ার আগে হাত ধোয়ার সুযোগ না পেলে তিনি ঝটপট হাত পরিষ্কার করে নেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েই। আবার, বাড়িতে মায়ের রক্তের শর্করা মাপার আগেও তাঁর আঙুলের ত্বক জীবাণুমুক্ত করে নিতে অর্পিতা কাজে লাগান এই পরিষ্কারক উপকরণটি।
আরও যা: হ্যান্ডওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হ্যান্ডরাব ছাড়াও ‘সোপ বার’ অর্থাৎ বার সাবান তো রয়েছে দেশি বহু কোম্পানিরই। হাত পরিষ্কার রাখতে এগুলো কার্যকর। মেরিল, কেয়া, স্যান্ডালিনা ইত্যাদি দেশি সাবান সাধারণভাবে ‘বিউটি সোপ’ হিসেবে প্রচলিত হলেও যেকোনো সাবানের বৈশিষ্ট্যই কিন্তু জীবাণুনাশ। আর স্যাভলন সাবান তো জীবাণুনাশক হিসেবেই ব্যবহৃত হয়।