সারা বিশ্বে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে চ্যাটজিপিটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এই চ্যাটবট দিন দিন আমাদের বিভিন্ন কাজের সঙ্গী হয়ে উঠছে। চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। আর এই প্রতিষ্ঠানের সিইও স্যাম অল্টম্যান। কীভাবে কাটে এই মার্কিন উদ্যোক্তার একেকটি দিন?
স্যাম অল্টম্যান দিন শুরু করেন এক কাপ এসপ্রেসো কফি দিয়ে। প্রাণশক্তি ও মনোযোগ ধরে রাখার জন্য দিনে ১৫ ঘণ্টা উপোস থাকেন। সকালে ই-মেইল পড়ার সময় তাঁর সামনে থাকে ফুল-স্পেকট্রাম এলইডি লাইট (এটি সার্কাডিয়ান অপটিকস লাইট থেরাপি ল্যাম্প নামেও পরিচিত)। অল্টম্যান প্রতিদিনের প্রথম কয়েক ঘণ্টা কাজে লাগান মূলত আত্মন্নোয়নের জন্য।
অল্টম্যান অতিপ্রচলিত ১ ঘণ্টার মিটিংয়ের বিরোধী। তাঁর মিটিং হয় ১৫-২০ মিনিট অথবা টানা ২ ঘণ্টার। কাজে মনোযোগ বাড়াতে অফিসে প্রাধান্য দেন নির্জনতাকে। এতে হঠাৎ করেই ভালো কিছু করার বুদ্ধি পেয়ে যাওয়া এবং নতুন নতুন আইডিয়া আবিষ্কারের পথ আরও প্রশস্ত হয়।
দুপুরের খাবারের সময়ের পর অল্টম্যান আরেক দফা এসপ্রেসো কফি খান, যা তাঁকে রাখে চনমনে। অল্টম্যান নিরামিষাশী, খুব সাবধানে বেছে বেছে খাবার খান। প্রদাহ সৃষ্টিকারী খাবার এবং চিনি এড়িয়ে চলেন। প্রতি তিন মাসে একবার নিজের রক্ত পরীক্ষা করান। রক্ত পরীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী প্রয়োজনে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট নেন। এর মধ্যে মেটফরমিন উল্লেখযোগ্য। মেটফরমিন তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়তা করে।
ভালো ঘুমের ব্যাপারে স্যাম অল্টম্যান একচুলও ছাড় দেন না। আরামে ঘুমানোর জন্য সব সময় শান্ত, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ নিশ্চিত করেন। প্রয়োজন হলে খুব অল্প মাত্রায় ঘুমের ওষুধও খান।
ফিটনেস ধরে রাখতে অল্টম্যান সপ্তাহে তিনবার ভারোত্তোলন করেন। মাঝেমধ্যে হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভ্যাল ট্রেনিংয়ে অংশ নেন। হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভ্যাল ট্রেনিং মূলত এমন কিছু ব্যায়াম, যেগুলো হৃৎপিণ্ড ও শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বৃদ্ধি করে। যেমন বাইরে কিংবা ট্রেডমিলে দৌড়ানো, স্থির সাইকেল চালানো, নাচ, সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা ইত্যাদি। এসব কাজ শুধু উৎপাদনশীলতা বা কর্মদক্ষতাই বাড়ায় না, সব মিলিয়ে শরীর ও মন সুস্থ রাখে।
সূত্র: লিংকডইন