যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স সম্প্রতি বিশ্বের পাসপোর্টগুলোর র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে। বিশ্বে ভিসামুক্ত চলাচল স্বাধীনতার ওপর গবেষণা করে প্রতিবছর এ সূচক প্রকাশ করে তারা।
র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১তম। দুর্বল পাসপোর্টের দেশ হিসেবে নবম বাংলাদেশ। বিশ্বের দুর্বলতম পাসপোর্ট আফগানিস্তানের। এই দেশের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা আগমনী ভিসা নিয়ে মাত্র ২৭টি দেশে ঢুকতে পারেন।
আফগানিস্তানের ঠিক ওপরেই আছে ইরাক, ১০৮তম স্থানে। শেষ থেকে চার নম্বরে আছে পাকিস্তান। র্যাঙ্কিংয়ে ১০৬ নম্বরে থাকা পাকিস্তানের লোকজন ভিসা ছাড়া যেতে পারেন ৩২টি দেশে। ভারত আছে ৮৫তম অবস্থানে, দেশটির নাগরিকেরা ভিসামুক্ত ৫৯টি দেশে যেতে পারেন।
চলুন দেখা যাক, সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের অধিকারী দেশগুলোর তালিকা—
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট জাপানের। এই পাসপোর্টধারী ব্যক্তির বিশ্বের ১৯৩টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার মেলে।
সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার পাসপোর্ট যাঁদের আছে, তাঁরা ১৯২টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারের সুবিধা পান।
জার্মানি ও স্পেনের নাগরিকেরা বিশ্বের ১৯০টি দেশে যেতে পারেন আগাম ভিসা না নিয়েই।
ফিনল্যান্ড, ইতালি ও লুক্সেমবার্গের পাসপোর্টে মেলে ১৮৯টি দেশের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার।
অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও সুইডেনের পাসপোর্ট বিশ্বের পঞ্চম শক্তিশালী। এই পাসপোর্টে ১৮৮ দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করা যায়।
ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, পর্তুগাল, যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টে মেলে ১৮৭টি দেশের ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ।
বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ভিসামুক্ত সুবিধা পান ১৮৬টি দেশে।
অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, গ্রিস ও মাল্টার পাসপোর্টে ১৮৫টি দেশে ভিসামুক্তভাবে যাওয়া যায়
হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডের নাগরিকেরা পান ১৮৪টি দেশের ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধা।
লিথুনিয়া ও স্লোভাকিয়ার পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা পান ১৮৩টি দেশের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার।
লাটভিয়া ও স্লোভেনিয়ার নাগরিকেরা পান ১৮২টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশের সুযোগ।
এস্তোনিয়ার পাসপোর্টে ভিসামুক্তভাবে যাওয়া যায় ১৮১টি দেশে।
আইসল্যান্ডের পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা ১৮০টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার পান।