হু ওয়ান্টস টু বি অ্যা মিলিয়নিয়ার, কৌন বনেগা ক্রোড়পতি কিংবা কে হতে চায় কোটিপতি—দেশে দেশে এ ধরনের টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলো বেশ জনপ্রিয়। আসলে কোটিপতি হতে কে না চায়! ব্যাংকে বিপুল টাকা থাকবে, থাকবে যখন যা খুশি কিনে ফেলার স্বাধীনতা—এমনই তো স্বপ্ন থাকে মানুষের। যা খুশি কিনে খাব, ইচ্ছেমতো বেড়াতে যাব, আকাশছোঁয়া বাড়ি হবে, ঝাঁ–চকচকে গাড়ি হবে! সবই হবে, তবে তাঁর জন্য চাই টাকা। অবশ্য সবাই যে ভোগবিলাসের জন্যই বিত্তবাসনা করেন, তা নয়। বইপুস্তকে ঠাসা গ্রন্থাগারের দিকে তাকিয়ে বইপ্রেমীর হাহাকার জাগে। হয়তো ভাবেন, টাকা হলে বাড়িতে একটা বইয়ের দুনিয়া বানাব। কোনো মহৎ শিল্পকর্মের দিকে তাকিয়ে বিমুগ্ধ শিল্প-সমঝদার আফসোস করেন, ইশ, যদি বসার ঘরের দেয়ালে এটি টাঙিয়ে রাখতে পারতাম! কোনো সিনেমাপাগল খ্যাপাটে তরুণ হয়তো ঝোলার ভেতর বারুদে ঠাসা চিত্রনাট্য নিয়ে ঘুরে বেড়ান। প্রযোজকের প্রত্যাখ্যানের বেদনা পাশে সরিয়ে রেখে স্বপ্ন দেখেন, একদিন তাঁরও টাকা হবে। সিনেমা বানিয়ে পৃথিবী নাড়িয়ে দেবেন সেদিন।
একটু ভালো থাকা, একটা সচ্ছল-সুখী জীবন, ছোট ছোট স্বপ্ন পূরণের সামর্থ্য—এসবের জন্য সত্যিই কি অনেক টাকা লাগে! বিজ্ঞজনেরা তো বলেন, টাকা দিয়ে সুখ কেনা যায় না। তবে? তবে আর কিছু নয়। টাকা দিয়ে সুখ কেনা না গেলেও শখ তো কেনা যায়। নক্ষত্রের রাত নাটকের সেই সংলাপের কথাই ধরুন। ঘরের কাছে হিমালয়কন্যা নেপাল কিংবা তাজমহল—কেবল টাকা নেই বলে দেখতে যেতে না পারার যে আক্ষেপ, একে কী বলবেন! কিংবা লিভারপুলের গ্যালারিতে বসে বার্সেলোনা-লিভারপুলের একটা জমজমাট ম্যাচ দেখার যে স্বপ্ন, টাকা ছাড়া কি তা পূরণ করা সম্ভব?
টাকা না থাকলে হাত ফসকে হারিয়ে যায় প্রেম। তাহলে টাকা দিয়ে প্রেম কেনা যায় কি? এর জবাব দিয়েছেন ইংরেজ নাট্যকার ক্রিস্টোফার মার্লো। তিনি বলেছেন, ‘টাকা দিয়ে ভালোবাসা কেনা যায় না। কিন্তু এটি আপনার ভালোবাসার জন্য দামাদামি করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।’
আজ ২০ মে, মিলিয়নিয়ার হওয়া দিবস (বি অ্যা মিলিয়নিয়ার ডে)। আমেরিকায় এটি পালিত হয়। যাঁরা বৈভবের স্বপ্ন দেখেন, ইচ্ছা রাখেন শখ পূরণের, তাঁরা দিনটি পালন করতে পারেন। অবৈধ পথে নয়, সৎ পথে নিজ মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে বিত্তশালী হয়ে ওঠার শপথ নিতে পারেন আজ। আজ থেকেই শুরু করতে পারেন কোনো উদ্যোগ, যা একসময় আপনাকে এনে দেবে অর্থবিত্ত।