শ্রীলঙ্কার এমাথা থেকে ওমাথা হাঁটা শুরু করেছেন এভারেস্টজয়ী বাবর

শ্রীলঙ্কার উত্তরের বিন্দুর নাম পয়েন্ট পেড্রোতে বাংলাদেশের তিন অভিযাত্রী
ছবি: বাবর আলীর সৌজন্যে

শ্রীলঙ্কার উত্তরের বিন্দুর নাম পয়েন্ট পেড্রো, আর সবচেয়ে দক্ষিণের বিন্দুটি পয়েন্ট ডন্ড্রা। এ দুটি জায়গার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার। দুই সঙ্গীসহ এই পথই হাঁটতে শুরু করেছেন এভারেস্ট ও লোৎসে শৃঙ্গজয়ী বাংলাদেশি পর্বতারোহী বাবর আলী। গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর তাঁরা প্রথম দিনে পয়েন্ট পেড্রো থেকে প্রায় ৩৮ কিলোমিটার হেঁটে পালাই পৌঁছান। পালাই থেকে আজ সকালে শুরু করেছেন দ্বিতীয় দিনের পথচলা।

বাবর আলী বলেন, ‘আমার কাছে দেশ দেখার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হাঁটা। চলতে চলতে দেশ দেখার পাশাপাশি অনেক মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ থাকে। এই বিষয়টুকু আমার জন্য অমূল্য।’

পায়ে হেঁটে শ্রীলঙ্কা দেখার অভিযানে বাবর আলী

বাবর আলীর সঙ্গে হণ্টনযাত্রায় সঙ্গী হয়েছেন জুমন নিয়াজ ও সাইফুল ইসলাম। জুমন ক্রীড়াসামগ্রী বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ডেকাথলনে চাকরি করেন আর সাইফুল একটি ট্রাভেল এজেন্সির স্বত্বাধিকারী। বাবর আলী এর আগে হেঁটে দেশের ৬৪ জেলায় পা রেখেছেন। তবে জুমন-সাইফুল দীর্ঘ হাঁটার অভিযান এবারই প্রথম।

বাংলাদেশি এই অভিযাত্রীদের পুরো অভিযান শেষ হতে ১৬ থেকে ১৮ দিন লাগবে। তাঁরা হেঁটে যেতে যেতে শ্রীলঙ্কার নানা পর্যটনস্থান, ঐতিহ্য, ধর্মীয় তীর্থস্থান দেখবেন। বাবর বলছিলেন, ‘আমরা কলম্বো হয়ে উপকূলরেখা ধরে হাঁটলে দূরত্বটা একটু কমে যেত। কিন্তু কোস্টলাইনের একঘেয়েমি কাটানোর জন্য আমরা মাহিয়ানগানায়া, ওয়েল্লাওলার পাহাড়ি রুট বেছে নিয়েছে। এতে দূরত্ব খানিকটা বেড়ে যাবে।’

প্রথম দিনে প্রায় ৩৮ কিলোমিটার পথ হেঁটেছেন অভিযাত্রীরা

আয়তনে বাংলাদেশের অর্ধেকও নয় শ্রীলঙ্কা। তা হলে কি হবে, দেশটিতে আছে প্রচুর বৈচিত্র্য—সেটা অনুরাধাপুরার পুরোনো সব মন্দিরে হোক কিংবা দেশের মধ্যভাগের প্রদেশগুলোর পাহাড়ই হোক। এ ছাড়া আছে দারুণ সব সৈকত। বাবর বলছিলেন, ‘ধর্মীয় পর্যটন নিয়ে আমার আগ্রহ থাকায় শ্রীলঙ্কাকে এ দিক থেকে বেশ উপযুক্ত মনে হয়েছে। এ ছাড়া ক্রস-কান্ট্রি হাইকিংয়ে মতো অ্যাডভেঞ্চারের মধ্যমটাকে খুব মিস করছিলাম। সেটাও এবার বেরিয়ে পড়ার একটা কারণ।’