জীবনে আমরা প্রতিনিয়ত ধাক্কা খাই আর শিখি। অভিজ্ঞতা থেকে আক্কেল লাভ করি। সেসব অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু ভুল না করার পরামর্শ দিয়েছে ইনস্টাগ্রামভিত্তিক নিউজ মিডিয়া ‘কি ফর সাকসেস’। দেখে নেওয়া যাক কী সেগুলো।
১. সবাইকে সবকিছু বলবেন না
সবাইকে সবকিছু বলবেন না। এমনকি কাউকেই সবকিছু বলবেন না। সব কথা সবার জন্য নয়। আবার একজনকে যে আপনি সবকিছুই বলে দেবেন, এটাও ঠিক নয়। কিছু কথা থাক না গোপন। কেবল নিজের কাছে জমা রেখে দিন।
২. মা-বাবাকে কোনো কিছুর জন্য দোষারোপ করবেন না
এখন সময় নিজের দায়িত্ব নেওয়ার। নিজের কোনো অবস্থার জন্যই মা–বাবাকে দোষারোপ করবেন না। তাঁদের ক্ষমা করে দিন। মা–বাবা—এই দুই ব্যক্তি সব জাজমেন্টের ঊর্ধ্বে। আজ থেকে (একটু একটু করে) নিজের দায়িত্ব নিন। সম্ভব হলে মা-বাবার দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিন। যখন আপনি কোনো কিছুর জন্য কাউকে দোষারোপ না করে নিজের ভুলগুলো দেখতে পারবেন আর সেগুলো শোধরাতে মনোযোগী হবেন, তখনই বলা যাবে আপনি পরিণত।
৩. প্রত্যাখ্যানকে ভয় নয়
প্রত্যাখ্যান জীবনের অংশ। আপনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, তার মানে এই নয় যে আপনি সেটার যোগ্য নন। আপনার জন্য হয়তো আরও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।
৪. সুযোগের অপেক্ষায় থাকবেন না
সুযোগ সব সময় সবার দরজায় গিয়ে কড়া নাড়ে না। মাঝেমধ্যে সুযোগ খুঁজে বেড়াতে হয়। ছিনিয়ে নিতে হয়। সুযোগ তৈরিতে মন দিন।
৫. স্বাস্থ্যকে অবহেলা নয়
স্বাস্থ্যও একধরনের সম্পদ। খুবই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ বললেও বাড়াবাড়ি হবে না। তাই সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ব্যায়াম করুন, হাঁটুন, দৌড়ান, সাইকেল চালান বা সাঁতার কাটুন। অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমান। ঘরে তৈরি খাবার খান। পানি খান। কাজের ফাঁকে বিরতি নিন। হাসুন, মন খুলে কথা বলুন। আর প্রতিদিন আধা ঘণ্টা রোদে, প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটাতে ভুলবেন না।
৬. সবার উপদেশ নেবেন না
আপনি যেখানে নিজেকে দেখতে চান, সেখানে যে পৌঁছায়নি, তার উপদেশ কেন নেবেন? সবার কথা শুনে ভড়কে যাবেন না। যুক্তি দিয়ে বিচার করুন। তারপর উপদেশ গ্রহণ করুন।
৭. সমালোচনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে দেখবেন না
মনে রাখবেন, সমালোচনা আপনার ভুল শুধরে দেওয়ার জন্য। সেটাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করুন। আর যেটা অযৌক্তিক, সেটা তো গ্রহণ করারই প্রশ্ন আসে না। ফলে সমালোচনাকে আঘাত হিসেবে নিয়ে মন খারাপ করে ঘুমাতে যাবেন না।
৮. অন্যকে ‘ইমপ্রেস’ করতে কিছু করবেন না
আচ্ছা আপনি কি প্রতিদিন অন্যকে ‘ইমপ্রেস’ করতে ঘুম থেকে ওঠেন? লোক দেখানো কোনো কিছুই আদতে টেকে না। ভেতরটা বেরিয়েই পড়ে। তাই অন্যের জন্য নয়, যা কিছু করবেন মন থেকে নিজের জন্য।
৯. মিথ্যা কথা নয়
এটা সবচেয়ে পরিচিত উপদেশ। যতই আপনি মিথ্যার আশ্রয় নেবেন, ততই আপনার জীবন জটিল থেকে জটিলতর হয়ে যাবে। মিথ্যের অতল গহ্বরে পড়ে যাবেন।
১০. বোকাদের সঙ্গে তর্ক নয়
আপনি কেন তর্ক করেন? কিছু বোঝাতে, প্রতিষ্ঠিত করতে। একজন বোকা ব্যক্তি আপনার বোঝাপড়াকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়। তাই বোকা ও রেগে আছে এমন ব্যক্তিকে জোর করে কিছু বোঝাতে যাবেন না। হিতে বিপরীত হতে পারে। বরং চুপ থাকুন।